দ্যি এল্ডরিচ সিটিজেনস, পর্ব:২

#দ্যা_এলেমেন্টাল (১)
লেখনীতে: #মাহমুদা_মায়া
২য় পর্ব

—”আমাদের কোন অভিযোগ নেই। আমরা এই শেষ বয়সে নাতনির সাথে খেলতে পারব, এতেই খুশি,” রিহানের মা মায়রাকে কাছে টেনে নিয়ে খুশিমনে বললেন।
মায়রা চুপচাপ সকলের কথা শুনছি। সকলের কথা বলা শেষ হলে সে বলে,
—”আমার খুব ক্ষিদে পেয়েছে।”
—”এইতো মামণি,আমরা এক্ষুনি খাওয়া দাওয়া করব। আগে চলো, তোমাকে তোমার কক্ষ দেখিয়ে দেই। ফ্রেশ হয়ে নেও, তারপর খাবে,” নিশি মায়রাকে হাতের ইশারায় ডেকে বলে।
—”কক্ষ বুঝলাম, কিন্তু ফ্রেশ কি?” ছোট মায়রা বুঝতে না পেরে বলে।
—”ফ্রেশ মানে, তুমি তোমার হাত-পা, মুখমণ্ডল ভালোমতো পানি দিয়ে ধৌত করবে। আর এই জামাটা পাল্টে নতুন জামা পরবে। এটাতে ঘাম লেগে আছে আর দূর্গন্ধও হবে, তাই না?” নিশি মায়রাকে বুঝিয়ে বলে।
—”না তো, আমার জামা থেকে কখনো দূর্গন্ধ বের হয় না,” মায়রা মাথা না বোধক নাড়িয়ে বলল।
মায়রার এই কথায় সবাই বেশ অবাক হয়ে যায়। নিশি সবার দিকে একবার তাকায়। মায়রার ঘাড়ের কাছে নাক নিয়ে গন্ধ নেওয়ার চেষ্টা করে। নিশি আশ্চর্যজনক চোখে সকলের দিকে তাকায়।
—”রি,,,রিহান,,,মায়রার শরীর থেকে মিষ্টি ফুলের গন্ধ আসছে,” রিহানের দিকে তাকি জড়ানো কথায় জানায়।
—”আহহা, বউমা, ওর মাথায় সতেজ ফুল রয়েছে, হবে হয়তো সেটারই ঘ্রাণ। যাও, যাও, দাদুভাইকে নিয়ে যাও। আজকে একসাথে মজা করে খাব।”
রিহানের বাবার কথা এবং তাদের মুখমণ্ডলের ভাবেই বুঝা যাচ্ছে তারা মায়রাকে পেয়ে ভীষণ খুশি।
—”হ্যাঁ, বাবা, যাচ্ছি,” নিশি মায়রাকে নিয়ে একটা কক্ষে যায়, যা একেবারেই সাদামাটা। মায়রা তার নিজের কক্ষ ঘুরে ঘুরে দেখতে থাকে। একপাশে টেবিল-চেয়ার, একপাশে আলমারি, আরেকপাশে জানালা ঘেঁষে বিছানা, তো আরেক পাশে ড্রেসিং টেবিলে। মায়রা ছোট ছোট পা ফেলে এগিয়ে যায় বিছানার দিকে। নিশি তখন মায়রার জামা কাপড় আর খেলনাগুলো গুছিয়ে রাখতে থাকে।
—”কতো সুন্দর নরম গদি, তোমরা এতো নরম গদিতে ঘুমাও?” মায়রা নিশিকে বিস্ময়ের সহিত প্রশ্ন করে।
—”হ্যাঁ, মামণি। আর এখন থেকে তুমিও ঘুমাবে। মন খারাপ করো না। কালকে পেইন্টার এসে তোমার কক্ষ নতুন করে সাজিয়ে দিবে। তখন আর এমন সাদামাটা হয়ে থাকবে না, ” নিশি মায়রার দিকে এগিয়ে গিয়ে তার নাক টেনে বলে।
—” পেইন্টার কি, মা?” মায়রা ফের না বুঝতে পেরে প্রশ্ন করে।
—”পেইন্টার, পেইন্টার, পেইন্টার,” নিশি মায়রাকে কোলে নিয়ে বিছানায় বসিয়ে দেয়।
“এরা তোমার কক্ষের দেয়ালে পাখি, পুতুল ইত্যাদি এসব এঁকে দিবে।”
—”এগুলো আঁকতে কি কি লাগে?” মায়রা কৌতূহল হয়ে জিজ্ঞাসা করে।
—”রং লাগে, কেন?”
