নেশাটাই তুমিময় পর্ব -১১

#নেশাটাই_তুমিময়
#আবরার_আহমেদ_শুভ্র (Writer)
#পর্বঃ ১১ |রহস্য উন্মোচন পর্ব|

২২.

– ‘মাই গড অনু! তলে তলে এসব চলে? আমি কি তাহলে পর হয়ে গেলাম? আমাকে বললে কি এমন হতো? প্রেম করছিস ভালো কথা, আমাকে বললে কি হতো?’ অভিমানী কণ্ঠে বলে উঠল ফারিহা।

রুদ্ধ এখনও ঠাই দাড়িয়ে আছে। যেমন তেমন ভাবেও নয়, একেবারে পকেটে দুহাত গুঁজে ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে। যেন কোথাও কিছুই হয় নি! ফারিহার কথায় প্রতিত্তরে অনিমা আমতা আমতা করে বলে উঠল,

– ‘ফ্ ফারুপু, বিশ্বাস করো আ্ আমি কিচ্ছু করি নি। এই অসভ্য লোকটা আমাকে জোর কর….’ অনিমাকে আর কিছু বলতে দিলো রুদ্ধ।

– ‘লাইক সিরিয়াসলি! আমি জোর করে করেছি মিস অনিমা মেহরুবা! মানে এতে তোমার কোনো হাত ছিলো না? আমি যাস্ট বিলিভ করতেই পারছি না, তুমি এতো বড়ো একটা মিথ্যে বলতে পারলে? তাও তোমার প্রেমিকের নামে! তুমি আমাকে ভালোবাসো সেটা কি আপ স্যরি ভাবিকে বলা যেতো না? ওনি তোমাকে নিজের বন্ধু আর ছোট বোন ভাবে আর ওনাকে না বলে এটা কি ভালো হলো?’ বলেই অনিমাকে ফারিহার আড়ালে চোখমেরে মাথা নাড়াতে নাড়াতে চলে গেলো রুদ্ধ।

রুদ্ধের কথাগুলো যেন অনিমার মাথার উপর দিয়ে গেলো। অবাক হয়ে রুদ্ধের গমনপথের দিকে তাকিয়ে রইল অনিমা। তার ধ্যান ভাঙ্গলো ফারিহার কথায়।

– ‘তা কতদিনের প্রেম হা? অহন ভাইকে বলবো বিয়েটা দিতে? নাকি আমি ব্যবস্থান করবো বাকিটা হুম!’ মুচকি হেসে বলে উঠল ফারিহা।

– ‘ফারুপু! তুমিও? বিলিভ মি আমি কিছুই করি নি। এই অসভ্য ব্যাটাই সব করেছে।’ তারপরে কাল রাত থেকে ঘটে যাওয়া সবকিছুই খুলে বলল ফারিহাকে। ফারিহা যেন অনিমার কথায় নিজের হাসি আটকাতেই পারছে না। অবশেষে শব্দ করেই হেসে দিলো। এদিকে আড়াল থেকে সবটা শোনে নিলো রুদ্ধ। নিজেই নিজের কপাল চাপড়াচ্ছে,

– ‘উফ, এই মেয়েটাও না? একান্ত গোপনীয় কথাগুলোই বলার কি প্রয়োজন ছিলো? দিলো তো মানসম্মানের বারোটা বাজিয়ে। ধ্যাত!’

২৩.

