বিষাক্ত বাঁধন পর্ব -১২+১৩

#বিষাক্ত_বাঁধন
#পর্ব_১২
#অনামিকা_জাহান_জাফরিন

বল কি চাও?

আরে এত তাড়াতাড়ির কি আছে? ধীরে সুস্থে বলব।

তাড়াতাড়ির কি আছে মানে? আমার মেয়ে আমার কাছে নেই তুমি বুঝতে পারবেনা এইটা আমার জন্য কত বড় একটা দুঃসংবাদ? যাকে এক দিনের জন্য নিজের থেকে দূরে করিনি সেই আজকে এতদিন আমার কাছে নেই। আমার ঘরটা পুরো ফাঁকা হয়ে আছে, উফফফ্ তোমাকে কেন এসব বলছি?

ঠিক আছে চলুন আমরা একটা ডিল করি। আপনার মেয়েকে আমি আপনার কাছে ফিরিয়ে দেব সহিসালামত এমনেতেও আছে সহিসালামত যানিনা কতক্ষণ পর্যন্ত থাকবে ।ভালো হয় যদি খুব জলদি ওকে আপনার কাছে নিয়ে যান ।তার জন্য আমার একটা শর্ত মানতে হবে।

বল কি শর্ত? আমি সব করতে রাজি আছি।

আপনার সমস্ত ব্যাবসা আমার নামে করে দিতে হবে বিশেষ করে আলিবাগ(কাল্পনিক) এ যে ব্যবসাটা আছে সেটা অবশ্যই। ওটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে।

হ্যাঁ আমার সব ব্যবসা সমস্ত সম্পত্তি তোমার নামে করে দেব কিন্তু আলিবাগ এর টা আমি কোনো অবস্থাতেই দিতে হবে ।

কেন?কেন দিতে পারবেন না ? ওইটাইতো আমার বেশি পছন্দ হয়েছে। ওইটা অবশ্যই দিতে হবে।

আমি বলছি না সেটা আমি দিতে পারবোনা। কেন বুঝতে পারছোনা? এইটা সম্ভব না।

তাহলে নিজের মেয়েকে ভুলে যান।তার নিশ্চয়তা আমি দিতে পারবোনা।

এ কেমন কথা ?সেটা সম্ভব না ।হলে আমি দিয়ে দিতাম।

এতকিছু আমি জানি না যা বলেছি এইটাই আমার শর্ত। শর্ত মেনে নিন আর নিজের মেয়ে কে নিয়ে যান।বলা শেষ করে আশরাফ কে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে কল কেটে দিল।

এইদিকে আশরাফ খান খুব চিন্তিত হয়ে গেলো।

না না আমি এটি করতে পারি না । কারো আমানত এইভাবে আমি আমার কাজ হাসিল করার জন্য ব্যবহার করতে পারি না। উফফফ্ কি করবো কিছু বুঝতে পারছি না এইসব মনে মনে ভাবছেন আশরাফ

🌸🌸🌸

রাতে বাড়িতে ফিরে এসে আরিয়ান দেখলো যে রিমা আর রিসাদ সোফায় বসে আছে। আরিয়ান কে দেখতেই রিসাদ চাচ্চুর কাছে চলে গেলো আরিয়ান ওকে কোলে নিয়ে বলল,আরে আমার প্রিন্স!কি করছ?জবাবে রিসাদ বলল ,আমরা তোমার জন্য ওয়েট করছি চাচ্চু সবাই এক সাথে ডিনার করব তাই।ওও তাই নাকি সবাই আমার জন্য বসে আছো?

হুম ,,চাচ্চু। কিন্তু,,,কাকি ঘুমিয়ে পড়েছে। আমরা সকাল থেকে অনেক খেলেছিতো তাই হয়তো কাকি দুর্বল হয়ে গেছে। ওর কথা শেষ হতে রিমা বলল, যাও ফ্রেশ হয়ে এসো একসাথে খাবো আমরা আর তুসিকে জাগানোর দরকার নেই।তোমার খাওয়া শেষ হলে ওর জন্য রুমে নিয়ে যাবে ।

ওকে ডাকলেইতো হয় ভাবিমা।

আরে না মেয়েটাকে অনেক দুর্বল লাগছিল একটু আগেই চোখ লেগেছে ।এখন ডাকলে শরীর খারাপ হবে। তুমি রুমে নিয়ে যাবে।

