চিত্তদাহ #লেখিকা : শুভ্রতা আনজুম শিখা পর্ব ৮

#চিত্তদাহ
#লেখিকা : শুভ্রতা আনজুম শিখা

পর্ব ৮

🍂🍂🍂

সন্ধ্যার সময়। বেশির ভাগ মানুষই কাজ থেকে বাড়ির দিকে ফিরে যাচ্ছে। কেউ বা তার প্রিয় মানুষটির হাত ধরে স্ট্রিট ফুড খাচ্ছে। এ বিষয়গুলো বেশ ভালো লাগে নুরের। রাস্তায় মানুষজনের কার্যকলাপে মনোযোগ রেখে রাস্তার পাশ দিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে হেটে যাচ্ছিলো নুর। হাত এ থাকা ফোনটি ভাইব্রেট হতেই ফোনের দিকে তাকালো। অচেনা নাম্বার। এই নাম্বার এ কখনো সে কথা বলেছে কিনা আপাতত মনে পড়ছে না তার। সচরাচর অচেনা নম্বর থেকে কল এলে রিসিভ করে না নুর। আজ কেনো করলো তার জানা নেই। রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে পরিচিত পুরুষালি কণ্ঠ,
একটু দাড়ান নুর। আমি গাড়ি নিয়ে আসছি। রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিলো তাই দেরি হলো। আপনি একটু দাড়ান প্লীজ।
নুর চুপ করে রইলো। এই মুহূর্তে কথা বলার অবস্থায় নেই সে। পছন্দের মানুষটির গলার স্বর শুনে অঝোরে ঘামছে সে। এখন তো তেমন গরম নেই তবুও ঘামছে কেনো সে? ওড়না দিয়ে কপালের ঘাম মুছে কম্পিত কণ্ঠে বললো,
আপনি? আসলে… আসলে আমি তো বাড়ি থেকে অলরেডী বের হয়ে গেছি। ব্রিজের কাছে এসে পৌঁছেছি। রিকশা পাচ্ছি না।
ওপাশ থেকে তৎক্ষণাৎ জবাব এলো,
মানে কি? ইশ! একটু দাড়ান নুরময়ী। আমি আসছি।
নুর জবাব দিলো না। কল কেটে দিয়ে ব্রীজ এর রেলিং ঘেসে দাড়িয়ে রইলো। মিনিট দুয়েকের মাথায়ই ই অরণ্য গাড়ি নিয়ে এলো। নুরকে দেখেই নির্মল হাসলো। নুর লজ্জায় মাথা নিচু করে দাড়িয়ে রইলো। অরণ্য গাড়ি থেকে নেমে তার পাশের দরজাটা খুলে দিয়ে বললো,
উঠুন।
নুর মাথা নেড়ে সায় দিয়ে উঠে বসলো। নুর বসতেই অরণ্য দ্রুত গিয়ে ড্রাইভিং সিটে বসলো। ব্যস্ত ভঙ্গিতে নুরকে বললো,
দেরি হওয়ার জন্য দুঃখিত। আপনার বাকি বান্ধবীর বাড়ির ঠিকানা গুলো বলুন। ওনাদেরও নিয়ে যেতে বলেছে শুভ্রতা।
নুর মাথা তুলে অরণ্যের দিকে তাকাতেই অরণ্য বললো,
শুধু আপনার ঠিকানাই চেয়েছিলাম। ও বললো এক বান্ধবীকে কেনো নিবে? বাকিরা কষ্ট করে একা আসবে! এটা নাকি ঘোর অন্যায়। তাই সকলকেই নিয়ে যেতে হবে। আপনার ঠিকানা দিয়ে বললো বাকিদের বাড়ি আপনিই চিনিয়ে দিবেন।
নুর প্রথমে রিদিতার বাড়ির ঠিকানা দিলো। অরণ্য ড্রাইভ করতে করতে বললো,
