চিত্তদাহ লেখনীতে : শুভ্রতা আনজুম শিখা পর্ব ১২

#চিত্তদাহ
লেখনীতে : শুভ্রতা আনজুম শিখা
পর্ব ১২

🍂🍂🍂

~ব্রেকিং নিউজ! ব্রেকিং নিউজ! ব্রেকিং নিউজ!
বলতে বলতেই নুরদের টেবিলের কাছে এগিয়ে এলো শুভ্রতা। রিদিতা উদ্বিগ্ন হয়ে বললো,
কি ব্রেকিং নিউজ?
~বলবো। তবে…
উপমা তৎক্ষণাৎ প্রশ্ন করলো,
তবে কি?
~নিউজটা দিলে কি খাওয়াবি? (শুভ্রতা)
~রাজু ভাইয়া! এক বোতল ঠান্ডা পানি প্লীজ।
তিলোত্তমার কথায় গালে হাত ঠেকিয়ে বললো,
হ্যা খাওয়ানোর নাম করেছি এখন একেকজনের পিপাসা লেগেছে।
রাজু পানি দিয়ে যেতেই বোতলটা শুভ্রতার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো,
তুই ই তো বললি কিছু খাওয়াতে। নে পানি খা আর ফটাফট খবর দে।
~পানি খায় নাকি পান করে? (শুভ্রতা)
~আহহা! বল না তুই। খাওয়াবো নাকি না পরে দেখা যাবে।
নুর বার্গার খেতে খেতে বললো। শুভ্রতা বাঁকা হেসে নুরের কাধে হাত রেখে বললো,
আজকাল ঝাড়বাতি নাকি প্রেম করে বেড়াচ্ছে?
ব্যাস নুরের খাওয়া বন্ধ। চেয়ে দেখলো বন্ধুমহলের সকলেই হা করে চেয়ে আছে ওদের দিকে। নুর কোনোমতে মুখে থাকা খাবারটা গিললো। শুভ্রতার উদ্দেশ্যে আনা পানি নিজেই ঢকঢক করে পান করে নিলো। লম্বা শ্বাস নিয়ে বললো,
আমার কথা বলছিস?
শুভ্রতা ফিচেল হেসে জবাব দিলো,
ঝাড়বাতি বলতে আরো কেউ আছে নাকি?
নুর শুকনো ঢোক গিললো। এই মেয়েটা এতো খবর পায় কি করে বুঝে না সে। কোনো কাজ গোপনে করা মানেই দুঃসাধ্য কাজ।
~কিরে সত্যি নাকি রে ঝাড়বাতি? (রিদিতা)
~শালা ট্রিট এর ভয়ে বলিস নাই, তাই না?
উপমার কথায় চোখ ছোট ছোট করে তাকালো নুর। বললো,
তোর মতো কিপটা মনে হয় আমারে? যা দিয়ে দিবো ট্রিট।
~তার মানে তুই প্রেম করিস?
তিলোত্তমার কথায় জিভ কাটলো নুর। মাথা নেড়ে হ্যাঁ বুঝাতেই শুভ্রতা সশব্দে হেসে উঠলো।
~কার সাথে? (রূপা)
~নির্ঘাত অরণ্য ভাই।
তিলোত্তমার কথায় শুভ্রতা তালি দিয়ে বললো,
ছাহি জওয়াব… তালিইইই!!!
~আমার ক্রাশটা এমনে দুলাভাই হয়ে গেলো!!! (রিদিতা)
পাশ থেকে উপমা বেসুরা গলায় গেয়ে উঠলো,

~সম্পর্ক বদলে গেলো একটি পলকেএএএ…

~ইশ কি বাজে কণ্ঠ! চুপ কর!
রূপার কথা হেসে উঠলো একত্রে সবাই। তিলোত্তমা বললো,
কিন্তু তুই এই খবর পেলি কোথা থেকে?
