#কি_করিলে_বলো_পাইবো_তোমারে
#পর্বঃ০৮
#লেখিকাঃঅনন্যা_অসমি
আস্থাদের বিল্ডিংটা আজ আবারো বিভিন্ন ধরণের ছোট ছোট বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে।সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় লাইটগুলোর কারণে দূর থেকেও বিল্ডিংটাকে দেখা যাচ্ছে।ছাদে ছোট করে স্টেজ বানানো হয়েছে।সবাই এদিকে ওদিকে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত।
হলুদ একটা জামা পড়ে,চুলগুলো একসাইডে বেণি করে রেখে আস্থা।একহাতে ফোন অন্যহাতে অনিককে ধরে ছাদে উঠে আসে সে।আজ তাদের বিল্ডিং দোতলার ভাড়াটিয়ার মেয়ের হলুদ,যার কারণে এতোসব আয়োজন।আস্থা এখন আসতোনা কিন্তু অনিক জেদ ধরেছে যে সে এখনই যাবে।ছেলেকে আস্থার মা একা ছাড়তে চান না তাই আস্থাকে অনিকের সাথে পাঠালেন ছাদে।আস্থার মা নিচে বিভিন্ন কাজে ব্যস্থ।ছাদে এসেই অনিক তার সমবয়সী ছেলেদের সাথে খেলতে ব্যস্থ হয়ে গেলো।একটা চেয়ার টেনে আস্থা একদম ছাদের কোণায় গিয়ে বসে,তার এতো লোকজন কোন কালেই পছন্দ না।এরই মধ্যে আস্থার ফোনটা বেজে উঠে,কেউ তাকে ভিডিও কল করেছে।
” কিরে এই সময় ফোন দিলি যে?”
” ও মা তুই এতো সেজেগুজে কোথায় গিয়েছিস?” কথা জিজ্ঞেস করে।
” হ্যাঁরে আস্থু কোথায় গিয়েছিস শুনি?আমাদের তো কিছু বলিসনি।” নাইরা বলে।
” আরে ধুর,কোথায় যাবো?আমি তো বাসায় আছি।”
” হ্যাঁ তুই এভাবে সেজেগুজে বলবি বাসায় আছিস আর আমরাও বিশ্বাস করে নেবো।কি হতো আমাদের বললে যে তুই আজ কোথাও যাবি?আমরা কি তোর সাথে যেতাম নাকি?” মিথ্যা কান্না করতে করতে বলে কথা।
” আরে বাবা সত্যি বলছি।আমি আমাদের বিল্ডিং এর ছাদে আছি।”
” তাহলে এতো সেজেছিস কেন?” নাইরা জিজ্ঞেস করে।
” আরে আমাদের বিল্ডিং এক আপুর আজ হলুদের অনুষ্ঠান হচ্ছে।তার জন্যই এরকম ড্রেস পড়েছি।”
” আমার তোর কথায় কোন বিশ্বাস নেই।তুই দেখা আমাদের ব্যাক ক্যামেরা দিয়ে।” কথা বলে।
আস্থা একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে ব্যাক ক্যামেরা দিয়ে ওদের পুরো ছাদটা ঘুরিয়ে দেখায়।
” হলোতো এবার বিশ্বাস?”
” হুম হয়েছে হয়েছে।আচ্ছা তোর উনি কোথায়?আসেনি এখানো?” কথা বলে।
” উনিটা আবার কে?”
” আরে তোর নেয়া নেয়া প্রেমের মানুষটা আরকি।”
” এই চুপ কর।ফোন লাউডে আছে,কেউ শুনতে পেলে ঝামেলা হয়ে যাবে।”
” হাহাহা….তা বলনা আসেনি?”
” না এখনো পর্যন্ত তো দেখতে পাইনি।কিরে নাইরা তুই চুপ করে আছিস কেন?”
” কোথায় চুপ করে আছি?আচ্ছা আমার একটা প্রশ্নের উওর দেতো।”
” ঠিক আছে দেবো কিন্তু পড়াশোনা নিয়ে যদি কোন প্রশ্ন করেছিস তো তোর মাথা ফাটিয়ে দেবো।”
” আচ্ছা কেউ যদি আমাদের ভালোবাসে তাহলে আমাদেরও কি তাকেই ভালোবাসতে হবে?আমরা কি অন্যকাউকে ভালোবাসতে পারবোনা?আর আমি যাকে ভালোবাসি সে যদি অন্যকাউকে ভালোবাসে তাহলে আমার কি তাকে ছেড়ে দেওয়া উচিত?”
” এই নাইরা তুই এসব কি বলছিস?” কথা বলে।
” বলল না আমার প্রশ্নের উওর।”
” ধুর বাবা তোর কথার আগামাথা কিছুই আমি বুঝিনি তো উওর কি দেবো।এই আস্থু তুই কিছু বুঝেছিস?”
