তুমিময় বেদনা পর্ব -০৭

#তুমিময়_বেদনা~
#Mst_Nafisa~
#Part_7

“এটা আমি করতে পারবো না মিস্টার রাসেল, একজনের মন নিয়ে খেলা করা ঠিক হবে না।”

ফোনের ওইপাস থেকে রাসেল বলে,

“ওদের মতো মানুষের মন থাকে না পি.এ। এটাই খুব সুন্দর একটা সুজগ মনে রাখবেন কাটা দিয়ে কিন্তু কাটা তোলা যায়।”

।।

ব্লাক শাড়ি,হাতে ব্লাক চুড়ি, ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক, চোখে কাজল, চুল গুলো ছেরে দেওয়া। খুব সুন্দর ভাবে সেজেছে মিহু জিসানের জন্য কিন্তু তবুও মিহুর মন খারাপ। আয়নায় নিজেকে দেখছে মিহু সে নিজেও জানে মিহু কতটা সুন্দরী যেকোনো ছেলে তার প্রেমে পরতে বাধ্য। মিহুর এই রুপে হয়তো জিসানের মতো লোকেও দুর্বল হতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু মিহু এতে খুশি না মিহু চাইনি জিসান তাকে ভালোবাসুক।

সন্ধ্যা বেলায় গাড়ি এসে মিহুকে নিয়ে যায় জিসানের বলা যায়গায়। বেশ কিছুক্ষণ পরে একটা লেকের পারে গাড়ি দার করায় ড্রাইভার। মিহু গাড়ি থেকে নেমে জিসান কে দেখতে পায় হাসি মুখে দাঁড়িয়ে আছে। জিসানের চোখ মুখ দেখে বুঝা যাচ্ছে জিসান কতটা খুশি। মিহু মুখে হাসি একটু হাসি নিয়ে জিসানের কাছে যায়, জিসান মিহুর হাত ধরে নিয়ে যায় একটু দূরে। এতোক্ষন মিহু জিসানের হাসি মুখটার দিকে তাকিয়ে ছিলো তাই খেয়াল করেনি জিসান তাকে কই নিয়ে এলো। জিসানের কথায় মিহুর ধ্যান আসে।

“এই যে মিস?”

মিহু জিসানের থেকে চোখ সরিয়ে চারিদিকে তাকিয়ে দেখতে লাগে, খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে মিডিলে একটা টেবিলে কিছু খাবার কেক আর একটা মোমবাতি জ্বলছে। মাফিয়ারা যে এতো রোমান্টিক হয় জানা ছিলো না মিহুর। জিসান এক গুচ্ছ গোলাপ ফুল নিয়ে মিহুর দিকে বারিয়ে বলে।।

“ছোট থেকেই ভালোবাসার কঙ্কাল ছিলাম আমি, প্রথমে আব্বু ছেরে চলে যায়। তারপরে আম্মু থেকেও না থাকার মতো হয়ে যায় কারো ভালোবাসা জোটেনি আমার কপালে। প্রথম যখন বধু বেসে তোমাকে দেখেছিলাম তখনি আমার ভালোলেগেছিল তাই আমি তোমাকে আমার বাসায় নিয়ে আসি। আমি দেখতে চাইছিলাম তুমি কেমন, আমার আম্মু কে আমার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছো আমার হাসির কারণ হয়েছো। তোমার আসে পাসে থাকলে আমার শান্তি লাগে। আমাকে সারাজীবনের জন্য এই শান্তিটুকু দিবে? হয়ে যাবে তুমি আমার? আমি ফিল করেছি তুমি আমার কাছ থেকে দূরে গেলে তুমিময় বেদনা আমাকে জ্বালিয়ে শেষ করে দেয়। প্লিজ আমার হয়ে যাও সারাজীবনের শান্তির কারণ হয়ে যাও। তোমার বুইড়া জামাই পছন্দ না প্রথম দিন বলছো, তুমি এটাও বলেছিলে আমার মতো ছেলে তোমার জামাই হওয়া উচিত। আমার মতো না হয়ে আমিই তোমার জামাই হয়ে যায়? will you marry me মিহু?

