চিত্তদাহ #লেখিকা : শুভ্রতা আনজুম শিখা পর্ব ২

#চিত্তদাহ
#লেখিকা : শুভ্রতা আনজুম শিখা

পর্ব ২

🍂🍂🍂

হাসপাতালে সকলেই ব্যস্ত পায়ে এদিক ওদিক ছোটাছুটি করছে, দুর থেকে কারো কান্নার আওয়াজ ভেসে আসছে, আবার কোথা হতে হাসির আওয়াজ, এখানেই কারো জন্ম তো এখানেই কারো মৃত্যু। কি অদ্ভুত এক জায়গা! চারদিকে ওষুধের ভাপসা গন্ধটা নাকে আসতেই চোখ মুখ কুচকে নিলো নুর। সামনেই চেয়ারে ভাবলেশহীনভাবে গা এলিয়ে দিয়ে দেয়ালে মাথা ঠেকিয়ে চোখ বন্ধ করে বসে আছে শুভ্রতা। রক্ত দেওয়া শেষেই সে এখানে এসে চোখ বন্ধ করে বসেছে। সামনে যে কয়েকজন তার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে আছে তা বেশ বুঝতে পারলেও তার কোনো হেলদোল নেই। শুভ্রতাকে এমন রূপে বন্ধুমহলের কেউই ছবি ব্যতীত সামনে থেকে দেখেনি। শাড়ি পড়ে শুভ্রতার হাঁটার অভ্যাস নেই তাই সে শাড়ি পড়ে না বললেই চলে। এই অবস্থায় আজ তাকে দেখে সকলে মুগ্ধ হওয়ার থেকেও বেশি অবাক হয়েছে।
~আজ হটাৎ এভাবে সাজলি কেনো? (রূপা)
~কেনো সুন্দর লাগছে না?(শুভ্রতা)
~অসম্ভব সুন্দর লাগছে। কিন্তু এভাবে সাজার কারণ কি? (রিদিতা)
~হটাৎ ইচ্ছে হলো তাই এভাবে শাড়ি পড়ে প্রকৃতিবিলাস করছিলাম। কিন্তু তা আর করা হলো কই?(শুভ্রতা)
~মানে?(উপমা)
~মানে তোদের ফোন কলের ঠেলায় আমার আর প্রকৃতিবিলাস করা হলো না। উল্টো হাসপাতালে এসে গন্ধ বিলাস করা লাগছে। ওষুধের কি বাজে গন্ধ! ছ্যাহ! অসহ্য!(শুভ্রতা)
~তোর ওই বালের ফোনটা কিনছিস কোন দুঃখে? কল দিলে জীবনেও যখন তখন পাওয়া যায় না। চব্বিশ ঘণ্টাই সাইলেন্ট রাখা লাগে!(নুর)
নুরের কথায় চোখ বন্ধ রেখেই মুচকি হাসলো শুভ্রতা। ঠোঁটে হাসি বজায় রেখেই জবাব দিলো,
আমাকে যখন তখন কল করবি কেনো বলতো? প্রয়োজনের জন্য ফোন কিনেছি। অকারণে কেউ কল দিলে বিরক্ত লাগে আমার। আর ফোন আমি সাইলেন্ট রাখি না বরং ভাইব্রেট করে রাখি।
শুভ্রতার উত্তরে সবাই কিছুক্ষন চুপ করে রইলো। তিলোত্তমা হটাৎ শুভ্রতার মাথায় হাত রেখে জিজ্ঞেস করলো,
তোর কি মাথা ব্যাথা করছে শুভি?