” পুরোটাতো বুঝিনি তবে এটা বুঝতে পেরেছি ও ভালোবাসা নিয়ে কিছু একটা বলেছে।নাইরু তুই আবার বলতো কি বলছিস।”
” কিছুনা বাদ দে।”
আস্থা,নাইরা আর কথা টুকটাক নিজের মধ্যে কথা বলছে আর হাসাহাসি করছে।
” তুমি ছাদের কর্নারে বসেছো কেন?”
হুট করে কারো আওয়াজ শুনে আস্থা ঘাবড়ে যায়।
” আবারো আপনি।আ….আমি তো আবারো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।”
” বুঝিনা আমি তোমাকে ডাকলেই তুমি ভয় পেয়ে যাও কেন।তুমি এই ভর সন্ধ্যা বেলা ছাদের কর্নারে বসে আছো কেন?”
” তো কি হয়েছে?”
” কি হয়েছে মানে?নিজের প্রাণের ভয় নেই নাকি?এখানে ছোট ছোট বাচ্চারা দৌড়াদৌড়ি করছে।যদি ভুলবশত তোমাকে ধাক্কা দিয়ে দেয় তাহলে তো সোজা নিচে গিয়ে পড়বে।তারপর দুনিয়ায় থেকে বাই বাই।”
” আচ্ছা ঠিক আছে ঠিক আছে।বুঝতে পেরেছি।”
” পরবর্তী থেকে নিজের খেয়াল রাখবে।বুঝিনা মানুষ এতো কেয়ারলেস কি করে হয়।”
” হয়েছে তো আর কত বকা দেবেন।”
” তো বকা দেবো না তো কি আদর করবো?তুমি যদি এখান থেকে পড়ে মারা যাও তাহলে তো পুলিশ এসে আমাদের ধরবে।তারপর সারাজীবন পুলিশ আমাদের পেছনে পড়ে থাকবে।”
” শুধু পুলিশের ঝামেলার কারণে আপনি আমাকে সর্তক করেছেন?”
” হুম আমার এতো শখ নেই পুলিশের ঝামেলায় পড়ার।পরবর্তী থেকে খেয়াল রাখবে।আমি ভালো মানুষ বলে সর্তক করেছি।”
তাজ বড় বড় পা ফেলে স্টেজের ওখানে চলে যায়।তাজের শেষের কথাগুলো শুনে আস্থার মন খারাপ হয়ে যায়।আস্থা আবারো বুঝতে পেরে গিয়েছে তার জন্য তাজের মনে কোন জায়গা নেই,সে শুধু একজন মানুষ হিসেবেই যা বলে তাকে।
” আস্থু মোবাইল সোজা কর।”
এতোক্ষণ ফোনের অপরপাশ থেকে আস্থা আর তাজের কথোপকথন শুনছিলো কথা আর নাইরা।
” কি হয়েছে?মুখটা এরকম করে রেখিছিম কেন?” কথা জিজ্ঞেস করে।
” কিছু না।”
” আমি জানি তাজ ভাইয়ার কথা শুনে তোর মন খারাপ কিন্তু তুই চিন্তা করিস না সব ঠিক হয়ে যাবে।”
” এইযে মিস আস্থা।”
তাজের এই হুটহাট আগমনে আস্থা সবসময় চমকে যায়।এবারো তার ব্যাতিক্রম হলোনা।
” আপনি একটু আগাম বর্তা দিয়ে আসতে পারেন না?প্রত্যেকবার আসবেন হুটহাট করে আর আমি প্রতিবারই ভয় পেয়ে যায়।না জানি কোনদিন আপনার এই হুটহাট ডাকাতে ভয়ে আমি হার্ট অ্যাটাক করে বসি।”
” তুমি এখন একটু বেশিই কথা বলছো।শোন তোমাকে আন্টি ডাকছেন দেখো কেন ডাকছেন।আমি আসতাম না।আন্টি বললেন বলে এলাম।তোমাকে বলার ছিল,বললাম।এবার কি করবে সেটা তোমার ইচ্ছে।”
এবারো বড় বড় পা ফেলে দ্রুত তাজ নিচে নেমে যায়।কথা আর নাইরা থেকে বিদায় নিয়ে আস্থা তাড়াতাড়ি তার মায়ের কাছে আসে।আস্থার মা তাকে একটা ফলমূলের প্লেট ধরিয়ে দিয়ে নিজের পেছন পেছন আসতে বলে।
