#বিষাক্ত_বাঁধন
#অনামিকা_জাহান_জাফরিন
#পর্ব _২০
আরিয়ান তুসি কে টানতে টানতে ওয়াশরুম এ নিয়ে গেলো।তুসি কিছুতেই আরিয়ান এর সাথে টিকে উঠতে পারছেনা।আরিয়ান তুসিকে ওয়াশরুম এ নিয়ে গিয়ে পানির ট্যাপ ছেড়ে দিল।হঠাৎ গায়ের ওপর ঠান্ডা পানি পড়ায় তুসি ঠান্ডায় পুরো জমে গেলো ।এই বিকালের টাইমে এমনিতেও ও গোসল করতো না শুধু হাত মুখ ধুয়ে ফেলত।আরিয়ান নিজের জেদ দেখিয়ে তুসিকে শুধু নিয়েই আসেনি ওকে পানি দিয়ে পুরো ভিজিয়ে দিলো।
এখন তুসি চোখ বন্ধ করে আছে হঠাৎ পানি পড়ায় ঠান্ডা লাগছে ওর।আরিয়ান যেন থমকে গেল তুসির এই রুপ দেখে।পানি তুসির কপাল বেয়ে নাক চোখ মুখ বেয়ে ঠোঁটে পড়ছে ।তার উপর ওর চোখ বন্ধ করায় আরো আকর্ষণীয় লাগছে তুসিকে। আরিয়ান ভেবেছিল তুসিকে শাস্তি দেবে এখন তো ওর নিজেরই অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। তুসিকে এত আকর্ষণীয় লাগছে যে আরিয়ান এর মনে নানা চিন্তা উদ্বেগ হচ্ছে। মন বার বার বলছে তোরই তো বৌ একটু ছুঁয়ে দিলে কি আর এমন হবে।আরিয়ান চোখ বন্ধ করে জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে ।চোখ মেলে তাকিয়ে তুসির দিকে তাকাতে অপ্রীতিকর কিছু সামনে পড়ল ও আর নিজেকে দমিয়ে রাখতে পারলোনা তুসির গলার আর ঘাড়ের কাছে মুখ চুমু খেতে শুরু করল।হঠাৎ এভন হওয়ায় তুসি অনেক বেশি ভয় পেয়ে গেলো। তারপর মোচড়ামুচড়ি শুরু করল।কিন্তু কিছুতেই আরিয়ান কে থামাতে পারছেনা। ও একাধারে চুমু খেয়েই চলেছে আরবার মাঝে মাঝে কামড় দিচ্ছে যা যথেষ্ট যন্ত্রণাদায়ক। তুসি চোখের পানি ঝরনার পানির সাথে মাশে নিচে পড়ছে।আরিয়ান এর কোনো দিকে খেয়াল নেই ও শুধু নিজেরই কাজই করে যাচ্ছে। এবার চুমু খেতে খেতে গলা থেকে মুখের দিকে উঠলো দেখলো তুসি চোখ খিচে বন্ধ করে রেখেছে আর মাঝে মাঝে কেঁপে কেঁপে উঠছে। কোনো পুরুষ এর এতো ঘনিষ্ঠতা ও সহ্য করতে পারছেনা দেখেই বুঝা যাচ্ছে। তবে আজ আরিয়ান এর কি হয়েছে জানেনা সে শুধু তুসির প্রতি আকর্ষণ ফিল করছে।এই যে তুসি চোখ বন্ধ করে আছে তাতেও যেন তুসির রূপ আরো দিগুন হয়ে গেছে।ও আবার তুসির কপালে চুমু খেয়ে দুই চোখের পাতায় চুমু খেল।তারপর তুসির লাল টসটসে ঠোঁটে নিজের সিগারেটে পোড়া কালো ঠোঁট মিলিয়ে দিলো।এইবার তুসি আর নিজের নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারছেনা ও কেঁপে কেঁপে পড়ে যেতে নিলে আরিয়ান দুহাতে ওকে জড়িয়ে ধরল। তুসি কিছুতেই বাঁধা দেওয়ায় শক্তি পাচ্ছে না আরিয়ান কে।