প্রণয়ের আসক্তি পর্ব -০২

#প্রণয়ের_আসক্তি
২.
#WriterঃMousumi_Akter

মা বাবা বাসায় না থাকলে বাসায় পরপুরুষ ঢুকাতে লজ্জা করে না তোর। কি কি করেছিস ওই ছেলেটার সাথে সত্যি করে বল।তোর চরিত্রে সমস্যা আছে সেটা আগে থেকেই জানি আমি এ জন্য তোকে আমি দু’চোখে দেখতে পারি না বুঝেছিস।আজ তোকে মেরেই ফেলবো অলুক্ষুণে মেয়ে কোথাকার।কতবার বলেছি বিয়ে শাদী দিয়ে বিদায় করো কিন্তু না সে তার মেয়েকে উকিল বানাবে।বাড়িতে আজ তোর কোনো জায়গা হবে না যা ওই ছেলের সাথে চলে যা।বের হয়ে যা এ বাসা থেকে।মায়ের মুখের এমন কটুক্তি শুনে অতি কষ্টে কেঁদেই যাচ্ছে মৃথিলা।বার বার তার আপু মেধার মুখের দিকে তাকাচ্ছে আর মেধা তাকে চোখের ইশারা করছে তার ব্যাপারে কিছু না বলতে।কিছুই করার নেই মৃথিলার নিরবে সব কলঙ্ক গায়ে মেখে মায়ের হাতের মার খাচ্ছে।এটা যে প্রথম বার সেটা নয় এর আগেও অনেক বার মায়ের হাতের মার খেয়েছে সে।মার সহ্য করতে না পেরে মায়ের পায়ের উপর পড়লো প্লিজ মা আর মেরো না আমাকে আমি আর সহ্য করতে পারছি না।মৃথিলার মা একটা লাথি মেরে দরজার উপর ফেলে দিলো,মৃথিলার কপালে কেটে রক্ত গড়াচ্ছে সেটা দেখেও তার মায়ের মনে কোনো মায়া মমতার জন্ম নিলো নাহ।নিজের কপাল চেপে ধরে দরজার বাইরে বসে কাঁদছে মৃথিলা।তার মা মুখের উপর দরজা লাগিয়ে দিলো।নিজের মায়ের থেকে এমন ব্যবহার দিনে দিনে মৃথিলাকে মানসিক রুগি করে তুলছে।

ভেতরে মেধা তার মাকে বলছে মা মিথু বাচ্চা মানুষ ওকে এইভাবে না মারলেও মারতে।তুমি কেনো ওর সাথে এমন ব্যবহার করো মা।ও তো কিছুই চাই না তোমার কাছে একটু ভালবাসা ছাড়া।মেয়েটা দিনের পর দিন কষ্ট করে চলেছে শুধু মাত্র তোমার একটু ভালবাসা পাওয়ার জন্য। ও তো কিছুই চাই না তোমার কাছে তাহলে কেনো এমন করো তুমি ওর সাথে।আমি বাবাকে বলবো মিথুকে হোস্টেলে রেখে পড়াশুনা করাতে।

খুব দরদ তোমার তাইনা ওর জন্য?কিসের দরদ শুনি?আমি যেনো আর কখনো ওর হয়ে উকিলাতি করতে না দেখি মেধা।তাহলে আমার চেয়ে খারাপ কিন্তু আর কেউ হবে না।তুমি আমাকে ভাল মন্দ শেখাতে আসবে না একদম ই না বলে দিলাম।

