বিষাক্ত বাঁধন পর্ব -০১+২

চোখ খোলার পর সামনের অপরিচিত মানুষটিকে দেখে হকচকিয়ে গেল তুসি। কোনো দিন এই লোকটিকে দেখেছে বলে মনে করতে পারলনা।কে এই লোকটা আর আমাকেইবা কেন কিডনাপ করল উনি? এইসব যখন ভাবছিলো তখন লোকটি গম্ভীর গলায় বললেন,”কী নাম তোমার?” পরপর আরও দুই বার জিজ্ঞাস করার পর তুসি ভয়ে ভয়ে বলল ত..তুসি ।

তো শোন তুসি ,বেশি বাড়াবাড়ি করবেনা আমরা তোমার কোন ক্ষতি করবোনা শুধু একটা কাজ আছে সেটা শেষ হলে ছেড়ে দেব তোমাকে।তুসি মনে মনে ভাবছে কী বলছে লোকটা ? আমাকে এখানে থাকতে হবে কিন্তু কেন? কিন্তু ভয়ে লোকটাকে জিজ্ঞাস ও করতে পারছেনা যদি কিছু করে বসে লোকটা ।না… না এই সব কিডনাপাররা অনেক খারাপ হয় শুনেছি। লোকটা চলে গেল। তুসি ভাবছে কিছুক্ষন আগের কথা… কিছুক্ষণ আগে …
কলেজ থেকে ফেরার পথে কেউ একজন তুসি কে নাকে একটি রুমাল চেপে অজ্ঞান করে কালো গাড়ি তে তুলে তারপর তুসির আর কিছু মনে নেই।
অন্যদিকে আরিয়ান ভাবছে ,,মেয়েটাকে তো নিয়ে আসলাম এবার পরবতী প্ল্যান করতে হবে ।আরিয়ান যখন এইসব ভাবছিলো তখন রাজ বলে ,ভাই ওইদিকের অবস্থা তো জটিল খান সাহেব অস্থির হয়ে আছে, তার মেয়ে কোথায় গেলো ।আরিয়ান বাঁকা হেসে বলে, রাজ সবে তো খেলা শুরু দেখতে থাকো আরও কত কী হয়।ও আমার জীবন থেকে অনেক কিছু কেড়ে নিয়েছে আমি ও ওর থেকে ওল প্রিয় জিনিস টা কেড়ে নেবো।

রাজ বলে উঠল ভাই মেয়েটাকে দেখতে সহজ সরল লাগছে ,বলছিলাম কি,, তখন আরিয়ান গম্ভীর কন্ঠে বলল ,রাজ আমি কী করব না করব তা নিশ্চিয় তোমার থেকে জিজ্ঞাস করে করবনা । যে কাজ দিয়েছি তা কর যাও।

রাজ চলে যাওয়ার পর ভাবলাম একটু ঘুমানো দরকার হঠাৎ ওই মেয়েটার ঘর থেকে কিছু ভাঙ্গার আওয়াজ আসলো ,আরিয়ান দ্রুতগতির সাথে পা চলিয়ে সেই ঘরে গিয়ে দেখলো মেয়েটা ভয়ে জড়সড় হয়ে খাটের এক কোনে বসে আছে আর চিৎকার করছে তার সামনে টমি দাড়িয়ে আছে ।আরিয়ান কে দেখে তুসির প্রাণ ফিরে এলো ,বলত লাগলো আমাকে বাঁচান। এই কুকুর টা আমাকে কামড়ে দেবে।আরিয়ান তাকিয়ে দেখল তুসি অনেক ভয়ে আছে ।টমিকে বলল,Tomi come ,she is our guest..come here tomi.. টমি আরিয়ান এর কাছে গেলো ।সার্ভেন্ট কে ডেকে টমিকে পাঠিয়ে দিল। তুসিকে বলল, আপনি আমির চার হাজার টাকার শোপিচ ভেঙ্গেছেন ।এর মূল্য তো দিতে হবে।তুসি বলল,আমি ইচ্ছা করে ভাঙ্গিনি কুকুর টা আমাকে কামড়াতে চেয়েছিল আমি তাড়াহুড়ো করে খাটে উঠতে গিয়ে হাত লেগে পরে গেছে ।গম্ভীর গলায় আরিয়ান বলে উঠল ,এতসব আমি জানিনা আমার জিনিস ভেঙ্গেছেন এখন দাম দেন নাহয় শাঁস্তি পেতে হবে ।
তুসি ভাবছে লোকটা এত বড়লোক হওয়ার পরও একটা সামান্য জিনিস ভাঙ্গা, জন্য দাম চাইছে? সত্যি অবাক করা বিষয়। প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দিন। ক্ষমা নামক কোনো শব্দ আমার পছন্দ নয় হয় দাম দাও নাহয় শাস্তির জন্য প্রস্তুত থাকো আরিয়ান এর এমন কথায় অবাক হয়ে গেলো তুসি কিছুই বলতে পারলনা আর আরিয়ান হনহন করে বেরিয়ে গেল ।

