“তুমি_যে_আছো_অন্তরে_মিশে💔 Part : {09}

#তুমি_যে_আছো_অন্তরে_মিশে💔
#Writter_Ishanur_Tasmia[Mira]
# Part : {09}

রাত প্রায় ৩টা,,,,এইমাত্র ক্লান্ত শরীর নিয়ে নিরব বাসায় এসেছে,,,রুমে ডুকার সাথে সাথে তার চোখে নিরার চেহারা ভেসে উঠে,,,ফ্লোরে হাঁটু গেড়ে বসে বলতে থাকে,,,,

নিরবঃ কৌ তুই নিরা,,,প্লিস চলে আয়,,,আমার তোকে ছাড়া নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে,,, পারছিনা তোকে ছাড়া থাকতে,,,খুব কষ্ট হচ্ছে নিরা,,, প্লিস চলে আয়,,,তোকে ছাড়া আমার অন্তরটা পুড়ে যাচ্ছে রে,,, প্লিস চলে আয় জান,,,ভালো লাগছে না আমার,,,

বলতে বলতেই নিরব বসা থেকে উঠে যায়,,,হাতের কাছে যা পাচ্ছে সব এলোপাথাড়ি মেরে ভেংগে দিচ্ছে আর নিরা,,,নিরা বলে চিল্লাছে,,,,

প্রায় অনেক্ষন পর নিরব শান্ত হয়ে যায়,,,ফ্লোরে বসে কান্না করা শুরু করে দেয়,,,,
.
.
.
.
.
কালকে যখন নিরা কান্না করতে করতে রুম থেকে চলে যায়,,,তখন নিরব ভেবে ছিল নিরা কতক্ষন ছাদে থেকে আবার রুমে চলে আসবে,,, কিন্তু রাত থেকে প্রায় ভোর হয়ে যায় কিন্তু নিরা রুমে আসে না,,,তাই নিরব ছাদে যায় নিরা কি করে তা দেখার জন্য,,, কিন্তু নিরব ছাদে গিয়ে দেখে নিরা নেই,,,এক প্রকার পাগলের মত বাসার এক এক কোনায় নিরাকে খুঁজতে শুরু করে,,, কিন্তু পায় না,, অবশেষে নিরব নিরা আর তার মায়ের রুমে যায়,,,,

সেখানে যেতেই দেখে নিরার মা বিছানায় বসে বসে বই পড়ছে,,, দরজা খোলার শব্দ পেয়ে তিনি সামনে তাকাতেই দেখেন নিরব দাঁড়িয়ে আছে,,,,তিনি নিরবের দিকে একবার তাকিয়ে আবার বই পড়া শুরু করেন,,যেন তিনি জানেন নিরব কেন এসেছে,,,

নিরব ধীর পায়ে নিরার মার কাছে যায়,,, তারপর ফ্লোরে বসে মার হাত ধরে বলতে শুরু করে,,,,

নিরবঃ মা আমি জানি,,, আপনি জানেন যে নিরা কোথায়,,,, প্লিস বলুন না আমাকে ও কোথায়,,আমার না খুব কষ্ট হচ্ছে ওকে ছাড়া,,,

নিরার মাঃ আমার মেয়ে যে কষ্ট পাচ্ছে নিরব,,,ওটার কিছু না,,,আমি জানিনা তোমরা সবাই ওর সাথে এমন কেন করছ,,,আচ্ছা মানলাম সবাই ওকে পছন্দ করে না তাই এমন খারাপ ব্যবহার করে ওর সাথে,,,কিন্তু তুমি,,,তুমি তো ওকে ভালোবাসতে তাই না,,,?? তাহলে তুমি এমন করো কেন ওর সাথে নিরব,,,??

নিরব চুপ করে আছে,,, কিছু বলার নেই তার,,, কিই-বা বলবে সে,,, নিরাকে তো সে কোনো কারন ছাড়াই কষ্ট দিয়েছে,,,যদিও সেটা ভুল বুঝাবুঝি ছিল,,, কিন্তু তাও,, তার তো নিরাকে একবার জিজ্ঞেস করার দরকার ছিল,,,কিন্তু সেটা তো সে করে নি,,,বরং কষ্ট দিয়ে গেছে নিরাকে,,,,

