মনের মাধুরীতে তুমি পর্ব -০৫+৬

#মনের_মাধুরীতে_তুমি
#লেখিকা_নওশিন_আদ্রিতা
#পার্টঃ৫
,
,
,
,
কাচুমাচু করে বিছানার এক কোণে বসে আছে সুখ।রাগী তেজী মেয়েটা বিড়ালের মতো গুটিয়ে আছে একদম।তার সামনেই শান্ত চোখে চেয়ারে আরাম করে বসে আছে আহিয়ান।চোখ জোড়া শান্ত থাকলেও কান আর নাক অসম্ভব রকমের লাল হয়ে আছে মাথার রগ টাও ফুলে আছে

—ডা ডাক্তার সাহেব কি কি হয়েছে

আহিয়ান মনে মনে এই বাক্যটার ই যেনো অপেক্ষা করছিলো। সুখ নিজেও আহিয়ান এর তীক্ষ্ণ চাহুনী দেখে বিছানায় একদম চেপে ঠোঁটের উপর হাত রাখলো

—নিজ ইচ্ছাই যমরাজ কে আমন্ত্রণ করা বুঝি এটাকেই বলে

আপনমনেই বলে উঠলো সুখ

—মানা করিনি বিছানা ছেড়ে উঠবি না

শান্ত স্বরে বলা কথাটাতেও অদ্ভুদ কিছু ছিলো যা সুখ কে মহূর্তে কাপিয়ে দিলো।ঝংকার দিয়ে উঠলো সুখ এর পুরো শরীর

—আ আসলে

সুখ উচ্চারণ করতে পারছেনা কোন শব্দ যেনো কেউ গলা ধরে রেখেছে কিন্তু এমন কেনো হচ্ছে জানেনা সে।

—আই ওয়ান্ট মাই এন্সার ড্যাম ইট

এই প্রথম আহিয়ান এর চিৎকার শুনে এবার সুখ কেদেয় দিলো।আহিয়ান মহূর্তে হচকচিয়ে গেলো সে ভাবেনি সামান্য চিৎকারে তার সুখ পাখি বাচ্চাদের মতো কেদে দিবে। তার সুখ পাখি যতোই নিজেকে শক্ত দেখানোর চেষ্টা করুক সে যে মনের দিক দিয়ে এখনো বাচ্চা টাই রয়ে গেছে সেটা বুঝতে আহিয়ান এর বুঝতে বাকি থাকেনা

—অল্প বয়সে বড় হতে যেয়ে নিজের বাচ্চামোকে কবে মেরে নিজের মনের মাঝে পুতে রেখেছো তুমি নিজেও যানোনা কিন্তু সে বাচ্চাটা বের হবে। এই শক্ত খোলস ভাংগবে। আমি ভেংগে দিবো। কিন্তু সে বাচ্চামো শুধু আমার হবে একান্তই আমার। আমার মনের মাধুরীতে তুমি মিশে গেছো বড্ড বাজে ভাবে এই সব কিছুর শাস্তি খুব শীঘ্রই তুমি পাবে।

মনে মনে কথা গুলো বলে সুখের কাছে যেয়ে তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে।সুখ এতোটাই ভয় পেয়ে গেছিলো যে সে যে আহিয়ান এর বুকে মুখ লুকিয়ে কাদছে বুঝতেই পারলোনা

—ঠিক এই ভাবে আমার বুকে তুমি তোমার ঠায় খুজবে সুখ পাখি সময় টা আসতে বেশি দেরি নেই। সেদিন কারো ক্ষমতা হবেনা আহিয়ান এর থেকে তার সুখ পাখিকে কেরে নেওয়ার

মহূর্তে আহিয়ান এর চোয়াল শক্ত হয়ে গেলো। শান্ত চোখ জোড়া রক্তিম হয়ে উঠলো।হাতের বাধন টা হয়ে উঠলো আরো জোড়ালো।সুখ আপন মনেই আরো গভীর ভাবে ঢুকে পড়তে চাইলো শক্ত বুকটা থেকে পাওয়া উষ্ণতায়।আহিয়ান এর শরীর থেকে আশা মাতাল করা ঘ্রান যেনো সুখ এর মাঝে অন্যরকম অনুভূতি নাড়া দিয়ে উঠলো কখন সে তার নাক আহিয়ান এর শার্ট এর খোলা বোতামের উমুক্ত বুকে ঠেকিয়ে গভীর ঘ্রাণ নিলো সে নিজেও বুঝতে পারলোনা।