সবাই এক এক করে মেয়েকে হলুদ লাগাচ্ছে।সবাই লাগাচ্ছে বিদায় বাধ্য হয়ে আস্থাও এগিয়ে আসতে হলো।হালকা করে হলুদ মুখে লাগিয়ে তাড়াতাড়ি স্টেজ থেকে নামে গিয়ে তাজের সাথে ধাক্কা লাগতে লাগতে বেঁচে যায় আস্থা।তাদের মাঝে এক আঙ্গুল মতো দূর বিদ্যমান।আস্থা ভয়ে ভয়ে তাজ থেকে পিছিয়ে আসে।
” এই মেয়ে দেখে শুনে চলতে পারোনা?এতো তাড়াহুড়োর কি আছে?আজ কি তোমার মাথা গিয়েছে?তখন একদম ছাদের কর্নারে গিয়ে বলেছিলে আর এখন তাড়াহুড়ো করে নামছো।শোন তুমি বাসায় গিয়ে ঘুমাও।এখানে তোমার কোন কাজ নেই।”
” সে আপনাকে বলতে হবেনা।আমি জানি আমার এখানে কোন কাজ নেই।আর আমারো এসব ভালোলাগেনা।আমি আসতামও না কিন্তু আমার মাকে কে বুঝাবে যে আমার এসব ভালোলাগেনা।মায়ের জন্যই তো এই এতোগুলা মানুষের মধ্যে এতোক্ষণ ধরে বসে থাকতে হয়েছে।”
” আচ্ছা তুমি যাও।বাসায় যেয়ে ঘুমিয়ে পড়ো।অনেক রাত হয়েছে।আন্টিকে দেখলে আমি বলে দেবো।”
” সত্যি বলবেন তো?”
” আরে বাবা হ্যাঁ বলে দেবো।তুমি যাও এখন।”
আস্থা আর দেরি না করে তাড়াতাড়ি রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে নেয়।এতোক্ষণে তার দেহে যেন প্রাণ ফিরে এসেছে।সে ফ্রেশ হয়ে এসে একটু পানি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।
পরেরদিন,
ক্যাম্পাসে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে কথা বলছে আস্থা,নাইরা আর কথা।হুট করেই কথা বলে উঠে,
” আচ্ছা তোরা এই ছেলেটাকে চিনিস নাকি?”
” কোন ছেলেটা?” আস্থা জিজ্ঞেস করে।
” এইযে ওই ছেলেটা।কালো শার্ট পড়া।”
” কেন কি হয়েছে?”
” কেন যেন মনে হচ্ছে ছেলেটা আমাদের কেই দেখছে।”
” দূর আমাদের কেন দেখতে যাবো?হয়তো কারোর জন্য অপেক্ষা করছে।হয়তো সে আসছে নাকি তাই দেখছে।তুই একটু বেশি সন্দেহ করিস।চল এখন।”
” কিরে নাইরু দাঁড়িয়ে আছিস কেন?চল।”
” হুম তোরা যা আমি আসছি।”
আস্থা আর কথা আগে আগে হাঁটতে থাকে।নাইরা অগ্নির দিকে এগিয়ে আসে কি-না তার কাছে পৌঁছানোর আগেই অগ্নি সেখান থেকে চলে যায়।
#কি_করিলে_বলো_পাইবো_তোমারে
#পর্বঃ০৯
#লেখিকাঃঅনন্যা_অসমি
” হ্যালো মিস।আমি কি এখানে বসতে পারি?”
আস্থা মাথা তুলে দেখে একটা অপরিচিত ছেলে মুখে হাসি বজায় রেখে তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
” বসুন।”
ছেলেটা আস্থার সম্মতি পেয়ে তার পাশে বসে পড়ে।আস্থা নিজের মতো ফোন স্ক্রল করতে ব্যস্থ হয়ে পড়ে।আস্থা তার পরিবারের সাথে তাদের সেই ভাড়াটিয়ার মেয়ের বিয়েতে এসেছে।তার মা অন্য মহিলাদের সাথে কিছুটা দূরে কথা বলছে,অনিকও ওনার সাথে আছে আর আস্থার বাবা বাইরে আছে।
” তো মিস আপনার নামটা কি জানতে পারি?”
ছেলেটার হুট করে এমন প্রশ্নতে আস্থার ভ্রু-কুচকে উঠে।সে ফোনের দিকে তাকিয়েই বলে,
” আ….তুলি।” আস্থার কেন যেন ছেলেটাকে নিজের নাম বলতে ইচ্ছে করলোনা।
” তুলি,সুন্দর নাম তো।আমার নাম আবির।তুমি এখানে একা এসেছো বুঝি?”
” না।”
” ও আচ্ছা।তুমি কোন পক্ষ থেকে এসেছো?”
