বিষাক্ত বাঁধন পর্ব -১৮+১৯

#বিষাক্ত_বাঁধন
#পর্ব_১৮
#অনামিকা_জাহান_জাফরিন।

অফিসে স্তব্ধ অবস্থায় বসে আছে আরিয়ান। সে এতদিন যা ভাবছিল তা কী ভুল ছিল আদও আশরাফ আংকেল এর কি কোনো হাত ছিল তার বাবার মৃত্যুতে?আর তার মা মৃত এতদিন সে এটাই জানত কিন্তু আজ তার মাকে দেখে আনন্দিত অনেক ও।নাহ,,আল্লাহ্ ওকে একদম খালি করেননি।ওর মা তো আছে ওর কাছে।পরক্ষণেই আশরাফ খান তার মাকে লুকিয়ে রেখেছে এই চিন্তা মাথায় আসতেই রাগে কাপতে লাগল ও ।আমার মাকে এতদিন লুকিয়ে রেখেছে ওই লোকটা?কেন কেন এতগুলো বছর আমার মেয়ের মাকে আমার কাছ থেকে দূরে রেখেছে?কি চায় ও আমার বাব্কেতো শেষ পথে বসিয়ে শেষ করে দিয়েছিল আর কি চায়?আমি ভেবেছিলাম শুধু ওর মেয়ে কে হাতিয়ার বানিয়ে ওকে ফথে বসাবো।আর তার পর পুলিশ এ দেবো কিন্তু নাহহ।এইবার বুঝবে আশরাফ খান সম্মান এর কত মূল্য।তার সব সম্মান যধি আমি ছিনিয়ে না নিয়েছি তো আমার নামও আরিয়ান না।কিন্তু আফসোস এর বিষয় এইটাই যে এইসবের মধ্যে তার নিষ্পাপ মেয়ে টা জরিয়ে গেল যেমন আমি জরিয়ে ছিলাম।ওর এইসব ঘৃন্য কর্ম কান্ডের জন্য নিজের শৈশব হারিয়েছি ,বাবা কে হারিয়েছি আর নিজের মা বেঁচে থাকার সত্তেও তার আদর ভালোবাসার থেকে বঞ্চিত আমি।।এইসব ভাবতে ভাবতে নিজের অজান্তেই চোখ দিয়ে গরগর করে পানি পড়ছে।হ্যাঁ,,তার মা বেঁচে আছে।আশরাফ খান এর পিছু নিতে গিয়ে অজ নিজের মা কে দেখেছে সে। আজকে সে আশরাফ খান কে ব্যস্ত ভঙ্গিতে কোথাও যেতে দেখে তার পিছু নেয়। আর সেখান থেকে এসেই মনে এইসব ভাবনার উৎপত্তি হয়।

তখন,,,,,
আশরাফ খান কে দেখে আরিয়ান গাড়ি থামিয়ে ওর পিছু নেয়। আর দেখতে পায় আশরাফ খান একটা ঘর এর সামনে এসে দরজায় আওয়াজ করে খুলতে বলছেন।বাজার থেকে একটু দূরে একটা নির্জন স্থানে সে বাড়ি।আর ঘরটি সেমি পাকা।
কিছুক্ষণ পর একটা লোক ওই ঘর থেকে বের হয়।আর আশরাফ কিছু কথা বলে তারপর ভেতরে ঢুকে।আরিয়ান এর খুব সন্দেহ লাগছে ব্যপারটা তাই ও এগিয়ে এসে জান্লা দিয়ে বোঝার চেষ্টা করছে যে আসলে ভেতরে কি হচ্ছে।
আশরাফ একটা মহিলা কে কি জানি বুঝাচ্ছে।মহিলাটি আরিয়ান এর দিকে ফিরতেই আরিয়ান বাকরুদ্ধ হয়ে গেলো। সে আর কেউ না তার মা রাইমা। নিজের অজান্তেই ওর মা কে দেখে কান্না করছে আরিয়ান। ইচ্ছে করছে একছুটে গিয়ে মাকে জড়িয়ে ধরতে।কিন্তু আশরাফ খান এর সামনে ও এত তারাতারি আসতে চায় না।তাই নিজেকে বহু কষ্টে দমিয়ে রাখলো।তবে সব কিছর পরেও নিজের মাকে বেঁচে থাকতে দেখে প্রচন্ড খুশি হলো সৃষ্টি কর্তার কাছে অসংখ্য ধন্যবাদ দিতে ও ভুললোনা।

