ভালোবাসতে_বারণ পর্ব ১৪+১৫

#গল্পঃ_ভালোবাসতে_বারণ💔
#লেখাঃ_মেহেদী_হাসান_রিয়াদ💔
#পর্বঃ__১৪_ও_১৫

সব শেষে নতুন করে শুভ্রতা ফিরে পেলো তার ভালোবাসার সন্ধান। ওদিকে আজমল চৌধুরি আদিত্য ও তৃষ্নার বিয়ে ভেঙে বাড়ি থেকে বের করে দিলো রকি ও তার বাবাকে।
সোফায় গা এলিয়ে বসে আছে আজমল চৌধুরি। আদিত্য ঘরে প্রবেশ করতেই পরে আকমল চৌধুরির ডাক।
— কিছু বলবে বাবা?

— শুভ্রতার সাথে কি তোর এখনো যোগাযোগ আছে?

কিছু না বলে নিচের দিকে চেয়ে আছে আদিত্য।

— কি হলো কথা বলছিস না কেনো?

— বাবা আমি একটু টায়ার্ড, ফ্রেস হয়ে আশি? তারপর না হয় এসব নিয়ে তোমার সাথে কথা বলি প্লিজ।

— মেয়েটাকে কি তুই সত্যিই ভালোবাসিস?

— বাবা আমি তোমায়,,,,,,,,

— হ্যা অথবা না শুনতে চাই আমি। ক্যা কু শুনতে চাইছিনা আমি।

আদিত্য মাথা নিচু করে বলে,
— বিশ্বাস কর বাবা, তুমি সেইদিন আমায় বলেছিলে তাকে ভুলে যেতে। এর পর আমি অনেক দিন যোগাযোগ করিনি তার সাথে। কিন্তু বাবা আমি আর পারছি না, দম বন্ধ হয়ে আসছে আমার। নিজেকে বড্ড অপরাধি মনে হচ্ছে আমার। তুমি তো মা কে খুব ভালোবাসতে বাবা। তুমি কি পারতে আমার আগমনের খবর শুনে মা কে ছুড়ে ফেলে দিতে। ভালোবাসাটা কোনো তুচ্ছ বস্তু নয় বাবা। যে, চাইলেই ছুড়ে ফেলে দেওয়া যায়। সারা জীবন আগলে রাখার প্রতিজ্ঞা করার ক্ষমতাটাই হলো ভালোবাসা। অনেক ভেবে দেখলাম বাবা, আমরা একসাথে শান্তিতে বাচতে না ই পারলাম, একসাথে মরতে তো পারবো।

— তুই ওকে ছারা বাচতে পারবি না, তাইতো? আচ্ছা, আগামি তিন দিনের ভিতরেই আমি চাই তুই শুভ্রতাকে বৌ হিসেবে আমার সামনে এনে দার করা।

হটাৎ এমন কথায় অবাক হয়ে বাবার দিকে তাকিয়ে আছে আদিত্য।

— অবাক হওয়ার কিছু নেই। যা শুনছিস ঠিকই শুনছিস।

— না বাবা, আমি অবাক হচ্ছি এই জন্য, যে হটাৎ করে তোমার এই পরিবর্তনের কারণ আমার মাথায় আসছে না। আর তুমি এমন ভাবে বলছো মনে হয় তোমার বন্ধুর কথা ভুলেই গেলে।

— তুই আমার অনুমুতিই তো চাইছিস নাকি। তো এখন অনুমতি পাওয়ার পর এমন প্রশ্ন করছিস কেনো?
,
,
,
রাতে আধশোয়া হয়ে বসে আছে বৃষ্টি। একটু আগে বাড়িতে কথা বললো সাথে। রুমে প্রবেশ করেই বৃষ্টির দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে সাগর।
সেটা দেখেও কোনো পাত্তা দিলো না বৃষ্টি।

— এই তোর সাহস দেখি কম না। আমার বিছানা জুড়ে লেপটি মেরে বসে আছিস দেখছি। তোকেনা এখানে আসতে বারণ করেছি আমি।

— দেখো আমি রোজ রোজ সোফায় ঘুমুতে পারবো না। তাছারা এখানে ঘুমানোর অধিকার আমারও আছে, হুম।

— তুই কি উঠবি নাকি?