শুভ্রতা এবার চোখ খুলে তিলোত্তমার দিকে তাকালো। কিছু না বললেও অদ্ভুতভাবে মেয়েটা তার মনের অবস্থা বুঝে যায়! মাঝে মাঝে বন্ধুমহলের এসব কাজেই তার মন ভালো হয়ে যায়। তিলোত্তমার কথা শুনে সকলের চোখেই চিন্তা ফুটে উঠলো। শুভ্রতা মন ভুলানো এক হাসি দিয়ে জবাব দিলো,
একটু করছে। ব্ল্যাক কফি খেলে ঠিক হয়ে যাবে।
কিছুক্ষণ থেমে আবারো বললো,
বেড এ পড়ে থাকা ইডিয়েটটাকে কোথা থেকে আনলি রে? তাকে এখানে আনার আইডিয়া কার ছিল?
~তিলোর ছিল। ট্রাক এর সাথে তার বাইকের ধাক্কা লাগে। পড়ে গিয়ে মাথা ফেটে গেছে বেচারার। ইশ! কি কষ্টটাই না পাচ্ছিলো। রাস্তার মানুষগুলো সাহায্য না করেই দুর থেকে আফসোস প্রকাশ করছিল। কি যে এক অবস্থা!
নুরের জবাব শুনে শুভ্রতা আবার দেওয়ালে মাথা ঠেকালো। চোখ বন্ধ করে বললো,
যা ভেবেছিলাম।
~কি এক ঝামেলা বলতো! আমি তো তিলোকে মানা করছিলাম এসব ঝামেলায় না জড়াতে। রাস্তার কেউই এগিয়ে আসছিলো না। কিন্তু এই তিলো! নিজে তো এগিয়ে গেলোই সাথে আমাদেরও টেনে নিয়ে গেলো। কোথায় ভেবেছিলাম সবাই এক সাথে মিলে আড্ডা দিবো। এখন হাসপাতালে বসে থাকা লাগছে।
রিদিতার কথা শুনে মুহূর্তেই নুর, রূপা, তিলোত্তমা আর উপমার চোখে মুখে বিরক্তিভাব চলে এলো।
~আজব তো! একটা মানুষকে আহত অবস্থায় এভাবে রাস্তায় ফেলেই চলে আসতাম নাকি?
নুরের কথায় ‘চ্’ শব্দ করে শুভ্রতা বললো,
ঝাড়বাতি! ওতো ঠিকই বলেছে। কি দরকার ছিল এসব ঝামেলায় জড়ানোর?
~শুভি! কি বলছিস এসব? (তিলোত্তমা)
শুভ্রতা তিলোত্তমার দিকে একবার তাকালো। কপালে ভাঁজ ফেলে বললো,
ঠিকই বলছি। ওকে হাসপাতালে আনতে বলেছিল কে তোদের? একে বাড়ি পাঠিয়ে দিলেই এখন এতো আজাইরা কথা শুনা লাগতো না। তোরাও হসপিটালের ফর্মালিটিস শান্তিতে পূরণ করতে পারতি আর আমিও রক্ত দিয়ে এখানে শান্তিতে বসে থাকতে পারতাম। তোদের এক ভুলের জন্য আমার কানের পোকা শহীদ হচ্ছে।
শুভ্রতার কথা শুনে প্রথমে রিদিতা চোখ মুখ উজ্জ্বল করে তাকালেও পরের কথাগুলো শুনে মুখ ফুলিয়ে বসে থাকে। মুহূর্তেই হাসির ঝংকারে হাসপাতালের সকলের দৃষ্টি আরো একবার তাদের দিকে পড়লো।
শুভ্রতার মাথা ব্যাথা যেনো ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাথা চেপে ধরে বলল,
ঝাড়বাতির আর আমার রক্তের গ্রুপ তো একই। ও এখানে থাকতে আবার আমাকে জরুরী তলব করলি কেনো?