আপনার এই শুভ্রতা বান্ধবীটা বিরাট রকমের ফাজিল। আমি সবাইকে নিয়ে যাবো না জানাতেই বললো সেও নাকি শ্রেয়ার বাবাকে ফোন করে আমাদের প্ল্যানিং এর ব্যাপারে জানিয়ে দিবে। কি সাংঘাতিক! আবার প্ল্যান সাকসেসফুল হলে পুরো বন্ধুমহলের ফুচকা ট্রিট চাই। পুরোই ফকির বানানোর ধান্দা।
নুর হেসে উঠলো। কিছু মুহূর্ত সময় নিয়ে অরণ্য নুরের মুখশ্রীর দিকে চেয়ে বললো,
আপনি কি খুব কম কথা বলেন? আপনার বন্ধুমহলে সব থেকে বেশি শুভ্রতাকেই কথা বলতে দেখলাম। আর আপনি সব থেকে বেশি চুপচাপ।
নুর চোখ পিটপিট করে অরণ্যের দিকে চেয়ে রইলো। সে এখন কি বলবে? সে তো মোটেও চুপচাপ স্বভাবের নয় বরং শুভ্রতার মতো সেও বেশ চঞ্চল প্রকৃতির। কোনো এক কারণে অরণ্যের সামনে তার মুখ থেকে কথাই বের হয় না। লজ্জারা যেনো তাকে আড়ষ্ট করে রাখে।
___________________________________

চন্দ্র রাস্তায় পড়ে থাকা ছোট ইটের টুকরায় এক লাথি মেরে বললো,
“যার বিয়া তার নাম নাই, পাড়া পড়শী ঘুম নাই” আজকের দিনের জন্যই হয়তো এই প্রবাদটা বলা হয়েছিল।
অরণ্য হাত উচু করে বললো,
ওইতো! এসে গেছে।
নুর ওরা সকলেই সেদিকে তাকালো। আহাদের পাশে মাহতাবকে দেখে বুকটা ধক করে উঠলো তিলোত্তমার। না চাইতেও মানুষটার প্রতি ভালো লাগা কাজ করে তার। কেনো ভালো লাগে জানা নেই তার। চন্দ্র ক্ষিপ্ত হয়ে বললো,
তোর গার্লফ্রেন্ড এর বিয়ে হচ্ছে নাকি আমাদের? শালা! রাস্তায় আধ ঘণ্টা যাবত বসে আছি। এতগুলো মেয়ে সাথে তার খেয়াল আছে?
মাহতাব শান্ত করার ভঙ্গিতে বললো,
শ্রেয়ার বাবা এমন হিটলার প্রজাতির কেনো? আমাদের পেছনে লোক লাগিয়ে রেখেছিলো। অনেক কষ্টে পিছন ছাড়িয়েছি। এজন্যই আসতে এতো দেরি হলো।
চন্দ্র আহাদের মাথায় এক চাটি মেরে বললো,
প্রেম এর আগে মেয়ের বাবা কেমন তা দেখে নিতে পারিসনি? ইডিয়ট! এখন প্ল্যান মতো যে যার কাজে লেগে পড়। অন্যদিকে শুভ্রতার দিকে চেয়ে আছে নুর সহ পুরো বন্ধুমহল। শুভ্রতা ভ্রু নাচাতেই নুর বললো,
তুই না আসবি না? এখন যাচ্ছিস কেনো?
~বিয়ের দাওয়াত খেতে যাচ্ছি। (শুভ্রতা)
~সত্যি? (রিদিতা)
~না। (শুভ্রতা)
~আচ্ছা! তোরা বাড়িতে কি বললি রে? (তিলোত্তমা)
~শ্রেয়াকে পালিয়ে বিয়ে করতে সাহায্য করতে যাচ্ছি।
শুভ্রতা নির্লিপ্ত, নিঃসংকোচ জবাবে নুর চমকিত দৃষ্টিতে চেয়ে বললো,
হোয়াট! সত্যি এটা বলেছিস?
