কুঞ্জছায়া পর্ব ১২+১৩

#কুঞ্জছায়া
#কুঞ্জা_কাবেরী
#পর্ব১২
(কপি করা নিষেধ)
রাত ৮ টার দিকে অভিককে প্রাণ এয়ারপোর্ট থেকে রিসিভ করে সোজা অরন্যের বাসায় এসেছে।অরন্যকে কিছু পেপার দিতে আর জরুরি আলাপ করতে।কিন্তু অরন্য বাসায় ছিলো না।হসপিটালে ছিলো।বাসায় জেসমিন বেগম,অনন্যা,আকাশ আর কাজের মেয়ে রিমি ছিলো।জেসমিন বেগম অভিক আর প্রানকে নিজের ছেলের মতোই ভালোবাসেন।ছোট থেকেই তাদের এই বাসায় যাতায়াত। তাই ওরা আসার পর থেকেই জেসমিন বেগম নিজের কথার ঝুলি খুলে বসেছেন।সেই সাথে এটা সেটা খাইয়েই যাচ্ছে।এই দিকে জেসমিন বেগম নিজের ছেলের বিষয়েও টুকটাক তথ্য জেনে নিচ্ছে।আকাশও ওদের নিজের ভাইয়ের মতোই মনে করে।একসাথে বসে আড্ডা দিচ্ছে।

অনন্যা দূর থেকে প্রানকে পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছে।এসে একবারও তার কথা জানতে চাইনি।মেয়েটা মরে গেলো নাকি বেঁচে আছে একবারও জিজ্ঞেস করার প্রয়োজন মনে করেনি।সপ্তদশী কিশোরীর মনে অভিমানের ঘন কালো মেঘ জমেছে।সে আর দেখবে না এই প্রাণপুরুষকে, ফোনও দিবে না।যে বুঝে না তাকে একদমই বুঝাতে যাবে না।

লুকিয়ে লুকিয়ে তাদের দেখতে গিয়ে হঠাৎই মায়ের ডাক পড়ে।যাবে কি যাবে না ভাবতে ভাবতেই অভিকের নজরে পড়ে যায়।অভিক প্রফুল্ল আর বিস্ময়ের কন্ঠে বলে উঠে,

-এই আমাদের অনু?কিরে তুই এতো বড় হয়ে গেলি।পুচকিটা যে এতো বড় হয়ে গেলো চিনতেই পারছি না।কি খেয়ে এমন ভাইয়ের মতো খাম্বা হলি রে?

অনন্যা চমকে উঠলো এই যাহ তাকে দেখে ফেললো।এইবার যেতেই হবে।সে এইবার ধীর পায়ে এগিয়ে গিয়ে মায়ের পাশে বসলো সোফায়।

অনন্যা অভিকের কথা শুনে বেশ লজ্জা পেলো।
সে যে বড় হলো কই আরেকজনের চোখে তো পড়ছে না, মনে মনে বললো।

আকাশ অভিকের কথা শুনে উপহাস করে বললো যে,

-এই অনু তো আমার মতো গরীব অবলা ছেলের হক মেরে খেয়ে এতো বড় হলো।এরপরও দাম নেই-মুখটা একেবারেই কাঁদোকাঁদো করে ফেললো।

অনন্যা ফুসে উঠলো।তার এই প্রাণ ভাইয়ার সামনেই এটা বলতে হলো।সে চোখ গরম করে তাকালো আকাশের দিকে।
আকাশ তাকে দেখেই একটা শয়তানি হাসি দিলো।যেনো বিকেলের প্রতিশোধ নিলো।তার থেকে আজ ২০০০ টাকা খসিয়ে ছাড়লো।বজ্জাত মেয়ে।

অনন্যা সবার সামনে আর ঝগড়া লাগলো না।সে অভিকের পানে চেয়ে মিষ্টি হাসি উপহার দিয়ে বললো,

-মানুষ কি আর আজীবন ছোট থাকে ভাইয়া?সময়ের সাথে সাথে বড় হয়।আর মেয়েরা একটু তাড়াতাড়িই বড় হয়।