~আমি গত সপ্তাহে ই রক্তদান করেছি। এখন আর দেওয়া যাবে না তাই তোকে ডাকা। (নুর)
~ও আচ্ছা। এখন কি সে ঠিক আছে? লোকটার বাড়িতে জানিয়েছিস?(শুভ্রতা)
~বললো তো ঠিক আছে। বাড়ির লোককে ইনফর্ম করা হয়েছে। আসছে বললো। (তিলোত্তমা)
~ওহ! এখন কি আমার বাড়ি যাবি নাকি নিজ নিজ বাড়ি চলে যাবি?(শুভ্রতা)
~সাড়ে পাঁচটা অলরেডী বাজে। নিজ বাড়িই চলে যাবো।(তিলোত্তমা)
~তবে চল বের হই। (শুভ্রতা)
~সে কি! যাকে রক্ত দিলি তার সাথে দেখা করে যাবি না? (নুর)
~তার রক্ত প্রয়োজন তাই দিয়েছি। এখন নিজের পরিচয় জানিয়ে তার কাছ গিয়ে বেক্কল এর মত হেসে ক্রেডিট নেওয়ার কোনো ইচ্ছে আমার নেই। তোদের ইচ্ছে হলে তোরা দেখা করে আয়। আমি অপেক্ষা করছি।
ওদের উত্তরের অপেক্ষা না করে আবারো চোখ বন্ধ করে সিটে গা এলিয়ে বসে পড়ে। প্রচন্ড মাথা ব্যাথা উঠলেই তার মধ্যে বিরক্তিভাবটা বেড়ে যায়। যার ফলে না চাইতেও অনেকসময় রুড ব্যবহার করে বসে সে। সকলেই কিছুক্ষণ শুভ্রতার দিকে চেয়ে থেকে কেবিনের ভেতরে হাঁটা দিলো।
যে কেউ চলাচলের সময় শুভ্রতার দিকে আড়চোখে তাকাচ্ছে এতে যেনো সে আরো কয়েকগুণ বেশি বিরক্ত অনুভব করলো। শুভ্রতা কেবিনের বাইরেই মাথা চেপে ধরে বসে রইলো।
~ম্যাডাম আপনের কফি।
কারো কণ্ঠ কর্ণকুহরে পৌঁছাতেই মাথা তুলে তাকালো শুভ্রতা। সামনেই একজন মাঝ বয়স্ক লোক কফি কাপ হাতে দাড়িয়ে আছে। সন্ধ্যা হওয়ায় এখন তেমন বেশি মানুষ নেই এখানে, হাতে গুনা কয়েকজন আছে। শুভ্রতা বুঝলেও বিশ্বাস হলো না যে তাকেই কফি নিতে বলছে। লোকটা আবার তার উদ্দেশ্যে বলে উঠলো,
ম্যাডাম আপনার কফি। ঠান্ডা হইয়া যাইবো তো।
শুভ্রতা এবার অবাক হয়ে চেয়ে রইলো। লোকটার বেশভূষা দেখে মনে হচ্ছে সে এখানেই কাজ করে। হাসপাতালে কাজের লোকগুলো সাধারনত ডক্টরদের কাজগুলো যেচে করে। আর সাধারণ মানুষের কোনো কাজ করতে গেলে প্রথমে একটু ভাব নিবে তারপর বকশিস নিয়ে তবেই কাজ করবে। এদিকে তাকে এমনি এমনি কফি দিচ্ছে? সে তো কফি অর্ডার ই দেয়নি। তবে? ব্যাপারটা হজম করা কষ্টকর, অতি কষ্টকর। শুভ্রতা চোখ পিটপিট করে চেয়ে বললো,
চাচা কি আমাকে বলছেন?
লোকটা দ্রুত মাথা নেড়ে হ্যা বুঝলো। শুভ্রতা চমকালেও তা প্রকাশ করলো না। শান্ত কণ্ঠে বললো,
আমি তো অর্ডার দেইনি। কফি দিচ্ছেন যে?
লোকটা নম্র কণ্ঠে বললো,
স্যার পাঠিয়েছে। আপনার নাকি মাথা অনেক ব্যাথা করতাছে? তাই স্যার কফি দিয়া যাইতে বললো।
শুভ্রতার স্বভাবসুলভ ভাবেই ভ্রু কুঁচকে এলো। জিজ্ঞেস করলো,
কোন স্যার চাচা? আপনি কোন স্যার এর কথা বলছেন?