~হেহ! কি মনে করো তোমরা শুভ্রতাকে? আই হেভ অনেকগুলা গুপ্তচর।
নুর ব্যঙ্গ করে বললো,
ইহ! অনেকগুলা গুপ্তচর। সত্যি সত্যি বল, এই খবর তোকে কে দিয়েছে?
শুভ্রতা চেয়ারে আয়েশ করে বসে বিস্তর এক হাসি দিয়ে বললো,
আন্টি মানে তোর আম্মু।
নুরকে অবাক হয়ে চেয়ে থাকতে দেখে শুভ্রতা বলতে শুরু করলো,
গতকাল রাতে ফোন দিয়ে বললো তার মেয়ে নাকি ইদানিং অন্যমনস্ক থাকে। মনে হয় লুকিয়ে কারো সাথে কথা বলে।
~তারপর? (রিদিতা)
~তারপর আর কি? দুজনে গবেষণা করে আবিষ্কার করলাম নুর প্রেম করে। তাও অরণ্য ভাইয়ার সাথে।
নুর করুন চোখে শুভ্রতার কথা শুনলো। ক্ষিপ্ত কণ্ঠে বললো,
শেষ পর্যন্ত আমার মাও তোর দলে চলে গেছে। এক সাথে বসে গবেষণাও করিস!
শুভ্রতা মাথা নেড়ে “হ্যাঁ” বলতেই নুর চিল্লিয়ে বললো,
বান্দরের নানি তুই এদিকে কি করস? হালায় আমার নিজের মায়ের সাথে হাত মিলিয়ে গোয়েন্দাগিরি করে… তোর তো রাজনীতিতে যোগ দেওয়া উচিত। কেমনে কেমনে মিলাইছস আমি যে অরণ্যের সাথে প্রেম করি। এতো কূটনৈতিক বুদ্ধি কই থেকে পাইছস তুই?
~গড গিফটেড ট্যালেন্ট দোস্ত… তুই বুঝবি না।
____________________________________

~কি করছে আমার বউটা? (অরণ্য)
~আপনার শালীদের সাথে আড্ডা দিচ্ছে।
শুভ্রতার জবাবে অরণ্য বেশ ভড়কে গেলো। কল রিসিভ হওয়ার পর অন্তত ওপর প্রান্তের মানুষের গলার স্বর শুনা উচিত ছিল। এবার বুঝ ঠেলা। বললো,
শু..শুভ্রতা! তুমি? কেমন আছো? নুরের বাসায় গিয়েছো বুঝি?
~না। নুররা আমার বাসায় এসেছে। (শুভ্রতা)
~নুররা বলতে? (অরণ্য)
~আমরাআআআ
বন্ধুমহলের সকলে একসাথে চিল্লিয়ে বলতেই অরণ্য কান থেকে ফোন সরিয়ে নিলো। বিড়বিড় করে বললো,
ভাগ্য করে এক ঝাঁক শালী পেয়েছি। কানে তালা লাগিয়ে দিলো।
এরপর জোরপূর্বক হেসে শুভ্রতাদের উদ্দেশ্যে বললো,
আচ্ছা শালিকারা! আপনারা আড্ডা দিন। আর আমার হবু বউয়ের খেয়াল রাখবেন।
_____________________________________

নুর শুভ্রতার হাত থেকে ফোন কেরে নিয়ে বললো,
তোরা এমন ফাজিল কেনো? অযথা ওনাকে লজ্জা দিলি।
~ওওওও (শুভ্রতা)
~নাআআআ (তিলোত্তমা)
~কেএএএ (রিদিতা)
এক সাথেই হেসে উঠলো সকলে। হাসাহাসির মাঝেই ট্রে হাতে ঘরে প্রবেশ করলো একজন নারী। গায়ে সুতির শাড়ি জড়ানো। বয়স আনুমানিক ঊনত্রিশ বা ত্রিশ হবে। ঠোঁটে তার বিস্তর হাসি। শুভ্রতা এগিয়ে গিয়ে তার হাত থেকে ট্রে টা নিতে নিতে বললো,
এতো কিছু নিয়ে একা উপরে আসার কি প্রয়োজন ছিলো রেনু আপা। আমাকে ডাকলেও তো পারতে।
রেনু স্বভাবসুলভ ভাবেই মন কাড়া এক হাসি দিয়ে বললো,
ইটস ওকে আপামনি। আপনারে দুক্কু দিতে আমার ভালো লাগে না।
~কি যে বলো না তুমি। সাহায্য করতে আবার দুঃখ কিসের?