এই কথাটা যেনো প্রানের দিকে আড়চোখে তাকিয়েই বললো।

প্রান তখন অনন্যাকে উদ্দেশ্য করে বললো,

-তাই নাকি রে! তুই যে আমার কতো শার্ট ভিজিয়েছিস হিসু করে তার হিসাব নেই।তুই বড় হয়ে গেলি?সেই কয়দিন আগেই না পুতুল এনে দেওয়ার জন্য বায়না ধরলি আর কি সেই কান্না।ভাবা যায়!সেইবারের পরীক্ষা দিবি না বলে বলে অনশন করলি।আকাশের সাথে ডেইলি চকোলেট চিপস নিয়ে ঝগড়া হয়।একজন আরেকজনের মাথা ফাটাস।সে নাকি বড় হয়েছে এই কথাটা একটু টেনে ন্যাকা স্বরে বললো প্রান।মুহুর্তেই পুরো ড্রয়িংরুমে হাসির রোল পড়ে গেলো।আর আকাশতো মাটিকে গড়াগড়ি করে হাসা শুরু করে দিলো।

অনন্যাতো একবারে হা হয়ে বসে রইল।সব যেনো তার মাথার উপর দিয়ে গেলো।সবাই তার মজা উড়াচ্ছে।
সে প্রানের দিকে গরম দৃষ্টিতে তাকালো আর বললো,

– আগের দিন বাঘে খেয়েছে।

এইটা বলেই দৌঁড়ে চলে গেলো।

প্রায় দেড় ঘন্টা পর অরন্য আসে।গাড়ি পার্ক করে ক্লান্ত পায়ে বাসায় পা রাখতেই অভিক আর প্রান তাকে ঝাপটে জড়িয়ে ধরে।

অরন্য অবাক হয়ে বললো,

– অভিক তোর তো আরও কয়েকদিন পরে আসার কথা ছিলো।হুয়াট আ প্লিজেন্ট সারপ্রাইজ।

অভিক অরন্যের পিঠে চাপর মেরে বললো,

-একা একা ভালো লাগছিলো না তাই সব ফর্মালিটিস পূরণ করে চলে এলাম।

প্রান প্রফুল্লচিত্তে বললো,

-এইবার শালার সানাই বাজাইয়া ছাড়ুম।কি কস অভিক?

অভিক তাল মিলিয়ে বললো,

-হ মামু।

অরন্য বিরক্ত হলো তাদের কথা শুনে।সে তাদের বসতে বলে ফ্রেশ হতে গেলো।একসাথে বসে ডিনার করবে।

আজমির চৌধুরী বাসায় এসে প্রান আর অভিককে দেখে বেশ খুশি হলেন।যাক আজ আড্ডা বেশ জমবে।
তারা সবাই একসাথে বসে হৈচৈ করে হাসি,গল্প গুজবের মধ্যেই ডিনার শেষ করলো।

অরন্য,প্রান আর অভিক ছাদে গিয়ে বসলো।

-অবস্থার উন্নতি হয়েছে কিছু?প্রানকে উদ্দেশ্য করে অরন্য বললো চিন্তিত স্বরে।

প্রান গাম্ভীর্য আনলো চোখে মুখে,

-হ্যা আগের থেকে এখন অনেক ভালো।তবে মেডিসিন গুলা নিয়মিত নিতে হবে।আর কিছু মেডিটেশনেরও প্রয়োজন তার।

অভিক এইবার অরন্যের দিকে চেয়ে প্রাণের প্রতি বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়েই বললো,

-প্রান যেহেতু বিষয়টা হ্যান্ডেল করছে তবে শিউর থাক তুই অরন্য।সব ঠিক হয়ে যাবে।

অরন্য এইবার হতাশচিত্তে প্রানকে বললো,

-তুই যেই ডিসিশনটা নিয়েছিস তার উপর কোন বিরূপ প্রভাব পড়বে না তো?