—”পেইন্টার লাগবে না। তুমি আমাকে রং দিও।আমি আমার ইচ্ছামত করে নিব।”
মায়রার কথায় নিশি কিছুটা অবাক হয়। এতটুকু বাচ্চা মেয়ে বলছে পেইন্টিং করবে, তাও দেয়ালে!
—”আচ্ছা, এনে দিব। তুমি এখন গোসল করবে চলো,” নিশি মায়রাকে হাতে ধরে বিছানা থেকে নামিয়ে বলে।
—”কোথায় যাব?” মায়রা বিছানা থেকে নেমে উপরের দিকে অর্থাৎ তার মায়ের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করে।
—”গোসল করিয়ে দিব তোমায়। গোসলখানায় চলো। “-
—” আমাকে দেখিয়ে দেও, আমি নিজেই করতে পারব। ”
—” কি?! তুমি একা গোসল করবে?” নিশি বারংবার মায়রার কথায় অবাক হচ্ছে৷ বিস্ময়টা আবার ভয়ে না পরিণত হয়!
—”হ্যাঁ, পারব তো। আমার নিজের জংগলে তখন তো একাই গোসল করেছি।”
কথাটা বলেই মায়রা নিশির হাত থেকে জামা নিয়ে, মাথার ফুলের ক্রাউন খুলে ড্রেসিংটেবিলের সামনে রেখে ওয়াশরুমে চলে যায়। নিশি তখনও অবাক হয়ে মায়রার দিকেই তাকিয়ে ছিল। মায়রার সকল কিছুই নিশিকে ভীষণ ভাবাচ্ছে, বেশ হতবাক করছে।
—”জংগলে থাকার কারণে এমন হবে হয় তো। খামখা এতো বেশি ভাবছি আমি। ”
নিশি এসব বলে নিজেকে নিজেই সান্ত্বনা দিয়ে নিজের রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নেয়। খাবার টেবিলে খাবার দিয়ে সবাইকে ডাকে। রিহান ও তার বাবা-মা এসে চেয়ার টেনে বসে।
—” মায়রা কোথায়, নিশি?” রিহান নিজের থালায় হাত দেওয়ার আগেই জানতে চায়।
—”আমি তো রুমেই রেখে এসেছিলাম, আচ্ছা, বসো তোমরা আমিই নিয়ে আসছি,” কথাটা বলেই নিশি কয়েক কদম এগিয়ে যায়।
মায়রা গুটি গুটি পায়ে হাতে হাত ভাজ করে এগিয়ে আসছে। আর চারদিকে তাকিয়ে খুবই নিখুঁতভাবে সব কিছু দেখছে।সামনে তাকাতেই তার নতুন পরিবারের সকল সদস্যকে বসে থাকতে দেখে মিষ্টি করে হাসে।
রিহান চেয়ার ছেড়ে উঠে এসে মায়রাকে কোলে নেয় এবং রিহানের বাবা ও রিহানের মাঝখানের চেয়ারে বসিয়ে দেয়। মায়রা চুপচাপ বসে বসে খাবারের সব পদ দেখছে।
—” দাদুভাই, এখান থেকে কোনটা খাবে?মাংস আগে নাকি মাছ?” রিহানের বাবা কিছুটা কুজো হয়ে জিজ্ঞাসা করে।
—”আমি সবজি খাব, আমার বন্ধুদের আমি খেতে পারব না,” মায়রা বাচ্চাদের মতো কান্নারত কন্ঠে উত্তর দেয়।
—”বন্ধুদের মানে?” রিহানের মা বেশ অবাক হয়ে প্রশ্ন করে। তাকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে সে ব্যাপারটা স্বাভাবিকভাবে নেয় নি।
—”ওহ কিছু নয়, মা। মায়রা মাছ, মাংস পছন্দ করে না।আর ছোট তো, অইসব নাম বলতে না পেরে বন্ধুদের বলেছে আরকি,” নিশি বুঝতে পেরে কথা ঘুরিয়ে নেয়।