সুখ এর এমন কাজে আহিয়ান এর সম্পূর্ণ শরীরে অদ্ভুদ বৈদ্যুতিক ঝটকা খেলো এমন অনুভূতিতে কেপে উঠলো।আহিয়ান বুঝলো অবস্থা বেগতিক সুখ কে ছেড়ে এক গ্লাস পানি এগিয়ে দিয়ে সেখান থেকে চলে গেলো।

আহিয়ান এর বন্ধন থেকে ছাড়া পেতেই তার টনক নড়ে উঠলো। এতক্ষন কি করছিলো ভাবতেই অপরাধ বধে কুকড়ে উঠলো তার মন।সাথে অজানা কারণেই লজ্জাই রক্তিম হয়ে উঠলো গাল জোড়া।চোখে অপরাধ বোধ গালে লজ্জার রক্তিম আভা দরজাই আড়ালে দাঁড়ানো আহিয়ান এর বুকে হঠাৎ ই তোলপাড় শুরু করে দিলো।

—বুঝলে সুখপাখি। তোমার ওই নেশালো চোখের গভীর নেশার মায়ায় আমি আটকে গেছি। তোমার ওই বোচা নাকের তিল কেড়েছে আমার শান্তি।তোমার ওই গজ দাতের হাসিতে এই কঠোর মন গলতে বাধ্য হয়েছে।তোমার মনের অজান্তেই এই শক্ত হৃদয় এর মালিকানা পেয়ে গেছো।কিন্তু আহিয়ান চৌধুরীর মনের সুলতানা কেও গড়তে হবে তার সুলতানেত মতো হয়ে।

_______

১৪ দিন পরে আজ বেরিয়েছে সুখ বাড়ি থেকে। সাথে রয়েছে আহিয়ান।আজকে সুখের পায়ের প্লাস্টার খুলবে।সাথে কিছু শপিং করতে বেরিয়েছে দুইজন।এতোদিন পড়ে বাহিরে এসে যেনো সুখ শান্তি পেলো।এক মহূর্তে বাসায় না থাকা মেয়ে টানা ২০ দিন জেল খানার মতো আটকে ছিলো আহিয়ানের খাচায়।

শপিং মলের সামনে গাড়ি থামিয়ে নেমে পড়লো আহিয়ান সাইড ডোর ওপেন করে হাত ধরে বের করে আনলো সুখ কে।

—আমি একাই হাটতে পারবো ডাক্তার।

—হুশ আর একটা বাক্য উচ্চারণ করলে সবার সামনে কোলে তুলে নিবো

সুখ কিছু বলতে যাবে তার আগেই একজন যুবোক এসে জড়িয়ে ধরে সুখ কে। ছেলেটা আহিয়ানের অপরিচিত হলেও সুখের বড্ড চেনা কারন ছেলেটার আর কেউনা তার প্রথম ভালোবাসা। তার স্পর্শ খুব ভালোভাবেই চিনে সে। কিন্তু এর আগে তাকে জড়িয়ে ধরার সুযোগ হয়ে উঠেনি।এক সময় যার বুকে মাথা রেখে যুগ পার করার ইচ্ছা পোষন করতো আজ তার বুকে অস্বস্তি লাগছে হাসফাস করছে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য

—আকাশ ছাড়ো আমাকে কি করছো

এক হাত দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছে সুখ আকাশ কে সরানোর। কারন অপর হাত এখনো আহিয়ানের শক্ত পুরুষালী হাতে আবদ্ধ।সুখ ভুলেও চেষ্টা করছেনা হাতটা ছাড়ানোর বরং এক হাত দিয়েই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আকাশ কে নিজের থেকে ছাড়াতে।

সুখ এর মুখের এই ছাড়ো বাক্য টা শুনতেই এতোক্ষন চুপ করে দাঁড়িয়ে ছিলো আহিয়ান।সুখ এর বলার সাথে সাথে বাম হাত দিয়ে আকাশ কে সুখ এর থেকে ছাড়িয়ে নেই

সুখ আকাশ দুইজনেই অবাক হয় হতদম্ভ হয়ে যায় কিছু মহূর্তের জন্য।

—দূর থেকে কথা বলুন

আহিয়ান এর কথায় কিছুটা অপমানিত বোধ করলো আকাশ। সে এতোদিন পরে সুখ কে দেখে নিজেকে দমাতে পারেনি তাই এই ভাবে জড়ায় ধরেছে।