প্রান আত্মবিশ্বাস নিয়ে বললো,

-তুই নিশ্চিত থাক।আর তুই তোর দিক থেকে চেষ্টা করে যা।
রাতের আড্ডা শেষে যে যার বাড়ি চলে গেলো।অরন্য তাদের এগিয়ে দিয়ে আসলো।
তারপর সে নিজের রুমে এসে শুয়ে পড়লো।

মানুষ বড্ড একা।রাতের মতোই নিশ্চুপ।তার একাকিত্বের সঙ্গী হলো নিকোটিন আর মদ। মদের নেশা সে ফাইনাল ইয়ারে থাকতে ধরেছিল।লন্ডনে গিয়ে ডেইলিই করতো।কিন্তু দেশে ফিরার পর আর মদের নেশা তাকে আকৃষ্ট করেনি।এর থেকেও বড় নেশায় আসক্ত সে।মদের নেশা থেকেও বড় নেশা কোন নির্দিষ্ট মানুষের মায়ায় আসক্ত হয়ে যাওয়া।মদের নেশা কাটানো গেলেও এই নেশা কাটানো যায় না।এযে মরণ নেশা।

#চলবে #কুঞ্জছায়া
#কুঞ্জা_কাবেরী
#পর্ব১৩
(কপি করা নিষেধ)

পদ্ম সরোবরে স্নিগ্ধ মুখশ্রীর এক সুদর্শন যুবক একগুচ্ছ পদ্ম হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।কি যে মায়া সেই মুখশ্রীতে।সরোবরের পাশেই বাধা ছোট্ট এক তরী আর পাশেই কিনারা ঘেষে স্বচ্ছ সাদা কাশফুলের সমারোহ।অম্বরে সাদা মেঘের ভেলা ভাসছে।প্রভাকরের নরম আভা মুখে উপচে পড়ছে।মুখে এক টুকরা হাসি নিয়ে হাতে রাখা পদ্মগুচ্ছ নিয়ে ভালোবাসা মিশ্রিত মায়াময় কন্ঠে ডাকছে,’

-“কোমল”
এই কোমল!’

ঠোঁটের হাসি টুকু যেন বিস্তৃত হচ্ছে।
-কোমল!

ছায়া ঘুম থেকে অরূপদা বলে চিৎকার দিয়ে উঠলো।
হাত পায়ে কম্পন,ঘর্মাক্ত মুখশ্রী,ভয়ার্ত দৃষ্টি,শরীরে মৃদু কম্পন।
আশেপাশে তাকালো।কাউকে খুঁজলো।উত্তেজিত মনোভাব,থমথমে মুখ।চোখ উপচে পানি পড়ছে।
বিছানা থেকে নামলো।শক্তি জুগিয়ে ড্রয়ারের কাছে গেলো।চাবি খুজলো।লক খুলে বের করলো এক অতি পুরানো চিঠি।চিঠির ভাজ খুললো।বুকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাদতে লাগলো,

-অরূপদা আমাকে ক্ষমা করো।আমি যে আর সইতে পারছি না।এই অপরাধবোধ আর কতোদিন বইতে হবে। আত্মগ্লানিতে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছি যে।

তখন সে দেখলো কেউ আসলো নরম পায়ে হেঁটে। সেই যুবকটি।তার মুখে মৃদু হাসি লেগে আছে। আবারো ডাকলো,

– কোমল!

ছায়া যেন এক ঘোরের মধ্যে আছে।

-ভুলে যাস কেনো মেয়ে ভালো থাকা হলো সুনিপুণ দক্ষতা।এই ধরণীর বুকে কয়জনই বা ভালো থাকতে পারে আর ভালো রাখা হলো একপ্রকার যোগ্যতা।আমরা সবাই ভালো থাকতে চাই।কিন্তু আমরা ভালো রাখতে জানি না।ভালোবাসার মানুষকে যে ভালো রাখতে হয়।কিন্তু দেখ সেই দিক থেকে আমি তুই দুইজনই ব্যর্থ আমি তোকে ভালো রাখতে পারলাম না।আর তুইও কিন্তু তাকে ভালো রাখতে পারলি না।