নিশি কথাগুলো বলে মায়রার দিকে তাকায়। মায়রা ঠোঁটে মিষ্টি হাসির রেখা টেনেই রেখেছে। নিশি তাকাতেই খুবই ধীরে চোখের পলক ফেলে। নিশি বুঝতে পারে, মায়রা কোন কিছু ইশারায় বলছে। কিন্তু নিশি তা বুঝতে পারছে না।
নিশি মায়রার উপর থেকে চোখ সরিয়ে নিয়ে সকলকে খাবার দেয়। নিজে এক প্লেটে ভাত আর সবজি নিয়ে মায়রাকে ডেকে বলে,
—”মায়রা, মামণি, এদিকে এসো। আমি তোমায় সবজি দিয়ে খাইয়ে দিচ্ছি।”
মায়রা তার আসন ছেড়ে নিশির কাছে চলে যায়। নিশি মায়রাকে তার পাশের চেয়ারে বসিয়ে দিয়ে খাইয়ে দিতে থাকে।
—” মা, এই খাবারটার রং আর স্বাদ এমন কেন?” মায়রা খেতে খ নিশিকে জিজ্ঞাসা করে।
—”এটা মশলা দিয়ে রান্না করা হয়েছে, মামণি, তাই এরকম। কেন, তোমার ভালো লাগছে না?” নিশি উত্তর দিয়ে আবার আগ্রহী স্বরে প্রশ্ন করে।
—”হুম, অনেক সুস্বাদু হয়েছে।”
—”তাহলে ফটাফট খেয়ে ফেলো। ”
মায়রাকে খাইয়ে দিয়ে নিশি নিজেও খেতে বসে। রিহান আর তার বাবা-মা যার যার কক্ষে চলে যায়। কিন্তু মায়রা, তখনও তার আসনেই বসে নিশিকে দেখতে থাকে।
—” মা,” মায়রা খুবই মিষ্টি সুরে নিশিকে ডাকে।
—”কি হয়েছে, মামণি?”
—”তুমি আমাকে নিয়ে বেশি ভাবছ, তাই না?” মায়রা অপলক নিশির দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করে।
—”তুমি কিভাবে বুঝলে?” নিশি পাল্টা প্রশ্ন করে।
—”তোমাদের দেখে বুঝেছি। আমি তোমাদের থেকে অন্যরকম, আর ভাবাটাও স্বাভাবিক। তবে, এতো ভেবো না। অসুস্থ হয়ে যাবে। সময় হলে নিজ থেকেই সব জানতে পারবে। এখন খাও, আমার ঘুম পাচ্ছে৷ ”
মায়রা কথাটা বলেই, নিশিকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই চলে যায়।
মায়রা কি বলে গেলো, তা বুঝতে নিশির একটু সময় লাগে। যখন বুঝতে পারে,তখন সে আরো চিন্তিত হয়ে যায়।
মায়রা তার কক্ষে এসে বিছানায় শুয়ে পরে। তার জন্য অতিরিক্ত নরম বিছানা হওয়ায় সে খুব তাড়াতাড়িই ঘুমিয়ে যায়। খাবার শেষ করে নিশি একবার মায়রার কক্ষে উঁকি দিয়ে দেখে মায়রা ঘুমাচ্ছে। ঘুমের মাঝে তার কাছে তার মেয়েকে সবথেকে সুন্দরী ঘুম কন্যা মনে হচ্ছে। নিশিও সেখান থেকে চলে যায় তার কক্ষে।
রিহান তার ল্যাপটপে কোন কাজ করছিল। নিশি গিয়ে পাশে বসতেই রিহান ল্যাপটপের দিকে তাকিয়েই মুচকি হাসে আর বলে,
—”তোমার দোয়া তাহলে সৃষ্টিকর্তা কবুল করেছেন, নিশি।”
—”অন্তর থেকে চেয়েছি যে, তাই কবুল করেছেন। কি করছ ল্যাপটপে?” নিশি বলল।
—”মায়রার জন্মসনদের জন্য ফ্রম পূরণ করলাম।”
—”অনলাইনে??”