” কনে।”
” ও আচ্ছা।আমি বরপক্ষ থেকে এসেছি।সায়ন মানে বর আমার পরিচিত।”
” এ আবার কোন জ্বালা।কথা যেন থামছেই না।মিনিমাম কনমসেন্সটুকু নেই যে অপরিচিত মেয়ের সাথে এরকমভাবে কথা বলতে নেয়।অভদ্র লোক একটা।” মনে মনে বলে আস্থা।
” আচ্ছা তুমি কোন ক্লাসে পড়ো?”
” (কেউ আমাকে এই অভদ্র লোকটা থেকে বাঁচাও) আমি ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনা করছি।”
” কি বলো তুমি!আমি তো মনে করেছি তুমি এখনো কলেজে পড়ো।”
” আস্থা।”
পরিচিত কারো কন্ঠস্বর শুনে আস্থা তাড়াতাড়ি মোবাইল থেকে চোখ তুলে।সে এতোক্ষণ ফোনের দিকেই তাকিয়ে কথা বলছিলো।মাথা তুলে আস্থা দেখে তাজ দাঁড়িয়ে আছে।তাজকে দেখে আস্থা মনে মনে স্বস্তির নিশ্বাস নেয়।
” আস্থা তোমাকে আন্টি ডাকছেন,যাও।আর আবির তুই এখানে?”
” তাজ তুই এখানে কি করছিস?আর তুই ওকে চিনিস?”
” হুম খুব ভালো করেই চিনি।আস্থা চলো সবাই তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।”
তাজ আগে আগে চলে যায়,আস্থা তাড়াতাড়ি তাজের পেছন পেছন যেতে থাকে।
” তুমি ওকে চেনো নাকি?”
” কে?”
” ওই যে ছেলেটাকে মানে আবির কে?”
” না তো।”
” তাহলে এতো কথা বলছিলে কেন?”
” আমি কোথায় কথা বলছিলাম?উনি নিজে থেকে সেধে সেধে কথা বলছিলেন।”
” আচ্ছা যাও আন্টিদের সাথে বসে পড়ো।”
” আপনি বসবেন না?” মায়াভরা কন্ঠে তাজকে জিজ্ঞেস করে আস্থা।
” না আগে তোমরা খেয়ে উঠো তারপর বসবো।”
আস্থা আর কোন কথা না বলে তার মায়ের পাশে বসে পড়ে।তাজ সবার কি লাগবে না লাগবে তার দিকে খেয়াল রাখছে।এদিকে আস্থা খাচ্ছে কম তাজকে দেখছে বেশি।
” কি রে তুই না খেয়ে বসে আছিস যে?” জিজ্ঞেস করে আস্থার মা।
” কই খাচ্ছি তো।তুমি খাও,আমি খাচ্ছি।”
” তাজ বাবা শোন।”
তাজ তাড়াতাড়ি আস্থার মায়ের কাছে এসে দাঁড়ায়।
” জ্বি আন্টি বলুন,আপনার কি লাগবে।”
” আমার কিছু লাগবে না বাবা তুমি আমাকে একটু মাংসের বাটিটা এগিয়ে দেবো?”
” কাকে দেবেন আন্টি?আমাকে বলুন আমি দিয়েচ্ছি।”
” এইযে আমার মেয়েটাকে দেবো।”
” না না আমার কিছু লাগবেনা।আমার এসব মাংস-টাংস ভালোলাগেনা।আপনাকে কষ্ট করতে হবেনা।”
কিন্তু কে শুনে কার কথা।তাজ বাটি থেকে দু’পিস মাংস উঠিয়ে আস্থার প্লেটে দিয়ে দেয়।
” আপনাকে না বলেছিলাম আমার মাংস ভালো লাগেনা।” বিরক্ত নিয়ে বলে আস্থা।
” ভালো না লাগলেও খাও।না খেয়ে খেয়ে তো একদম শুকনো কাঠি হয়ে গিয়েছো।মনে হচ্ছে বাতাসে দু’দিন পর উড়ে যাবো।বেশি বেশি করে খেতে পারবোনা।”
” আরে বাবা তুমি কাকে খাওয়ার কথা বলছো,এই মেয়েকে!তুমি জানোনা যে এই মেয়ে খাওয়ার জন্য কত তোষামোদ করতে হয়।সারাদিন যদি আমি না ডাকি তাহলে না খেয়ে থাকবে,তাও নিজে থেকে কিছু খাবেনা।”
” তাই তো দেখতে পাচ্ছি আন্টি।দিন দিন শুকনা কাঠি হয়ে যাচ্ছে।”
” মা একটু চুপ থাকো তো।তুমি কি এখানে আমার নামে মানুষের কাছে নালিশ দিতে এসেছো?তাড়াতাড়ি খাও।”
বিরক্ত নিয়ে কথাগুলো মাকে বলে আস্থা এরপর তাজের দিকে তাকিয়ে হালকা মুখ বাঁকিয়ে নিজে খাওয়াতে মন দেয়।আস্থা কাজে তাজ হালকা হেসে অন্যদিকে দেখতে চলে যায়।
খাওয়া শেষ হলে আস্থা এক জায়গায় এসে দাঁড়ায়।তার মা কোন এক মহিলার সাথে দাঁড়িয়ে কথা বলছে।
” এক্সকিউজ মি।”
পাশ ফিরে আস্থা দেখে একটা অপরিচিত ছেলে দাঁড়িয়ে আছে।তবে ছেলেটাকে আস্থা কেন যেন চেনে না ঠেকছে।অনেক মনে করার পর আস্থার মনে পড়ে আরে এই ছেলেটাকেই তো সকালে কথা দেখিয়েছিলো।অগ্নিকে এখানে দেখে ভড়কে যায় আস্থা।
” জ্বি আপনি কি আমাকে বলছেন?”