— আমি জানি তুমি কখনোই আমার মারবে না। তাছারা ওইসব বকাঝকা আমি ভয় পাই না। তুমি বকতে থাকো আমি কানে তুলো দিয়ে রাখছি।

— দারা মা কে বলে তোর জন্য অন্য রুমের ব্যাবস্থা করছি আমি।

— ডাকো ডাকো তারাতারি ডাকো ফুফিকে।

— কি করবি তুই?

— আমিও তাকে দেখাবো তুমি বিয়ে করা বৌকে কিভাবে সোফায় ফেলে রাখো।

— শুন আমি অনেক টায়ার্ড, তর্ক করার মুড নেই। তুই এখানেই ঘুমা। সো আমায় কোনো ডিস্টার্ব করবি না। আমার থেকে এক হাত দুরুত্ব বজায় রেখে ঘুমুবি।

— তো আমি কি বলছি নাকি যে তোমার ঘার মটকাবো? হয়তো ঘুমের তালে তোমায় জড়িয়ে ধরবো এর চাইতে বেশি কিছু করার সম্ভাবনা নেই।

সাগর আর কিছু না বলে শুয়ে পরে পাসে। হয়তো এখন আর বৃষ্টিকে বারন করতে পারছে না সে। কারন সেও চায় বৃষ্টি নিজ থেকেই তাকে ভালোবাসতে শিখুক।
,
,
,
দরজায় টোকা পড়তেই আসিফ স্যার এগিয়ে দরজা খুলে দেয়।
বাইরে দাড়িয়ে আছে আদিত্য। আদিত্যকে দেখেই হাসি মুখটা গোমড়া হয়ে আসে আসিফ স্যার এর।
— আসসালামুআলাইকুম আঙ্কেল।

— ওয়ালাইকুম সালাম। কাকে চাই?

— আমি শুভ্রতাকে নিয়ে যেতে এসেছি আঙ্কেল।

— কোন অধিকারে?.

— অধিকারটা ভালোবাসি বলেই।

— ও কোথাও জাবেনা। চলে যাও তুমি। ও এখন তোমায় ঘৃনাই করে শুধু।

— সেটা আমি ওর মুখ থেকে শুনতে চাই। প্লিজ আঙ্কেল

— নাটক পেয়েছো তুমি? যে যখন যা ইচ্ছে তা করবে। মেয়েটার জীবন টা শেষ করে ফেলে দিলে তুমি। এখন আবার কি জন্য এসেছো? ও খুব ভালো আছে। তুমি চলে যাও এখান থেকে। ও কোথাও যাবে না।

পেছন থেকে শুভ্রতা ছুটে এসে তার বাবার কাছে দাড়ায়।
— কি হয়েছে বাবা?

— তুই ভিতরে যা।

— আমার সাথে চলো শুভ্রতা।

— সমস্যা কি তোমার বলছিনা ও কোথাও যাবে না?

শুঢ্রতার হাত ধরে আদিত্য বলে উঠে,
— আমায় ভালোবাসো তো?

— হুম।

— তাহলে চলো।

এর মাঝে আসিফ স্যার বলে উঠে,
— যা হয়েছে সব এই ছেলের জন্য, তুই কোথাও জাবি না ওর সাথে। বলে দে তুই যাবি না।

— আমি ওকে ভালোবাসি বাবা। আর আমি ওর সাথেই থাকতে চাই। তোমাদের জ্বালাতে চাইনা আর। আর বোঝা হয়ে থাকতে চাইনা এই বাসায়। আর এখানে থাকবোই বা কেনো? তোমরা কি একটিবার আমায় বুঝার চেষ্টা করো? ভালো করে দুটু কথা বলো আমার সাথে? আমি এখন তোমাদের বোঝা তাইনা বাবা? ওইদিন তো বলেই দিলে মরে যেতে। আমি এখনও বেচে আছি আমার সন্তানের জন্য।

আসিফ স্যার কিছু না বলে চুপ করে আছে। ঠিকই তো, মেয়ের সাথে ঠিক মতো দুটু কথা বলেনি সে। চেয়ে আছে শুভ্রতার দিকে। একটু দুড়ে ফ্লোড়ে সালাম করে আদিত্যের হাত ধরে চলে যাচ্ছে সে।
,
,
গাড়ি এসে থামলো একটা কাজি অফিসের সামনে। শুভ্রতা বাইরে তাকাতেই দেখে কিছু ছেলে আদিত্য আর শুভ্রতার জন্য এগিয়ে আসছে। শুভ্রতা এখন বুঝতে পারছে আদিত্য কেনো তাকে হটাৎ করে নিয়ে এসেছে?