—কই হারিয়ে গেছিলা সুখ। ২৫টা দিন সেদিনের পর থেকে না ফোনে না ভার্সিটি আমাদের ক্যাফে কোথাও পায়নি তোমাকে ১০ দিন আগে তোনার বাসাতেও গেছিলাম কিন্তু সেখানেও তালা মারা ছিলো।এক প্রকার পাগল প্রায় অবস্থা হয়ে গেছিলো

—আমাকে খুজার বিশেষ কোন কারন তো নেয় তোমার আকাশ তাহলে কেনো।

—কি বলছো এগুলো সুখ।তুমি জানো তুমি আমার জন্য কতোটা ইম্পর্টেন্ট।

—আমি তোমার জন্য কি সেটা আমি সেদিন ই বুঝে গেছিলাম। আর,,,

সুখ কিছু বলতে যাবে তার আগেই নয়না নামক রমনীটি হাতে কিছু শপিং ব্যাগ নিয়ে আকাশের পাশে এসে দাঁড়িয়ে তার হাত জড়ায় ধরলো।ছ্যাত করে উঠলো সুখের বুকটা। হাত পা অস্বাভাবিক ভাবেই কাপতে শুরু করলো শক্ত করে খামচে ধরলো আহিয়ান এর হাত টা।সুখের নখ বিধতে শুরু করলো আহিয়ানের শক্ত হাতের মাংসে । তবুও একটা টু শব্দ করলোনা আহিয়ান।

—আরে সুখ যে কতোদিন পরে দেখা। ভালো করেছো এসে আজ আমরা আমাদের বিয়ের শপিং করতে এসেছি কিছু দিন পড়েই আমাদের বিয়ে তোমাকে কিন্তু আসতে হবে।

সুখ আকাশের দিকে তাকাতেই সে দেখলো আকাশের চোখে কেমন বিষন্নতার ছাপ।দৃষ্টি তার আহিয়ান আর সুখের মুষ্টিবদ্ধ হাতের দিকে।

—ওহ অভিনন্দন ।

—তোমার সাথে ইনি কে সুখ।

সুখ কিছু বলতে যাবে তার আগেই আহিয়ান বলে উঠে।
—আমি সুখের হবু জামাই।ডক্টর আহিয়ান চৌধুরী
(আকাশের দিকে হাত বারিয়ে দিয়ে)

আকাশের মুখটা মহূর্তে বিবর্ণ রুপ ধারণ করলো সাথে নয়ণা আর সুখের ও। সুখ আহিয়ানের মিথ্যা শুনে আর নয়ণা বরাবর ই হিংসা করতো সুখ কে কারন সে সর্বদা ক্লাসে প্লাস অন্যান্য এক্টিভিটি তে নয়নার থেকে এগিয়ে থাকতো প্লাস আকাশ সব সময় সুখ সুখ করতো সে সুখের পাশে এতো সুদর্শন যুবোক কে তার বর হিসেবে দেখে নয়ণার মনটা জ্বলে উঠলো

হঠাৎ আকাশ যেটা বলে উঠলো তা শুনে সুখ অবাক হয়ে চেয়ে রইলো তার দিকে কিন্তু আহিয়ানের ঠোঁটের কোণে ছিলো বাকা হাসি

চলবে!

আসসালামু আলাইকুম। সরি পাঠক পাঠিকা গন আমি অসুস্থ সেজন্য এতোদিন দিতে পারিনাই এখনো সম্পূর্ণ সুস্থ নই আমি।।#মনের_মাধুরীতে_তুমি
#লেখিকা_নওশিন_আদ্রিতা
#পার্টঃ৬
,
,
,
,

—এইসবের মানে কি সুখ

আকাশের ভারি রাশ পূর্বক জবাব শুনে সুখ চমকায়। সে ভাবেনি আকাশ এই ভাবে তার সাথে কথা বলবে সে ভেবেছিলো আকাশ হয়তো আশ্চর্য হবে কিন্তু রেগে যাবে সেটা ভাবেনি ওই।

—কেনো আকাশ তুমি ও তো বিয়ে করছো সেখানে আমি বিয়ে করাতে এই ভাবে রিয়েকশান দেওয়ার কোন কারণ আমি দেখিনা।