আচ্ছা ভাবিমা।

আর শুন,ও তোমার বৌ।পবিত্র সম্পর্ক তোমাদের ।আর এই সম্পর্কের সম্মান করা উচিত তোমাদের দুজনেরই।মেয়েটা এখনো ছোট ওর মা বাবা ওকে অনেক ভালোবাসে আমি ওর থেকে শুনেছি।সব কিছু ছেড়ে এইখানে শুধু তোমার ভরসায় এসেছে।তোমার ওর ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে।

হ্যাঁ,হ্যাঁ বুঝেছি ভাবিমা এখন যাই ফ্রেশ হতে।

যাও জলদি আসবে।

সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠতে উঠতে আরিয়ান বলল আচ্ছা।

সবাই একসাথে ডিনার শেষ করল রুমে যাওয়ার সময় রিমা আরিয়ান কে তুসির জন্য খাবার দিয়ে দিল আর ওকে খাইয়ে দিতে বলল।

খাবার নিয়ে আরিয়ান রুমের ভেতরে গিয়ে তুসি কে ডাকছে ওঠার জন্য কিন্তু তুসির কোনো সারা শব্দ পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক ডাকাডাকির পর শেষে তুসি উঠলো।আরিয়ান ওকে বলল যাও ফ্রেশ হয়ে এসো খাবার খাবে।তুসি ঘুম ঘুম চোখে জড়ানো গলায় বলল ,আমি নিজের হাতে খেতে পারবো না ।তো উঠেই বা কি করব?

আমি খাইয়ে দেবো

অ্যা,,,,

অ্যা না হ্যাঁ যাও জলদি কর।

তুসি ফ্রেশ হয়ে আসলে আরিয়ান সত্যি ওকে খাইয়ে দিতে শুরু করল।
খাবার শেষে ওকে তুসি ধন্যবাদ বললে আরিয়ান কিছুই বলে না যেন কিছুই শুনতে পায় নি ও ।তুসি ওকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলল, একবেলা খাইয়ে দিয়েছেন তার জন্য এত ভাব নেওয়ার কি আছে।

আরিয়ান এর খুব হাসি পাচ্চে ওর কথায় কিন্তু অনেক কষ্টে তা চেপে রেখে প্লেট রেখে আসতে চলে গেলো।

🌸🌸🌸

ফার্মেসি থেকে বের হয়েছে তাহিয়া। হঠাৎ ওর পার্স নিয়ে একটা লোক দৌড়ে সামনে চলে গেলো।তাহিয়াও ওর পিছে পিছে দৌড়াচ্ছে আর চিৎকার করে বলছে, help,help.কেউ সাহায্য করো।প্লিজ কেউ সাহায্য করো।
কিন্তু এই গলিতে তেমন কেউ নেই কয়েকজন আছে তারা তামাশা দেখছে হঠাৎ একটা লোক গাড়ি থেকে নেমে এলো আর ওই লোকটার পিছে পিছে দৌড়ানো শুরু করল।
কিছুক্ষণ পরে সেই লোকটাকে ধরেও ফেললার বলল,
আরে দাঁড়া কোথায় যাচ্ছিস?
লোকটা ভয়ে ভয়ে বলল ভাই ভাই প্লিজ আমাকে ছেড়ে দিন আমি পার্স ফিরিয়ে দিচ্ছি।প্লিজ আমাকে ছেড়ে দিন।
এতোই যখন ভয় পাস তো করিস কেন এইসব কাজ?
আমার মায়ের ওষুধ লাগবে এখন, এ ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

সেই লোকটা এইসব শুনে ওর হাতে সাজার টাকার কয়টা নোট গুঁজে দিয়ে পার্স নিয়ে আসতে গিয়ে আবার থেমে গিয়ে বলল ,কাজ করো।কাজ করে নিজের মায়ের ঔষুধ খাওয়ানো বেশি ভালো হবে।যদি তোমার মা জানে যে যেই ওষুধ উনি খাচ্ছেন সেটা তার ছেলে কারো কাছ থেকে ছিনিয়ে এনেছে তাহলে নিশ্চয়ই ওনার কাছে খারাপ লাগবে আবার এমনও হতে পারে যে এ ঔষুধ উনি খাবেনই না।তাই ভালো হয় নিজের মাকে নিজের মেহেনতের করা কাজের মাধ্যমে ওষুধ খাওয়াও, খেয়াল রাখো।তাহলে আল্লাহ্ এবং মা দুজনেই খুশি হবেন।