” হ্যাঁ তোমাকেই বলছি।তুমি নাইরার ফ্রেন্ড না?”
” আপনি নাইরাকে চেনেন?”
” হুম চিনি,খুব ভালো করে চিনি।” দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বলে অগ্নি। ” আচ্ছা তুমি আমার একটা হেল্প করতে পারবে?প্লিজ না করোনা।”
” কি হেল্প?”
” এই কাগজটা তুমি প্লিজ নাইরাকে দিয়ে দিও।আর প্লিজ তুমি এটা খুলে দেখোনা।এটা শুধু মাত্র নাইরা নিজে দেখবে।প্লিজ বোন আমার এই হেল্পটা একটু করে দাও,প্লিজ।”
অগ্নির অনেক রিকুয়েষ্ট করার কারণে আস্থা আর না করতে পারেনি।সে অগ্নি থেকে কাজটা নিয়ে নিজের ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখে।অগ্নি আস্থা ধন্যবাদ দিয়ে তাড়াতাড়ি চলে যায়।
” তুমি সবসময় একা একা ঘুরো কেন?”
পেছন থেকে তাজের আওয়াজ শুনে আস্থা কেঁপে উঠে।
” আপনি কি কোনদিন সামনে থেকে আসতে পারেন না?”
” না পারিনা।ওই ছেলের তোমাকে কি দিয়েছে?”
” তা জেনে আপনি কি করবেন?আর ওটা আমার জিনিস না ওটা অন্যকারো জিনিস।”
” তাহলে থাকো তুমি তোমার জিনিস নিয়ে।আমরা বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।” তাজ আর কোন কথা না বলে হাঁটা শুরু করে দেয়।
” আরে দাঁড়ান।” আস্থা দৌড়ে তাজের পেছন পেছন নিচে নেমে আসে।
” মা,বাবারাও কি নিচে?” সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে বলে আস্থা।
” আজ্ঞে হ্যাঁ মহারাণী।আপনাকে নিচে দেখতে না পেয়ে আঙ্কেল আসতে চেয়েছিলো।কিন্তু আমি এলাম,উনি আর কত হাঁটবেন।এবার তাড়াতাড়ি এসো।”
তাজের কথা শুনে আস্থা মনে মনে একটু খুশিই হয়।
পরেরদিন,
” নাইরু এই নাইরু।”
” কি হয়েছে আস্থু?এভাবে ডাকছিস কেন?”
” এই নে ধর।” অগ্নির দেওয়া কাগজটা নাইরার দিকে করে বলে আস্থা।
” কি এটা?”
” কাল বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলাম।একটা ভাইয়া বললো তোকে এটা দিতে।আমি প্রথমে মানা করেছিলাম কিন্তু অনেক রিকুয়েষ্ট করলো তাই নিয়ে আসলাম।”
” কোন ভাইয়া?” ভ্রু-কুচকে জিজ্ঞেস করে নাইরা।
” আরে কাল কথা একটা ছেলেকে দেখালেনা ক্যাম্পাসে,উনিই দিয়েছেন।চিন্তা করিস না আমি খুলে দেখিনি।পড়ে দেখ কি লিখা আছে।”
আস্থার কথার কাছে চলে যায়।আস্থার কথা শুনে নাইরা বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে আস্থা অগ্নির কথা বলছে।নাইরা তাড়াতাড়ি কাজটা খুলে পড়তে শুরু করে।
” আই এম সরি নাইরা।আমি তোমাকে এই কয়েকমাস অনেক ডির্স্টাব করেছি।আমি ভেবেছিলাম তুমি আমাকে বুঝবে কিন্তু তুমি বুঝলেনা।আমাকে ক্ষমা করে দিও।আমি আর কোনদিনও তোমার সামনে আসবোনা।তোমার সামনে দাঁড়ানোর সাহস আমার আর নেই।তোমার ফ্রেন্ডকে দেখলাম,তাই ততক্ষণাত লিখে ফেললাম।পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিও।”
লেখাগুলো পড়ে নাইরার মাথা গরম হয়ে যায়।সে তাড়াতাড়ি ক্লাস থেকে বের হয়ে,পাশের বিল্ডিং এ চলে যায় যেখানে অগ্নির ক্লাস আছে।নাইরাকে বেশি কষ্ট করতে হয়নি কারণ অগ্নি বাইরেই দাঁড়িয়ে ছিল।নাইরাকে দেখে অগ্নি চলে যেতে নিলে নাইরা তাকে থামিয়ে দেয়।
” এসব কি?”