বর্তমানে ,,,
এইসব যখন ভাবছিল তখন ওর পি এ আসে কিছু পাইলে সাইন নিতে দুবার তিনবার ডাকার পরেও যখন সাড়া পাচ্ছিল না সে আরিয়ান এর তখন একটু জোরে টেবিলে বাড়ি দিতেই আরিয়ান বাস্তবে ফিরে আসে।
ওর পি এ বলে ,স্যার এই ফাইলগুলোতে সাইন লাগবে ।
আরিয়ান বলল দাও।তার পর ওর পিএ এর দেওয়া সকল ফাইলে সাইন করার পর যখন ও চলে যাচ্ছিল তখন আরিয়ান পেছন থেকে ডেকে বলে ,,আচ্ছা আরিফ(ওর পি এ এর নাম) বলুনতো আপনার সব চাইতে বড় মূল্যবান জিনিস কী ? মানে কোন জিনিসের ক্ষতি হলে আপনার অনেক খারাপ লাগবে?

আরিফ একটু অবাক হলো আরিয়ান এর এভন প্রশ্নে কারন আরিয়ান কাজ এর বাইরে তেমন কোনো কথা বলন না বললেই চলে।এইসব ভাবলেও নিজেকে দমিয়ে যথেষ্ট স্বাভাবিক হয়ে জবাব দিল, স্যার আমার ধন সম্পদ বলতে কিছুই নেই যা হারালে খারাপ লাগবে তবে হ্যাঁ এক ছেলে মেয়ে আছে দুজন।যদি মেয়েটার কোনো কষ্ট পায় আমার খুবই খারাপ লাগে। ছেলে কষ্ট পেলেও লাগে তবে মেয়েটার কিছু হলে সব চেয়ে বেশি কষ্ট লাগে।।এই জন্যই হয়তো বলে মেয়েরা বাবাদের সব চেয়ে আদরের ও মূল্যবান বস্তু।
আরিয়ান বলল আচ্ছা যাও ।
আরিফ চলে গেলো আরিয়ান এর কানে এখনো সেই কথাটাই বাজছে যে,মেয়েরা বাবাদের সব চাইতে আদরের ও মূল্যবান বস্তু।।মনে মনে একটা কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল। মেয়েরা যেহেতু বাবাদের সব চাইতে আদরের ও মূল্যবান বস্তু আশরাফ খানের তাই হবে।তার সব চাইতে মূল্যবান ও আদরের বস্তুর সাথে কি হবে সেটাই দেখায বিষয়।।এই ভেবে ভয়ংকর হাসি দিল আরিয়ান। ।

