কল্পনার_তুমি_আমি পর্ব ১

টেবিলে বসে কি জেনো লিখছিল সজীব ভাইয়া। মনে মনে চিন্তা করলাম যাই ওকে একটু বিরক্ত করে আসি। কারন ও শান্তিতে থাকলে আমার অসহ্য লাগে। আমি শান্তিতে থাকলে ওর অশান্তি লাগে। এমনই আদায় কাঁচকলায় সম্পর্ক আমরা কেউ কাউকে শান্তিতে থাকতে দেই না।
যেমন ভাবা তেমন কাজ গিয়ে ওকে ধরে ঝাঁকিয়ে ঝুাঁকিয়ে বলতে লাগলাম ও সজীব ভাইয়া কি করো করো? ও আমাকে উল্টা এমন এক ঝাড়ি দিল। কষ্টে আমার চোখে পানি চলে এলো।আমি কাঁদতে কাঁদতে ছুটে গেলাম মায়ের কাছে ও মা দেখনা সজীব ভাইয়া আমাকে বকেছে সাথে জোরে জোরো চিৎকার ও আছেই। মোট কথা ও আমাকে বকেছে ওকে আমাকে সরি বলতেই হবে। মা গিয়ে সজীব ভাইয়াকে বকতে লাগল। সজীব ভাইয়া একটু পর আমার কাছে এসে আমাকে সরি বলতেই লাগল। কিন্তু আমি পাওাই দিচ্ছি না। বকা দিয়ে এখন আবার আমাকে সরি বলতে এসেছে হুহ আমি এতো সস্তা নাকি। আমি আমার মতো ভাব নিয়ে বসেই রইলাম আমি আর ওর সাথে কথা বলবোনা। কিন্তু রাগটা বেশিক্ষন টিকে নি।ওর চাপাচাপিতে আমাকে ওর সাথে কথা বলতেই হলো।
আজ একটু তারাতাড়ি ঘুম থেকে উঠেছি। হঠাৎ বাবা কোথা থেকে এসে বলল কোথায় নাকি যাবে অনেক দূরের রাস্তা তাই রান্না বান্না করে নিতে। আমার এইসব জার্নি টার্নি ভালো লাগে না তাই আমি বললাম আমি যাবো না। বাবা মাও বেশি জোর করলোনা। মা রাননা বান্না করে দিয়ে গিয়েছে শুধু বলেছে একটু গরম করে খেয়ে নিতে। আমি ও ওরা যাওয়ার পরে গেট লাগিয়ে বসে টিভি দেখছিলাম। কিন্তু ফোনে নেট অন করা ছিলো হঠাৎ দেখি কে জেনো বার বার কল দিচ্ছে ফোন পিক করে দেখি সজীব ভাইয়া। ফোনটা পিক করতেই বলল কিরে আদ্রিতা তুই খালামনি সাথে যাসনি কেনো? বাসায় বসে বসে কি করছিস্? আমি বললাম টিভি দেখছিলাম। সজীব ভাইয়া বলল টিভিই যদি দেখিস তাহলে ফোনে নেট অন কেনো? দাদাকে আদা পড়া শেখাস তাইনা? পড়া শোনার বালাই নেই সারাদিন শুধু ফোন আর ফোন। পড়তে কি বসবি নাকি আমি এসে ঘাড় ধরে পড়তে বসাবো। তাড়াতাড়ি ফোন রেখে পড়তে বস। এই বলে কল কেটে দিল। আমি বুঝিনা যতো রকম অধিকার সব কি আমার ব্যাপারেই। ধুর এতো ভেবে লাভ নেই আমি গিয়ে পড়তে বসি। ওর কথা বলা যায় না হুট করে যদি বাসায় এসে দেখে আমি এখনো পড়তে বসিনি তাহলে আমি শেষ…
চলবে..
#কল্পনার তুমি আমি
#নুজহাত আদিবা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here