” আমার যা বলার ছিল আমি কাগজে লিখে দিয়েছি তো।তাহলে কেন আবার এসেছো?”
অগ্নির কথা শুনে নাইরা কিছুক্ষণ চুপ করে থাকে।তারপর বলে,
” বিকেল বেলা রোজি পার্কে চলে আসবেন,আপনার সাথে আমার কথা আছে।ঠিক বিকেল চারটায়।”
কথা গুলো বলে নাইরা দ্রুত পায়ে স্থানটা ত্যাগ করে।এদিকে অগ্নি চিন্তা করছে নাইরা কি এমন কথা বলবে তাকে যা সে এখানে বলতে পারছেনা।#কি_করিলে_বলো_পাইবো_তোমারে
#পর্বঃ০৯
#লেখিকাঃঅনন্যা_অসমি
” হ্যালো মিস।আমি কি এখানে বসতে পারি?”
আস্থা মাথা তুলে দেখে একটা অপরিচিত ছেলে মুখে হাসি বজায় রেখে তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
” বসুন।”
ছেলেটা আস্থার সম্মতি পেয়ে তার পাশে বসে পড়ে।আস্থা নিজের মতো ফোন স্ক্রল করতে ব্যস্থ হয়ে পড়ে।আস্থা তার পরিবারের সাথে তাদের সেই ভাড়াটিয়ার মেয়ের বিয়েতে এসেছে।তার মা অন্য মহিলাদের সাথে কিছুটা দূরে কথা বলছে,অনিকও ওনার সাথে আছে আর আস্থার বাবা বাইরে আছে।
” তো মিস আপনার নামটা কি জানতে পারি?”
ছেলেটার হুট করে এমন প্রশ্নতে আস্থার ভ্রু-কুচকে উঠে।সে ফোনের দিকে তাকিয়েই বলে,
” আ….তুলি।” আস্থার কেন যেন ছেলেটাকে নিজের নাম বলতে ইচ্ছে করলোনা।
” তুলি,সুন্দর নাম তো।আমার নাম আবির।তুমি এখানে একা এসেছো বুঝি?”
” না।”
” ও আচ্ছা।তুমি কোন পক্ষ থেকে এসেছো?”
” কনে।”
” ও আচ্ছা।আমি বরপক্ষ থেকে এসেছি।সায়ন মানে বর আমার পরিচিত।”
” এ আবার কোন জ্বালা।কথা যেন থামছেই না।মিনিমাম কনমসেন্সটুকু নেই যে অপরিচিত মেয়ের সাথে এরকমভাবে কথা বলতে নেয়।অভদ্র লোক একটা।” মনে মনে বলে আস্থা।
” আচ্ছা তুমি কোন ক্লাসে পড়ো?”
” (কেউ আমাকে এই অভদ্র লোকটা থেকে বাঁচাও) আমি ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনা করছি।”
” কি বলো তুমি!আমি তো মনে করেছি তুমি এখনো কলেজে পড়ো।”
” আস্থা।”
পরিচিত কারো কন্ঠস্বর শুনে আস্থা তাড়াতাড়ি মোবাইল থেকে চোখ তুলে।সে এতোক্ষণ ফোনের দিকেই তাকিয়ে কথা বলছিলো।মাথা তুলে আস্থা দেখে তাজ দাঁড়িয়ে আছে।তাজকে দেখে আস্থা মনে মনে স্বস্তির নিশ্বাস নেয়।
” আস্থা তোমাকে আন্টি ডাকছেন,যাও।আর আবির তুই এখানে?”
” তাজ তুই এখানে কি করছিস?আর তুই ওকে চিনিস?”
” হুম খুব ভালো করেই চিনি।আস্থা চলো সবাই তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।”
তাজ আগে আগে চলে যায়,আস্থা তাড়াতাড়ি তাজের পেছন পেছন যেতে থাকে।
” তুমি ওকে চেনো নাকি?”