– ‘তোমাকে যে কাজ দিয়েছিলাম সেটা করতে গাফলতি করেছো তুমি, সো এর শাস্তি তো তোমায় অবশ্যই পেতে হবে।’ ফোনে কোন এক ব্যক্তিকে বলল কথাটি।

– ‘ম্যাম প্লীজ আমার কথাটা শুনুন।’ ফোনের অপর পাশের ব্যক্তিটি আকুতি মিনতি করে বলল কথাটা।

– ‘কি শুনবো হে? একটা কাজও ঠিক মতোন করতে পারলে না তুমি? তোমার কথা শোনার প্রশ্নই আসে না।’ রাগান্বিত কণ্ঠে বলে উঠল মহিলাটি।

– ‘প্লীজ ম্যাম দয়া করুন। আমি জানি এর ফল হয়তো খুব ভয়ানক হতে পারে। কিন্তু আমার যে সেদিন কিছু করার ছিলো না। কারণ,….’ ওপাড়ের ব্যক্তির মুখের কথা কেড়ে নিলো মহিলাটি।

– ‘নো এক্সকিউজ! আমি জানি তুমি এখন নিজে আর নিজের পরিবারকে বাঁচাতে অনেক বাহানা দিবে, তাই তোমাকে একটা শেষ সুযোগ দেয়া হবে। পারবে তো সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে?’ শয়তানী হাসি দিয়ে জিজ্ঞেস করলো মহিলাটি।

– ‘কিসের সুযোগ মা? কাকে শেষ সুযোগ দিতে চান আপনি?’

– ‘ন্ না মানে এই তো, ক্ কিছু না। তুমি কখন এলে ফারিহা?’

– ‘এই তো মা এখনই এলাম। ভাবলাম আপনার কফিটা দিয়ে যায়। আপনি আবার কোল্ড কফি পছন্দ করেন তাই আপনার কফিটা নিয়ে আসলাম।’

স্বস্তির নিস্বাস ফেললো কলি বেগম। ওপাশের লোকটা হ্যালো, হ্যালো করেই যাচ্ছে। তাই অগত্যা ফোনটা কেটে দিলো কলি বেগম। মনে মনে ভাবতে লাগলেন, ‘যাক বাবাহ, শুনতে পেলো না সে। অনেক বড় বাঁচা বেঁচে গেলাম। নাহলে আজই সব শেষ হয়ে যেত। এখন থেকে অনেক সাবধানে কাজ করতে হবে না হলে সমস্ত প্ল্যানই বাতিল হয়ে যাবে শেষমেশ।’

কলি বেগমকে ভাবতে দেখে ফারিহা বলে উঠল,

– ‘কি ভাবছেন মা? কফি কি ভালো হয় নি?’

ফারিহার ডাকে যেন হকচকিয়ে উঠলেন কলি বেগম। বেশ বিরক্তও হলো ছেলের বউয়ের উপর। রাগ লাগছে তার বেশ। আসারও যেন আর সময় পেল না সে। নিজেকে সামলিয়ে বলে উঠল,

– ‘না আসলে, কিছু না। হে কফিটা বেশ ভালোই হয়েছে। এই কফিটা আমার বেশ পছন্দের জানোই তো। তাই ভালো না হওয়ার প্রশ্নই বসে না।’ বলে মেকি হাসি দিলেন কলি বেগম।

ফারিহাও বেশ আর ঘাঠলো না তার শ্বাশুড়িকে। সে বুঝতেই পারলো তার শ্বাশুড়ি এই অসময়ে তার রুমে আসাতে একটু বেশি বিরক্ত হয়েছে। তাই বলে উঠল,

– ‘মা, আমি আসি এবার। অহন ভাই ডাকছে আমায়।’

– ‘আচ্ছা, তাহলে যাও।’

– ‘হুম’। বলে চলে গেলো ফারিহা।

হাটতে হাটতে ভাবতে বলতে লাগল, ‘হা হা, আপনি চলে ডালে ডালে আর আমি চলি পাতায় পাতায়। আপনার সব চাল তো আমিই শেষ করবো। তাই ইচ্ছে না থাকা শর্তেও ভাইয়ের কথা ফেলতে পারলাম না। এই বাড়ীর বউ হতে হলো। নাহলে আপনাদের মতোন থার্ডক্লাশ মন মানসিকতার মানুষের সাথে মিশা আমি একদমই পছন্দ করি। শুধুইমাত্র রহস্য উন্মোচনের জন্যই এবাড়ীতে আসা।’