🌸🌸🌸

খান বারিতে হইচই চলছে দুপুর থেকে তাদের একমাত্র আদরের কন্যা, কলিজার টুকরা কোথায় গেলো ।কেউ তা জানেনা আশরাফ খানের প্রেশার বেড়ে গেছে তার মেয়ের চিন্তায় ।কোথায় গেল তার তুসি মামনি কিছুই ভাবতে পিরছেননা তিনি ।তার অনেক শত্রু তার মধ্যে কে ?নাহ কিছুই মাথায় আসছেনা ।

রুকসানা বেগম হাজির হলেন তার সামনে ক্রন্দন গলায় স্বামীকে জিজ্ঞাস করল,আপনি আমার মেয়ে কে এনে দেন কোথায় গেলো আমার তুসি ,আমার কলিজার ধন কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে আমার ঘর টা খালি হয়ে গেল। কিছু বলছেননা কেন আপনি? আশরাফ খান স্ত্রী কে শান্ত গলায় বলল থামো রুকসানা আমি সব পুলিশ স্টেশনে খবর পাঠিয়ে দিয়েছি ।তুমি চিন্তা করো না তুসি কে আমরা খুব তাড়াতাড়ি পেয়ে যাবো ।আমি যাচ্ছি কেঁদো না তুমি এই বলে বেরিয়ে গেলেন আশরাফ খান স্ত্রী কে শান্ত করলেও মনে মনে তিনি নিজেই অনেক ভয় পেয়ে আছেন ।

এবার পরিচয় করিয়ে দিই সানজিদা সুলতানা তুসি খান পরিবারের একমাত্র মেয়ে। আশরাফ খান একজন বিখ্যাত ব্যবসায়ী দেশে বিদেশে তার অনেক ব্যবসা। অন্যদিকে আরিয়ানও একজন সফল ব্যবসায়ী। (তুসিকে নিয়ে আসার অনেক কারণ আছে সেটা ধীরে ধীরে জানতে পারবেন)।

সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা ,জ্ঞান ফিরার পর থেকে পটে কিছু পাড়েনি তুসির ।খিদেয় পেট ছোছো করছে চিৎকার করে বলছে আম্কে খাবার দিন কেউ আছেন ? আপনারা কেমন মানুষ একজন মেয়ে কে এতক্ষণ না খাইয়ে রেখেছেন। নাহ.. এবারও কোনো আওয়াজ আসছনা ।কী করি অনেক খিধে পেয়েছে করো কোনো শব্দ পাওয়া যাচ্ছে না। উফ, এতক্ষণ না খেয়ে থাকিনি ।
শুনছেন কেউ আ.. কি হলো চেঁচাচ্ছ কেন? আরিয়ান এর কথার উত্তরে তুসি বলল,আপনি আমাকে কিডনাপ করে আনছেন ভালো কথা । কয়েক দিন পর ছেড়ে দেবেন তাও ভালো কথা কিন্তু না খাইয়ে রেখেছেন আমাকে সেই দুপুর থেকে এটা কেমন কথা?
আরিয়ান ভাবছে আসলে মেয়েটাকে কিছু খেতে দিইনি মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে খুব খিদে পেয়েছে মেয়েটার মনে মনে এসব ভাবলেও মুখ বলল এক বেলা খাবার না খেলে মরে যাবে না। সার্ভেন্ট
কে বলে দিচ্ছি খাবার দেবে। তুসি বলল জলদি প্লিজ …