~তোদের মিথ্যা কেনো বলতে যাবো? (শুভ্রতা)
~আমি সন্ধ্যায় বিয়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছি তা শুনেই আমার বাবার হার্ট এ্যাটাক করার উপক্রম। বিয়ের কনেকে পালাতে সাহায্য করতে যাচ্ছি বললে ইতিমধ্যে বেচারা পটল তুলতো। আর তোর বাবা রাজি হয়ে গেলো? (তিলোত্তমা)
~আমার বাবা মা তো সব সময় বলে “বড় হয়েছো এখন। কি করবে আর কি করবে না তার বুঝ তোমার হয়েছে। ভুল করলে তার থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবে আর ঠিক করলে মন জুড়ে এক প্রশান্তির ছোঁয়া পাবে।” আমি যা ই করি বাবা অধিকাংশ সময়ই বাধা দেন না। (শুভ্রতা)
কিছুক্ষণ চুপ থেকে শুভ্রতা চেঁচিয়ে উঠে বললো,
ওয়েট আ মিনিট! তোরা কি বাড়িতে মিথ্যে বলেছিস?
~না তো। মিথ্যা কেনো বলবো? বান্ধবীর বিয়েতেই তো যাচ্ছি। (নুর)
~হ্যা… নাউ আই গট ইট। বিয়ের সালামি হাতিয়ে নেওয়ার ধান্দা তাই না? বাটপার! (শুভ্রতা)
না থেমেই শুভ্রতা চোখ পিট পিট করে বললো,
দেখেছিস! এতো গুলো বাটপার এর মধ্যে আমি এক অবলা, ভদ্র, সুশীল, শান্ত মেয়ে।
~বেশি কথা বললে তোকে দুটো লাথি মেরে এখান থেকে বিদায় করবো। এমনিই আজ সকাল সকাল মেজাজ খারাপ করে দিয়েছিস।
নুরের কথায় শুভ্রতা চোখ ছোট করে তাকালো। হটাৎ ই হন হন করে চলে যেতে লাগলো, গম্ভীর কণ্ঠে বললো,
এমনিই চলে যাচ্ছি তবে।
নুর হা করে চেয়ে রইলো শুভ্রতার যাওয়ার দিকে। এই মেয়ের মতিগতি বুঝে না সে। এই হাসছে তো এই রেগে গেলো। নুর দৌড়ে গিয়ে ওর হাত টেনে ধরলো।
~আরে কচু! ফাইজলামি করছি। এতো রেগে যাচ্ছিস কেনো?
শুভ্রতা হেসে উঠতেই নুর কপাল কুঁচকে তাকালো। মানে শুভ্রতা রাগ করেনি শুধু রাগের অভিনয় করেছে। শুভ্রতা হাসির রেশ আরেকটু বাড়িয়ে বললো,
তোকে বোকা বানাতে হেব্বি মজা লাগে রে ঝাড়বাতি।
~তোমাদের মারামারি শেষ হলো? হলে চলো দ্রুত নয়তো আহাদ বেচারার বউয়ের বিয়ে হয়ে যাবে। (অরণ্য)
____________________________________

শ্রেয়ার বাড়িতে ঢুকে চারদিক ঘুরে দেখতে লাগলো তিলোত্তমা আর মাহতাব। হটাৎ কাউকে দেখতেই এক লাফে মাহতাবের পিছনে গিয়ে লুকালো তিলোত্তমা। এভাবে শার্ট খামচে ধরায় মাহতাব থমকালো, হকচকালো।
~কি হয়েছে?
তিলোত্তমা সামনের দিকে ইশারা করে ভীতু স্বরে জবাব দিলো, “বাবা”
তিলোত্তমার ইশারা অনুযায়ী সেদিকে তাকালো মাহতাব। ফিক করে হেসে বললো,
ওই টাকলা লোকটা আপনার বাবা?