মনে মনে আওড়াতে আওড়াতে চলে এলে সে। এখন শুধুই কয়েকটা দিন তারপরই আসল রহস্যকাহিনী বের হবে। হঠাৎ ফোনে একটা মেসেজ আসলো ফারিহার। ওপেন করলো মেসেজটি, যেটা তার ভাইই পাঠিয়েছে! যেখানে স্পষ্ট লেখা,

‘আপুই আমরা কিছুদিনের জন্য দাদুবাড়ী যাবো সো এদিকটা তুই একলা সামলাবি। সাথে তোর বান্ধবী তিশাপুকে নিয়ে আসবি। কজ সেও আমাদের প্লানে সামিল। সে আমাদের কিন্তু ৯০% হেল্প করেছে। ওকে আনার কারণ, হলো আমি, অহন যাচ্ছি সেখানে সাথে অনিমা আর তন্বীকেও নিবো। প্লীজ ম্যানেজ কর না এইটা। প্লীজ।

ইতি
তোর দুষ্টু ভাইটা’

মনে মনে হাসলো ফারিহা। সেও ফিরতি মেসেজ সেন্ড করলো, ‘ওকে, নিশ্চিন্ত থাকুন জনাব।’

২৪.

– ‘বাবাই, আমি তোমাকে কিছু কথা বলতে চাই।’ ফারদিন শাহরিয়ারের সামনে মাথা নিচু করে বলে উঠল রুদ্ধ।

ছেলের এমন বিহেভিয়ারের বেশ হাসি পেলো তার। ভাবলো সে নিশ্চয় অনিমার ব্যাপারে কিছু বলবে। কিন্তু তাকে অবাক করে দিয়ে রুদ্ধ বলে উঠল,

– ‘বাবাই আমি অহনের মামি মানে কলি বেগমের সম্পর্কে অনেক তথ্য পেয়েছি। আর সেখানে তুমিও জড়িত।’

ঘাবড়ে গেলেন ফারদিন শাহরিয়ার। কলি নামটা শোনতেই বুকের বাঁপাশ টা মোচড়িয়ে উঠলো তার। মনে পরে যেতে লাগল সেই অতীতটা। যেখানে সে পেয়েছিল হাজারো অবজ্ঞা, লাঞ্ছনা আর বুক কাঁপানো অপমান। শুধু সে নয় তার বাবা-মা, আর ছোট বোনটা। যার কারণে সে আজ এই অবস্থায়। পরিবারের ত্যাজ্যপুত্র হলো সে! চোখ বেয়ে অবিরাম ধারায় গড়িয়ে পড়ছে কয়েকফোঁটা নোনাজল। নিজেকে শক্ত করে মুছে নিলো সে জলগুলো। না সে আর নরম করবে না নিজেকে। ছেলের জন্য হলেও নিজেকে সে শক্ত করবে। ভুলে যাবে তার কালো অতীতকে। ভুলে যাবে কলি নামের কেউ ছিলো তার কালো অতীত জীবনে। ভুলে যাবে তার পরিবারকে। রুদ্ধের কথায় ভাবনামুক্ত হলো সে।

– ‘বাবাই আর ইউ ওকে? তোমায় বেশ চিন্তিত লাগছে, আমি কিছু ভুল বললাম?’