ছেলেটির চোখের পানি টলমট করছে লোকটার কথা শুনে বলল ভাই আপনি অনেক ভালো ।আপনি আমার চোখ খুলে দিয়েছেন আমি আর এইসব কখনো করবনা।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ দিতে হবে না যাও এখন কেউ দেখে ফেলবে।

ছেলেটি চলে গেলো ।লোকটা সেই পার্স সেই মেয়েটিকে ফিরিয়ে দিতে দেখলো ও তাহিয়া (ওইদিন ওর বান্ধবী ডাকার সময় শুনেছিল)
আরে তুমি এত রাতে এইখানে?

আরে আপনি সেই না যে ওইদিন আমার সাথে পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া করেছেন।

আমার নাম তাসির ।বাই দ্যা ওয়ে এত রাতে এইখানে কি করছো তুমি।

একটু ফার্মেসি তে এসেছিলাম।ধন্যবাদ আপনাকে ।পার্সে আমার ফোন ছিল। আপনি না থাকলে আর ফেরত পেতাম না।

ইট’স ওকে ।কথা বলতে বলতে তাসির এর হঠাৎ ওর হাতে নজর গেলো হাতটা ব্যান্ডেজ করা।তাই জিজ্ঞেস আচ্ছা আপনার হাতে কিছু হয়েছে এইজন্য ফার্মেসীতে গিয়েছিলেন?

আব,,হ্যাঁ। একটু কেটে গিয়েছিল।
একটু কেটে গেলে কেউ এত রাতে ফার্মেসিতে আসে?

চলবে,,,,,,#বিষাক্ত_বাঁধন
#পর্ব_১৩
#অনামিকা_জাহান_জাফরিন

একটু কেটে গেলে কেউ এত রাতে ফার্মেসিতে আসে?

একটু বেশিই কেটেছে তাই এসেছিলাম আর ব্যাথার ঔষুধ ও নিতাম তাই,,

তাহিয়ার কথার প্রেক্ষিতে তাসিন বলল,
আচ্ছা বুঝেছি। যদি চাও আমি তোমায় ঘরে পৌছে দিতে পারি?

কোনো দরকার নেই।আমি চলে যাবো।

এতো রাগ করার কি আছে দেখো আমি তোমার ভালোর জন্যই বলছি এই গলিতে কেউ নেই,এতো রাত হয়েছে আর যদি আমাকে বিশ্বাস না করতে পারো তাহলে থাক।এই বলে তাসির ওর গাড়ির দিকে রওনা হলো,,

তাহিয়া ভেবে দেখলো সত্যি রাত কম হয়নি আর অলরেডি একবার পার্স ছিনতাই হতে যাচ্ছিলো গলিতে মানুষ ও নেই তেমন একটা তাই তাসির এর পিছে পিছে আসলো আর বলল, আচ্ছা ঠিক আছে যাবো আমি আপনার সাথে এমনিতেতো আমি ভয় পাই না একা একা চলার অভ্যেস আছে তবুও আমি না গেলে হয়ত আপনার খারাপ লাগবে আর তা ছাড়া ও আপনি আমার উপকার করেছেন তো,,

তো কি ?তাসিন চোখ ছোট করে তাকিয়ে বলল।

তো যাওয়া যায় আপনার সাথে।

চলো তাহলে,

হুম।

দুজন রওনা দিল তাহিয়ার বাড়ির দিকে।

প্রায় ২০ মিনিট পর পৌছে গেলো ওর বাড়ির সামনে তাসির তাহিয়াকে নামিয়ে দিল ।

তাহিয়া গাড়ি থেকে নেমে এলো আর তাসিন কে ধন্যবাদ দিল ঘরের দিকে রওনা দিবে এমন সময় এক মহিলা বাইরে বের হয়ে এসে বলল ,আচ্ছা তো আপনি এসেছেন ,ওহহহো শেষ পর্যন্ত আপনি এসেছেন তাহলে। কোথায় গিয়েছিলেন হুম?

আসলে আম্মু,,,

কি আসলে হ্যাঁ?কোথায় গিয়েছিলি?

তাসিন সামনে এগিয়ে এসে বলল ,আরে আপনি এইভাবে কেন বলছেন? ওর হাত কেটে গেছে তাই ওষুধ নিতে গিয়েছিল আর ব্যান্ডেজ করাতে।ওর কথার মাঝেই তাহিয়া ভিতু কন্ঠে বলল আপ,আপনি!আপনি চলে যান প্লিজ এইখানে কেন এসেছেন ?