খাবার খেয়ে তুসি শুয়ে আছে আর ভাবছে না জানি আব্বু কি করছে মা তো মনে হয় কেঁদে সব ভাসিয়ে ফেলছে । বলতে বলতে ওর বাগানের দিকে নজর গেলো। ওমা কী সুন্দর একটা জায়গায়! কত রকমের গোলাপ ফুল রয়েছে। আরো নানা রকমের ফুল ।খুব ভালো লাগছে আমার এইখানে। আহারে আমার বাগানে কেন যে ঐত ফুল নেই । থাক নেই তো কী হয়েছে আব্বু কে বলে আমি এই রকম আরো অনেক অনেক ফুল গাছ লাগাবো তখন আমার বাগান টাও এমন সুন্দর লাগবে । তুসি দোলনায় বসে ফুল দেখছে আর নিজের মনে মনে ভাবছে এইসব সেই সময় সামনে চেয়ে দেখলো একটা লোক বাগান দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে একটা কাঠ গোলাগ ফুল ছিঁড়ে নিয়ে এইদিকে আসছে ,শুধু তাই না পাপড়ি গুলোও সব ছিড়ছে এক এক করে তা দেখে তুসি রাগ চলে এলো সে ফুল ছিঁড়া পছন্দ করে না এমনেতেও তার উপর এই লোকটি তো অকারনে ছিড়ছে কোমড়ে হাত দিয়ে তার সামনে এসে দাঁড়ায়ে রাগি চোখ তাকিয়ে বলল, “এই যে খারাপ লোক আপনি কি জন্য ফুল টা ছিড়লেন”?
#বিষাক্ত_বাঁধন
#পর্ব_২
#অনামিকা_জাহান_জাফরিন।

এই যে খারাপ লোক আপনি ফুল ছিঁড়লেন কেন? জানেন না ফুল গাছে সুন্দর?

রাজ বাগান দিয়ে হেঁটে বাড়িতে যাওয়ার সময় ওর একটা গোলাপ ফুল ছিঁড়ে নিয়ে যাচ্ছিল ও প্রায় সময়ই ফুল ছিঁড়ে অকারনে। এতগুলো ফুলের মধ্যে একটা গোলাপ ফুল ছিঁড়লেইবা কী কেউ তো কোনো দিন কিছু বলে নি কিন্তু আজ মেয়ে টার কথায় একটু অবাকই হলো । মেয়ে টা একটা গোলাপ ফুল ছিঁড়েছি দেখে কইফিয়ত চাইছে আজব! তাও শান্ত গলায় বলল, একটি মাত্র ফুল ছিঁড়েছি তাতে কী হয়েছে?

কী হয়েছে মানে আপনি জানেন না ফুল গুলো গাছে সুন্দর। আহারে ফুল এখন শুকিয়ে যাবে কিছুক্ষন এর মধ্যে। কেন ছিঁড়লেন?
তুসির কাঁদোকাঁদো গলায় করা প্রশ্নের জবাবে রাজ বিনয়ের সাথে বলল, আচ্ছা আমার ভুল হয়ে গেছে আর কখনো অকারনে ফুল ছিঁড়বোনা কেমন । আচ্ছা তোমার নাম কী? জবাবে তুসি বলে ওঠে সানজিদা সুলতানা তুসি। সুন্দর না আমার নামটা ? জানেন সবাই বলে আমর মতো আমার নামটা ও অনেক কিউট তাই না? অনেক রাত হয়ে গেছে যাই ঘুম আসছে। আরে আপনি কিছু বলছেননা কেন ?

রাজ হা হয়ে তাকিয়ে আছে ,আর ভাবছে আমাকে বলার সুযোগ না দিলে কীভাবে বলব ? এতো বাচাল মেয়ে আমার জায়গায় ভাই হলে তো দু চারটা ধমক দিয়ে দিতো ।

আরে আপনি কিছু বলছেননা কেন কী ভাবছেন বলুনত? তুসির প্রশ্নে ফিরে ভাবনা থেকে বেরিয়ে এলো বলল, না তুমি কত কিউট তাই দেখছিলাম। তুসি তো মহা খুশি হয়ে গেছে আর বলছে আপনিও খুব মিষ্টি ।আচ্ছা কোথায় ঘুমাবো আমি ? আমার সাথে আসো বলে সামনে হাটা দিন রাজ তুসি ও ওর পিজনে পিছনে হাঁটছে।