– ‘ন্ না, রুদ্ধ বাবা আমার। আম ওকে।’ বলে শুকনো একটা হাসি দিলো ফারদিন শাহরিয়ার। নিজেকে তিনি সামলাতে পারছেন না।

– ‘বাবাই, তুমি কাঁদো। আমি তোমার সমস্ত অতীতের কথা জেনেছি। যেখানে তুমি বরাবরই নির্দোষ ছিলে কিন্তু প্রকৃতি হয়তো চায় নি তুমি তখনই সব জানো। প্রকৃতি হয়তো রিভেঞ্জ নিতে চেয়ে সেটাও পরিণত সময়ে। তোমাকে যারা এমন অপদস্থ করেছিলো প্রত্যেকের শাস্তি প্রকৃতি দিবে আর তুমি চেয়ে দেখবে। না সে যা অতি শীঘ্রই হবে! কারণ, উপরে একজন নিশ্চয় আছে যিনি ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না! আর আজ তুমি কাঁদবে! কান্নার মাধ্যমে হলেও তুমি নিজের দুঃখগুলোকে বিসর্জন দাও। নাহলে অতীতের সমস্ত দহন তোমায় পুড়াবে। প্লীজ বাবাই তুমি কাঁদো একদম মন খুলে।’ বলে তার বাবাকে জড়িয়ে ধরলো সে।

তার বাবাও তাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দিলো হু হু করে। অনেক্ষণ কাঁদলেন তিনি। নিজেকে বেশ হালকা লাগছে। এটাউ ছিলো হয়তো তার নিয়তিতে। তাকে অবাক করে দিয়ে রুদ্ধ সযত্নে তার চোখেরজল মুছে দিলো।

– ‘বাবাই, আমি দাদুবাড়ী যাবো। সব আগের মতোই করে দিবো।’

রুদ্ধ ওর দাদুবাড়ী যাওয়ার কথায় ভয় পেয়ে গেলো ফারদিন শাহরিয়ার। কারণ তিনি জানেন তার বাবা বেশ ভয়ংকর লোক। গ্রামের সকলে তাকে যমের মতোন ভয় পায়। গ্রামে অপরিচিত কেউকে দেখলেই বেশ রেগে যায় সে। তাই তার ভয় করছে যদিও রুদ্ধকে অপরিচিত ভেবে কিছু করে ফেলে তাহলে? কাঁপা কাঁপা স্বরে বলে উঠলেন,

– ‘ন্ নাহ্, র্ রুদ্ধ! তুমি যাবে না।’

– ‘কিন্তু কে বাবাই? ডোন্ট পেনিক! তুমি যে ব্যাপারে ভয় পাচ্ছো সেটা একদমই হবে না। ট্রাস্ট মি!’

– ‘কিন্তু…. ‘

– ‘ডোন্ট ওরি বাবাই, আমি একলা নয় সাথে অহনও যাবে। তুমি একদম টেনশন নিও না।’

– ‘সাবধানে তবে। আমার কিন্তু বেশ টেনশন হচ্ছে তোমাদের জন্য। জানোই তো তোমরা দুজনেই আমার ছেলে তাহলে কি আমার টেনশনটা একটু বেশি না?’

– ‘আংকেল, আপনি কোনে টেনশন করবেন না। দেখবেন আমি আর রুদ্ধ মিলে সবটাই ঠিক করে দিবো একদম সবকিছুই।’

– ‘আরে অহন যে। বসো বাবা, হে আমারও তোমাদের উপর দৃঢ় বিশ্বাস আছে। আমি জানি তোমরা পারবে। কিন্তু ভয় হয়। তবুও বলছি সাবধানে যাবে। যা করবে সতর্কতার সাথে করবে। আমার বাবা শাহরিয়ার সোলাইমান বেশ রাগি আর খুব ধুর্ত প্রকৃতির মানুষ। একটু এদিক ওদিক হলেই খুন করতে দ্বিবার ভাববেন না। সো, সেইফ্টলি থাকবে।’

– ‘বাবাই, আমরা তাহলে পরশো রওনা দিচ্ছি। আমাদের সাথে তন্বী আর অনিমা যাবে। ওরাও এখানে এসেছে। ওই তে তারা।’ তন্বীকে আর অনিমাকে দেখিয়ে বলল রুদ্ধ।

– ‘কেমন আছো তোমরা মা? আর তোমরা যাচ্ছো ঠিক আছে কিন্তু মেয়েদের নিচ্ছ কেন?’

