বিষাক্ত বাঁধন পর্ব -১০+১১

#বিষাক্ত_বাঁধন
#পর্ব_১০
#অনামিকা_জাহান_জাফরিন

কথোপকথোপে শুনা যাচ্ছে আশরাফ বলছে,,,,
তোমাকে যা বলেছি কর বুঝতে পেরেছো ।নাহলে তুমি কোন কোন চোরা কারবারি করো সেটাও আমি জানি।

লোকটা বলছে , কেন এমন করছ তুমি আমি আজই আতিফ এর সাথে কথা বলব ওকে জিজ্ঞাস করব তুমি এসব কেন করতে চাইছ?

ওকে কিছুই বলবে না তুমি। যা কথা হয়েছে তা আমাদের দুই জনের মধ্যে থাকবে বুঝতে পেরেছো?

আব,,আচ্ছা। ভিডিও টা শেষ হয়ে গেলো।

আতিফ টলমলে চোখে বলছে না না এ হতে পারে না ও আমার বন্ধু আশরাফ । ও এমন করতে পারে না।তাহির বিরক্তিমাখা কন্ঠে বলল,
ভাইজান নিজের চোখে দেখে কানে শুনেও বিশ্বাস করছেননা আপনি?

আমি সত্যিই বিশ্বাস করতে পারছিনা তাহির ও কি করে এমন করতে পারে ?

ভাইজান শান্ত হোন।আপনি বাড়ি যান ।আমি আছি এইখানে।আপনার বিশ্রাম এর প্রয়োজন।

ঠিক আছে যাচ্ছি।

আতিফ বাড়িতে এসে দেখে রাইমা ঘুমিয়ে আছে।

কিছুক্ষণ পর কল এলো ব্যাংক থেকে। একে একে পাওনাদারেরাও কল করতে শুরু করেছে।কেও কিছুতেই সময় দিতে পারবেনা। ব্যাবসায় লস হয়েছে শুনেছে তাই সবাই মিলে একসাথে টাকা চাইছে।

কি করবে আতিফ বুঝতে পারছেনা হঠাৎ আরিয়ান বাবার রুমে এসে সোফায় বসে বলল বাবা তোমার খুব চিন্তা তাই না?

আতিফ উত্তরে বলছে, না বাবা ।তুমি খেয়েছো?

হ্যাঁ বাবা কিন্তু আম্মু খায়নি খুব কান্না করছে ।

আচ্ছা ঠিক আছে আমি আর তোমার আম্মু একসাথে খাবো ঠিক আছে ? তুমি যাও ঘুমাও বাবা।

আচ্ছা বাবা ,লাভ ইউ।

লাভ ইউ টু বাবু।

মাঝরাতে হঠাৎ কলিং বেল এর শব্দে আতিফ এর ঘুম ভেঙ্গে যায়। দরজা খুলে দেখতে পায়, কিছু লোক দাঁড়িয়ে আছে দেখতে সুবিধার মনে হচ্ছে না।আতিফ বলছে কে ভাই আপনারা?

আমরা কে তা এখনি বুঝতে পারবে ভেরে চল এই বলে আতিফ কে ধাক্কা দিয়ে ভেতরে ফেলে দিয়েছে।

কি করছেন আপনারা ?কি চাই আপনাদের ?

তোর সব সম্পত্তি চাই ।এক্ষুনি সব ক্গজ পত্রে সাইন কর।

অসম্ভব আমি করতে পারবনা সবাই আমার কাছে টাকা পায়।এই সম্পত্তি বিক্রি করে আমি ওদের ধার শোধ করব।