নিরবকে কিছু বলতে না দেখে নিরার মা একটা মুচকি হেসে বলে,,,

নিরার মাঃ যাও বাবা,,, রুমে যাও,,,এখানে থেকে তোমার লাভ নেই,,,নিরা কোথায় সেটা আমি যানি না,,, আর যদি জানতাম,,, তাহলেও হয়তো বলতাম না,,,নিজের মেয়েকে তো আর কষ্ট পেতে দেখতে পারব না,,, যাও তোমার রুমে যাও,,,

নিরব আর কথা বাড়ালো না,,,, কতক্ষন নিরার মায়ের কোলে শুয়ে থেকে নিরব হঠাৎ দাঁড়িয়ে যায়,, তারপর তাড়াহুড়ো করে রুম থেকে গাড়ির চাবি নিয়ে বের হয়ে যায়,,, নিরাকে খোঁজার উদ্দেশ্যে,,,রাস্তায় রাস্তায় পাগলের মত নিরাকে খুঁজতে থাকে সে,,, কিন্তু আফসোস,, সকাল থেকে রাত হয়ে যায়,,, কিন্তু নিরার কোনো খোঁজ পায় না সে,,,মনের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে নিরবের,,খুব কষ্ট হচ্ছে তার,,,নিশ্বাস নিতে পারছে না সে,,,বারবার একটা কথাই ভাবছে,,,”নিরা ঠিক আছে তো,,, ওর সাথে কোনো খারাপ কিছু তো ঘটে নি,,,”ভেবেই আত্তা কেঁপে উঠে নিরবের,,,,

প্রায় অনেক রাতে সে বাসায় ফিরে,,,,,, রুমে গিয়েই হাতের কাছে যা পায় সব ভাংচুর করা শুরু করে দেয়,,,আর নিরা,,,নিরা বলে চিল্লাতে থাকে,,জিনিস ছোড়া ছুড়ির ফলে নিরবের কপালে একটা কাঁচের টুকরো লেগে কেঁটে যায়,,,ফলে রক্ত পড়া শুরু করে সেখান থেকে,,, কিন্তু তাতে কোনো প্রকার খেয়াল নেই নিরবের,,,,

,প্রায় অনেক্ষন পর নিরব একটু শান্ত হয়,,ফ্লোরে হাটু গেড়ে বসে কান্না করা শুরু করে,,,আজ চোখের পানি যেন বাঁধ মানছে না তার,,,,

হঠাৎ নিরব কারো পায়ে আওয়াজ পায়,,,পায়ের আওয়াজ টা ধীরে ধীড়ে তার একদম কাছে চলে আসে,,,নিরবের সামনে কে যেন একটা সাদা শাড়ি পরে দাঁড়িয়ে আছে,,,,নিরব মাথা তুলে তাকাতেই দেখে নিরা দাঁড়িয়ে আছে,,,

সাথে সাথে নিরব দাঁড়িয়ে যায়,,,তারপর নিরাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে দেয়,,,,আর বলতে থাকে,,,

নিরবঃ তুই এত খারাপ কেন নিরা,,,এভাবে কেউ চলে যায়,,,প্লিস আর কখনও এভাবে যাবি না,,,আমার না খুব কষ্ট হয়,,,[ বলেই বাচ্চা দের মত কান্না করা শুরু করে দেয় নিরব ]

নিরবের এমন করায় নিরার অনেক কষ্ট হচ্ছে,,, কিন্তু তা সে প্রকাশ করে নি,,,নিরবকে নিজের কাছ থেকে সরিয়ে তাচ্ছিল্যের সাথে বলে,,,,

নিরাঃ এতটুকুতেই এ-ই অবস্থা,,,সত্যি সত্যি যদি চলে যেতাম তাহলে কি করতেন,,,আচ্ছা আপনি না ডিভোর্সের কথা বলছিলেন,,, আমি কিন্তু রাজি আছি,,,তূর্যের সাথে আমার খুব ভালো জমবে তাই না,,দেখবেন,, যখন আমার আর তূর্যের বিয়ে হবে,, তখন সবাই একটা কথাই বলবে,,,” দে আর এ পারফেক্ট কাপাল” তাই না,,,??

নিরার কথায় নিরব অবাক হয়ে নিরার দিকে তাকিয়ে থাকে,,, তারপর বলে,,,

নিরবঃ এমন কেন বলছিস নিরা,,,??