🌸🌸🌸

তাসিন তাহিয়াকে নাস্তা করার জন্য উঠতে বলছে কিন্তু তাহিয়া কিছুতেই উঠছেনা দেখে তাসিন কিছুটা পানি ওর মুখে মারতে তাহিয়া হকচকিয়ে উঠে বলল ,আপ,,আপনি,, আপনি আবার সকাল সকাল কি শুরু করছেন? রাতেও ভয় পাইয়ে দিয়েছিলেন।
রাতে,,,,, তাসিন তাহিয়ার মনের ভাব বোঝার জন্য মজা করে বলেছিল ,চলো আমরা আমাদের বাসর রাত শুরু করি এই কথা শুনে তাহিয়া ভীতু কন্ঠে বলল, ক,,কি বলছেন আপনি? স,,সত্যি?
তাসিন এর খুব হাসি পাচ্ছিল তাহিয়ার ফেস দেখে তাও তা দমিয়ে বলল, বিয়ের পরে বাসররাত হয় এটা জানোনা নাকি তুমি? শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হিয়েছে আমাদের।
তাহিয়া এবার কেঁদে দিবে এমন ভাব এই সময় তাসিন আর নিজের হাসি চেপে রাখতে পারলোনা।হাসতে হাসতে বিছানায় শুয়ে পড়ল ও ।
তাহিয়া বোকার মতো ওর হাসি দেখছে।
তাসিন এর হাসি কিছুতেই থামছেনা। কিছুক্ষণ পরে ও স্বাভাবিক হয়ে বলল, আরে তোমাকে ভয় পেলে এত তোমার ফেস দেখে এত হাসি যে কনট্রোল করা কষ্টকর।
তাহিয়া এখনো কিছু বুঝতে পারছে না তাসিন এর কথা ও বলল ,,কি বলছেন ,,কিছুই বুঝতে পারছিনা আমি।
তাসিন বলল, আরে আমি মজা করছিলাম তুমি তা সিরিয়াসলি নিয়ে নিয়েছো?যাই বলো,তোমার রিয়েকশনটা অনেক ফানি ছিল বলে আবার আরেকদফা অট্টহাসি তে মেতে ওঠল ও।তাহিয়ার খুব রাগ লাগছিল ।গাল ফুলিয়ে রেখে বলল, আমার চশমা নেই তাই আমি কিছু ক্লিয়ার দেখতে পারছিনা ।খাবার কি করে খাবো আমি?
তাসিন বলল,আমি ভাবছিলামও কি জানি মিসিং লাগছিল তোমার চেহারায়। “ইয়েস ইট’স চশমা”।
আচ্ছা খেতে পারবেনা যখন চলো আমি খাইয়ে দিই, পরেতো আবার বলবে বিয়ে করে বৌকে না খাইয়ে রেখেছি।
ওর কথার প্রত্তুরে তাহিয়া গাল ফুলিয়ে বলল, আমি মোটেও এমন বলবনা।
তাসিন কিছুটা মুগ্ধ হয়ে বলল, তুমি কি জানো তুমি একটু না অনেক বোকা!!!

চলবে,,,,#বিষাক্ত_বাঁধন
#পর্ব _১৯
#অনামিকা_জাহান_জাফরিন

প্রায় সকাল এগারোটায় তাসিন তাহিয়াকে উঠিয়ে দিল নাস্তা করার জন্য।
আর তাসিন নিজে এতক্ষণ রাতের কথাগুলো ভেবে মুচকি মুচকি হাসছে।
তাহিয়া ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে দেখলো তাসিন একা একা হাসছে ও তাসিন কে বলল, কি ব্যাপার আপনি একা একা হাসছেন কেন??

তাসিন হঠাৎ তাহিয়ার কন্ঠে হকচকিয়ে গেল। নিজেকে সামলে বলে উঠল নাহ কিছু না।নাস্তা কি খেতে পারবে না আমি খাইয়ে দেবো??

উত্তরে তাহিয়া তৎক্ষণাৎ বলে উঠল, আরে না ,,না ।আমি নিজে খেতে পারবো।তখন তো রাত ছিল রুমের লাইটের আলোয় আমি ঝাপসা দেখছিলাম ।দিনে চশমা ছাড়া দেখতে কোনো সমস্যা হয় না।

প্রত্যুত্তরে তাসিন দুষ্টু হাসি দিয়ে বলল, তারমানে তুমি রাতকানা??

তাহিয়া তাসিন এর কথায় রেগে বলল, একদম আমাকে এইসব বলবেন না।শুধু একটু কম দেখতে পায় আমি।

তাসিন বলল, হ্যাঁ বুঝেছি তুমি দিনেতো ভালো থাকো রাতেই শুধু,,,
ওর কৌআ শেষ করার আগে তাহিয়া বলে উঠল, দেখুন আমার ঝগড়া করার একদম মুড় নেই।আমি নাস্তা করবো সরেন,,,
আমি কোথায় সরবো আশ্চর্য??
উফফফ্ আপনি শুধু সারাক্ষণ আমার সাথে ঝগড়া করতে চান। তাহিয়ার কথার জাবাবে তাসিন বলে,তুমি ভুলভাল কথা বলো তাতৃ আমার কি দোষ। আচ্ছা খাবার শেষ করো ,আমরা বিকালে যাবো।