হঠাত করে লোড শেডিং হওয়ায় চারপাশ নিকশ কালো অন্ধকার হয়ে গেলো।চারদিকে কোথাও কিছু দেখা যাচ্ছে না।মৃথিলার কাছে ফোন ও নেই যে ফোনের আলোতে কিছু দেখবে।হঠাত করে কেউ মৃথিলার মুখে রুমাল চেপে ধরে অজ্ঞান করে ফেললো।মৃথিলাকে কাঁধে করে নিয়ে গাড়িতে তুললো।অচেতন ভাবে পড়ে আছে মৃথিলা।তাকে কোথায় নেওয়া হচ্ছে সে কিছুই জানেনা।কত সময় কেটে গিয়েছে মৃথিলা কিছুই জানে না।শহর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মৃথিলাকে।হঠাত করে জ্ঞান ফিরে এলো মৃথিলার।একটা ট্রাকের মাঝে হাত পা বেঁধে মুখে কাপড় বেঁধে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কোথাও।চোখ খুলতেই মৃথিলা দেখে তার সাথে আরো চারটি মেয়ে আছে।মেয়েগুলোকেও তার মতোই বেঁধে রাখা হয়েছে।বড় বড় গোফ ওয়ালা কয়েকজন তাদের নিয়ে যাচ্ছে।দেখতেই খুব ভয়ানক তারা।এমন ভাবে বেঁধে রাখা না পারছে কথা বলতে না পারছে নড়াচড়া করতে।ভয়ে বুকের মাঝে দুরুম দুরুম আওয়াজ হচ্ছে মৃথিলার।কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাকে।তার সাথে কার কি শত্রুতা কেনো এমন করছে তারা মৃথিলার সাথে।কি চাই তারা মৃথিলার কাছে।হাজার টা প্রশ্ন মৃথিলার মনে।কিন্তু কে দেবে এই প্রশ্নের উত্তর। কিছুক্ষণ পর তাদের একটা বাগান বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।বাড়িটা একদম নদীর কিনারায়।এক গহীন জঙ্গলে।এ বাড়িটা সাধারণ বাড়ির মতো নয় একটা গুদম ঘরের মতো বড় ঘর।তার পাশে আরো কয়েক টা ঘর আছে।এই গুদম ঘরে ৩০ টা মেয়ে রাখা আছে।তারা সবাই মুক্তির জন্য কাঁন্নাকাটি করছে।মৃথিলা এখানে এসে বুঝতে পারে তাদের পাচার করার জন্য আনা হয়েছে।প্রতিটা মেয়ের চোখে মুখে ভয়,ভীষণ ভয় তারা মুক্তি চাই।তাদের বিভিন্ন চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে আনা হয়েছে।আর সেই পাচারকারীর হাতে এসে পড়েছে মৃথিলা।কে এনেছে এখানে মৃথিলাকে। মেয়েগুলোকে ভীষণ অত্যাচার করা হচ্ছে।অবশেষে মৃথিলার মুখের বাঁধান খুলে দেওয়া হয়।পানির জন্য ছটফট করছে মৃথিলা।ছলছল চোখ আর ভয় নিয়ে বললো আমাকে কেনো এনেছেন প্লিজ ছেড়ে দিন আমাকে ছাড়া আমার বাবা বাঁচবে না।তখন একজন বললো তোকে অনেক টাকা দিয়ে কেনা হয়েছে।এখানে সব গুলো মেয়ের যা দাম তার চেয়ে ঢের দাম তোর বেশী।সবার থেকে সুন্দরী তুই এখানে।মৃথিলা অবাক হয়ে বললো কে বিক্রি করেছে আমাকে।
‘আমরা এত কিছু জানিনা।দালাল রা তোকে আমাদের হাতে ধরিয়ে দিয়েছে বাকিটা কিছুই জানিনা।আর বেশী চিল্লাবি না তাহলে প্রানে মারা পড়বি।’

আশে পাশে সব মেয়েদের দেখে আরো বেশী কাঁন্না পাচ্ছে মৃথিলার।তার মতোই সবার জীবন টা এভাবে নষ্ট হয়ে যাবে।এর ই মাঝে কেউ এসে বললো ভাই পুলিশ এসে গিয়েছে এখানে।মেয়েগুলোকে পাচার করতে গেলে এক্ষুণি ধরা খেতে হবে।শুধু এই সাদা মেয়েটাকে নিয়ে পালান।মৃথিলার গলায় ছুরি ধরে একজন নিয়ে যাচ্ছে এরই মাঝে পুলিশ এসে উপস্হিত।ভয়ে জ্ঞাণ হারিয়ে পড়ে গেলো মৃথিলা সাথে সাথে নিরব ধরে ফেললো মৃথিলাকে।মৃথিলা ঝাপসা চোখে নিরব কে দেখে নিরবের কলার চেপে ধরে বলে প্লিজ বাঁচান আমায়।আমাকে বাঁচান আপনি প্লিজ।ওরা আমাকে মেরে ফেলতে চাইছে।মেয়ে পাচারের খোজ পেয়েই নিরব এখানে এসছিলো।সুন্দর ফুটফুটে মৃথিলা নিরবের কোলে ঢলে পড়াতে ভীষণ ভাবে অবাক হয়ে যায় নিরব।এটাই তো সেই মেয়েটা আজ ই যার সাথে পরিচয় হলো।মৃথিলাকে এখানে দেখবে ভাবতেই পারে নি নিরব।নিরব মৃথিলাকে কোলে তুলে নিলো। একদম ই নেতিয়ে পড়েছে মৃথিলা।গায়ে জ্বর ও চলে এসছে।এই মুহুর্তে কি করবে বুঝে উঠতে পারছে না।আগে মৃথিলাকে বাঁচানোর প্রয়োজন।নিরব ফোন ও ফেলে এসছে বাসায়।পাশেই একটা হোটেল ছিলো সেখানেই উঠলো মৃথিলাকে নিয়ে।নিরবের সাথে থাকা কলিগ দের বাকি মেয়েগুলোকে ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে বললো কিডনাপার রা সব পলাতক।