এই দিন টার জন্য একটা মেয়ের মনে জমা থাকে হাজারও স্বপ্ন। শুভ্রতার ক্ষেত্রেও এর থেকে ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু হ্যা আজ এই দিনটা তার স্বপ্নের চাইতে ব্যতিক্রম।
আদিত্যের সাথে আস্তে আস্তে হেটে ভিতরে চলে গেলো শুভ্রতা। ভেতরে গিয়ে দেখে আগে থেকেই সব রেডি করা আছে। রিদকেও দেখতে পাচ্ছে ওখানে। রিদকে যতবারই দেখে ততোবারই তার মনে একটা সম্মান জেগে উঠে। হয়তো তার কারনেই শুভ্রতার নতুন করে এই দিনটা দেখা।

পেপারে সাইন করে দিলো আদিত্য। এবার শুভ্রতার পালা। পেপারটা সামনে। আদিত্যের দিকে তাকায় শুভ্রতা। এমন একটা কাজ করে ফেলছে সে অথচ আশেপাশে তার কোনো আত্বিয় স্বজনও নেই।
আদিত্য শুভ্রতার কাধে এক হাত দিয়ে চোখ দিয়ে সম্মতি জানালো শুভ্রতাকে।
এতো ভেবোনা শুভ্রতা, আজ থেকে আমাদের নতুন জীবন শুরু। আজ থেকে আমাদের থাকবেনা আর ভালোবাসতে বারণ।
চোখ বন্ধ করে বাম হাত পেটে রাখে শুভ্রতা। তারপর আদিত্যের দিকে তাকিয়ে সই করে দেয় সে ও।

রিদ ওখান থেকেই বিদায় নিয়ে চলে যায়। কারণ সে চায় না বাবার সামনে দাড়িয়ে আজ এই সুন্দর দিন টা নষ্ট করতে।

গাড়ি চলছে দির্দিষ্ঠ গন্তব্য ধরে। চুপচাপ ভেতরে বসে আছে শুভ্রতা। তার মন জুরে একটাই চিন্তা। এবার এই ফিরে পাওয়া সুখটা তার কপালে সইবে তো?

_______________________

#পর্বঃ_১৫

নতুন বৌ হিসেবে এক নতুন বাড়িতে যাচ্ছে শুভ্রতা। মনটা আজ ভিষন্ন। আদিত্যের এক হাত জড়িয়ে ধরে কাধে মাথা রাখে সে।
— মন খারাপ?

— উহু,,,

— তাহলে?

— আচ্ছা, এই সুখ আমার কপালে সইবে তো?

তখনই গাড়ি থেমে যায়। আদিত্য বলে উঠে,
— কি হলো থেমে গেলে কেনো?

— গাড়িতে মনে হয় সমস্যা হয়েছে স্যার।

— তো তুমি আরেকটা নিয়ে আসতে পারোনি, এটায় সমস্যা হলে?

— সরি স্যার এখনি ঠিক হয়ে যাবে।

— তারাতারি করো।

কিছুক্ষন পর,
— স্যার মনে হয় একটু সময় লাগবে।

— আচ্ছা তুমি ঠিক করে চলে এসো। আমরা অন্য গাড়ি করে চলে যাচ্ছি।

— আচ্ছা স্যার।

আদিত্য ফোন করে অন্য একটা গাড়ি নিয়ে আসে। তারপর ওখানে করেই রওনা দিলো তারা। ছেলেগুলো বাইকে করে আসছে তাদের পেছনে।