তাহিয়া বলল, কোথায়?
তাসিন বলল, গেলেই দেখতে পারবে।

🌸🌸🌸

আরিয়ান যতদ্রুত সম্ভব অফিসের কাজ সেরে সেই বাগান বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিল,রিসাদ কে বলেছিল সবাই একসাথে দুটোদিন এঞ্জয় করবে কিন্তু সে আজ চলে আসলো অফিসে । অফিসে আজ গুরুত্বপূর্ণ ফাইলে ওর সাই লাগবে তাই বাধ্য হয়ে গিয়েছিল নয়তো কখনোই যেতনা ।নিশ্চয় রিসাদ রাগ করে আছে ভেবেই মুচকি হাসলো ।

সেখানে পৌছে আরিয়ান গাড়ি রেখে দ্রুত ভেতরে গেলো ।যেতেই দেখলো রিসাদ বেতের চেয়ারে বসে আছে আরিয়ান কে দেখা মাত্রই ওর উপর রাগ করেছে বোঝাতে অন্যদিকেপিরে বসল।আরিয়ান বুঝতে পেরে বলল, অজকে আমার বাবাইয়ের জন্য আমি তার পছন্দের একটা খাবার জিনিস এনেছি সে কি খাবে?
রাসাদ ওইদিকে ফেরা অবস্থায় বলল,আমি কথা বলিনা কারো সাথে।
আরিয়ান জবাবে বলল,আচ্ছা তাহলে আমি এই চকলেট ফ্লেভার এই আইসক্রিমটা কি অন্য কাওকে দিয়ে দেবো??
এই কথা শুনে রিসাদ দ্রুত আরিয়ান এর দিকে এগিয়ে এসে বলল ,না এইটা রিসাদ এ খাবে ,।আমি বলেছি কারো সাথে কথা বলিনা ,কিছু খাবোনা তাতো বলিনি।কথা না বললেই কি কিছু খাওয়া যায় না 😑।
আরিয়ান বলল, সেটাই এতক্ষণ তাহলে কে কথা বলল?
রিসাদ গাল ফুলিয়ে বলল, আমি কিছু জানিনা। তবে এই আইসক্রিমটা আমি খাবো।
আরিয়ান মুচকি হেসে বলল, হ্যাঁ হ্যাঁ বাবা তুমি খাও এইটা তোমার জন্যই ।তারপর আস্তে করে বলে এখনো রাগ কমেনি?
রিসাদ বলল,একটু ও না আমাকে তুমি প্রমিস করেছিলে দুইদিন আমরা এইখানে মজা করব
কোথাও যাবে না তুমি। কিন্তু তুমি আজকে চলে গেলে ব্রেকফাস্ট ও করলেনা,রিসাদ কে বাই ও বলে গেলে না।তুমি রিসাদকে প্রমিস করে সেটা রাখোনি তুমিইতো বল,প্রমিস করে তা না রাখলে সে খারাপ লোক তার মানে তুমিও খারাপ লোক আর রিসাদ খারাপ লোকদের সাথে কথা বলে না।