আরিয়ান একাধারে কিস করেই চলেছে ।তুসি মনে মনে ভাবছে এই লোকটা এমন করছে কেন? আমি কি করব এখন।হঠাৎ ওর ঠোঁটে তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করলো আরিয়ান কামড় দিয়েছে খুবই রূঢ়লি কিস করছে এখন ও। যেন কিস করছে কম আর কামড়াচ্ছে বেশি।জীবনে কখনো এমন পরিস্থিতিতে না পড়া তুসি এসব আর সহ্য করতে পারলোনা জ্ঞান হারিয়ে ফেলল।আরিয়ান তখনো বুঝতে পারেনি হঠাৎ তুসি পড়ে যেতে নিলে ওকে আরো শক্ত করে আঁকড়ে ধরলো মনে মনে অনেক রাগও হলো ওর এমন একটা টাইমে এই রকম করার জন্য ।তুসির দিকে তাকিয়ে দেখলো ও জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে ।আরিয়ান ভয় পেয়ে গেলো ।ও তুসিকে ডাকছে ,তুসি,,,তুসি ,,এই মেয়ে ওঠো দেখো একদম মজা করবেনা।অনেক ডাকাডাকির পরে ও যখন তুসি উঠেনি তখন আরিয়ান এর নিজের প্রতি রাগ লাগছে এমনটা ও কি করে করতে পারলো।রাগে ওয়াশরুম এর দেওয়ালে ঘুষি মারলো দুইটা পরক্ষণেই তুসির চিন্তা আসলো মাথায়। এই ঠান্ডার মধ্যে তারওপর তুসিকে ও নিজে ভিজিয়ে দিয়েছে।ওর খারাপ লাগছে খুব ।মেয়েটা নিতান্তই বাচ্ছা এত ধকল সহ্য করতে পারবেনা।তাছাড়া ও একটু অন্যরকম। নরমালি মানুষের মতো না।ছোট থেকৃ চার দেয়ালের মাঝে ছিল বাবা মা ছাড়া কখনো একা থাকেনি আর তা ছাড়া তুসি কিছুটা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের মতো। এজন্যই ও অনেকটা বাচ্ছাদের ভো বিহেব করে।তবে খুবই মক ওর এই সমস্যাটা ।অনেক বোকা ও ।ওর মনটা এখনো বাচ্চা যদিও বয়স আঠারো হয়ে গিয়েছে। তারপরও ও তো এতটা নরমালি না ।আরিয়ান কি করে এই কথা ভুলে গেলো।ওর নিজেরই রাগ লাগছে এখন।আসলে আশরাফ খান কে পিছু নেওয়ার পর থেকে ওর মাথা গরভ হয়ে আছে তার ওপর তুসির না খাওয়া আর এসে ফ্রেশ না হয়ে জেদ দেখিয়ে বসৃ থাকা সব মিলিয়ে ও অনেকটা রিয়্যাক্ট করে ফেলেছে এখন বুঝতে পারছে।আর সাত পাঁচ না ভেবে তুসিকে কোলে তুলে নিলো ।রুমে এনে ওকে নেক ডাকাডাকির পরে ও কোনো সাড়া পাচ্ছে না।ওর পুরো শরীর ভাজে আছে কাপড় বদলানো দরকার কিন্তু তুসি তো হোশে নেই আর কাওকে ডাকতেও পারবে না ।কারন সবাই জানে নরমালি কাপল ওরা ভালোবেসে বিয়ে করেছে।আরিয়ান এর অনেক চিন্তা লাগছে কি করবে ও ।অবশেষে সিদ্ধান্ত ও নিজে কাপড় বদলে দেবে।যা হবে পরে দেখা যাবে এই মুহূর্তে এটা ছাড়া আর উপায় নেই। কিন্তু আনইজি লাগছে ওর কাছে।একটা বুদ্ধি বের করল আরিয়ান নাজের চোখটা তুসির একটা ওড়না দিয়ে বেঁধে ফেলল,যত যাই হোক কারো অনুমতি না নিয়ে তার কাপড় বদলানো ঠিক না যদিও সে তার বৌ তারপরাও।