বাড়িতে এসে থামে গাড়ি। শুভ্রতাকে নিয়ে ভিতরে যায় আদিত্য। বাবার সামনে গিয়ে সালাম করে উঠে দাড়ায় দুজন। বাড়িটা সাজিয়েছে মোটামুটি। কয়েকজন মিলে ছোটখাটো একটা পার্টির আয়োজন করছে আজমল চৌধুরি।
ফোনটা বেজে উঠে আদিত্যের। ফোন রিসিভ করে যা শুনে হয়তো তা শুনার জন্য প্রস্তুত ছিলোনা সে।
তারা যে গাড়িতে করে প্রথমে আসছিলো। ওই গাড়িটা ঠািক করে ফিরার পথে এক্সিডেন্ট হয় গাড়িটা। একটা বড় গাড়ি হাইওয়ের উপর রানওভার করেদিয়েছে সেটা। আদিত্য ভালোই বুঝতে পারছে এটা রকির কাজ। গাড়িতে প্রব্লেম হওয়ায় নেমে গিয়ে হয়তো বেচে গিয়েছে তারা দুজন।
,
,
ছাদে দাড়িয়ে আছে রকি। পেছন থেকে তার পাসে গিয়ে দাড়ায় তৃষ্না।
— কিরে কিছু বলবি?

— তুমি আমায় কি কথা দিয়েছিলে ভাইয়া? তুমি তো বলতে আমি চাইলে আকাশের চাঁদ এনে দিতে পারবে। কিন্তু আমি তো চাদ চাইনি। চাইনি কোনো বিষাল অট্টালিকা। চেয়েছি কেবল একটা মানুষকে। যেটা ছিলো আমার জীবনে সবচেয়ে মুল্যবান একটা জিনিস। আর সেই চাওয়াও তুমি পূরণ করতে পারলে না?

— তুই জদি বলিস আমি একটার পর একটা ছেলে তোর জন্য হাজির করবো। তোর যেটা পছন্দ হয় ওইটা তুই নে।

— ভালো একজনকেই বাসা যায় খুব গভির ভাবে।

— আচ্ছা ধর তুই ওকে পেলি। তবে কি ভালোবাসা পেতি?

— তুমি আর একটা কথাও বলো না ভাইয়া।

কাদতে কাদতে সেখান থেকে চলে গেলো তৃষ্না। একটা দির্ঘশ্বাস ফেলে রাতের আকাশে চেয়ে আছে সে। বড় হওয়ার পর এই প্রথম তৃষ্নাকে কাদতে দেখেছে সে।

পার্টি শেষে সকলে চলে গেলো। শুভ্রতা দাড়িয়ে আছে বেলকনিতে। দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করলো আদিত্য। দেখে শুভ্রতা বেলকনিতে দাড়িয়ে তাকিয়ে আছে বাইরের দিকে।
— রাত অনেক হয়েছে এখনো এখানে দাড়িয়ে আছো যে?

— তুমি এসেছো? ঘুম আসছেনা তাই। তুমি জানো তুমি হিনা আমার প্রতিটা রাতই এমন কাটতো।

— এই অবস্থায় রাত জাগা কিন্তু ক্ষতিকর। চলো ঘুমুতে চলো।

— হুম,,,,,,,,,
,
,
,
পরদিন,
আদিত্যের সামনে বসে আছে তৃষ্না। আদিত্যের সাথে দুটু কথা বলতে নিজেই চলে এলো তার কাছে।

— তুমি কেনো এসেছো এখানে। তুমিতো জানোই যে, আমি তোমায় ভালোবাসিনা আর ভালোবাসতে পারবোও না। তাছারা আমি এখন অন্য কারো হাসবেন্ট।

— হুম, জানি। কিন্তু তুমি এটা জানোনা, কতোটা ভালোবাসি তোমায়?

— জোর করে সব হয় না, জীবনটা নতুন করে শুরু করো। এমন কিছু চাইবে যা পাওয়ার আশা থাকে।

— হুম, আচ্ছা আমার ভালোবাসার এক বিন্দুও কি তোমার মনকে স্পর্স করেনি?

— তোমার প্রতি আমার কোনো প্রেম ভালোবাসা পিলিংসই কাজ করেনি কখনো। তোমাদের পরিবারের সাথে আমাদের এখন ভালো সম্পর্ক নেই আর। চলে যাও এখান থেকে।

— হুম চলে যাচ্ছি আমি। কিন্তু এটা মনে রেখো। এই তৃষ্না তোমাকে যতটা ভালোবেসেছে তা আর অন্য কাওকে বাসতে পারবে না সে।
,
,
অফিস থেকে ফিরে বাসায় আসে সাগর। দেখে বৃষ্টি বসে বসে টিভি দেখছে। টিভির দিকে এভাবে একনজরে তাকিয়ে থাকতে দেখে একটু হেসে দেয় সাগর। ও এমনভাবে তাকিয়ে আছে। যেমন ভাবে বাচ্চারা কার্টুনের দিকে তাকিয়ে থাকে।
সাগর গিয়ে বসে তার পাসে। রিমুট টা নিয়ে বন্ধ করে দেয় টিভি।
— আরে এটা কি করলা তুমি? কতো সুন্দর একটা রোমান্টিক সিন চলছে দেখছো না?