হঠাৎই যেনো যুবকটি হাওয়ায় মিলিয়ে গেলো।
ছায়া খুজঁলো তাকে।বার কয়েক ডাকলো

_অরূপদা তুমি কোথায়।ফিরে এসো।এই দেখো আমি ভালো মেয়ে থাকবো।খুব ভালো থাকবো আর সবাইকে ভালো রাখবো।

তার ডাক গুলো যেনো দেয়ালে প্রতিধ্বনিত হয়ে আবার তার কাছেই ফিরে আসলো।

নীলা দূর থেকেই ছায়াকে পর্যবেক্ষণ করলো।এরপর ধীরপায়ে এগিয়ে এলো। ছায়ার মাথায় হাত রাখলো।
ছায়া নীলাকে অস্পষ্ট স্বরে বললো,

-অরূপদা!

নীলা ছায়াকে আদুরে স্বরে বললো,

-কেউ নেই ছায়া।তোর আবার বহুদিন পর হ্যালোসিনেশন হচ্ছে।দুঃস্বপ্ন দেখছিলিস। তোর একবার ডাক্তারের সাথে কনসাল্ট করা উচিত।
ছায়া তখনও নীলার বুকে মাথা রেখে ফুপিয়ে যাচ্ছে।

নীলা একটা স্লিপিং পিল ছায়ার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো,

-খেয়ে নে ছায়ু।দেখবি ঘুম চলে আসবে।

ছায়া বাধ্য মেয়ের মতো খেয়ে নিলো।মেয়েটার উপর তার অগাধ বিশ্বাস।এরপর ছায়া নীলার কোলে মাথা রাখলো।নীলা ছায়ার মাথায় আদুরে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।ধীরে ধীরে ঘুমের রাজ্যে প্রবেশ করছে যেনো ছায়া।
ছায়া ঘুমিয়ে গেলেই নীলা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে।
আর কতোদিন মেয়েটাকে যন্ত্রনা সহ্য করতে হবে কে জানে।
…….
ক্লাসরুমে তৃতীয় বেঞ্চে ছায়া,মেঘা আর নীলা বসে আছে।ছায়ার মুখটা আজ বেশ বিষন্ন।কিন্তু আজ মেঘার খুব খুশির দিন।কিন্তু ছায়ার মুখ ভার দেখে সেই খুশিটা আর প্রকাশ করতে পারছে না।

ছায়াকে প্রশ্ন করলো মেঘা,

-এই ছায়া আর কতোক্ষণ এমন নীরব হয়ে থাকবি।তোর চুপ থাকা দেখে আমার নিজেরই মুখ চুলকাচ্ছে।

নীলাও মাথা দুলিয়ে মেঘার সাথে সহমত প্রকাশ করলো।

-হ্যাঁ।একদম ঠিক বলেছিস মেঘা।এই ছায়া তোর পেট ব্যাথা করে না?এতো কথা যে পেটে জমিয়ে রাখিস?

ছায়া আজ তাদের কথার কোন প্রতুত্তর করলো না।এমনটাই হয়।আজ প্রথম ক্লাসটাই ডক্টর অরন্যের।আজকাল তার দিন বেশ ব্যস্ত কাটছে।সে তাড়াহুড়া করে রুমে আসলো।
সবাই সালাম দিলো।সেও সালামের উত্তর দিলো।

-আপনাদের সবার জন্য একটা জরুরি নোটিশ আছে।আপনাদের তৃতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পাবলিশ করা হয়েছে।ক্লাস শেষে নিয়ে যাবেন।

মুহুর্তেই ক্লাসজুড়ে গুনগুন শুরু হলো।

-এই মেঘা এইবার তোর প্রিপারেশন কেমন রে?

নীলা জানতে চাইলো হতাশ হয়ে।তার প্রিপারেশন এইবার বেশ খারাপ।অবশ্য প্রতিবারই খারাপ থাকে।ছায়াটা সাথে আছে তাই একটু নিশিন্ত থাকে।

মেঘা হাই তুলে জবাব দিলো,

-মোর প্রাণনাথ বাংলাদেশে আইসা গেছে।পরীক্ষার কথা না জিগাইয়া বিয়ার কথা জিগাবি।বুঝছস?