তিলোত্তমার রাগী চাহনী উপেক্ষা করে তার বাবার দিকে চেয়ে থেকে আবারো বললো,
কোন কোম্পানির তেল লাগায় আপনার বাবা? লাইটের আলোয় কেমন চকচক করছে দেখুন। সূর্যের আলোতে মনে হয় জীবন্ত টিউব লাইট মনে হবে।
হু হা করে হেসে উঠলো মাহতাব। তিলোত্তমা রাগান্বিত স্বরে বললো,
আপনি কিন্তু আমার বাবাকে অপমান করছেন।
মাহতাব দু হাত উপরে তুলে বললো,
নাহ! মোটেও না। আমি তো আপনার বাবার টাকের প্রসংশা করছি। কি সুন্দর চিকচিক করছে দেখুন, দেখুন।
তিলোত্তমা বাবার থেকে দৃষ্টি সরিয়ে গাল ফুলিয়ে মাহতাবের দিকে তাকাতেই মাহতাব হেসে বললো,
এদিকে দাড়িয়ে কি বাবার হাতে ধরা খাওয়ার ইচ্ছে আছে? আমার সাথে দেখলে কিন্তু বাঁশ ডাবল খাবেন। বলবে কোন ছেলের সাথে ঘুরে বেরাচ্ছো?
~তাই তো!
তিলোত্তমা দৌড় দিয়ে অন্য দিকে যেতে নিলে মাহতাব তার হাত ধরে বাইরের দিকে হাটা দিলো। ফোন বের করে চন্দ্রকে বললো তারা আহাদের সাথে গাড়ির কাছেই থাকবে। তিলোত্তমার বাবা এখানে এসেছে শুনে চন্দ্র আর কিছু বলেনি।
_________________________________

~আরে শুভ্রতা, নুর! এসেছিস তোরা।
শ্রেয়ার মাকে দেখে জোরপূর্বক হাসলো শুভ্রতা আর নুর। শ্রেয়ার মায়ের মুখের হাসিটা বরাবরই হৃদয় ছুঁয়ে যায় তাদের। কিন্তু আজ এই হাসিই উবে দিতে এসেছে সে ভাবতেই কেমন এক খারাপ লাগা কাজ করলো শুভ্রতা আর নুরের মাঝে। শ্রেয়ার মায়ের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলার পর তিনি শ্রেয়া যে রুমে আছে সে রুমটি দেখিয়ে দিলো। অরণ্য আর চন্দ্র এতক্ষণ দূরেই দাড়িয়ে ছিলো। শ্রেয়ার মা ঘর দেখিয়ে দিলে তারাও সে ঘরের দিকে চলে গেলো। শুভ্রতা আর নুর শ্রেয়ার মায়ের থেকে বিদায় নিয়ে শ্রেয়ার ঘরের দিকে যাচ্ছিলো হটাৎ ই চন্দ্র আর অরণ্য শ্রেয়ার ঘর থেকে ওদের কাছে দৌড়ে এলো। ওরা কিছু বলার আগেই চন্দ্র শুভ্রতার হাত চেপে ধরলো আর অরণ্য নুরের হাত। ওরা অবাক হয়ে তাকালেও সেদিকে চন্দ্র আর অরণ্যের মধ্যে দুজনের একজনও পাত্তা দিলো না। শ্রেয়ার ঘরে ঢুকতেই দেখতে পেলো শ্রেয়ার সাথে ৬-৭ জন মেয়ে সেখানে বসে আছে। নুর লক্ষ্য করলো চন্দ্র আর অরণ্য ঘরে ঢুকতেই ওদের চোখ মুখে কেমন খুশি খুশি ভাব ছিলো কিন্তু ওকে আর শুভ্রতাকে দেখতেই যেনো তাদের খুশি খুশি ভাবটা আর স্থায়ী হলো না। ব্যাপারটায় শুভ্রতার চোখে মুখে স্পষ্ট বিরক্ত ভাব থাকলেও নুর বেশ খুশি হয়েছে। শুভ্রতা বললো,
ঘরে বসে থাকলেই হবে? এতো সাজগোজ কি এভাবে ঘরে বসে থাকার জন্য করেছেন নাকি? ঘুরে ঘুরে ছবি তুলবেন না? কিছুক্ষণের মধ্যেই তো বরযাত্রী চলে আসবে। গেট ধরতে হবে তো নাকি!