লোকটা জবাব দিলো না। ফ্যাল ফ্যাল করে তার দিকে চেয়ে রইলো। লোকটার অঙ্গভঙ্গি দেখেই বুঝতে পারলো যে স্যার এর নাম প্রকাশে নিষেধ আছে। শান্ত কণ্ঠে বলল,
আমি অচেনা কারো কাছ থেকে কিছু নেই না চাচা। মাফ করবেন। আপনি কফিটা নিয়ে যান।
লোকটা উদ্বিগ্ন কন্ঠে বললো,
কফি না নিলে স্যার অনেক রাগ করবো। আপনি কফিটা নেন। আপনার মাথা ব্যাথা দেখে স্যার অনেক চিন্তিত।
শুভ্রতার এবার মেজাজ খারাপ হলো। আরে মিয়া আপনার স্যারকেই তো চিনতে পারছি না। সে রাগ করুক নয়তো রাগের ঠেলায় বুড়িগঙ্গায় যেয়ে ডুব দিয়ে বসে থাকুক তাতে তার কি! বিরক্তি নিয়ে গম্ভীর কন্ঠে বললো,
আমি বললাম তো! আমি অপরিচিত কারো থেকে কিছু নেই না। আপনার স্যার এর এতই চিন্তা থাকলে তাকেই নিয়ে আসতে বলুন।
লোকটা হা হয়ে কিছুক্ষন তার মুখের দিকে চেয়ে রইল। শুভ্রতাও নির্লিপ্তভাবে তার দিকে দৃষ্টি স্থির করে রইলো। লোকটা পকেট থেকে একটা কীপ্যাড ফোন বের করে কাউকে কল করলো। রিসিভ হতেই সে দ্রুত বললো,
স্যার ম্যাডাম কফি নিবো না বলতেছে।
ওপাশ থেকে কি বললো তা আর শুভ্রতার জানা হলো না। লোকটা চোখ মুখ কালো করে আবার বললো,
ম্যাডাম বলছে স্যার এর চিন্তা থাকলে স্যারকেই কফি দিয়ে যেতে।
এবারও অপরপাশের ব্যক্তিটির কথা শুনতে না পেয়ে হতাশ হলো শুভ্রতা। ভ্রু কুঁচকে লোকটির দিকে চেয়ে রইলো। কল কেটে দিয়ে লোকটা আবার শুভ্রতার দিকে চেয়ে বললো,
ম্যাডাম সত্যিই কফি নিবেন না?
শুভ্রতা নড়ে চড়ে বসলো। মুখ ফিরিয়ে বললো,
নাহ্!
লোকটা এক দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে সেখান থেকে চলে গেলো। শুভ্রতা তার যাওয়ার দিকে মিনিটখানেক সময় চেয়ে রইলো। এর পর আবারো দেয়ালে মাথা ঠেকিয়ে চোখ বন্ধ করে রইলো। কিছুক্ষণ পরই কেউ একজন শুভ্রতার পাশে এসে বসলো। একটা পুরুষালি পারফিউমের কড়া ঘ্রাণ শুভ্রতার নাকে এসে লাগলো। পাশে কেউ বসেছে বুঝতেই শুভ্রতা লম্বা এক শ্বাস নিয়ে চোখ মেলে তাকালো।
~অতিরিক্ত মাথা ব্যাথায় গায়ে জ্বর উঠে যাবে জানেন। তাও কফিটা নিলেন না।
চন্দ্রর গম্ভীর কণ্ঠ শুনে তার দিকে চোখ পিট পিট করে তাকালো শুভ্রতা। গায়ে ছাই রঙা শার্ট, আর জিন্স প্যান্ট পরিহিত, চুল গুলো বেশ গুছানো, ঘন কালো অক্ষিপল্লব, বাম হাতে ঘড়ি, অন্য হাতে একটা দামী ব্র্যান্ডের ফোন মুষ্টিবদ্ধ করে রেখেছে। ছেলেটা অতিরিক্ত ফর্সা না হলেও হলদে ফর্সা। শুভ্রতার পাশে বসে থাকা মানুষটিকে বেশ মোহনীয় মনে হলো। চন্দ্র কফি কাপটা তার দিকে এগিয়ে বললো,