নীলা যেন ফুস করে নিঃশ্বাস ফেললো।হাহ আর কতোকাল জানি তার সিংগেল থাকা লাগে।

এইদিকে ছায়া আজ কোন শব্দ করছে না।কোন প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে না পরীক্ষার কথা শুনে।
অরন্য তার দিকে সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে তাকিয়েছিলো অনেকক্ষন।কিন্তু ছায়ার আচরণ তাকে বারবারই হতাশ করছে।

-কিপ সাইলেন্ট স্টুডেন্টস।আপনাদের পরীক্ষার আর মাত্র কিছুদিন বাকি।গিভ ইউর বেস্ট।
ক্লাস করানোর ফাঁকে ফাঁকে অরন্য ছায়াকে লক্ষ্য করলো।ছায়া বরাবরের মতো নির্বিকার।

অহনা ক্লাস করছে নাকি অরন্যকে দেখছে বুঝা দায়।চোখের পলক ফেলছে না।তার ভালোবাসা প্রকাশ করার সময় আসছে।এক্সামটা শেষ হলেই তার মনের কথা জানিয়ে দেবে।তবে আগে বাবাকে বিষয়টা জানানো দরকার।বাবা তার সব আবদার পূরণ করে।এইবারও নিশ্চয় হতাশ করবে না এইসব ভাবতেই ঠোঁটে হাসির রেখা ফুটে উঠলো।
….
কেবিনে ১৫ মিনিট ধরে ছায়া বসে আছে।অরন্য তার সামনে চেয়ারে বসে চেয়ার দোলাচ্ছে।না ছায়াকে যেতে দিচ্ছে আর না কোন কিছু করতে বলছে।যেন কিছু গভীরভাবে পরোখ করছে।
ছায়ার চোখের নিচে কালো দাগ,মুখটা শুকিয়ে গিয়েছে।চোখের মুখে শোকের প্রগাঢ়তা।
অরন্য নিঃশব্দে দীর্ঘশ্বাস ফেললো।মেয়েটা কাউকেই কিছু বলে না।এইরকম চলতে থাকলে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়বে।
অরন্য হালকা কাশি দিয়ে ছায়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করলো।
এইবার ছায়া মুখ তুলে তাকালো।

-দেখুন মিস আপনি এখন অ্যাডাল্ট,ম্যাচিউর।বুঝার বয়স হয়েছে।আপনাকে এইরকম বিষন্নতা মানায় না।আপনার ফিউচার পেশা ডাক্তারি। আপনি কি জানেন একটা ডক্টরের হাসি দেখে রোগিরা কনফিডেন্স পায়।তাদের উপর কতটা ইফেক্ট করে।আপনাকে নিজের মনের উপর কাবু করতে হবে।ঘুরতে যান বান্ধবীদের সাথে।নিজেকে একটু সময় দিন।সামনে পরীক্ষা।নিজেকে প্রস্তুত করুন।

কিচ্ছুক্ষণ থেমে সে আবারো বললো,

-সুখ,দুঃখ, হতাশা এইগুলা জীবনের একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ।কারো জীবনে নিরবিচ্ছিন্ন সুখ থাকে না।আবার কারো জীবনে কেবল দঃখ থাকে না।দুঃখ আছে বলেই আমরা সুখের মূল্য বুঝি।দঃখকে জীবনের সাথে করেই চলতে হবে।তবে দুঃখকে এতো প্রায়োরিটি না দিয়ে ওভারকাম করতে শিখুন।
ছায়া বেশ মনোযোগ দিয়ে শুনলো কথা গুলা।তার মনে অরন্যের জন্য সম্মান দিন দিন বাড়ছে।কিন্তু পূর্বের কিচ্ছু আচরণ তাকে ভাবাচ্ছে।
সে অরন্যের সাথে সম্মতি প্রকাশ করে প্রস্থান করে।
ছায়ার যাওয়ার পানে অরন্য নিনির্মেষ তাকিয়ে রইল।

#চলবে
(

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here