কাপড় বদলানো শেষে তড়িঘড়ি করে ওকে শুইয়ে দিয়ে কম্বল জড়িয়ে দিলো ভালো করে ।উর হাত থেকে রক্ত পড়ছে তা নিয়ে কোনো ভাবনাই নেই ওর। প্রায় অনেকক্ষানি রক্ত বিছানায় পড়ে গেলো।আরিয়ান এবার ওয়াশরুম এ গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসলো।ও নিজেও ভিজে গেছে অনেকটা তাই।আর হাতে অয়েন্টমেন লাগলো ।যেহেতু রাত হয়ে গিয়েছে আর অনেক দুর্বল ও লাগছে ওর কাছে তাই অত কিছু না ভেবে তুসির সাথে কম্বলের নিচে শুয়ে পড়ল।ওকে জড়িয়ে ধরে বলল, সরি ,বুঝতে পারি নি তুমি এতটা ইনোসেন্ট আমার ভাবনার থেকে ও কয়েক গুন বেশি ইনোসেন্ট তুমি এই বলে মৃদু আসল।তারপর তসিকে জড়িয়ে ধরে শান্তি মতো চোখ বুজে ঘুমিয়ে গেলো ।
#বিষাক্ত_বাঁধন
#অনামিকা_জাহান_জাফরিন।
#পর্ব_২১
প্রচন্ড জোরে সোরগোল হওয়ায় আরিয়ান এর ঘুম ভেঙ্গে গেলো। মাথাটা ভারী হয়ে আছে ওর ঠিকমতো ঘুম না হওয়ার কারনে।পাশে তাকিয়ে দেখলো তুসি একই ভঙ্গিতে শুয়ে আছে। মোবাইল এ দেখলো রাত এগারোটা বাজে ।এবার সে তুসিকে জাগানোর দরকার মনে করলো।তাই পানি নিয়ে তুসির চোখে ছিটা দিলো ।অনেকক্ষণ চেষ্টার পরে তুসি কিছুটা নড়েচড়ে পিটপিট করে চোখ খুলল।আরিয়ান সদা সর্বদার মতো মুখে গাম্ভীর্যতা বজায় রেখে বলল,এই মেয়ে দ্রুত উঠো।কথা শুনতে পাচ্ছোনা ?জলদি ওঠো খাবার খেতে হবে।
প্রথমে তুসির কিছু মনে না পড়লেও ধীরে ধীরে সব মনে পড়ে গেলো।ভয়ে ও দ্রুত ওঠে পড়লো।হঠাৎ এমন করাতে আরিয়ান ভেবাচেকা খেয়ে গেলো ।এমন করাতে কিছুটা অপ্রীতিকর পরিবেশে পড়ে গেলো আরিয়ান। অন্যদিকে তাকিয়ে বলল,দ্রুত ড্রেস পরে নিচে আসো।যাস্ট টেন মিনিট।
তুসি আরিয়ান এর অন্যদিকে তাকানোর মানে প্রথমে না বুঝলেও পরে বুঝতে পেরে নিজেকে দ্রুত সামলে নিল।আরিয়ান কোনোদিকে আর না তাকিয়ে সোজা বাইরে চলে গেলো।