স্যার নিজেই কফি নিয়ে এসেছে। এবার নিন।
শুভ্রতা ছেলেটার হাতে থাকা কফি কাপের দিকে একবার তাকালো তারপর বললো,
আমি আপনাকে চিনি না। সরি।
চন্দ্র দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো। গভীর চাহনী নিক্ষেপ করে বললো,
একটু আগে যেই ইডিয়েটটাকে রক্ত দিলেন! আমি তারই বড় ভাই।
শুভ্রতা চোখ পিট পিট করে চেয়ে রইলো চন্দ্রের দিকে। এই মুহূর্তে তার রাগ লাগছে। রাগের প্রকোপে পারলে সে এখন বেশ কয়েকজনের মাথা ফাটিয়ে দেয়। সে মোটেও যাকে রক্ত দিয়েছে তার সাথে কিংবা তার পরিবারের সাথে দেখা করতে চায়নি। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এসব তার বিরক্ত লাগে। শুভ্রতা উদাসীন চোখে চেয়ে বললো,
আপনাকে কে বলেছে যে আমি রক্ত দিয়েছি?
~আগে কফিটা নিন তারপর বলছি।
শুভ্রতা কফির কাপটা নিয়ে এক চুমুক দিলো। মুহূর্তেই যেনো এক শান্তি বয়ে গেলো তার শরীরে। এই মুহূর্তে ব্ল্যাক কফি অত্যন্ত জরুরি ছিল তার জন্য। নিমিষেই যেনো মাথা ব্যাথা উধাও হয়ে গেল। চোখ বন্ধ করে এক শ্বাস নিয়ে কফির কাপটা বাম পাশের চেয়ারে রেখে আবারো চন্দ্রর দিকে তাকালো। শুভ্রতা কিছু বলার আগেই চন্দ্র বললো,
আমার ভাইকে কে এনেছে, কে রক্ত দিয়েছে, কে চিকিৎসা করছে তা জানা আমার জন্য ব্যাপার না।
~আপনি আপনার ভাই এর সাথে দেখা না করে এখানে কি করছেন?
~আপাতত ওর খেয়াল ডক্টর অরণ্য রাখছেন। এমনিও ভেতরে আপনার বান্ধবীরা আছে। আমার এখন না গেলেও চলবে।
শুভ্রতা কিছু সময় চুপ থেকে বললো,
~আপনার ভাইকে বলবেন একটু সাবধানে গাড়ি চালাতে। চালানোর সময় ডানে বামে নজর রাখতে। প্রতিবার যে বেচেঁ যাবে তার তো গ্যারান্টি নেই। জীবন তো একটাই। চলে গেলেই সব শেষ।
~আচ্ছা বলবো। আপনি বাসায় গিয়ে রেস্ট নিবেন। আর হ্যা প্রকৃতি বিলাস এর চক্করে এভাবে কখনো সেজে সবার সামনে আসবেন না তো। আপনাকে এই রূপে দেখলে যে কারো মাথা হ্যাং হয়ে যাবে। একদম মাথা ঘুরে যাওয়ার উপক্রম।
চন্দ্র কেবিনে চলে গেলো। শুভ্রতা থম মেরে বসে রইলো। এভাবে দেখলে মাথা হ্যাং হয়ে যাবে? মাথা ঘুরে যাওয়ার উপক্রম? লোকটাকে দেখতে ভদ্র মনে হলেও আস্ত একটা অসভ্য।
~~~
চলবে~
(চন্দ্র ক্যারেক্টারটা কেমন লাগলো? সুন্দর না? কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন। হ্যাপি রিডিং~)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here