আরিয়ান ঘুম থেকে উঠে তুসি কে দেখতে গিয়েছিলো । পুরো বাড়ি খুঁজে যখন পেলনা তখন সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় ধেখতে পেল রাজ আর তুসি একসাথে আসছে । তুসি আরিয়ান কে দেখে একটু ভয় পেয়েছে লোকটা যদি বকে আমাকে বাইরে গিয়ে ছিলাম তার জন্য। ধুর আমি ত ভুলে গিয়েছি আমি তো এখানে বেড়াতে আসিনি এরা আমাকে কিডনাপ করেছে ।তুসি তোকে মনে রাখতে হবে তুই কিডনাপ হয়ে গেছিস । নিজ মন মতো যা ইচ্ছা তাই করতে পারবিনা ।
ওর ভাবনার মধ্যেই আরিয়ান ধমকে উঠল ওকে ,এই মেয়ে কোথায় গিয়েছিলে ? তুমি কি চাও তোমাকে আমি হাত পা বেঁধে রাখি ।তড়িৎ গতিতে তুসি মাথা নাড়ল। তাহলে বাড়ির বাইরে যেতে পারবে না । বুঝতে পেরেছো কী বললাম আমি?
হ্যাঁ হ্যাঁ বুঝেছি এখন যাই আমার ঘুম পেয়েছে কোথায় ঘুমাবো দেখিয়ে দিন। সার্ভেন্টকে ডেকে তুসি কে ঘুমানোর জন্য রুম দেখিয়ে দিতে বলে সোফায় বসসে রাজকে বসার জন্য ইশারা করল।
তো কী খবর খান সাহেবের?কান্নাকাটি করছে নাকি ।রাজ উত্তরে বলল না ওনার বৌ কাঁদছে উনি হব পুলিশ স্টেশনে খবর পাঠাচ্ছেন এইসব নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করছেন । ভালো ব্যায়াম স্বাস্থ্যের জন্য ভালো অনেক তো নিশ্চিন্তে ছিলেন এবার একটু ব্যায়াম করুক।
ভাই কী করতে চাইছেন আপনি ?

আরিয়ান গম্ভীর কন্ঠে বলল সময় এলে দেখতে পাবে যাও ঘুমাও অনেক রাত হয়ে গেছে। আচ্ছা বলে রাজ নিজের ঘরের দিকে রওনা হলো ।

🌸🌸🌸

রাত ১২ টা নিজের ঘরে বসে লেপটপে অফিসের কিছু কাজ করছে আরিয়ান। কাজ শেষে পানি খাওয়ার জন্য যখন বোতল নিল দেখল তা খালি তাই পুরানোর জন্য নিচে যাচ্ছে। তুসির ঘর সামনে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় তুসির কথার আওয়াজ পেলো
আরিয়ান: আরে মেয়েটা কী এখনো জেগে আছে নাকি? দেখিত । রুমে ঢুকে দেখলো তুসি ঘুমিয়ে আছে ঠিকি তবে ও ঘুমের ঘোরে কী যেন বলছে।
আরো কাছে গিয়ে আরিয়ান স্পষ্ট শুনতে পেল তুসি বলছে : আম্মু আমার পিঠে কী যেন একটা ঢুকেছে কামড়াচ্ছ দেখো তো, আহ…. কথার মাঝেই আর্তনাত করে উঠে তুসি । মেয়েটা ঘুমের ঘোরে মাকে নিজের পিঠ দেখতে বলছে হয়ত ঘুমের মধ্যে ভুলেই গিয়েছে যে এইখানে তার মা নে আর সে অন্য করো কাছে বন্ধী । কী করব দেখবো না না ও তো ওর মা ভেবে কথা টা বলছে ।একজন মেয়ের ঘুমের মধ্যে তার বিনা অনুমতিতে আমার ওর কাছে যাওয়া ঠিক হবে না , এই বলে বেরিয়ে যেতে চাইলে তুসি আবার চেঁচিয়েওঠে বলে, উফ্ ….দেখোনা আম্মু কী হয়েছে পিঠে খুব জলছে…