—আমার বিয়ে,,,,,

আকাশ আর কিছু বলতে যাবে তার আগেই পাশ থেকে নয়না আকাশের বাহু জড়ায় ধরে।

—আসলে সুখ কি হয়েছে বলোত নিজের এতো ভালো ফ্রেন্ড এর থেকে হঠাৎ এমন সাপ্রাইজ পেয়ে অবাক হয়ে গেছিলো।জানোই তো অভার রিয়েক্ট করে ছোট ছোট বিষয় এ

—ওহ আচ্ছা।

—আকাশ আমাদের আরও শপিং করতে হবে চলো সময় নেই

আকাশের হাত ধরে টেনে নিয়ে সেখান থেকে চলে গেলো নয়না। সুখ এর বুকের বাম পাশটা তীব্র ভাবে জানান দিচ্ছে সে কষ্ট পাচ্ছে ব্যাথা করছে প্রচন্ড হয়তো বাজে ভাবে রক্তক্ষরণ ও হচ্ছে কিন্তু সেটা আড়ালে।সেটা দেখার ক্ষমতা কারো না থাকলেও আহিয়ান এর চোখ থেকে আড়াল হলোনা।

—আইস্ক্রিম খাবা

হঠাৎ এমন প্রশ্নের ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো সুখ।মুখ টা আচমকাই হা হয়ে গেলো।বুকের ভিতর উঠা ব্যাথা টা আচমকাই ঠান্ডা পরশে শান্ত হয়ে গেলো।চোখ জোড়া আপনমনেই শান্ত হয়ে গেলো।কিছু একটা ছিলো লোকটার গলায় অদ্ভুত সম্মোহন করার ক্ষমতা রয়েচে তা বুঝতে বাকি রইলোনা সুখের।মন টা শান্ত হলেও মস্তিষ্ক তীব্র ভাবে জানান দিচ্ছে “পুনরায় ভুল করিস না সুখ আগের বার ভেংগে গুরিয়ে যাওয়া ক্ষত এখনো তাজা দ্বিতীয় বার জরাস না এই বাজে মায়ায়। ”

—ডাক্তার আমি বাসায় যাবো আমাকে বাসায় নিয়ে চলেন।

আহিয়ান কিছু না বলে মৃদু হাসলো সে জানে বুঝে তার সুখ পাখি এখন নিজের মন মস্তিষ্কের সাথে অদেক্ষা এক যুদ্ধ করছে যে যুদ্ধে কার জয় হবে আর কার পরাজয় জানেনা সে।কিন্তু যেদিন সে এই রহস্য এই যুদ্ধ থেকে বেরিয়ে আসবে সেদিন থেকে শুরু হবে তার নতুন যুদ্ধ।

—তৈরি হয়ে নেও গজদন্তীনি খুব শীঘ্রই তোমার মনের মাধুরীতে তীব্র ভাবে মিশে অন্যকাউকে এই বুকে জায়গা দেওয়ার শাস্তি দিবো। আমার জায়গাই অন্য কাউকে তোমার মনে জায়গা পাওয়াটা আমার পছন্দ বয় সুখ পাখি।

_____
বাসায় পৌঁছাতেই সুখ কিছুনা বলে সোজা হাটা ধরলো মিসেস চৌধুরীর ঘরে।এই কইদিনে মিসেস চৌধুরীর সাথে অনেক ভালো বন্ডিং হয়ে গেছে।সুখ কিছুনা বলে মিসেস চৌধুরীর রুমে প্রবেশ করে তার কোলে মাথা রাখলো

হঠাৎ কারো উপস্থিতে কেপে উঠলেন মিসেস চৌধুরী। হাতে থাকা বইটি পাশে রাখলো।আলতো হাতে সুখের চুলের ভাজে নিজের হাত গলিয়ে দিলো।

—কি হয়েছে আমার সুখ মা টার।

—উহু কিছুনা ঘুম ধরে আমি ঘুমাই তোমার কলে মাথা রেখে।

মিসেস চৌধুরী বুঝলেন মেয়েটার সাথে কিছু একটা হয়েছে কিন্তু সেটা সে বলতে চাচ্ছেনা ভিতর ভিতর গুমরে গুমরে মরছে কিন্তু প্রকাশ করতে দ্বিধা প্রকাশ করছে।

—এরকুম মায়ায় বাধা মেয়েটাকেই আমি আমার ছেলের বউ বানাবো একদম লাল টুকটুকে বউ।আলতা পায়ে প্রবেশ করবে আমার বাসায়।নিজের রঙ দিয়ে রাঙ্গিয়ে দিবে আমার আঙ্গিনা।আমার রায়,,,,