শুভ্রতার কথা শুনে মেয়েগুলোর মধ্যে একজন হতাশ কণ্ঠে বললো,
ঠিক বলেছো আপু। কিন্তু খালামণি মানে শ্রেয়া আপুর মা এখানে বসিয়ে রেখে গেলো। বিয়ে বাড়ীতে এভাবে বসিয়ে রাখার মানে হয় বলো তো।
শুভ্রতা বাকা হেসে নুরের দিকে তাকালো। চোখ মুখে কৃত্রিম উদাসীন ভাব এনে বললো,
তোমরা ঘুরো সমস্যা নেই। আমরা আছি এখানে। আমরা ছিলাম না তাই তোমাদের বসিয়ে রেখেছিলো। তোমরা এনজয় করো।
মেয়েগুলো খুশি হয়ে চলে যেতেই নুর দরজা বন্ধ করে দিলো। শ্রেয়া উঠে এসে শুভ্রতাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে উঠতেই শুভ্রতা কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়লো। এক হাত শ্রেয়ার কাধে রেখে বললো,
কান্নার অনেক সময় পাবে। আপাতত পালাই আগে?
শ্রেয়া মাথা নেড়ে হ্যা বুঝিয়ে বারান্দার দিকে এগিয়ে যেতেই চন্দ্র বাঁধা দিয়ে বললো,
এক মিনিট!
সকলে প্রস্নসুচক দৃষ্টিতে তাকাতেই চন্দ্র বললো,
মেয়েকে এক কাপড়ে নিয়ে যাচ্ছি। বাবার বাড়ির কিছু আপাতত নিয়ে যাক তা আমরা চাই না। আপনি একদম সাধারণ একটা থ্রিপিস পড়ে আসুন যান।
শুভ্রতার দিকে তাকালে শুভ্রতাও যেতে বললো। শ্রেয়া জামা চেঞ্জ করতে যেতেই নুর ধপ করে বিছানায় বসে পড়লো। শ্রেয়ার মায়ের হাসি মাখা মুখখানা এখনও তার চোখে ভেসে উঠছে। আদৌ কি তারা ঠিক করছে? অন্যদিকে চন্দ্র শুভ্রতার আরেকটু কাছে এগিয়ে ফিসফিস করে বললো,
পালিয়ে বিয়ে করার মজাই আলাদা তাই না? চলো আমরাও বিয়ে করে নেই।
শুভ্রতা চন্দ্রের দিকে কপাল কুচকে তাকালো। এই মানুষটা তার থেকেও কয়েকগুণ বেশি চঞ্চল স্বভাবের। শুভ্রতা মৃদু স্বরে বললো,
হাতটা কি ছাড়বেন নাকি সারাজীবন এভাবে ধরে রাখার ধান্দা করে বসে আছেন?
চন্দ্র বিড়বিড় করে বললো,
তা পারলে মন্দ হতো না।
~কিছু বললেন?
চন্দ্র মাথা নাড়ালো। শুভ্রতার হাত ছেড়ে দিয়ে বারান্দার দিকে চলে গেলো।
~~~
চলবে~
(অ্যাডমিশন টেস্ট নিয়ে একটু ব্যস্ত। তাই লেখালেখিতে বেশি সময় দিচ্ছি না। পরীক্ষার পর রেগুলার গল্প দেওয়ার চেষ্টা করবো। হ্যাপি রিডিং~)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here