” কে?”
” ওই যে ছেলেটাকে মানে আবির কে?”
” না তো।”
” তাহলে এতো কথা বলছিলে কেন?”
” আমি কোথায় কথা বলছিলাম?উনি নিজে থেকে সেধে সেধে কথা বলছিলেন।”
” আচ্ছা যাও আন্টিদের সাথে বসে পড়ো।”
” আপনি বসবেন না?” মায়াভরা কন্ঠে তাজকে জিজ্ঞেস করে আস্থা।
” না আগে তোমরা খেয়ে উঠো তারপর বসবো।”
আস্থা আর কোন কথা না বলে তার মায়ের পাশে বসে পড়ে।তাজ সবার কি লাগবে না লাগবে তার দিকে খেয়াল রাখছে।এদিকে আস্থা খাচ্ছে কম তাজকে দেখছে বেশি।
” কি রে তুই না খেয়ে বসে আছিস যে?” জিজ্ঞেস করে আস্থার মা।
” কই খাচ্ছি তো।তুমি খাও,আমি খাচ্ছি।”
” তাজ বাবা শোন।”
তাজ তাড়াতাড়ি আস্থার মায়ের কাছে এসে দাঁড়ায়।
” জ্বি আন্টি বলুন,আপনার কি লাগবে।”
” আমার কিছু লাগবে না বাবা তুমি আমাকে একটু মাংসের বাটিটা এগিয়ে দেবো?”
” কাকে দেবেন আন্টি?আমাকে বলুন আমি দিয়েচ্ছি।”
” এইযে আমার মেয়েটাকে দেবো।”
” না না আমার কিছু লাগবেনা।আমার এসব মাংস-টাংস ভালোলাগেনা।আপনাকে কষ্ট করতে হবেনা।”
কিন্তু কে শুনে কার কথা।তাজ বাটি থেকে দু’পিস মাংস উঠিয়ে আস্থার প্লেটে দিয়ে দেয়।
” আপনাকে না বলেছিলাম আমার মাংস ভালো লাগেনা।” বিরক্ত নিয়ে বলে আস্থা।
” ভালো না লাগলেও খাও।না খেয়ে খেয়ে তো একদম শুকনো কাঠি হয়ে গিয়েছো।মনে হচ্ছে বাতাসে দু’দিন পর উড়ে যাবো।বেশি বেশি করে খেতে পারবোনা।”
” আরে বাবা তুমি কাকে খাওয়ার কথা বলছো,এই মেয়েকে!তুমি জানোনা যে এই মেয়ে খাওয়ার জন্য কত তোষামোদ করতে হয়।সারাদিন যদি আমি না ডাকি তাহলে না খেয়ে থাকবে,তাও নিজে থেকে কিছু খাবেনা।”
” তাই তো দেখতে পাচ্ছি আন্টি।দিন দিন শুকনা কাঠি হয়ে যাচ্ছে।”
” মা একটু চুপ থাকো তো।তুমি কি এখানে আমার নামে মানুষের কাছে নালিশ দিতে এসেছো?তাড়াতাড়ি খাও।”
বিরক্ত নিয়ে কথাগুলো মাকে বলে আস্থা এরপর তাজের দিকে তাকিয়ে হালকা মুখ বাঁকিয়ে নিজে খাওয়াতে মন দেয়।আস্থা কাজে তাজ হালকা হেসে অন্যদিকে দেখতে চলে যায়।
খাওয়া শেষ হলে আস্থা এক জায়গায় এসে দাঁড়ায়।তার মা কোন এক মহিলার সাথে দাঁড়িয়ে কথা বলছে।
” এক্সকিউজ মি।”
পাশ ফিরে আস্থা দেখে একটা অপরিচিত ছেলে দাঁড়িয়ে আছে।তবে ছেলেটাকে আস্থা কেন যেন চেনে না ঠেকছে।অনেক মনে করার পর আস্থার মনে পড়ে আরে এই ছেলেটাকেই তো সকালে কথা দেখিয়েছিলো।অগ্নিকে এখানে দেখে ভড়কে যায় আস্থা।
” জ্বি আপনি কি আমাকে বলছেন?”
” হ্যাঁ তোমাকেই বলছি।তুমি নাইরার ফ্রেন্ড না?”
” আপনি নাইরাকে চেনেন?”
” হুম চিনি,খুব ভালো করে চিনি।” দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বলে অগ্নি। ” আচ্ছা তুমি আমার একটা হেল্প করতে পারবে?প্লিজ না করোনা।”
” কি হেল্প?”