রাতের ঘটনা একে একে মনে পড়তে তুসি অদ্ভুত ফিলিংস অনুভব করলো।এমন না যে সে স্বামী- স্ত্রী এর মধ্যকর সম্পর্কের সম্পর্কে অবগত নয়।সে জানে সব।তাদের এক মেয়ে ক্লাসমিট এর বিয়ে হয়েছিল কিছুদিন আগে।কলেজে আসলে সে সবাই মিলে তাকে ঘিরে ধরলো তাদের বাসরঘরের সব কিছু শুনতে।তার মধ্যে তুসি ও ছিল।সেখান থেকেই এসব জানা ওর।আগে এতকিছু জানতোনা।তবে তার আফসোস একটাই ওদের নরমালি আর আটদশটা বিয়ের মতো হয়নি বিয়ে। তাহলে আরিয়ান কেন এসব করছে ওর সাথে ।ও কি বুঝতে পারছে না যে এসবের ফলে তুসির মনে কি রকম রিয়্যাক্ট হচ্ছে। ও তো বলেছিল তুসির কোনো ক্ষতি করবেনা।আর আজ পর্যন্ত তুসি এটাও জানে না যে ওকে কেন এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে আরিয়ান যখন ওকে আশ্বস্ত করেছে কেন যেন তুসি সেটা বিশ্বাস করে নিয়েছিল।আরিয়ান কে ওর মিথ্যেবাদী মনে হয় নি। আরিয়ান এর ওপর ওর ভরসা ছিল।তুসি ভেবেই নিয়েছিলো যে আরিয়ান ওর কোনো ক্ষতি করবেনা।তাছাড়া আরিয়ান নিজের মুখে বলেছিল সে তুসির কোনো ক্ষতি করবেনা। এখন,,,,ভাবতেই তুসির চোখে জল জমা হলো।বিছানা থেকে উঠার পর বিছানায় চোখ যেতেই দেখলো সেখানে রক্তের দাগ এইবার যেন তুসি বাগরুদদ্ধ হয়ে গেলো।আরিয়ান ওর সাথে এতবড় অন্যায় করতে পারে ভাবতেই পারছেনা তুসি।
🌸🌸🌸
তাসিন আর তাহিয়া পাশাপাশি সোফায় বসে আছে আর তাদের দিকে তীক্ষ্ম দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রিমা।
সিড়ি দিয়ে আরিয়ান নামতে নামতে জিজ্ঞাস করলো কি ব্যাপার এতো হইচই কেন হচ্ছে?
রিমা বলল,তোমার গুনধর ভাই বিয়ে করে বৌ নিয়ে এসেছে। আমাদের বললে কি আমরা মানা করতাম নাকি?
আরিয়ান চমকে বলল, ক,,কি?তাসিন এসব সত্যি?
তাসিন ভয়ে ঢোক গিলে কোনোরকমে বলল, হ্যাঁ ভাই স,,সত্যি।
আরিয়ান কড়া দৃষ্টিতে একবার তাসিন কে চোখ রাঙালো আর পাশে বসা মেয়েটাকে ও একবার দেখে নিলো ।
এরই মাজে রিমা বলল, কতদিনের সম্পর্ক তোমাদের আর কি এমন হলো যে কাওকে না জানিয়ে বিয়ে করে নিলে?
তাসিন গরগর বলল,এক বছরের সম্পর্ক আমাদের। ওর পরিবার ওকে বিয়ে দিতে চাইছিল তাই আমি দ্রুত বিয়ে করে ফেলেছি না হয় ওর অন্য জায়গায় হয়ে যেতো বিয়ে। একনাগারে বলে শেষ করল তাসিন যেন অনেক আগে থেকেই এইটা মুখস্থ করে এসেছে।
আরিয়ান বলল,ওদের ফ্যামিলির লোকে জানে তোরা যে বিয়ে করেছিস?
তাসিন জবাবাএ মাথা নাড়ল।
বিয়ে করবি বললে আমি করিয়ে দিতাম একা একা এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত হয়নি তোর।আরিয়ান এর কথা শেষ হতে সদর দরজার সামনে থেকে কেও বলে ওঠে,কার বিয়ের কথা হচ্ছে???
সবার নজর সেদিকে গেলো ।আরিয়ান এর মুচকি হেসে এগিয়ে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে বলল, কেমন আছেন আব্বা?
