প্রণয়ের আসক্তি পর্ব -০৩

#প্রণয়ের_আসক্তি
৩.
#WriterঃMousumi_Akter

আমাকে তুমি ক্ষমা করো মৃথিলা এই মুহুর্তে তোমাকে বিয়ে করা ছাড়া তোমাকে বাঁচানোর কোনো উপায় নেই আমার হাতে।বিয়ের জন্য প্রস্তুত হয়ে নাও।নিরবের চোখে মুখে ভীষণ চিন্তা স্পষ্ট ফুটে আছে।বিয়ে কথাটা শুনেই মৃথিলার দু’চোখে অশ্রু গড়িয়ে পড়লো।মাত্র একদিনের পরিচয় একটা ছেলের সাথে সে কিভাবে বিয়ে করবে তারপর আবার সে তার আপুর প্রেমিক।ভাবতেই শরীর ঘিন ঘিন করছে মৃথিলার।নিজের বোনের প্রেমিক কে স্বামি হিসাবে কিছুতেই মেনে নিতে পারবে না সে।এর চেয়ে তার মৃত্যু ও ভালো।ভাবতেই কেমন যেনো লাগছে মৃথিলার।কিন্তু নিরব যে মানুষ টা ভালো সেটা মৃথিলা বুঝতে পারছে।নিরবের মতো জীবনসঙ্গী পাওয়া ভাগ্যর ব্যাপার এটা বুঝেও মৃথিলা নিরবের সাথে বিয়ে ব্যাপার টা মেনে নিতে পারছে না।মৃথিলা আরেকবার জীবন ফিরে পেয়েছে সেটা নিরবের জন্যই।
মৃথিলা নিরবের দিকে ছল ছল চোখ নিয়ে তাকিয়ে বললো কেনো বিয়ে ছাড়া আমাকে বাঁচানো সম্ভব নয়।আমার বাবাকে ফোন করূণ আপনি?আমার আপুকে ফোন করুণ। আমাকে আমার বাবার কাছে দিয়ে আসুন প্লিজ।আমি এই বিয়েটা কিছুতেই করতে পারবো না।আমাকে ছাড়া আমার বাবা ভীষণ কষ্টে আছেন।হয়তো চিন্তায় পাগল হয়ে গিয়েছেন।নিরব কপালে হাত চালাতে চালাতে বললো,

“এখান থেকে তোমার বাসায় যেতে চার ঘন্টার রাস্তা। তোমাকে আমি এই মুহুর্তে অচেনা মানুষের হাতে তুলে দিতে পারবো না।তুমি কি জানো পায়ে পায়ে বিপদ তোমার।রাস্তায় গেলেই প্রাণের ঝুঁকি তোমার।আমি তোমার বাবা বা আপুকে কি উত্তর দিবো মৃথিলা।আমি কতটা নিরুপায় হয়ে বিয়ে করছি সেটা আমি ছাড়া আর কেউ জানে না।তোমার বাবার কাছে তোমাকে পৌছাতে গেলে আগে তোমার প্রাণ বাঁচাতে হবে।”

“কিন্তু ভাইয়া আমাকে বিয়ে করলে আপুকে কি উত্তর দিবেন।আমি বা আপুর সামনে মুখ দেখাবো কিভাবে।আমি পারবো না আপুর সুখ শান্তি কেড়ে নিতে।আপু আমার জন্য কষ্ট পাবে। ”

“এই মুহুর্তে আমার কাছে তোমার জীবন বেশী গুরুত্বপূর্ণ মৃথিলা বলেই একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়লো নিরব।তোমার আপু তো আমার হিয়ার মাঝে আছে।মেধা কে আমি ম্যানেজ করে নিবো।মেধা নিশ্চয়ই বুঝবে তার সাথে আমার বিয়ের থেকে তোমার প্রাণ রক্ষা টা বেশী ইমপরটেন্ট।কারণ কোনো বোন ই চাইবে না তার বোনের প্রাণের বিনিময়ে তার ভালবাসা বেঁচে থাক।যে ভালবাসা আমাকে পাওয়ার জন্য বোনকে মারতে পারে সে ভালবাসা আমাকেও মারতে পারে।আমি মনে করি ভালবাসা টা আগে পরিবার থেকেই মানুষ পাই।মা বাবা,ভাই বোন থেকেই ভালবাসার সৃষ্টি। ”