বেঁচে থাকলেতো করবি ,যদি বাঁচতে চাস তাহলে যা বলছি কর ।

করবনা আমার এত কষ্টে অর্জিত এই সব সম্পত্তি অমি কিছুতেই তোমাদের কথা মানবোনা ।

ঠিক আছে তাহলে আর কি করার তোমাকে বাঁচিয়ে রেখে কি লাভ মরো তুমি। এই বলে ওকে একটা ছুরি দিয়ে পেটে অঘাত করল ওর চিৎকার শুনে রাইমা ছুটে আসার সময় সিঁড়ি থেকে স্লিপ করে পড়ে যায়। মুহুর্তেই শোকের ছায়া নেমে আসে চৌধুরি পরিবারে । আতিফ এর পেট থেকে অনেক রক্ত বের হচ্ছে তাও রাইমা পড়ে গেছে দেখে ওর কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতে ওই লোকটা আবার ওর পেটের সেই ক্ষতে ছুরি ঢুকিয়ে দেয়।
আতিফ চিৎকার করে বলছে ওকে হাসপাতালে নিয়ে যাও ও মরে যাবে ।আমার,আমার বাচ্চা বলেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল আতিফ। চারদিকে শুধু হাহাকার ।প্রতিটা দেওয়ালে ওদের আর্তনাদ আর চিৎকার প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে শুধু ।

ওই লোকগুলো কাগজে আতিফ এর আঙ্গুল এর চাপ নিয়ে চলে গেছে।

আতিফ হামাগুড়ি দিয়ে অনৃক কষ্টে রাইমার কাছে গেলো রাইমা পেট চেপে ধরে চিৎকার করছে শুধু আতিফ ওর হাত ধরে বলছে আমাকে ক্ষমা করে দাও অমি তোমাকে আর আমার সন্তান কে বাচাতে পারছিনা। কাঁদতে কাঁদতে এসব বলছে আতিফ।

হঠাৎ করে কেউ একজন দৌড়ে আসে ওদের কাছে আর বলে মামা কি হয়েছে?
মামির এই অবস্থায় কেন?কিন্তু ততক্ষণে দুজনে অজ্ঞান হয়ে গেছে। সে এম্বুলেন্স ডেকে ওদের হাসপাতালে নিয়ে যায়।

আরিয়ান এইসবের কিছুই জানে না ।ও ঘুমোচ্ছে রুমের দরজা বন্ধ তাই শব্দ শুনতে পারছে না ও।

পরদিন সকালে হাসপাতালে ডাক্তার জানায় আতিফ মারা গেছে।আর রাইমার অবস্থা খুবই ভয়াবহ। তবে বাচ্ছাটা মিসক্যারেজ হয়ে গেছে।

আরিয়ান ঘুম থেকে উঠে বাবা মা কাউকে দেখতে পা পেয়ে খুব বিচলিত হয়ে গেলো । সবাইকে জিজ্ঞেস করছে কিন্তু কেউ বলছেনা কিছুই।শেষে অনেক কান্নাকাটি করার পর রহিমা খালা ওকে সব খুলে বলল। শুনেই আরিয়ান অনেক ভেঙ্গে পড়ল। রহিমা খালা সামলানোর অনেক চেষ্টা করছে কিন্তু কিছুতেই আরিয়ান কে থামাতে পারছেনা।

শেষে তাহির এসে ওকে শান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করল ।

আতিফ এর জানাজার কাজ শেষে ওকে দাফন সম্পন্ন করা হলো ।আরিয়ান ওর বাবার কবরে মাটি দেওয়া শেষ হলে ওখানেই বসে বসে কান্না করছে আর বলছে,বাবা তুমি কেন আমাকে ছেড়ে চলে গেলে ।আমি কি করে থাকব ।আম্মু ও আমার সাথে নেই।তোমরা সবাই আমাকে ছেড়ে চলে গেলে। সেইদিন ছোট বাচ্চাটার কান্নায় আকাশ ও যেন কেঁদে উঠল গগন কাঁপিয়ে বৃষ্টি শুরু হলো।

সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে কান্না কিছুতেই থামাতে পারে না।আজো তার ব্যতিক্রম নয়।
বাতাস আসছে বেলকনি দিয়ে। আরিয়ান ভাবল এবার রুমে যাওয়া দরকার অতীতের কথা ভাবতে ভাবতে কখন সময় পার হয়ে গেছে বুঝাই যায় নি।