আরিয়ান এর মাথা ঘুরে যাচ্ছে কি বলে এই ছেলে ?আমি কখন বলেছিলাম “কথা না রাখলে সে লোক খারাপ “সেটা এখনো মনে রেখেছে?আল কথা বলবেনা বলবেনা বলে সবড়ই তো বলে দিচ্ছে। তাও আরিয়ান হাসিমুখে বলল,আচ্ছা ঠিক আছে ।
রিসাদ চলে গেলো আইসক্রিম নিয়ে। আরিয়ান রুমে এসে দেখলো তুসি নিজে নিজে কি যেন বলছে তারপর ওর কানে এলো তুসি বলছে,,মনে হচ্ছে আমাকে নিজের হাতে খাবার খাওয়া শিখতে হবে। ইশশ!আম্মু আব্বুর সাথে থাকতে কখনো এমন হয়নি।বলেই গাল ফুলিয়ে ফেলল তুসি। আরিয়ান যা বুঝার বুঝতে পারল তাই উপরে না গিয়ে তুসির জন্য খাবার প্লেটে সাজিয়ে নিয়ে আসল।রুমে এসে তুসিকে বলল,আসো খাবার খেয়ে নাও।
জবাবে তুসি বলল,আমি তিনটায় খাই না দুপুরের খাবার।
আরিয়ান খানিকটা গম্ভীর গলায় বলে উঠল, তোমার কাছে পাঁচ মিনিট আছে ,,ওনলি পাইভ মিনিট ।দ্রুত কর।দুইমিনিট পরও যখন আরিয়ান দেখলো তুসি নিরব তখন জোরে ধমক দিয়ে বলল, এই মেয়ে আমাকে কি তোমার চাকর মনে হয়। নিজের হাতে খেতে পারো না আবার কেও খাইয়ে দিতে চাইলেও ঢং কর।হা কর,,কি হল হা কর।
তুসির চোখে পানি চলে এসেছে,,মনে মনে বলছে এইভাবে কেন বলছে লোকটা ?আমি কখন ঢং করলাম?ওর ভাবনার মধ্যেই আরিয়ান জোর করে ওর মুখে খাবার গুঁজে দিয়ে বলল,ফিনিশ ইট ফাস্ট ।তুসি অনেক কষ্টে না চিবিয়ে সেটা গিলে ফেলল আরিয়ান এর ধমক এর সাথে সাথে ।এতে করে ওর নাকে মুখে সেটা ঢুকে কাশি শুরু হয়ে গেলো।আরিয়ান তাড়াতাড়ি করে পানি এনে দিলো তুসি কে আর পিঠে হাত বুলালো।অনেকক্ষণ পর কাশি থামলে আরিয়ান তুসি কে একের পর এক লোকমা খাইয়ে দিল।বেচারি তুসি কিছু বলতেও পারছেনা ভয়ে আবার যদি ধমক দেয় তাই।তবে ও মনে মনে ভাবছে উনি তো কোনোদিন এমন করেন না।এত খারাপ ব্যবহার আজকে কেন করছে ?হ্যাঁ মানছি আমাকে আটকে রেখেছে কিন্তু কখনো খারাপ আচরণতো করেনি।তুসির মনটাই খারাপ হয়ে গেলো।
এরই মধ্যে আরিয়ান বললো ,শেষ ।এইবার তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নাও। আমরা কিছুক্ষণ এর মধ্যেই বের হবো।
তুসির বলতে ইচ্ছে করছিলো আরো কয়েকটা দিন থাকুন না ।এত সুন্দর পরিবেশ আর কি সুন্দর ঘর।কিন্তু বলা হলো না আর সেই কথাগুলো যদি আরিয়ান ধমক দেয় তাই মনের কথা মনেই চেপে রাখলো।

🌸🌸🌸

আরিয়ান দের বাড়ি পৌছাতে প্রায় রাত হয়ে গেলো।রিসাদ আর তুসি গাল ফুলিয়ে রেখেছে।তাদের পছন্দের জায়গা থেকে নিয়ে এসেছে তাই।আর একটা দিন থাকলে কি হতো !

রুমে আসার পর তুসি একজায়গায় বসে আছে।আরিয়ান প্রায় আধাঘন্টা পর অন্য রুমে ফ্রেশ হয়ে আসার পর ও দেখলো তুসি একইভাবে আছে।এইবার আরিয়ান এর মাথা আবারও গরম হয়ে গেলো।
তুসির সামনে গিয়ে ওকে বলল, কি ব্যাপার তোমাকে কি সব কাজ আমি বলে বলে করাব?নাকি চাচ্ছ আমিই ফ্রেশ করিয়ে দিই তোমায়।
তুসি তাড়াতাড়ি করে বলে উঠল আব,,না,,না আমি পারব ।
আরিয়ান বলল আনেক দেরি হয়ে গেছে। তুমি করলে এতক্ষণ এইভাবে থাকতে না।আরিয়ান ওকে টানতে টানতে ওয়াশরুম এ নিয়ে গেলো তুসি ওর হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করছে বার বার। কিন্তু কিছুতেই পারছে না।আরিয়ান কে দেখে আজ অনেক ভয়ংকর লাগছে তার ওপর তুসির এমন কার্যকলাপ আরো রাগ সামলাতে পারে নি।
কী হবে এইবার আরিয়ান কি করতে চাইছে তুসির সাথে এরকম নানা ভাবনা তুসির মাথায় আসছে ।

চলবে,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here