“আমার আপু আমার জন্য সব ত্যাগ করতে পারে।আমি জানি আপু আমাকে ভীষণ ভালবাসে।কিন্তু কোনো মেয়ে নিজের ভালবাসার ভাগ দিতে চাই না।”

“মেধা অনেক ভাল মেয়ে।আমাকে বা তোমাকে কাউকে ভুল বুঝবে না।কিন্তু কষ্ট পাবে।তোমার পেছনে কারা পড়ে আছে তাদের হাতে নাতে ধরতে পারলে তখন না হয় তুমি চলে যেও।আমি জানি তোমার জীবনে বেটার কাউকে ডিজার্ভ করো তুমি।কিছুদিন অভিনয় করে হলেও আমার সাথে থাকো তুমি।”

বিয়ের পর কি হবে?আমাকে ছেড়ে দিবেন!
এই প্রশ্ন নিরব কে খানিক টা ধাক্কা মারলো।নিরব হেসে বললো এই বিয়েটা তো তুমি বা আমি নিজের ইচ্ছায় করছি না।আমি জানি তোমার খুব খারাপ লাগছে আমাকে মেনে নিতে।বাট ট্রাস্ট মি আমাকে মেনে নিতে হবে না।তুমি মুক্ত হয়েই থাকবে জাস্ট কিছু দিনের জন্য আমার ওয়াইফ হয়ে থেকো।

এর ই মাঝে কাজি সাহেব ও উপস্হিত।কেমন একটা ঝড়ের মতো উলটা পালটা হয়ে গেলো সব কিছু।বিয়ে হয়ে গেলো নিরব আর মৃথিলার।বিয়ের পবিত্র বন্ধনের সাথে সাথে মনে হয় মানুষের ভেতরে অটোমেটিক একটা অধিকার জন্ম নেয়।কবুল বলার সাথে অন্য রকম অনুভূতি সৃষ্টি হয়।যে অনুভূতি মৃথিলার মনে ও সৃষ্টি হয়েছে।

ফ্লাশব্যাকঃ
কিছুক্ষণ আগে কেউ একজন নিরবের হাতে একটা চিঠি দিয়ে যায়।চিঠির ভাজ খুলে দেখে চিঠির মাঝে আরেক টা চিঠি।দুইটা চিঠি দুইজনের লেখা।প্রথম চিঠিতে লেখা আছে, “ভালো চাইলে মৃথিলাকে ছেড়ে দে।মৃথিলাকে রক্ষা করতে যে আসবে তাকেই মরতে হবে।মৃথিলা মানেই বিপদ ভীষণ বিপদ।মৃথিলাকে পুলিশের হাতে তুলে দে আমরা পুলিশের হাত থেকে নিয়ে নিবো।বাড়ির খেয়ে কি কাজে এই বিপদের দিকে পা বাড়িয়েছিস বলবি।মৃথিলার জীবনের আজ ই শেষ দিন। সাথে ২৫ লাখ টাকার চেক পাঠালাম মৃথিলাকে ছেড়ে দে টাকা টা নিয়ে।”