আরিয়ান রুমে এসে দেখলো তুসি শীতে কাঁপছে। গায়ে পাতলা শাড়ি তাই হয়ত।

একটা কাথা ওর গায়ে জড়িয়ে দিয়ে উঠতে যেয়েও কি যেন ভেবে আবার তুসির পাশে বসে পড়ল অনেক দিন পর কাউকে নিয়ে ভাবছে ও ।কারো হাসিতে হাসছে আর তার কান্নায় বুকে গভীর ব্যথা অনুভব হয়। জীবনে ভাবেনি কখনো কোনো মেয়ের মায়ায় জড়িয়ে যাবে। তবে ওকে দেখলে মনে অনেক টান অনুভব হয়। সেটা কি তার রুকসানা মামনির মেয়ে বলে।
রুকসানা যখন একটা সন্তান এর জন্য কাদঁতো,তখন আরিয়ান তার মামনিকে জড়িয়ে ধরে বলত ,তুমি কেঁদোনা মামনি দেখবে তোমার অনেক সুন্দর একটা প্রিন্সেস হবে আর তাকে অমি বিয়ে করব ।আমকে তো তোমরা প্রিন্স বলো ।তাহলে প্রিন্স আর প্রিন্সেস এর বিয়ে হলে তো খুব ভালো হবে তাই না বলো।

রুকসানা খুশি হয়ে বলল, একদম ঠিক বলেছে আমার বাবাইটা ।

আজ তো এই প্রিন্সেস সত্যি তার বৌ হয়ে গেলো সেটা কি তার রুকসানা মামনি জানে?

হয়তো জানে না জানলে নিশ্চয় অনেক খুশি হতো।

আচ্ছা এইসব কি ভাবছি আমি ওকে আমার বৌ মেনে নিচ্ছি ভেবেই অবাক লাগছে ওর কাছে।

তবে কি ও তুসির মায়ায় ওর বন্ধনে জড়িয়ে যাচ্ছে ।ওর #বিষাক্ত_বাঁধন এ বাঁধা পড়ছে যেই বাঁধন ওর রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে যাচ্ছে ধীরে ধীরে।
#বিষাক্ত_বাঁধন
#পর্ব _১১
#অনামিকা_জাহান_জাফরিন

সকালে সূর্যের আলো চোখে পড়ায় তুসির ঘুম ভেঙে গেলো।উঠে আড়মোড়া ভাঙ্গতেই আরিয়ান কে সোফায় শোয়া অবস্থায় দেখতে পেল।

‘আরিয়ান, তুসি উঠেছ তোমরা নাস্তা করতে আসো।জলদি কর আমরা অপেক্ষা করছি।’

হঠাৎ দরজার বাইরে থেকে রিমার কন্ঠ শুনে হকচকিয়ে গেল তুসি। ফের আবার রিমা বলল তোমরা উঠেছ? তুসি ,,

হ্যাঁ ,হ্যাঁ আমি উঠেছি ভাবি।

তাহলে আরিয়ান কে ও উঠিয়ে দাও জলদি কর।

আব,,আচ্ছা ঠিক আছে।

তুসি ফ্রেশ হয়ে এসে আরিয়ান কে কিভাবে জাগিবে সেটা ভাবছে।
উফফফ্ এই লোক কে এখন কীভাবে তুলবো ঘুম থেকে? তাও চেষ্টা করি।

শুনুন ,,শুনছেন,,উঠুন ।ভাবি ডাকছে নাস্তা করার জন্য। শুনতে পারছেন?

হ্যাঁ জান।আমি তোমার কথা না শুনলে কার কথা শুনব? এইটা বলেই আরিয়ান তুসিকে নিজের বাহুডোরে আবদ্ধ্য করে নিল।

এই রকম আচমকা আক্রমণের জন্য তুসি মোটেও প্রস্তুত ছিল না।আরিয়ান এর বুকে ওর মাথা ঠেকল ।ওর হার্টবিট স্পষ্ট শুনতে পেল তুসি। হাত পা কাঁপছে ওর নিজেকে ছাড়ানোর শক্তি ও পাচ্ছে না তুসি।অনেক কষ্টে বলল, ক,,কি করছেন ছাড়ুন আমায়।