ধীরে ধীরে প্রচন্ড জ্বরে আকড়ে ধরলো মৃথিলাকে।শরীরে হাত ছোয়ানো যাচ্ছে না।হোটেলের রুমে মৃথিলাকে সুইয়ে দিয়ে ডাক্তার ডেকে আনলো নিরব।ডাক্তার মৃথিলাকে পরীক্ষা করে বললো প্রচন্ড ভয় পেয়েছে কোনো কারণে তাছাড়া এর ভেতরে প্রচন্ড ডিপ্রেশন এ আছে।মেয়েটাকে খোলা হাওয়া,খোলা পরিবেশ,মানসিক শান্তিতে রাখতে হবে।না হলে এর সামনে অনেক বিপদ আছে।

ডাক্তার চলে গেলে নিরব মৃথিলার মুখের দিকে একবার তাকালো।কি নিষ্পাপ মেয়েটার মুখটা।পুতুলের মতো দেখতে একটা মেয়ে।হাতের আঙুলে নিরবের রিং টা চকচক করছে।মৃথিলাকে নিয়ে নিরবের মনে হাজার হাজার প্রশ্ন মেয়েটা আজ এই অবস্থায় কেনো?কে মেয়েটা কে বিক্রি করে দিলো।মাথায় হাত দিয়ে বসে বিভিন্ন চিন্তা করে যাচ্ছে নিরব।মৃথিলাকে স্পর্শ করতে কেমন বাধা বাধা লাগছে।সব জড়তা কাটিয়ে মৃথিলার কপালে হাত দিয়ে দেখলো কপালে হাত ছোয়ানো যাচ্ছে না। মৃথিলার যদি কিছু হয়ে যায় সেই ভয়ে নিরব ভীষণ চিন্তা করছে।একটা রোমাল ভিজিয়ে কপালে জলপট্টি দিচ্ছে। মৃথিলা বিড় বিড় করে বলছে প্লিজ আমাকে মারবেন না।আমাকে মারবেন না প্লিজ।নিরব বুঝতে পারলো মৃথিলার সাথে এর আগেও এমন কিছু ঘটেছে।নিরব সারারাত জলপট্টি দিচ্ছে আর চিন্তা করেই যাচ্ছে।মাঝে মাঝে কড়া ব্লাক কফি খাচ্ছে।মৃথিলা ওর গরম উত্তপ্ত হাত দিয়ে নিরবের হাত কপালের সাথে চেপে ধরে বললো আমাকে এখানে ফেলে যাবেন না প্লিজ।আমাকে একা রেখে যাবেন না প্লিজ।আমাকে বাঁচান আপনি প্লিজ।মৃথিলার কোমল হাতে বন্দি নিরবের হাত।নিরবের অনেক কষ্ট হচ্ছে মৃথিলাকে এমন অবস্থায় দেখে।নিরব একজন বিচক্ষণ মানুষ মৃথিলাকে দেখেই বুঝতে পারলো মেয়েটা ব্যাক্তিগত জীবনে অনেক টা অসুখি।মৃথিলাকে ঘিরে হাজারো প্রশ্ন নিরবের।বেডের পাশে টুলে বসে জলপট্টি দিতে দিতে নিরব ভোর রাতে ঘুমিয়ে যায়।

সকালে মৃথিলা ঘুম ভাঙতেই দেখে তার হাতের উপর মাথা রেখে ঘুমোচ্ছে নিরব।হঠাত নিরবকে দেখে একটু চমকে গেলেও মৃথিলার মনে পড়ে গতকাল রাতে নিরবের কোলেই ঢলে পড়েছিলো মৃথিলা।তাছাড়া জ্বরের ঘোরে মৃথিলার স্পষ্ট মনে আছে নিরব ই সারারাত তার মাথায় জলপট্টি দিয়েছে।মাথাটা এখনো ধরে আছে মৃথিলার জ্বরের মাত্রা হালকা কমেছে।নিরবের মুখের দিকে তাকাতেই ভেতরে অন্য রকম এক ভাললাগা কাজ করছে মৃথিলার।অবুঝ বাচ্চাদের মতো মৃথিলার হাতের উপর ঘুমোচ্ছে নিরব।মৃথিলার একটা আঙুল ধরে রেখেছে নিরব।ধবধবে ফর্সা গালে খোচা খোচা দাঁড়ি,গায়ে কালো শার্ট পরণে কালো জিন্স। একটা ছেলে এতটাও ভাল হয় নির্জন জঙ্গল থেকে একটা মেয়েকে একটা হোটেলে এনেছে অথচ গায়ে স্পর্শ করে নি।নিরবের এই সুন্দর চরিত্র দেখে মুগ্ধ মৃথিলা।এরই মাঝে নিরবের ঘুম ভেঙে যায়।ঘুম ভাঙতেই নিরব দেখে মৃথিলা এক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছে।নিরব ব্যাস্ত হয়ে বললো তুমি উঠেছো,অনেকক্ষণ আগেই উঠেছো তাইনা।আমি কেমন দায়িত্বজ্ঞানহীন বলো তো একটা অসুস্থ মেয়েকে রেখে আমি ঘুমিয়ে গেছিলাম।কেমন লাগছে তোমার এখন বলোতো।ঠিক আছো?নিরবের কেয়ারিং দেখে মৃথিলা সত্যি সারপ্রাইজড হয়েছে।এতটা কেয়ারিং তার জন্য কেউ হতে পারে।মৃথিলা বললো এখন ভাল লাগছে?
‘কিছু মনে করো না কাল তোমার কপালে হাত দিয়েছি অনেকবার তোমার গায়ে অনেক জ্বর ছিলো।’
‘আপনি যদি না থাকতেন,,’
‘থাক ধন্যবাদ দিতে হবে না।এটা আমার ডিউটি ছিলো।তুমি রেস্ট নাও আমি নিচে থেকে নাস্তা নিয়ে আসি তোমার ওষুধ খেতে হবে।’
এরই মাঝে দরজায় নক দেয় কেউ।নিরব দরজা খুলতেই দেখে স্হানীয় পুলিশ।গায়ে পুলিশের ইউনিফর্ম পরা কয়েকজন।