তাহিয়ার মা বলল,আমি ওর মা।ওর সাথে কীভাবে কথা বলব তা আপনার কাছ থেকে শিখতে হবে নাকি হ্যাঁ?

মা,, ভুল হয়ে গেছে আমার ।উনি জানেন না কিছু।প্লিজ অপনা যান চলে যান তাসিন এর উদ্দেশ্য বলে উঠল।

আরে তুমি কেন মাপ চাইছো কোন ধরনের মা এ নিজের মেয়ের হাত কেটে গেছে সেটা নিয়ে কোনো মাথা ব্যথা নেই বাইরে কেন ছিল সেটা নিয়েই পড়ে আছে।

তাহিয়ার মা রাগি কন্ঠে বলল, ওওও বুঝতে পেরেছি এর সাথেই ছিলি তুই তাই না হুম? বল, তাইতো বলি এই ছেলে এমন পটর পটর করে কেন।এই ছেলে যা চলে যা এখান থেকে নাহলে,,

নাহলে কি ? কি করবেন আপনি ? এইসব কোন ধরনের ভাষা নিজের মেয়ের ব্যাপারে কেউ এইভাবে বলে।পৃথিবীতে এমন মা আছে অপনাকে না দেখলে বিশ্বাসই হতো না।

তাসিন এর কথা শেষ হতেই তাহিয়া ওকে বলল প্লিজ আপনি চলে যান,প্লিজ ।আপনি যত থাকবেন এইখানে উনি কথা বাড়াতেই থাকবে।

কিন্তু,,,
কোনো কিন্তু নয়, এইটা আমাদের ঘরের ব্যাপার আমরা দেখবো।আপনি যান নাহলে অপনাকে আরও অপমানিত হতে হবে।
আচ্ছা ঠিক আছে ।এই বলে তাসিন ওকে বিদায় জানিয়ে চলে গেল গাড়ি নিয়ে।
এইদিকে তাহিয়ার মা ওকে অনেক খারাপ খারাপ কথা বলছে ওর হাত ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে রুমে।রুমের ভেতর রেখে ওকে বাইরে দিয়ে দরজা বন্ধ করে দিল ।বাইরে থেকে জোরে শুনিয়ে শুনিয়ে বলল, আজ আসুক তোর বাপ তোকে যদি আমি এই ঘর থেকে না তাড়িয়েছি তো আমার নামও আইরিন নয়।

🌸🌸🌸

সকালে নাস্তার টেবিলে সবাই একসাথে নাস্তা করতেছে।রিসাদ সবার উদ্দেশ্যে বলে উঠল, আমার রেজাল্ট দিয়েছে আর আমি ক্লাস এ পার্স্ট হয়েছি।
আরিয়ান ওর কথায় খুশি হয়ে বলল,আচ্ছা তাই নাকি?
উত্তরে রিমা বলল, হ্যাঁ রিয়ান সত্যি ।আমি গিয়েছিলাম স্কুলে ।

তাই নাকি দেখতে হবে না কার ভাতিজা। এই বলে রিসাদ কে কোলে তুলে নিল আরিয়ান।
রিসাদ আরিয়ান কে বলল ,চাচ্চু তুমি আমাকে প্রমিস করেছিলে আমি যদি ক্লাস এ পার্স্ট হয় তাহলে আমি যা চাইব তাই দিবে।
হ্যাঁ,,আমার মনে আছে ।আমার বাবাটা পার্স্ট হয়েছে তো সে যা চায় তাই হবে।
সত্যি চাচ্চু?

হ্যাঁ সত্যি বাবা।

আমরা সবাই মিলে পিকনিক এ যাবো খুব মজা হবে খুব।খুশিতে গদগদ হয়ে বলল রিসাদ।

আরিয়ান বলল ঠিক আছে বাবা কিন্তু আরো পরে এখন চাচ্চু অনেক বিজি ।

না,না,না, আমি কিছু শুনবোনা আমি আজই যাবো।তুমি প্রমিস করেছিলে এখন আমি যা চাইব তাই দিতে হবে।