নিরাঃ কেন,,??আপনিই কি শুধু আপনার ভালো বুঝেন নাকি,,,আমিও বুঝি,,,তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি,,আপনাকে ডিভোর্স দিয়ে দিব,,,

নিরার মুখে এসব শুনে নিরবের অনেক কষ্ট হচ্ছে,,, কিন্তু সে কিছু বলতে পারবে না,,সেই তো নিরাকে বলেছিল তাকে ডিভোর্স দিতে,,আর তূর্যকে বিয়ে করতে,,,এখন তো নিরাও রাজি হয়ে গেছে,,সে যা চেয়েছে তাই পেয়েছে,,,তাহলে আর নিরাকে দোষ দিয়ে লাভ কি,,,

ভেবেই নিরব চোকের পানি মুছে নিরার পাশ কাটিয়ে চলে যেতে নিলে নিরা নিরবের হাত ধরে ফেলে,,, তারপর নিরবকে নিয়ে বিছানায় বসে,,,

বিছানার পাশে থাকা টেবিল থেকে ফাস্ট এড বক্স নিয়ে সেখান থেকে কাঁটা ছিড়ার মলম নিয়ে নিরবের কপালে লাগাতে শুরু করে নিরা,,, তাতে নিরব অবাক হয়ে নিরার দিকে তাকায়,,তা দেখে নিরা একটা মুচকি হেসে বলে,,,,

নিরাঃ এত অবাক হওয়ার কিছু নেই,,, আরে আপনি আমার প্রথম স্বামী,,সবাই যদি জানে আমি আমার প্রথম স্বামীকেই সামলাতে পারিনি,,তাহলে দ্বিতীয় স্বামীকে কিভাবে সামলাব,,,তাই আরকি আপনাকে ঠিকাঠাক করে গুছিয়ে রাখছি,,নাহলে যে আবার তূর্যের খেয়াল ভালোমত রাখতে পারব না,,,তাই আপনাকে দিয়ে প্রেক্টিস করছি,,,আর তাছাড়া,,,,

নিরবের সহ্য হচ্ছে না নিরার এসব কথা,,,তাই সে নিরার কথা শেষ হওয়ার আগেই রুম থেকে বের হয়ে যায়,,,আর নিরা নিরবের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে ভাবতে থাকে,,,,

নিরাঃ কেন এমন করেন নিরব,,,আপনি তো এখনও আমাকে ভালোবাসেন,,তাহলে কেন দূরে ঠেলে দেন,,,আমার আর এসব সহ্য হচ্ছে না নিরব,,,কি হয়েছে,, তা প্লিস আমাকে বলুন,,,এভাবে চুপ থাকলে তো কিছু সাধান হবে না,,,

ভেবেই একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে নিরা,,,মনের অজান্তেই নিরার চোখ থেকে ২ ফোটা পানি গড়িয়ে পরে,,,নিরা চোখের পানি মুছে প্রথমে ঘর পরিষ্কার করে,, তারপর বারান্দায় গিয়ে এক কোণে বসে বসে ভাবতে থাকে,,যদি রিয়া না থাকত,,, তাহলে সে বুঝতেই পারত না,,,নিরব তাকে কতটা ভালোবাসে,,,,,

,
,
,
,
,
,
কালকে নিরা রুম থেকে বের হতেই নিরা রিয়ার সাথে ধাক্কা খায়,,,রিয়া নিরাকে এভাবে কাঁদতে দেখে বলে,,,,

রিয়াঃ কি হয়েছে নিরা,,,এভাবে কাঁদছ কেন,,,,??

রিয়ার কথা শেষ হতেই নিরা রিয়াকে জড়িয়ে ধরে কান্না করা শুরু করে দেয়,,,আর এক এক করে সব বলে দেয়,,,যেন রিয়াই এক মাত্র মানুষ,,যাকে নিরা বিশ্বাস করতে পারে,,,নিরার কথা শেষ হতেই রিয়া রাগে গজ গজ করতে বলে,,,,

রিয়াঃ ভালোবাসার কদর নেই ওর কাছে,,,তাই তোমার সাথে এমন করছে,,,তুমি একটা কাজ করো,,,পুরা একদিন কোথাও লুকিয়ে থাক,,,,আগে দেখা দরকার নিরব তোমাকে আসলেই ভালোবাসে নাকি,,,, যদি না ভালোবাসে তাহলে ও তোমাকে খুঁজবে না,,,আর যদি ভালোবাসে,, তাহলে অবশ্যই তোমাকে পাগলের মত খু্ঁজবে,,,,তারপর নাহয় ওকে জিজ্ঞেস করো ও এমন কেন করছে,,,

নিরাঃ কিন্তু আমি কোথায় লুকাবো,,,,আমার তো যাওয়ার কোনো জায়গা নেই,,,,,তাছাড়া মাকে [ মিসেস মুজমাল ] কি বলব,,উনিও তো আমাকে খুঁজবেন,,,??