‘নিরব বলে আপনারা? ‘

‘আমাদের কাছে নিউজ আছে আপনি নিজের ওয়াইফ পরিচয় দিয়ে একটা মেয়েকে কিডন্যাপ করে এনে এই হোটেলে উঠেছেন। আপনাকে আমরা গ্রেফতার করতে বাধ্য হচ্ছি।’

কথাটা শুনেই নিরব চমকে যায়।নিরব তাদের থেকে অনেক বড় অফিসার কিন্তু এই মুহুর্তে সে তার পরিচয় দিতে পারছে না।একটা বিশেষ মিশনের দায়িত্বে আছে নিরব।

‘নিরব বলে দেখুন আপনারা ভুল বুঝছেন।একচুয়ালি।’

‘আপনার কোনো কথা শুনতে ইচ্ছুক না আমরা যা বলার কোর্টে গিয়ে বলবেন।’

‘যেখানে যেতে হয় যাবো আমাকে সময় দিন আপনারা।’

‘আমাদের ইমারজেন্সি ওয়ার্নিং দিয়ে পাঠানো হয়েছে মেয়েটিকে উদ্ধার করার জন্য।মেয়েটিকে আমাদের সাথে নিয়ে যাবো আর আপনাকে থানায়।’

এইখান থেকে মৃথিলার বাসা অনেক দূর।হতেও পারে অন্য কেউ মৃথিলার পরিচয় দিয়ে মৃথিলাকে নিয়ে আবার পাচার করে দিলো।মৃথিলার বাবার হাতে তুলে না দিয়ে নিশ্চিন্ত হওয়া যাবে না।এসব চিন্তায় নিরব কি করবে বুঝতে পারছে না।পুলিশে যে মৃথিলার কোনো শত্রু খবর দিয়েছে সেটা বুঝতে বাকি রইলো না নিরবের।

‘নিরব কিছু না ভেবেই বলে উঠলো ও আমার স্ত্রী।’

‘উনাকে ডাকুন দেখি উনি কি বলে শুনি?’

‘মৃথিলা এতক্ষণ সব কথা শুনে নিজেই এসে বললো উনি ঠিক ই বলেছেন আমি উনার স্ত্রী।’

‘আপনাদের বিয়ের কোনো প্রুভ আছে?’

‘আমরা কি প্রুভ রাস্তায় নিয়ে ঘুরছি।’

‘তোমাদের মতো অনেকেই আছে এসব বলে আসলে কিছুই না।’

‘দেখুন আমরা সত্যি বিবাহিত।’

‘এদের আরেকবার কলেমা পরিয়ে দিয়ে চলো তারপর আজীবন এই হোটেলে সময় কাটাক তারা।’

বিয়ে কথাটা শুনেই নিরবের পায়ের নিচের মাটি সরে গেলো।মেধাকে ভালবাসে সে আর তার ই বোন কে বিয়ে কিভাবে সম্ভব সেটা।কোনো উপায় না পেয়ে নিরব ভেবে নিলো সে তার পরিচয় দিয়ে দিবে।ঠিক তখন ই কেউ একজন এসে নিরবের হাতে একটা চিঠি গুজে দিয়ে চলে গেলো।চিঠিটা পড়ে নিরবের মনে ভূমিকম্পন এর সৃষ্টি হলো।

চলবে,,,

(গল্পটা কাল্পনিক হবে পুরাটা।বাস্তবের সাথে মেলাবেন না।ভালবাসা সবাইকে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here