চিঠিটা পড়ে নিরব ভীষণ চমকে গেলো একটা মেয়েকে মারার জন্য তাহলে ওরা কত টাকা পেয়েছে।আমার কাছ থেকে নেওয়ার জন্য যদি এত টাকা দিতে চাইছে।মেয়েটার পায়ে পায়ে এত বিপদ। এখন ছেড়ে দিলে মেয়েটা আজ ই মারা যাবে।মেয়েটা তার পরিবারেও সেভ না।সেভ থাকলে ক সেখান থেকে কেউ তুলে আনতে পারতো।মেয়েটার মায়ের ব্যাবহার ও খুব একটা ভাল না।আরেক টা চিঠি খুলে নিরব আরো চমকে যায়।”বাবা কে তুমি জানিনা তবে তোমার কাছে অনুরোধ তুমি মৃথিলাকে বিয়ে করো।প্রথম চিঠিটা আমার হাতেই পাঠানো হয়েছে।আমার হাতে সে ক্ষমতা নেই যে আমি মেয়েটাকে বাঁচাবো।মেয়েটা ভীষণ ভালো,নিষ্পাপ একটা মেয়ে।মেয়েটা একটা রহস্যর জালে জড়িয়ে আছে।তুমি ওকে পৃথিবীর কারো কাছে তুলে দিও না।ওর আপনজন রাও ওকে ভালবাসে না।তুমি ওকে নিয়ে কোথাও চলে যাও।বিয়ে তো একদিন করবেই মৃথিলাকে করো ঠকবে না।ওই মেয়েটা ঠকতে ঠকতে বড় হয়েছে।আমি এখানেই আছি আমি তোমাকে দেখছি কিন্ত তুমি আমাকে দেখবে না।মৃথিলাকে আগলে রাখো। মেয়েটা বড্ড ভালো।”

চিঠি পড়েই নিরব মৃথিলাকে ডেকে বলে তোমাকে বিয়ে করা ছাড়া উপায় নেই।
নিরব মৃথিলাকে চিঠির ব্যাপারে কিছুই বললো না।মৃথিলা বসে বসে কাঁদছে। নিরব মৃথিলাকে বললো তুমি আমাকে খারাপ মানুষ ভেবো না মৃথিলা।আমি যা করছি তোমাকে বাঁচাতেই করছি।এই মুহুর্তে কেউ তোমার ক্ষতি করতে চাইলে আগে আমার ক্ষতি করতে হবে।

হোটেল থেকে নিরব সেদিন মৃথিলাকে নিজের বাসায় নিয়ে গেলো।একটানা চার ঘন্টা জার্নি করে মৃথিলা ভীষণ ক্লান্ত।তাছাড়া দুইদিন তার উপর দিয়ে ভীষণ ঝড় গিয়েছে।দুপুরে বাসায় ফিরে মৃথিলা নিরবের বেডে সুয়ে পড়লো। ঘুম দিয়ে বিকাল পাঁচ টায় মৃথিলা ঘুম থেকে উঠলো।ঘুম ঘুম চোখে তাকিয়ে দেখে নিরব কালো ট্রাউজার আর কালো গেঞ্জি পরে সোফায় বসে ল্যাপটপে কাজ করছে।মৃথিলা উঠতেই নিরব ল্যাপটপের দিকেই চোখ রেখে বললো শরীর ঠিক লাগছে একটু।

মৃথিলা বললো হ্যাঁ।

গোসল করার প্র‍য়োজন নেই, হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে নাও আর টাওয়াল ভিজিয়ে শরীর মুছে নাও।এক জামা আর কত সময় গায়ে রাখবা।আমার একটা শার্ট বের করে রেখেছি একদম নিউ আগে কখনো পরিনি কিন্তু।যদিও তোমার লং হবে।আমার থ্রি কোয়ার্টার ওটাও নিউ আপাতত কিছুক্ষণের জন্য পরো। আমি তোমার জন্য ড্রেস আর কসমেটিক্স এর অর্ডার করে দিয়েছি রাতে চলে আসবে।