রিয়াঃ রিয়া থাকতে তোমাকে এত চিন্তা করতে হবে না,,,, তুমি একটা কাজ করো,, আমার রুমে লুকাও,,ওখানো ও তোমাকে খুজতে আসবে না,,আর আন্টিকে আমি উলটা পালটা কিছু বলে বুঝিয়ে দিব,,,তুমি চিন্তা করো না,,,আর তোমার মাকেও সব বুঝিয়ে দিব,,,

নিরাঃ এমন করা কি ঠিক হবে রিয়া,,,

রিয়াঃ অবশ্যই,,অনেক কষ্ট দিয়েছে ও তোমাকে,,,এখন নাহয় তুমি দিবা,,আর তাছাড়া তুমি জেনেও যাবে নিরব তোমাকে কত টুকু ভালোবাসে,,,,

নিরাঃ হুম,,,

এরপর আরকি,,,রিয়ার কথা মত নিরা তার রুমে লুকিয়ে যায়,,,প্লেন মোতাবিক নিরব ও-ই রুমে নিরাকে খুঁজতে আসে না,,,তবে ৩-৪ বার উঁকি ঝুঁকি দিয়েছিল সে,,,কিন্তু নিরাকে দেখে নি,,,আর নিরব প্রমাণও করে দেয়,,সে নিরাকে কতটা ভালোবাসে,,,তবে সেটা সে কেন প্রকাশ করতে চায় না,, সেটা নিরা জানে না,,,,

একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে নিরা পাশের দেওয়ালটায় হেলান দেয়,,,তারপর নিরবের সাথে ছোট বেলায় তার কাটানো কিছু বেস্ট সময়ের কথা ভাবতে থাকে,,,অতীতের কথা ভাবতে ভাবতে নিরা কখন যে ঘুমিয়ে পরে তা সে জানে না,,,,,
,
,
,
,
,
,
সকালে ঘুম থেকে উঠতেই নিরা নিজেকে বিছানায় আবিষ্কার করে,,,কিন্তু সে তো বারান্দায় ছিল,,,তাহলে কে আনলো তাকে,,??,,, নিরব??,,,,কিন্তু সে কোথায়,,,,??ভাবেই নিরা বিছানা থেকে নামতে যাবে,, তখনই নিরা টেবিলে থাকা কাগজের দিকে চোখ যায়,,,নিরা আগ্রহ নিয়ে কগজটা হাতে নেয়,,তারপর পড়তে শুরু করে,,,,যেখানে লেখা ছিল,,,,,