কেন জান ? তোমার ভালোলাগছেনা ? আমিত ভাবছি আজ সারা দিন আমরা এভাবে থাকবো।

আরে কি বলছে কি লোকটা পাগল হয়ে গেলো নাকি মনে মনে এইসব বললেও নিজেকে দমিয়ে আরিয়ান কে বলল, ভাবি ডাকছে আমাদের নাস্তা করার জন্য। চলুন।শেষে ওর গা ঝাঁকিয়ে জাগানোর চেষ্টা করছে তুসি।
অনেক চেষ্টার পর শেষে আরিয়ান চোখ খুলে নিজের অবস্থান দেখে তুসি কে নিজের থেকে সরিয়ে বলল, কি করছ তুমি আমার ওপর?

কিছু না ,,আমি আপনাকে জাগাতে এসেছি আর

আর কি আমার ওপর শুয়ে জাগাচ্ছিলে?

আমি নয় আপনি ,অপনি আমাকে

হ্যাঁ ,,হ্যাঁ এখন তো আমার দোষই হবে।আরিয়ান স্বপ্ন দেখছিল যে ও আর তুসি একসাথে অনেক খুশিতে সংসার করছে আর তুসি ওকে রোজ সকালে জাগাতো আর আরিয়ান ওকে এইভাবে বুকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে থাকত ।কিন্তু এটা সত্যি স্বপ্ন না বুঝতে পেরে কথা কাটানোর জন্য এইসব বলল আর দ্রুত ওয়াশরুমে চলে গেলো।

পরে আরিয়ান ফ্রেশ হয়ে আসলে দুজনে একসাথে নাস্তা করার জন্য নিচে নামছে।আর তা দেখে রিমা বলল,আরে আসছে ,,আসো আসো আজ সকালের জন্য আমি লুচি আর আলুর দম বানিয়েছি।

আলুর দমের কথা শুনে আরিয়ান তারাতারি সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে এলো আর ভাবি কে জড়িয়ে ধরে বলল, উফফফ্ ভাবি মা তুমি কি করে বুঝলে আমার আলুর দম আর লুচি খাওয়ার ইচ্ছা হচ্ছিল?

এমনেই আমি বানিয়েছি। তবে তোমার ইচ্ছা করছিল তাহলেত ভালোই খেয়ে নাও।তুসিও টেবিলে বসল । ও লক্ষ্য করল একটা ছোট বাচ্চা ও বসে আছে ।বয়স আনুমানিক নয় দশ বছর হবে। ছেলেটাও ডেবডেব করে তাকিয়ে আছে ওর দিকে।হঠাৎ বাচ্ছাটা বলে ওঠে মাম্মি পুতুলের মতো এত সুন্দর রাজকুমারীটা কে?

ওইটা তোমার কাকি হয়।তোমারা আরিয়ান চাচ্চুর বৌ।

সত্যি মাম্মি !আমি জড়িয়ে ধরি পুতুল টাকে?

হ্যাঁ অবশ্যই।

মায়ের অনুমতি পেয়ে রিসাদ দৌড়ে তুসির কাছে গিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরল তুসি ওকে কোলে তুলে নিল।
রিসাদ তুসিকে বলল ,পুতুল আরে না তুমিতো আমার কাকি আচ্ছা কাকি তুমি আমাদের সাথে থাকবে?এতদিন কোথায় ছিলে?তোমাকে আমার অনেক পছন্দ হয়েছে।

হয়েছে রিসাদ আসো আমরা এখন নাস্তা করব।কাকিও করবে আসো ।

আচ্ছা মাম্মি।

সবাই নাস্তা শুরু করল ।রিসাদ কে রিমা খাইয়ে দিচ্ছে।আরিয়ান ও নিজের খাওয়া নিয়ে ব্যস্ত কিন্তু তুসি ঠিকমতো খেতে পারছেনা ।এমন না যে ও নিজ হাতে খেতে পারে না। পারে কিন্তু সবসময় মায়ের হাতে খেতে খেতে অভ্যাস হয়ে গেছে। কখনো নিজের হাতে খাওয়ার প্রয়োজনই পড়ে নি।