—”হুম। জানোই তো, যেরকম যুগ সব এখন ঘরে বসেই করা যায়।”
—”ভালোই করেছ। আমাদের মেয়েটাকে স্কুলে ভর্তি করে দিতে হবে। বয়স কিন্তু এখনই ঠিকাছে।”
—” সে কথা ভেবেই তো আজই জমা দিলাম। তবে নিশি, যদি মায়রার আসল বাবা-মা তার খোঁজ পেয়ে তাকে নিতে আসে, তখন কি হবে?”
—”এমনটা কিছুই হবে না। সৃষ্টিকর্তা এমন কিছুই করবেন না৷ মায়রা আমাদেরই মেয়ে থাকবে, ” নিশি রিহানের হাত শক্ত করে ধরে বলে।
নিশির ডাকে বিকেলে মায়রার ঘুম ভেঙে যায়।
—” মায়রা মামণি, উঠো, বিকেল হয়েছে। ”
নিশির এক ডাকেই মায়রা উঠে যায়। জানালার দিকে তাকাতেই কয়েকটা পাখি দেখতে পায় মায়রা। মিষ্টি হাসির রেখা ঠোঁটে এনে বলে,
—” শুভ বিকাল, বন্ধুরা। শুভ বিকাল, মা।”
নিশি আরেক দফা বিস্মিত হয়ে একবার মায়রার দিকে তো একবার মায়রার দিকে তাকায়। সে উত্তরে বলে,
—”শুভ বিকাল। চলো ফ্রেশ হয়ে নেও। তোমার বাবা আর দাদুভাই বাগানে অপেক্ষা করছে।”
—”বাগান?” মায়রা বুঝতে না পেরে প্রশ্ন করে।
—”বাগানে বিভিন্ন ধরনের চারাগাছ লাগানো থাকে। আমাদের বাড়ির টা শুধুই আমাদের। এরকম একেক বাড়িতে একেক ধরনের বাগান আছে। তোমার প্রকৃতি ভালো লাগে, তাই না? বাগানেও তোমার ভালো লাগবে। চলো।”
মায়রা হেসে হ্যাঁ বোধক মাথা নাড়িয়ে উঠে ফ্রেশ হয়ে নেয়। নিশির সাথে বাগানে যায়, যেখানে বাকি তিনজন সদস্য বসে ছিল।
মায়রা ভালোমতো বাগানটাকে দেখে। বাগানের এক কোণে তাকাতেই তার মন খারাপ হয়ে যায়। মাথা ঘুরিয়ে নিশিকে প্রশ্ন করে,
—”আচ্ছা, মা, অই ফুলগাছটা এমন টলে আছে কেন? ওটার যত্ন নেয়া হয় না?”
—”মামণি, ওটার যত্ন নেওয়া হয়। কিন্তু কিছুতেই তাকে সতেজ করা যাচ্ছে না,” নিশি নিজেও কিছুটা মন খারাপ করে বলে
—” আমি কি গাছটাতে পানি দিতে পারি?”