প্রিয় নিরা,,,

আশা করি আমি চলে যাওয়ার পর তুই ভালো থাকবি,,,কিন্তু যদি তুই আমাকে ভালোবাসিস তাহলে এটা পরার পর হয়তো আর থাকবি না,,,আমি অনেক স্বার্থপর জানিস,,,তাই তো আমার এসব করার কারন তোকে বলে যাচ্ছি,,,যাতে তুই আমাকে ভুল না বুঝিস,,,অথবা এ-ই জন্য যে,, তুই তূর্যের সাথে সুখী না থাকিস,,,জানিস নিরা,, কালকে রাতে যখন তুই আমাকে ওগুলো বলছিলি,,,কষ্টের থেকে বেশি আমার হিংসে হচ্ছিল,,আমার নিরা অন্য কাউকে কেন ভালোবাসবে,,,সেটায় তো শুধু আমার অধিকার তাই না,,,কিন্তু কয়েকদিন পর তো তা হয়তো থাকবে না,,,
জানিস নিরা আমি তোর সাথে এমন কেন করেছি,,,একজন অচেনা মানুষের কারনে,,সে কে,,মেয়ে নাকি ছেলে আমি কিছুই জানি,,শুধু এতটুকু জানি সেই মার কাছে তোর বদনাম করত,,তাই মা তোকে পছন্দ করত না,,,,মা কখনোই চাইতো না আমি তোর সাথে মিশি,,তাই মা আমাকে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়,,,আমিও যাই,,কারন আমি ভেবেছিলাম,,,যত দূরে থাকব,,,তোর জন্য আমার তত ভালোবাসা বাড়বে,,,কিন্তু সেটা আমার ক্ষেত্রে হয় নি,,,,বিদেশে কয়েকদিন থাকার পরই কেউ আমাকে তোর আর তূর্যের বিশ্রি বিশ্রি ছবি পাঠাতো,,,তাতে আমার অনেক রাগ লাগতো,,,পরে ভাবতাম,,,হয়তো কেউ এটা এডিট করে আমাকে পাঠাচ্ছে,,, কিন্তু তাও মনে একটা সন্দেহ থাকত,,তাই তোকে জিজ্ঞেস করতাম তুই আজকে তূর্যের সাথে দেখা করেছিস নাকি,,,তুই হ্যাঁ বলতি,,যা আমাকে আরও রাগিয়ে দিত,,,তাই তোর সাথে কথা বলা বন্ধ করে দি,,,যখন বাংলাদেশে আসি তখনও একই অবস্থা,,,তুই তূর্যের সাথে আমার সামনে কথা বলতি,,তাও হেসে হেসে,, মাঝে মাঝে তো তূর্য তোর হাতও ধরত,, যা আমার সহ্য হত না,,তাই সব রাগ তোর উপর ঝারতাম,,তোকেই দোষি ভাবতাম,,,একসময় ভেবেছিলাম,,তোকে আর কষ্ট দিব না,,,কিন্তু তূর্যের সাথে তোকে দেখলে অনেক কষ্ট হত,,,কেন যানি না রাগ সামলাতে পারতাম না,,তাই তোকে দূরে দূরে ঠেলে দিতাম,,,সারাদিন বাসায় থাকতাম না,, যাতে তোকে ভুলতে পারি,,তোর চেহারা যেন আমাকে না দেখতে হয়,,,কিন্তু মন সবসময় তোকে কাছে চাইতো,,,,

তারপর ওইদিন যখন তুই বললি যে তোকে পাত্র পক্ষ দেখতে এসেছে,,,আমি এতে এত পাত্তা দি নই,,,কিন্তু তোর বিয়ের দিন জানতে পারি তোর বিয়ে হচ্ছে তাও আবার তূর্যের সাথে,,ব্যস রাগ উঠে যায় আমার,,তাই ওভাবে বিয়ে করি তোকে,,জানিস আমি মানতে পারছিলাম না,, তুই এমনটা করবি,,,ছাদে বসে বসে অনেক ড্রিংস করেছি,,তাই আমার হোস ছিল না,,,, আর সে জন্যই ওইদিন রাতে আমি তোর সাথে জোড় করি,,, কিন্তু বিশ্বাস কর আমি তেমনটা করতে চাই নি,,,,ভুলে হয়ে গইয়েছিল,,,কিন্তু ওইযে আমার রাগ,, তাই তোর সাথে রাফ ব্যবহার করতাম,,ভেবেছিলাম এভাবেই তোকে সারা জীবন কষ্ট দিয়ে যাবো,,,কিন্তু ও-ই যে তোকে ভালোবাসি,,তাই তোকে কষ্ট দিলে আমারও কষ্ট হতো,,,তাই তোকে আর কষ্ট দিব না,,,, ভেবেই আবার ভালোবেসে আপন করতে চেয়ে ছিলাম,,,কিন্তু কোথায় যেন বাঁধত,,, এত কষ্ট দেওয়ার পরও কি তুই আমাকে মেনে নিবি,,,হয়তো না,,,তাও চেষ্টা চালিয়ে গেছি,,,কিন্তু সেটাও হয়তো আমার কপালে ছিল না,,,আমি যে তোকে প্রকৃত সুখ দিতে পারব না নিরা,,আমি যে কোনোদিন বাবা হতে পারব না,,,,

এতটুকু পরতেই নিরার চোখ ছাপ্সা হয়ে আসে,,,,তার যেন পা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে,,,কোনোমতে নিজেকে সামলে আবার পড়তে শুরু করে চিঠিটা,,,
,
,
,
,
,
,
,
#চলবে🌸

টুইস্ট কিন্তু শেষ হয় নি,,,😁😁আরও আছে,,,,❤❤

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here