– ‘জ্বী, আংকেল ভালো।’ দুজনেই ক্ষীণ স্বরে জবাব দিলো।

– ‘না, আংকেল ওদের নেয়ার একটাই কারণ সেটা হলো, প্লানমাফিক কিছু কাজ এরা করবে তাই।’ পাশ থেকে বলে উঠল অহন।

– ‘আচ্ছা বেশ। তাহলে ভালো হলো। দোয়া করি তোমরা যেন সফল হও।’ বলে অহন ও রুদ্ধ দুজনকেই জড়িয়ে ধরলেন।

তারাও দুজনের সন্তোষের হাসি হাসলো। কিন্তু এ হাসি টিকলো আর কতক্ষণ! কলিং বেলের আওয়াজ পেয়ে দ্রুত দুজন নিচে নেমে আসলো। সাথে আরও দুজন ছিলো মানে তন্বী আর অনিমা। দেখলো একটা। মেয়ে ঠিক উল্টোপিঠ হয়ে ড্রয়িংরুমে বসে আছে। রুদ্ধকে দেখা মাত্রই মেয়েটা দৌড়ে জাপটে ধরল। রুদ্ধও একটু জেলাস ফিল করানোর জন্য পাল্টা জড়িয়ে ধরলে তাকে।

– ‘হেই, লিসা। কেমন আছো? অনেকদিন পর!’

– ‘ওহ, সুইটহার্ট! তোমাকে ছাড়া ভালো থাকবে কেমনে?’ ন্যাকামো করে বলে উঠল লিসা। কিন্তু রুদ্ধ না চাইতেও যাস্ট অনিমাকে জেলাস করার জন্যই এসব করছে। পাশ থেকে দাড়িয়ে অনিমা না পারছে কিছু বলতে না পারছে সইতে।

মনে মনে ব্যাঙ্গমী দিয়ে বলে উঠল, ‘তুইটতার্ট, দেখাবো তোর তুইটতার্ট! এতে ন্যাকামি আমার সামনে করলে যাস্ট খুন করে দিবো। দাড়া না, একবার আমার কাছে আসো বাবুটা।’

রুদ্ধ পাশ ফিরে দেখলো অনিমা রাগে ফোসছে। নাকটা পুরো লালা টমেটো হয়ে গেছে। তারও বেশ হাসি পাচ্ছে। তাহলে অনিমারও জেলাস হচ্ছে। অহনের দিকে তাকাতেই দ্রুত ছেড়ে দিয়ে বলল, ‘যাও, লিসা ফ্রেশ হয়ে এসো একসাথে লান্চ করবো। কি বলিস অহন?’

মাথা নেড়ে সম্মতি দিলো অহন। লিসাও দ্রুত রুমে চলে গেলো ফ্রেশ হতে। এদিকে অনিমা রাগে কটমট হয়ে রুদ্ধের দিকে তাকিয়ে আছে। তন্বীও সব খেয়াল করে অনিমাকে বলে উঠল,

– ‘অনিপুর কি জেলাস হচ্ছে? রুদ্ধ ভাইয়াকে লিসা বা ফিসা জড়িয়ে ধরলো বলে?’

– ‘তন্বী ভাবি আমার! আমিও কিন্তু সব জানি? অহন ভাইয়া আর তুমি?’

ফসকে গেলো তন্বী। কোথায় সে একটু মজা করবে তা না, সেও ফেসে গেলো।

– ‘ধ্যাত, কি যে বলো না আপু!’ বলে লজ্জায় রুমে চলে গেলো। অনিমাও তার সাথে রুমে চলে গেলো। এতোক্ষণ অহন আর রুদ্ধ ওদের সব কথাই শোনছিলো। ওরা যেতেই স্বশব্দে হেসে উঠল।
.
.
.
.
~চলবে ইনশা’আল্লাহ্।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here