রিমা রিসাদ কে ডাক দিয়ে বলল,আচ্ছা ও তো বলছে নিয়ে যাবে আমাদের আরো পরে এরকম জিদ করেনা বাবা।
রিসাদ জেদি কন্ঠে বলল, আমি কিছু শুনবোনা আমি আজই যাবো নাহলে আর ভালো রেজাল্ট করবোনা।
আরিয়ান উত্তেজিত হয়ে বলল,আরে বাবা এইরকম বলে না ঠিক আছে আমরা আজকে যাবো বিকালে।

আরিয়ান এর কথা শুনে রিসাদ খুশি হয়ে বলল, ইয়ে,আমরা পিকনিক এ যাবো ইয়ে। আর রাতে থাকবো কিন্তু।

আচ্ছা, যেরকম আপনার মর্জি। এই বলে রিসাদ এর কপালে কিস করে ভাবি কে বাই বলে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দিল।

তুসি নিরব স্রোতা হয়ে সব শুনছে। আরিয়ান দেখে অবাক হয় ও অনেক।লোকটা সবার সাথে যেমন রূঢ়, রাগি ভাবি আর ভাতিজার সাথে তার একদম বিপরীত।সত্যি পরিবার এমন একটা জিনিস যা আমাদের সব আচার আচরন বদলে দেয়। একটা মানুষ যতই খারাপ হোক না কেন সেটা তার পরিবারের কাছে নয়।তুসির ভাবনার মাঝে রিমা ওকে তাগিত দিয়ে বলল,নাস্তা শেষ করে নিজের আর রিয়ান এর জন্য কাপড়চোপড় গুছিয়ে নাও।হয়তো আমরা দুপুরে ওইখান এ পৌছে যেতে পারি রিসাদ যখন একবার বলে দিয়েছে ও পিকনিক এ যাবে ওখানে খাবে তার মানে দুপুরে ওইখানে খাবো। না যাওয়া পর্যন্ত ওর শান্তি হবেনা।

আমিও যাবো?তুসির প্রশ্নের জবাবে রিমা ঝাড়ি দিয়ে বলল, কিসব বলছো? তুমি যাবে না তো কে যাবে আর তোমার মনে হয় আমি তোমাকে এইখানে রেখে যাবো।অফকোর্স আমরা ফ্যামিলির সবাই যাবো।
আমি তাসিনকে ও কল করে জিজ্ঞেস করে নেবো যত মানুষ বেশি হবে তত মজা বেশি কথা শেষ করে রিমা ওপরে চলে গেলো।
সত্যি বলতে তুসির ও অনেক ভালো লাগে ।কিন্তু কখনো ওকে স্কুলে কিংবা কলেজে যেতে দেয়নি ওর বাবা-মা ।ওদের ভয় ছিলো যে তুসি হারিয়ে না যায় আর ও ওর খেয়াল রাখতে পারবেনা।তাই কখনো দিতনা।একবার তুসি ইস্কুলে নাইনে ছিল তখন ওদের ইস্কুলের স্টুডেন্টদের পিকনিক এ যাওয়ার জন্য সবার বাবা-মা কে বলা হয়েছিল,তুসির প্রায় সব বান্ধবীরা গিয়েছিল কিন্তু ওকে যেতে দেয়নি ওর মা।এই কথা নিয়ে যখন ও খুব রাগ করেছিল তো ওর বাবা ডিসিশন নিলো সবাই মিলে ডিনারে বাইরে যাবে এই কথা শুনে তুসি খুশিও হয়েছে অনেক।সেই রাতে বাবা-মার সাথে বাইরে ডিনার করেছিল। রিসাদ এর ডাকে তুসি বাস্তবে ফিরে এলো এতক্ষণ নিজের ছোটবেলার কথা ভাবছিল।
রিসাদ তুসিকে বলল ,কাকি জানো আমরা সবাই মিলে পিকনিক এ গেলে অনেক মজা হবে আর তাসিন চাচ্চু অনেক অনেক মজার কথা বলে সেগুলো শুনেতো আমি হাসতে হাসতে একধম শেষ হয়ে যাই।

তাই নাকি ?

হুম।
আচ্ছা চলো কাকি আমি কি কি পরব একটু বলো না।

ওকে চলো।
চলবে,,,,,
আসসালামআলাইকুম। সরি গল্প রেগুলার দিতে না পারার জন্য। সত্যিই দুঃখিত ,পড়ালেখার অনেক চাপ সামনে এক্সাম বুঝতেই পারছেন প্রিপারেশন নিতে হচ্ছে।
ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here