জিসানের প্রতিটি কথা মিহুর মনে শিহরণ জাগিয়ে তুলেছে ,, জিসান তাকে এতো ভালোবাসে মিহু বুঝেনি। মিহু কিছু না বলে ঝাপিয়ে পরে জিসানের বুকে। মিহুর খুব কান্না পাচ্ছে খুব খুব কেন কান্না করছে সে যানে না। জিসানের এতো ভালোবাসা পেয়ে খুশির কান্না নাকি ফিউচারের কথা ভেবে কান্না। জানে না মিহু কিছু জানে না মিহুর শুধু কান্না পাচ্ছে। জিসান বলে,,,

” এই তেজপাতা কান্না করছো কেন তোমার কান্না আমার ভালো লাগে না প্লিজ চুপ।”

মিহু তবুও কান্না করছে,, জিসান যখন দেখলো মিহুর কান্না থামানো দায় তখন জিসান এমন একটা কাজ করলো মিহুর কান্না কোন দিক দিয়ে উরে গেলো বুঝলোই না। জলে ভিজা চোখ বড়ো বড়ো হয়ে গেছে হয়তো মিহু এটা আশা করেনি। জিসান মিহুর ঠোঁট ছেরে এবার মিহুর দিকে তাকায়। মিহুর ফেইস দেখে জিসান ফিক করে হেসে দেয় মিহু রেগে মেগে জিসানকে কিল থাপ্পড় দিতে থাকে।

“আরে আরে কি করছো তেজপাতা লাগছে তো।”

“লাগুক এটা কি করলেন আপনি?”

“তো কি করতাম তুমি কান্না থামাতেই চাচ্ছিলে না, তোমার কান্না আমার ভালো লাগে না বুঝো না?”

মিহু কে জরিয়ে ধরে জিসান, মিহুও ধরে। রাত ১১ টা পর্যন্ত সেখানেই সময় কাটায় জিসান মিহু। অনেক গল্প করে দুইজনে।। পরের দিন সকালে জিসান মামনিকে বলে মিহুকে বিয়ে করতে চাই খুব জলদি। এটা শুনে মামনি তো খুব খুশি সেও রাজি হয়ে যায়। কিন্তু এই বিয়েতে রাজি হয়না জিসানের ছোট আব্বু।

“জিসান একটা মেয়ের পরিচয় বংশের পরিচয় না জেনে তুই কি করে বিয়ে করতে পারিস। আগে মেয়েটার খোজ নে কে এই মেয়ে।” (আরিয়ান খান গম্ভীর কণ্ঠে বলে)

“ছোট আব্বু ওর পরিচয় আমি জানি, আর বংশের পরিচয় নিয়ে কি হবে? সব থেকে বড়ো কথা আমি মিহুকে ভালোবাসি আর বিয়ে করার এটাই বড়ো কারণ। ”

আরিয়ান খানের কথার বিরুদ্ধে এই প্রথম গেলো জিসান, এই ভেবে আহত হলো আরিয়ান খান। তার হাত থেকে যে জিসান বেরিয়ে যাচ্ছে তা খুব ভালো বুঝতে পারছে।

সব কিছু ঠিক ঠাক করে জিসান মিহুর বিয়ের ডেইট ঠিক করা হয়। এতে জিসান খুশি হলেও মিহুর মনে কোন খুশি নেই। দেখতে দেখতে কিছু দিন কেটে যায় এর মধ্যে জিসান মিহুর প্রতি ভালোবাসা আরও বেরে গেছে। মিহু বুঝতে পারছে জিসান মিহুকে পাগলের মতো ভালবেসে ফেলেছে।

জিসানের এই পাগলের মতো ভালোবাসার দাম পাবে তো? মিহু কিছুই বুঝতে পারছে না সে কি করবে,, অনেক ভেবে মিহু উঠে যায় মামনির রুমে,, মামনিকে কিছু কথা বলা খুব জরুরি।।।। মামনি সব কথা শুনার পর যা বলবে তাই করবে মিহু।।

চলবে???

(

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here