শুভ্রতা প্লেট টা বিছানার মাঝ বরাবর রেখে নুরের পাশে গিয়ে বসলো। রেনু যেতে নিতেই নুর ডেকে বললো,
কিছুক্ষণ আমাদের সাথে বসো রেনু আপা। আসলেই দেখি তুমি আমাদের দেখে লুকিয়ে পড়।
~তুমি দেখি ভালোই ইংলিশ বলতে শিখেছো রেনু আপা। কার থেকে শিখলে? (রিদিতা)
রেনু বেশ উৎফুল্ল হয়ে তাকালো শুভ্রতার দিকে। এক ফালি হেসে দৌড়ে গিয়ে খাটের পাশে বসলো।
বললো,
শুভ্রতা আপামনি শিখাইছে। রোজ সন্ধার পর আমারে পড়তে বসায়। অনেকগুলা ইংলিশ, অংক আর বাংলা পড়তে শিখাইছে।
বন্ধুরা সকলে হাসি মুখে শুভ্রতার দিকে তাকালো। রেনুর কথা শুনে শুভ্রতাও বেশ খুশি মুখে চেয়ে আছে। উপমা জিজ্ঞেস করলো,
আচ্ছা, আর কি কি শিখিয়েছে শুভি?
রেনু তৎক্ষণাৎ জবাব দিলো,
লেখা শিখাইছে। আপনারা দেখবেন?
~কেনো নয়? (রিদিতা)
রিদিতার উত্তরে বেশ খুশি মনে উঠে দাড়ালো রেনু। এক দৌড়ে ঘরের বাহিরে চলে গেলো। কিছু মুহূর্ত পরই একটা খাতা এনে নুরদের দেখালো। কাচা হাতের লেখা হলেও বেশ সুন্দর লাগলো নুরের কাছে। তিলোত্তমা বললো,
খুব সুন্দর হয়েছে রেনু আপা। মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। আপনার শিক্ষিকা কিন্তু খুবই স্ট্রিক্ট।
~আচ্ছা আপামনি। আমি নিচে যাই। রাতের রান্নাও করা লাগবো। আমি যাইয়া খালাম্মা রে সাহায্য করি।
~আচ্ছা যাও। (শুভ্রতা)
রেনু যেতেই শুভ্রতারা বারান্দায় গিয়ে বসলো। আকাশে আজ মেঘের ভেলা। নীল সাদা আকাশটা বেশ আকর্ষণীয় লাগলো নুরের। কিন্তু রূপার কথায় বেশ বিরক্তি নিয়ে তাকালো। ভালো লাগাটা যেনো আকাশে মিলিয়ে গেলো।
~রেনু তো কাজের মানুষ। এতো আহ্লাদ করিস কেনো বুঝি না। আমি তো ভুলেও আমার বাড়ির কাজের লোকেদের সাথে কথা বলি না।
তিলোত্তমা চায়ের কাপে এক চুমুক দিয়ে মুচকি হেসে তৎক্ষণাৎ জবাব দিলো,
এই জন্যই হয়তো তোর বাড়ির কাজের মানুষ মাসে মাসে চেঞ্জ হয়।
রূপার তীক্ষ্ণ চাহনী উপেক্ষা করে শুভ্রতা বললো,
ইটস রেনু আপা, নট রেনু। সম্মান দিয়ে কথা বলবি। কাজের লোক হলেও সকলেই সম্মান ডিজার্ভ করে। পড়া লেখা করিস, এই জ্ঞানটা অন্তত থাকার কথা। আর হ্যা! রেনু আপাকে আমি কাজের লোকের নজরে কখনোই দেখি না। বড় বোনের নজরে দেখি। আশা করছি আমার বন্ধুমহলের কেউ আমার পরিবারের মানুষকে অসম্মানের দৃষ্টিতে কখনোই দেখবে না।
রূপা ক্ষিপ্ত হয়ে কিছু বলতে নিলেই রিদিতা ধমকে উঠে বললো,
বেশির ভাগ সময় চুপ থাকিস কিন্তু যখন মুখ খুলিস আজেবাজেই বকিস। আই সাজেস্ট ভালো কিছু বলতে না পারলে তোর উচিত চুপ করে থাকা।
রূপা ফুঁসে উঠলেও বন্ধুমহলের কেউ তাতে পাত্তা দিলো না। পরিবেশ বেশ গম্ভীর দেখে নুর কথা ঘুরিয়ে বললো,
শুভি? শিউলি গাছে ফুল কখন ধরে রে?
~সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের মধ্যে। অগাস্ট মাসেও হয়।
নুর বারান্দার বাহিরে দৃষ্টি ফেললো। নজর স্থির করলো উঠানে থাকা বড় বকুল গাছে।
~আর বকুল গাছে?
নুরের মতো শুভ্রতাও গাছটির দিকে তাকালো। শুভ্রতার আগে তিলোত্তমা জবাব দিল,
মে – জুনে।
~আচ্ছা! বাড়ির ওপাশে কৃষ্ণচূড়া গাছ না লাগিয়ে এখানে লাগালেও তো পারতি। কি সুন্দর লাল হয়ে আছে দেখ। বকুল ফুল গাছটাই এখানে লাগালি কেনো? এটা কি তোর খুব প্রিয়?
রিদিতার প্রশ্নের উত্তরে মাথা দুলালো শুভ্রতা। নুর এর কারণ জানতে চাইলে শুভ্রতা জবাব দিলো,
অনেক সময় আমাদের প্রিয় মানুষরা আমাদের আকাশ সম কষ্ট দিলেও দেখা যায় আমাদের মন থেকে তার জন্য বিন্দু মাত্র ভালোবাসা কমে না, আগের মতই রয়ে যায়। তেমনি বকুল ফুল শুকিয়ে গেলেও সুবাসটা ঠিক আগের মতই রয়ে যায়, নষ্ট হয় না।
নুর মনোযোগ দিয়ে শুনলো। অবাক হয়ে বললো,
তোর চিন্তাটা সব সময় এত গভীর হয় কেনো?

শুভ্রতা মগে চুমুক দিতে নিয়েই নুরের কথা শুনে হাসলো। ঠাট্টার সুরে জবাব দিলো,
কারণ তোর চিন্তা এতো গভীর না।
~বাচ্চা রা! তোদের একটা কথা বলার ছিল।
কাচুমাচু করতে করতে বললো উপমা। নুর ভ্রু নাচিয়ে বললো,
কি কথা?
~আসলে… হয়েছে কি…
~বেশি কথা ঘুরালে লাথি মেরে সোজা ব্যালকনি থেকে নিচে ফেলে দিবো বলে দিচ্ছি। (শুভ্রতা)
~ইশ! বলছি তো! (উপমা)
~কিসের অপেক্ষা করছিস তুই? বল! (তিলোত্তমা)
~ওই… আর কি! (উপমা)
~শুভি! লাথি কি তুই মারবি নাকি আমি মারবো? একটা কথা কইতে যাইয়া কেমন মোচড়ামুচড়ি শুরু কইরা দিছে দেখ। (রিদিতা)
~না, না! বলছি, বলছি। (উপমা)
~তো বলে ফেল। অপেক্ষা কিসের করছিস? লাথি খাওয়ার?