আরিয়ান দিধাদন্ধ পেরিয়ে সিদ্ধান্ত নিল ও দেখবে মেয়েটা এত বার চেঁচাচ্ছে নিশ্চয় খুব ব্যথা পাচ্ছে না দেখি কী হল আর ও ত ঘুমে কিছু বুঝতে পারবেনা । নার্ভাস লাগছে খুব আরিয়ান । কোনো দিন কোনো মেয়ের এত কাছে যাইনি ও খুব শক্ত মনের হলো মেয়েদের বেলায় ওর অস্বস্তি ফিল করে , নার্ভাস লাগে। শুনতে হাস্যকর হলেও এটাই সত্য । ও মেয়েদের একরকম এভোয়েড করে চলে সব সময়। আজকে কোনো মেয়ের কাছে যাবে ভেবে নাভার্স লাগছে।

আরিয়ান বিছানায় বসে কাঁপাকাঁপা হাতে তুসির জামাটা একটু পিঠ থেকে উপরে তুলে সেই পোকাটার সন্ধান চালাচ্ছে। অবশেষে সেই পোকা টার খোঁজ পাওয়া গেছে। খুবই ছোট একধরনের পোকা পিঁপড়ার মতো তবে এগুলো কামড়ালে পুলে যায় আর অনেক ব্যথা করে । পোকাটা হাতে নিয়ে তড়িৎ গতিতে তুসির জামাটা ঠিক করে ওর রুম থেকে বেরিয়ে এসে হাফ ছেড়ে বাঁচে। যাক বাবা মেয়ে টা ঘুম থেকে উঠে নি নাহলে কি না কি ভাবত পানি নিয়ে রুমে গিয়ে ঘুমানোর জন্য শুয়ে পড়ল । চোখ বন্ধ করার পর তুসির পিঠ এর সেই দৃশ্য টা চোখের সামনে ভেসে উঠল। হকচকিয়ে চোখ খুলে বসে যায় আরিয়ান ভাবছে উফ্ .. কী হচ্ছে এইসব ? এগুলো কী ভাবছি আমি ছি. ছি. ছি . প্রথম কোনো মেয়েকে এইরকম কাছ থেকে দেখেছি তো তাই হয়ত এমন হচ্ছে। ঘুমানো দরকার এই বলে চোখ বন্ধ করে শুয়ে পড়ল।

🌸🌸🌸

সকাল সাড়ে পাঁচ টা বাজে । সূর্যের আলো ছড়িয়ে পড়ছে পৃথিবীর বুকে । কেউ হাসি কেউ বা কান্না দিয়ে দিন শুরু করছে । তেমনি তুসির মা রুকসানা বেগম । নিজের মেয়ে টা কে পুরু একটা দিন না দেখে পাগল প্রায় হয়ে গেছেন তিনি । কাঁদতে কাঁদতে অস্থির রাত থেকে মেয়ের কোনোই খবর পাচ্ছেন না । সারা রাত দুই চোখের পাতা এক করতে পারেনি । কাঁদছে আর বিলাপ করে বলছে না জানি কোন জায়গায় আমার মেয়ে টা আছে । আমার সহজ সরল মেয়ে টার সাথে কী হচ্ছে কে জানে? আমার বাড়ি টা এক দিনেই কেমন ঠান্ডা হয়ে গেছে ও থাকলে সারা দিন এটা সেটা বলে ঘর টা মাতিয়ে রাখত । না জানি কোন অবস্থায় আছে ও । স্বাভাবিক হলে তাও চিন্তা কম থাকত কিন্তু আমার মেয়ে টা এখনো বাচ্চা। হাতে পায়ে বড় হলেও মন আর স্বভাব সবই বাচ্চা। আল্লাহ ওকে দেখে রেখো

ভোরের আলো এসে চোখে পড়ায় তুসির ঘুম ভেঙ্গে গেল। ঘুম থেকে উঠেই মায়ের কথা মনে পড়ছে ওর । প্রতিদিন সকালে মা ঘুম থেকে উঠাতো ডেকে। তা ছাড়া তো ও উঠতেই পারতোনা ।রোজ ওকে ডেকে তোলা মায়ের রোজকার রুটিন ছিল । অথচ, আজ নিজে নিজেই উঠে গেলো । ফ্রেশ হয়ে সর্ব প্রথম বাগানের দিকেই এগিয়ে গেল। এই বাগান টা ওর খুব পছন্দ হয়েছে। বাগানে গিয়ে দেখলো ……

চলবে….

ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন।
#বিষাক্ত _বাঁধন
#পর্ব_ 1

#অনামিকা _জাহান _জাফরিন।
চলবে……

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here