—”অবশ্যই, এই বাড়িটা তোমারই। তাই কোন কিছুর জন্য অনুমতি নেওয়ার দরকার নেই। ”
রিহানের থেকে অনুমতি পেয়ে মায়রা বেশ খুশি হয়।
—” ধন্যবাদ। ”
মায়রা খুশি হয়ে বলে দৌড়ে গাছটার কাছে যায়। পাশেই পানি দেওয়ার পাইপ ছিল। পাইপটি হাতে তুলে নিয়ে অন করে। টলে যাওয়া গাছটাতে পানি দিতে থাকে আর খিলখিলিয়ে হাসতে থাকে। যেন এর থেকে ভালো কাজ, আনন্দের কাজ আর একটাও নেই।
মায়রার হাসি শুনে তার নতুন পরিবারের সকলেই মায়রার দিকে তাকায়। নিশি ছাড়া সকলের চোখেমুখে ফুটে উঠেছে বিষ্ময়ের ছাপ। নিশির মুখে হাসি, যেন সে তার সামনে ঘটে যাওয়া ঘটনা সম্পর্কে জানত।
মায়রা যতোই গাছটাতে পানি দিচ্ছে, গাছটা ততোই সতেজ হচ্ছে। একটা সময় গাছটা বাগানে থাকা সবগুলো গাছের থেকে বেশি সতেজ হয়ে যায়। সেই সাথে ফুলগুলো প্রাণবন্ত ও সতেজ হয়ে ফুটতে শুরু করে। যেই ফুলে মুহুর্তেই কয়েকটা প্রজাপতি আর ভোমরা এসে বসে। এমন একটা অদ্ভুত ঘটনাতে উপস্থিত সবাই হতবাক হয়ে যায়। অলৌকিক শক্তি সম্পর্কে পাঠ্যপুস্তকে পড়েছে এতদিন আজ স্বচক্ষে দেখছে।
বাগানের পাশে বড় একটা গাছের উঁচু এক ডালে বসে বিভিন্ন পাখি গান গাইতে থাকে। যেন তারাও আজ ভীষণ আনন্দিত। মায়রার দ্বারা ঘটে যাওয়া এমন ঘটনা দেখে নিশি এগিয়ে এসে বলে,
—” মামণি, তোমার খুব ভালো লেগেছে, গাছটাকে সতেজ করে?”
—”খুব ভালো লেগেছে,” মায়রা হেসে উত্তর দেয়। মায়রার সাথে তার চোখও হাসছে।
—”তাহলে,বাকি গাছগুলোও সতেজ করে দেও।”
নিশির কথায় মায়রা আরো বেশি খুশি হয়ে যায়। যেন মায়রা এমন কিছুই করতে চাচ্ছিল।
নিশির বলতে দেরি হলেও, মায়রার কাজ করতে দেরি হয় না। কয়েক মিনিটের ব্যবধানে নিগাম বাড়ির বাগান ফুল, প্রজাপতি, ভোমরা আর পাখিতে ভরপুর হয়ে যায়। এগুলো দেখে মায়রা খুশিতে হাত তালি দিতে দিতে লাফাতে থাকে। মেয়ের খুশিতে হাসছে নিশিও। সতেজ ও সবুজ গাছ, রঙিন প্রজাপতি ও পাখপাখালির শ্রুতিমধুর গানে নিগাম পরিবারের বাকি সদস্যরাও বেশ আনন্দিত হয়।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পরিবেশটা এমন-ই। কেউ এর সৌন্দর্য উপেক্ষা করতে পারবে না। আবার কেউ এর মুগ্ধকর সৌন্দর্য দেখে উদাস মনে থাকতে পারবে না। অন্যান্য সৃষ্টির উপকার করাই তো পরিবেশের মূখ্য কাজ। কিন্তু, আমরা, মানবজাতি বিনিময়ে এই প্রকৃতিকে কি দেই? কিছু কি দিতে পারি? হ্যাঁ, পারি। প্রকৃতির সাথে নিজেদের ধ্বংস ডেকে আনতে পারি। প্রবাদ অনুযায়ী যা ‘উপকারের ঘাড়ে লাথি’ হিসেবে প্রচলিত।

চলবে,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here