— এই সময় কি এমন রোমান্টিক সিন দেখায় যার জন্য, প্রায়ই এি সময় তোকে এখানে এভাবে দেখি?

বৃষ্টির মাথায় চাপে একটা দুষ্ট বুদ্ধি। ভালোবাসার পরিক্ষা করার এটাই উত্তম সুজুগ।
— আরে আমি তো নাগিন 5 দেখি। তাছারা ওখানে হিরুটাকে আমার হেব্বি লাগে। কি রোমান্টিক আহ্। নিজের অজান্তেই ভালোবেসে ফেলেছি তাকে। তোমারই নাম জপি আমি প্রতিটি খন, অধির তুমি কেড়ে নিয়েছো এই বৃষ্টির মন।

রাগে চোখ মুখ লাল হয়ে যাচ্ছে সাগরের। উঠে টিভিটা ছুরে মারে ফ্লোড়ে।
— তুই ভালোই জানিস আমার রাগ সম্পর্কে। আজ থেকে তোর নাগিন ফাগিন ওইসব দেখা একধন বন্ধ।

সাগর এমন একটা কান্ড করে বসবে তা হয়তো ভাবতেও পারেনি বৃষ্টি। কি করতে কি করে ফেললো সে। কিন্তু অধিরের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশে সে এতো জ্বললো কেনো? তাহলে কি ভাইয়াও আমায় ভালোবেসে ফেলেছে?

— আরে আমি তো মজা করলাম তোমার সাথে। তুমি এমন করছো কেনো?

— সব জায়গায় মজা পছন্দ করিনা আমি।

পেছন থেকে সাগরের মা বলে উঠে,
— কিরে সাগর কিসের শব্দ হলো? ওমা টিভিটা ভামলো কিভাবে?

— আমার ইচ্ছে হয়েছিলো তাই ভাংলো।

রাগে গদ গদ করে রুমে চলে যায় সাগর। বৃষ্টিও বিড়ালের মতো তার পিছে পিছে যায়।
— এমন কেনো করছো ভাইয়া? এমন মজা করার জন্য আমি সত্যিই সরি। কিন্তু তুমি হটাৎ এমন রেগে গেলা কেনো?

সাগর বৃষ্টিকে দেওয়ালের সাথে চেপে ধরে বলে উঠে,
— কারণ ভালোবাসি তাই,,,

— তুমি আমায় ভালোবাসো?

সাগর আর কিচু না বলে চলে যায় ওয়াশরুমে। ওদিকে বৃষ্টি ঠাই দাড়িয়ে রইলো ওভাবে। কি বললো ভাইয়া? আমায় ভালোবাসে সে? তাহলে এভবে দুরে ঠেলে রাখে কেনো? গন্ডার একটা, কি জোরে চেপে ধরলো হাত সহ ব্যাথা করছে।
,
,
,
রাত তখন গভির,
রুমে ফ্লোড়ে বসে আছে তৃষ্না। হাতে অনেক গুলো ঘুমের ঔষধ। আর বেচে থাকার ইচ্ছে নেই তার। জীবনের সবচেয়ে বড় চাওয়াটাই অপূর্ন রয়ে গেলো তার।
,,সরি ভাইয়া, সরি আব্বু। পারে ক্ষমা করে দিও আমায়।
চোখ বন্ধ করে সব গুলো ঔষধ খেয়ে নিলো তৃষ্না। খাটের সাথে হেলাম দিয়ে চোখ বন্ধ করে আছে সে। অনুভব করছে আদিত্যের বলা সেই কথাগুলো।
ধিরে ধিরে যেনো চিরঘুমে তলিয়ে যাচ্ছে সে। যেই ঘুম আর ভাঙার মতো না।

To be continue………………..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here