” এই কাগজটা তুমি প্লিজ নাইরাকে দিয়ে দিও।আর প্লিজ তুমি এটা খুলে দেখোনা।এটা শুধু মাত্র নাইরা নিজে দেখবে।প্লিজ বোন আমার এই হেল্পটা একটু করে দাও,প্লিজ।”
অগ্নির অনেক রিকুয়েষ্ট করার কারণে আস্থা আর না করতে পারেনি।সে অগ্নি থেকে কাজটা নিয়ে নিজের ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখে।অগ্নি আস্থা ধন্যবাদ দিয়ে তাড়াতাড়ি চলে যায়।
” তুমি সবসময় একা একা ঘুরো কেন?”
পেছন থেকে তাজের আওয়াজ শুনে আস্থা কেঁপে উঠে।
” আপনি কি কোনদিন সামনে থেকে আসতে পারেন না?”
” না পারিনা।ওই ছেলের তোমাকে কি দিয়েছে?”
” তা জেনে আপনি কি করবেন?আর ওটা আমার জিনিস না ওটা অন্যকারো জিনিস।”
” তাহলে থাকো তুমি তোমার জিনিস নিয়ে।আমরা বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।” তাজ আর কোন কথা না বলে হাঁটা শুরু করে দেয়।
” আরে দাঁড়ান।” আস্থা দৌড়ে তাজের পেছন পেছন নিচে নেমে আসে।
” মা,বাবারাও কি নিচে?” সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে বলে আস্থা।
” আজ্ঞে হ্যাঁ মহারাণী।আপনাকে নিচে দেখতে না পেয়ে আঙ্কেল আসতে চেয়েছিলো।কিন্তু আমি এলাম,উনি আর কত হাঁটবেন।এবার তাড়াতাড়ি এসো।”
তাজের কথা শুনে আস্থা মনে মনে একটু খুশিই হয়।
পরেরদিন,
” নাইরু এই নাইরু।”
” কি হয়েছে আস্থু?এভাবে ডাকছিস কেন?”
” এই নে ধর।” অগ্নির দেওয়া কাগজটা নাইরার দিকে করে বলে আস্থা।
” কি এটা?”
” কাল বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলাম।একটা ভাইয়া বললো তোকে এটা দিতে।আমি প্রথমে মানা করেছিলাম কিন্তু অনেক রিকুয়েষ্ট করলো তাই নিয়ে আসলাম।”
” কোন ভাইয়া?” ভ্রু-কুচকে জিজ্ঞেস করে নাইরা।
” আরে কাল কথা একটা ছেলেকে দেখালেনা ক্যাম্পাসে,উনিই দিয়েছেন।চিন্তা করিস না আমি খুলে দেখিনি।পড়ে দেখ কি লিখা আছে।”
আস্থার কথার কাছে চলে যায়।আস্থার কথা শুনে নাইরা বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে আস্থা অগ্নির কথা বলছে।নাইরা তাড়াতাড়ি কাজটা খুলে পড়তে শুরু করে।
” আই এম সরি নাইরা।আমি তোমাকে এই কয়েকমাস অনেক ডির্স্টাব করেছি।আমি ভেবেছিলাম তুমি আমাকে বুঝবে কিন্তু তুমি বুঝলেনা।আমাকে ক্ষমা করে দিও।আমি আর কোনদিনও তোমার সামনে আসবোনা।তোমার সামনে দাঁড়ানোর সাহস আমার আর নেই।তোমার ফ্রেন্ডকে দেখলাম,তাই ততক্ষণাত লিখে ফেললাম।পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিও।”
লেখাগুলো পড়ে নাইরার মাথা গরম হয়ে যায়।সে তাড়াতাড়ি ক্লাস থেকে বের হয়ে,পাশের বিল্ডিং এ চলে যায় যেখানে অগ্নির ক্লাস আছে।নাইরাকে বেশি কষ্ট করতে হয়নি কারণ অগ্নি বাইরেই দাঁড়িয়ে ছিল।নাইরাকে দেখে অগ্নি চলে যেতে নিলে নাইরা তাকে থামিয়ে দেয়।
” এসব কি?”
” আমার যা বলার ছিল আমি কাগজে লিখে দিয়েছি তো।তাহলে কেন আবার এসেছো?”
অগ্নির কথা শুনে নাইরা কিছুক্ষণ চুপ করে থাকে।তারপর বলে,
” বিকেল বেলা রোজি পার্কে চলে আসবেন,আপনার সাথে আমার কথা আছে।ঠিক বিকেল চারটায়।”
কথা গুলো বলে নাইরা দ্রুত পায়ে স্থানটা ত্যাগ করে।এদিকে অগ্নি চিন্তা করছে নাইরা কি এমন কথা বলবে তাকে যা সে এখানে বলতে পারছেনা।
চলবে……..
)
চলবে…..