রুকসানা বেগম আর আশরাফ খান এর বিয়ের দীর্ঘ এগারো বছর পরে তাদের কোল জুড়ে তুসি এসেছিল।তাইতো বহু আকাঙ্খা আর আদরের মেয়েকে কখনো কোনো সমস্যায় পড়তে দেয়নি ।সবসময় রুকসানা বেগম খাবার খাইয়ে দিত তুসিকে ।তাইতো তুসির কখনো নিজে নিজে খায় নি কখনো।

খাবার প্লেটে নাড়াচাড়া করছে।আর দু একবার খাওয়ার চেষ্টা করছে তা মুখে লেগে গেছে।এসব রিমা দেখছিল ।ও বুঝতে পারল নিজের হাতে খাওয়ার অভ্যাস নেই তুসির ।খাওয়ার ধরন দেখলেই যে কেউ বলতে পারবে ।

রিমা তুসির পাশে বসে খাবার ওর মুখে তুলে দিয়ে বলল ,হা কর

তুসি খুশি মনে খাবার মুখে নিল।

তুসি খাবার খেয়ে বলল, অনেক মজা হয়েছে ।ওর কথার জবাবে রিমা বলল তাই নাকি?

হুম।

আরো খাবার মুখে তুলে দিতে দিতে রিমা জিজ্ঞাস করল তুমি নিজের হাতে খেতে পারো না তাই না ?

হ্যাঁ।আমাকেত আম্মু খাইয়ে দেয়।

আচ্ছা তাই নাকি।

হুম।

তোমার আম্মু তোমাকে অনেক আদর করে তাই না?

হ্যাঁ। আমার আম্মু আব্বু আমাকে আদর না করলে কাকে করবে? আমিত তাদের একমাত্র মেয়ে।

তাই নাকি?

হ্যাঁ ।

পুরো নাস্তা খাইয়ে দিলো আস্তে আস্তে।

খাওয়ার শেষে তুসি রিমাকে বলল ,অনেক ধন্যবাদ আপু ।আপনি না খাইয়ে দিলে আমি খেতেই পারতামনা ।

আরিয়ান নাস্তা করার ফাঁকে ফাঁকে সব কিছু লক্ষ্য করছে।মনে মনে ভাবছে ,আচ্ছা এইজন্য মেয়েটা খাবার খেতে চাইতো না।

নাস্তা শেষে আরিয়ান ভাবিকে বলে বেরিয়ে গেল অফিসের উদ্দেশ্যে ।আজ অনেক কাজ আছে।

তুসি রিসাদ এর সাথে খেলছে।যেন নিজেই বাচ্ছা হয়ে গেছে।রিসাদ ত খুব খুশি ।রিমাও খুশি হয়ে নিজের কাজে চলে গেল।

🌸🌸🌸

বিকালে অফিসের সব কাজ শেষ করে আরিয়ান কল করল আশরাফ খান কে।
দুইতিন বার রিং হওয়ার পরে কল রিসিভ করেছে আশরাফ খান বলল,কে বলছেন?জবাবে আরিয়ান বলল, আমাকে আপনি চিনবেন না তুসি কে তো নিশ্চয় চিনেন?

তুসির কথা শুনে আশরাফ উত্তেজিত হয়ে বলল তুসি আমার তুসির কি হয়েছে?

আস্তে ,,আস্তে এতো উত্তেজিত কেন হচ্ছেন?

বলো আমার তুসি কে তুমি কিভাবে চিনো?

কারন ওকে আমার কাছে রেখেছি।

কি ?,,কেন ।কি চাও তুমি কত টাকা লাগবে আমি দিতে রাজি।আমার মেয়ে কে আমার কাছে ফিরিয়ে দাও।

হ্যাঁ ,,দিব,,দিব ।আপনার মেয়েকে আমার কাছে রাখার কোনো ইচ্ছে নেই। আমার কথা মেনে নিলে অজই ছেড়ে দেবো। আর,,হ্যাঁ পুলিশকে বলে নিজের মেয়ের কোনো ক্ষতি নিশ্চয় করতে চাইবেন না। আর আমি না চাওয়া পর্যন্ত অপনার মেয়েকে পাবেন না।

কি চাও বল?

চলবে,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here