নিরবের কথা গুলো শুনে মৃথিলার মনে হচ্ছে তার মনে হয় সত্যি বিয়ে হয়েছে।স্বামিরা মনে হয় এমন ই ভালো হয়।কিন্তু মিনিটের মাঝে মনে হলো এসব ই মিথ্যা।মৃথিলা শার্ট আর থ্রি কোয়ার্টার নিয়ে ওয়াশ রুমে গিয়ে চেঞ্জ করে নিলো।নিজের চেঞ্জ করা জামা কাপড় মৃথিলা ওয়াশ রুমেই রেখে আসলো।বাইরে বেরিয়ে এসে দেখে নিরব বিছানায় একটা টাওয়াল বিছিয়ে ভাত,কলা আর জিওল মাছের ঝোল,আর মুরগীর মাংশ রেখেছে।

মৃথিলা দেখেই অবাক।মৃথিলা মিহি কন্ঠে বললো হোটেল থেকে আনিয়েছেন।নিরব হেসে বললো,নাহ আমি নিজে রান্না করেছি।তোমার খুদা লেগেছে জানি,দ্রুত খাবার খাও।

–আপনি খেয়েছেন?

–অতিথি কে অভুক্ত রেখে নিজে কিভাবে খাই বলো তো।এক সাথেই খাই এসো।আর শোনো আমাকে কিন্তু সিনেমার হিরো ভেবো না।যে নিজের প্রেমিকা রেখে অন্যর সাথে বিয়ে হয়েছে বলে তার সাথে খুব বাজে বিহ্যাভ করতে হবে।আরো কিছু ডায়লগ আছে না তুমি আমার জীবন নষ্ট করেছো ইটিছি ব্লা ব্লা ব্লা।শোনো একটা সমস্যায় আমাদের বিয়ে হয়েছে এতে কারোর ই দোষ নেই তাই তুমি যতক্ষণ আমার কাছে আছো যত্নের সাথেই থাকবে।আমি কিন্তু পজিটিভ মাইন্ড এর মানুষ। আবার এটা ভেবো না বউ পেয়ে প্রেমিকা কে ভুলে গিয়েছি।

–নিরব মৃথিলার সাথে খাবার খেয়ে ওয়াশ রুমে গিয়ে দেখে মৃথিলার ড্রেস রাখা।নিরব মৃথিলার ড্রেস ধুয়ে বেল কনিতে মেলে দিলো।মৃথিলা ভীষণ লজ্জা পেলো এমনিতেই মানুষ টা তার পেছনে খেটে চলেছে তার উপর ড্রেস ও ধুয়ে দিচ্ছে।মৃথিলা বললো আমি ধুয়ে দিতাম আপনি কেনো দিচ্ছেন বলুন তো।

–আমি আম্মুর শাড়ি অনেক বার ধুয়ে দিয়েছি।আমি এসব পারি ব্যাপার না।

–নিরব ওর আম্মুকে ফোন দিয়ে সরাসরি বললো আম্মু আমি বিয়ে করেছি।নিরবের আম্মু মনে করেছে নিরব মজা করেছে।নিরবের আম্মু বললো মজা না করে সত্যি একটা বিয়ে করে তো চমকে দিতে পারিস নিরব।নিরব বললো আগামিকাল সকালে বাসায় আসলেই দেখতে পাবে নিজের ছেলের বউ।