নুরের কথায় বাকা চোঁখে তাকালো উপমা। লম্বা এক শ্বাস নিয়ে বললো,
বাবা আমার বিয়ে ঠিক করছে। শুক্রবারে পাত্র পক্ষ দেখতে এসেছিল।
~এই টুকু একটা কথা বলার জন্য এত মোচড়ামুচড়ির কি ছিল ঐটা বুঝা আমারে। (রিদিতা)
~আজব তো! আমি লজ্জা পাচ্ছিলাম। (উপমা)
হুঁ হা করে হেসে উঠলো রিদিতা সহ সকলে। উপমা যেনো এই মুহূর্তে হাস্যকর কোনো কথা বলেছে। রূপা হাসতে হাসতে শুয়ে পড়লো। ওভাবেই হাসতে হাসতে বললো,
সিরিয়াসলি! লজ্জা আর তুই? হোয়াট আ জোক!
~হাসছিস কেনো তোরা? আশ্চর্য! (উপমা)
~কারণ আমাদের দেখা মেয়েদের মধ্যে সব চেয়ে কম লাজবতী হলি তুই।
নুরের জবাবে হা করে চেয়ে রইল উপমা। বান্ধবীদের সামনে এই জন্যই সিরিয়াস ব্যাপারে কথা বলা উচিত না। যতই সিরিয়াস মুহূর্ত হোক না কেন, এরা হাসাহাসির জন্য একটা না একটা কারন খুজে বের করবেই। এই প্রাণীদের সামনে কেউ উষ্টা খেয়ে পড়ে গেলে বলবে “দাড়া ভাই আগে হেসে নেই তারপর উঠতে সাহায্য করছি”। ওদের হাসি কিছুটা কমে আসতেই তিলোত্তমা বললো,
তা তোর হবু বর দেখতে কেমন?
~আমি দেখিনি। (উপমা)
~সে কি! কেনো? একা কথা বলতে দেয় নি তোদের?(নুর)
~দিয়েছে কিন্তু আমি তার জুতা থেকেই নজর সরাতে পারিনি তাই…(উপমা)
~বরের থেকে জুতা বেশি সুন্দর লেগেছে নাকি রে? সত্যি করে বল তো! তোর জুতা চুরির বিজনেস শুরু করার ইচ্ছা জেগেছে নাকি?
শুভ্রতার কথায় আরেকদফা হাসাহাসি শুরু হলো। হাসতে হাসতে একেকজনের দম আটকে আসার অবস্থা তাও যেনো ওদের হাসি থামছেই না। উপমা গাল ফুলিয়ে বললো,
আমার খুব লজ্জা লাগছিল তাই তাকাতে পারিনি। আপা বলেছে বিকেল ৪ টায় আমাকে তার ছবি পাঠাবে।
শুভ্রতা হাসি থামিয়ে ফোনে ঘড়ি দেখে বললো,
চার টায়? এখন চারটা দশ বাজে। দেখ ছবি পাঠিয়েছে কিনা।
উপমা ঘরে গিয়ে ব্যাগ থেকে ফোন নিয়ে আসলো। নুর ওরা ছো মেরে ওর হাত থেকে ফোন নিয়ে নিজেরাই হোয়াটসঅ্যাপ এ ঢুকলো। ছয় বান্ধবী গোল হয়ে বসে ফোনটা মাঝে রাখলো। কয়েক সেকেন্ড এর ব্যবধানেই নজরে এলো এক সুদর্শন যুবকের ছবি। রিদিতা ঠাট্টার সুরে বলল,
লোকটা তো জোস দেখতে রে! তোর এর সাথে বিয়ে না হলে আমাকে বলিস। আমি বেটাকে তুলে নিয়ে বিয়ে করে তোদের শীঘ্রই খালা ডাক শুনাবো।
~লুচ্চির দল! দে আমার ফোন দে! আমি এখনি বাবাকে কল দিয়ে বলছি “এই বিয়েতে আমি রাজি”।
~ইশ! রিদি! তোর আর বিয়ে করা হলো না। তোর আগে উপ ই হাতিয়ে নিলো। তুই বরং শ্রেয়ান ভাইয়ের উপর ট্রাই মেরে দেখিস। ওই বেটা এমনিও তোর হাতে ডান্ডার বারি খেয়ে তোর প্রেমে ঠান্ডা হয়ে বসে আছে।
~~~
চলবে~

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here