জবাবে তাহির(তাসিন এর বাবা আর আরিয়ান এর চাচা) বলল,অনেক ভালো আছি ।বৌমা আমাকে ডাকলো ।এত রাতে কেন ডেকেছে তা জানি না।
তাসিন ভয়ে শেষ না জানি কি বলে ওর বাবায়।
রিমা ও তাহির চৌধুরি কে সালাম দিল পরে বলল,চাচাজান তাসিন বিয়ে করে বৌ নিয়ে এসেছে। আসস,,,আসলে মেয়েটাকে ও ভালোবাসে অন্য জায়গায় বিয়ে হয়ে যাবে দেখে ও তাড়াতাড়ি করে বিয়ে করে ফেলেছে। কাওকে জানাতেও পারেনি।
তাহির চৌধুরির মুখ থেকে হাসি মিলিয়ে গেল।গম্ভীর কন্ঠে একবার তাহিয়ার দিকে চাইল এরপর বলল,নাম কি তোমার?
উত্তরে তাহিয়া মাথা আরেকটু নিচু করে বলল,তাহিয়া তাবাস্সুম।
তাহির বলল, মুরুব্বিদের সালাম দিতে হয় জানোনা? বিশেষ করে শশুড় শাশুড়ি কে।
তাহিয়া এবার মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে তাহির এর সামনে গিয়ে ওকে সালাম করলো। তাহির বলল, আমার এই খামখেয়ালি স্বভাবের ছেলেটা কিভাবে এত বড় কাজ করে ফেলল সেটাই ভাবছি।তবে যাই হয়েছে ভালোই হয়েছে ।অবশেষে ছেলের বৌ এর খিদমত লাভ করতে পারব এই বলে মুচকি হাসলো।
তাহির এর হাসি দেখে সবাই চিন্তামুক্ত হলো আর তাসিন যেন হাঁফ ছেড়ে বাছলো।
রিমা আরিয়ান কে বলল, তোমার বৌ কোথায় তাকে দেখছিনা যে?
জবাবে আরিয়ান বলল, জি ও আসছে ভাবীজান।
রিমা বলল,ও আচ্ছা।রিমা তাসিন আর তাহিয়াকে রুম দেখিয়ে দিল আর বলল ফ্রেশ হয়ে আসতে।তারা চলে গেল ওর কথামতো ।
রুমে ঢুকে তাহিয়া ভ্রুকুচকে বলল,আমরা কয় বছর ধরে প্রেম করি?
তাসিন আয়েশি ভঙ্গিতে শুয়ে বলল,একবছর।
তাহিয়া রেগে বলল, কি বলছেন আপনি আমাদের দেখা হয়েছে যে এখনো একমাস ও হয়নি।
তাসিন বলল, আরে রাগ করছো কেন? ওইটাতো এমনে বলেছি।আসল ঘটনা বলতে পারোনা তাই।
তাই বলে এতো মিথ্যে বলার কি আছে কখনো কখনো তো তারা জানতে পারবে সব কিছু তখন তারা কষ্ট পাবে। তাহিয়ার কথার জবাবে তসিন বলল,
আরে এত ভাবাভাবির কিছু নেই আমরা না জানালে ওরা জানতে পারবে না।এখন যাও ফ্রেশ হয়ে এসো একসাথে খাবার খাবো।তোমার পরে আমি যাবো ওয়াশরুম এ।
তাহিয়া বলল, ক,,কিন্তু,,,
তাসিন ওকে থামিয়ে দিয়ে বলল আহহা যাও ঈথা বাড়িয়ো না।
ওয়াশরুম এর আয়নাতে তুসি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে ওর ঘাড়ে গলার কামড়ের দাগগুলো।ওকে আরিয়ান এই অনিশ্চিত সম্পর্কে এই ভাবে বেঁধে ফেলবে তা ও স্বপ্নেও ভাবেনি।আরিয়ান কে এই জন্য ও কখনো ক্ষমা করবে না কখনো না ।ভাবতে ভাবতে তুসির চোখের জল গড়িয়ে পড়ছে।
তুসি ভেবেছে আরিয়ান ওর সাথে ইন্টিমেট হয়েছে।ওর এই ভাবনার পেছনে যথেষ্ট কারন ও আছে।তখন ওয়াশরুম এ আরিয়ান এর এগ্রেসিভ
আচরণ আর বিছানায় রক্ত দেখা সব মিলিয়ে তুসির মাথায় একটাই রাই দিচ্ছে যেটা স্বাভাবিক
চলবে,,,,,
ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন।
(