–নিরব মনের দিক থেকে অত্যান্ত ভাল একজন মানুষ। মানুষের বিপদে সব সময় এগিয়ে গিয়েছে।কিন্তু অজান্তেই কেমন একটা জালে জড়িয়ে গেলো।বেলকনিতে দাঁড়িয়ে ভেবেই যাচ্ছে কি করবে।একটা বাচ্চা মেয়ের প্রাণ বাঁচাতে তাকে বিয়ে করে ফেলেছে।এইদিকে তার প্রেমিকা মেধা।মেধাকে বড্ড ভালবাসে। মেধার সামনে কিভাবে বলবে এই বিয়ের কথা।তখন মৃথিলাকে বুঝাতে যা ইচ্ছা তাই বলেছে।বাট মেধাকে এখন কিভাবে ফেস করবে।মেধা বিয়ের কথা জেনে যদি কোনো এক্সিডেন্ট করে।একজন কে বাঁচাতে কি আরেক জন কে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিলাম।এই চার মাস রিলেশন মেধার সাথে নিরবের।নিরবের কর্ম ব্যাস্ততায় খুব একটা সময় দিতে পারে না মেধাকে।।চার মাসে চার বার দেখা হয়েছে।কতদিন রিলেশন নিরব এটাকে বেশী গুরুত্ব দেয় না কিন্তু রিলেশন টা গুরুত্বপূর্ণ সেটা মনে করে।জীবন তো আর সিনেমা নয় চাইলেই সিনেমার মতো সব বদলে ফেলবে।কি বলবো মেধাকে।এইদিকে মৃথিলা মেয়েটার মুখের দিকে তাকালে ভীষণ কষ্ট হয়।মেয়েটার জীবন টায় রহস্য ঘেরা।এমন মায়াবী মেয়েটা দেখলেই মায়া চলে আসে।মেধার তো কেউ নেই মা বাবা কেউ না। একটা পরিবারে আশ্রিতা এই কথাটা শুনেই নিরব তাকে ভালবেসেছিলো।নিরব একটা জিনিস মেলাতে পারছে না আশ্রিতা মেয়েটার এত দাম অথচ নিজেদের বাড়ির মেয়েটার কোন দাম নেই সে ফ্যামিলিতে।মেধার থেকে অনেক কিছুই শুনেছে এতদিন নিরব।এক রাশ চিন্তা নিরবের মাথায়।ভাবছে কাল মেধাকে ফোন দিয়ে সব বলবে।

‘কিছুক্ষণ বাদেই বেলকনিতে মৃথিলা গিয়ে বললো ঘুমোবেন না।’

‘এত সকালে তো আমি ঘুমোয় না।’

‘আমার ঘুম পাচ্ছে খুব।’

‘ঘুমোও যাও আমার বেডরুম আজ থেকে তুমি ইউজ করো।’

‘আসলে রুমে একা ভয় করছে আমার।’

‘আচ্ছা চলো আমিও যাচ্ছি।আমি সোফায় বসছি তুমি ঘুমোও।’

‘আমাকে একা রেখে প্লিজ যাবেন না ঘুমের মাঝে।এখানেই থাকবেন।’

খানিকটা রাতে মৃথিলার ঘুম ভাঙতেই চোখে পড়ে নিরব সোফাতে ঘুমোচ্ছে।মৃথিলার ইদানিং সব কিছুতেই ভয় করে।আস্তে করে গিয়ে সোফার কোনায় নিরবের কাছে গুটিসুটি মেরে সুয়ে পড়লো।
নিরবের কোল বালিশ জরিয়ে ধরে ঘুমোনোর অভ্যাস।মধ্যরাতে ঘুমের মাঝে মৃথিলাকে কোল বালিশ ভেবে জড়িয়ে ধরে ঘুমোলো।পরের দিন নিরবের ঘুম ভাঙতেই অবাক হয়এ যায় নিরব।কাল রাতে গরমে গেঞ্জি খুল্র ঘুমিয়েছলো সে।নিরব ঘুম ভাঙতেই দেখে তার কোলের মাঝে মৃথিলা বাচ্চাদের মতো ঘুমোচ্ছে।একদম নিরবের বুকের সাথে মাথা গুজে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন মৃথিলা।নিরবের উন্মুক্ত বুকে মৃথিলার পাতলা গোলাপি ঠোঁট স্পর্শ করে আছে।নিরব মৃথিলাকে না ডেকে ভাবছে সে কি নিজেই কাল মৃথিলাকে এখানে এনেছিলো। মৃথিলা এখানে কিভাবে এসছে।উলটা পালটা কিছু হয় নিতো আবার।

চলবে,,,

(

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here