—উহু রায়হান নয় আহিয়ানের বউ হবে। ওর উপরে শুধু মাত্র আমার অধিকার

রুমে প্রবেশ করে হিশহিসিয়ে বলে উঠে

—আমি নিজের সিদ্ধান্ততে অটল
—তোমার চেয়ে কম কিন্তু নই আমি মা। তোমার আর বাবা র ছেলে৷ তোমার জেদ দুইজনাতে বিভক্ত কিন্তু আমাতে পরিপূর্ণ। সেজন্য জেদে আমি তোমাদের থেকে দ্বিগুন

—সময় বলবে কার জেদ জীতে আর কার টা হারে।

—এই প্রথম তুমি হারবে মা। নিজের ছেলের থেকে হারতে প্রস্তুত হয়ে যাও।

নিশ্বব্দে বেরিয়ে গেলো রুম থেকে।মা ছেলের এহেন বাক্য কান অব্দি পৌছাতে পারলোনা সুখের সে তো ঘুমে মগ্ন।

_______

সন্ধ্যার দিকে গল্পের একটা বই নিয়ে পড়তে বসেছিলো সুখ।হঠাৎ হাত থেকে বই কেড়ে নিতেই সে তার গল্প পড়া থেকে বেরিয়ে এলো।

—কি করছেন বই নিলেন কেনো ডাক্তার। অনেক ইন্টারেস্টিং একটা মহূর্তে ছিলাম

—কই দিন পরে এক্সাম সে খেয়াল কি আছে আপনার।সাবজেক্টলি বুক গুলো হাতেও ছোয়া হয়না।এই কইদিন অসুস্থ ছিলা কিছু বলিনাই তার মানে আর নয়।

কথাটা সম্পূর্ণ করেই সুখেই সামনে কিছু বই আর অনেক গুলো শপিং ব্যাগ রেখে গেলো ৩ জন সার্ভেন্ট।

—তোমার বই আর তোমার জন্য কিছু ড্রেস।আজ থেকে টপস জিন্স শার্ট গেঞ্জি পড়া বারণ।

সুখ হা হয়ে দেখছিলো সব কিছু আহিয়ানের একেক টা কথা মাথার উপর দিয়ে গেলো।

—আপনি কি পাগল হয়ে গেছেন ডাক্তার।আপনি এই ভাবে আমার লাইফে ইন্টারফেয়ার করতে পারেননা

আহিয়ান বাকা হেসে সুখের চুল মুঠ করে ধরে গলাই মুখ ডুবিয়ে গভীর এক নিশ্বাস টেনে নিলো নিজের ভিতরে

কেপে উঠলো সুখ অদ্ভুদ রকমের সীহরণে কেপে উঠলো তার সর্বাঙ্গ। ধাক্কা দিতেও ভুলে গেলো। কেমন নিস্তেজ হয়ে আসতে শুরু করলো তার শরীর। ঢলে পড়লো শরীর বিছানাই।তার সাথে বাড়তে লাগলো আহিয়ানের স্পর্শ।

গলা থেকে ঠোঁট উঠিয়ে ঠোঁটের দিকে এগুতে নিলেই কর্কশ ভাবে বেযে উঠলো আহিয়ানের ফোন। ধ্যান ভাংগলো আহিয়ান এর

—এবারের মতো ছেড়ে দিলাম সামান্য ঢোজ এ দ্বিতীয় বার “আমার লাইফে ইন্টারফেয়ার করা” বাক্যটা আমি শুনতে চাইনা।তোমাত লাইফে তোমার চেয়ে অধিক অধিকার আমার।মাইন্ড ইট বেবি

চোখ টিপ দিয়ে সুখের গালে ঠোঁট ছোয়ায়ে সেখান থেকে চলে গেলো।সুখ বিছানার চাদর খামচে ধরেই জোড়ে জোড়ে নিশ্বাস নিতে শুরু করলো।কিছুক্ষন আগে কি হয়ে গেছে ভাবতেই কেপে উঠলো সে।কি আছে তার স্পর্শতে যে সে এই ভাবে তার স্পর্শ পেয়ে কাবু হয়ে যায়। কেন পারেনা তার স্পর্শ করার সময় তাকে আটকাতে।

——————

ফোন কানে তুলতেই অপরপাশ থেকে মেয়েলি কান্না রত গলা শুনতেই আহিয়ানের কপালে বিরক্তির ৩টা ভাজ পড়ে গেলো মুখ দিয়ে বেরিয়ে এলো “চ্যাহ” শব্দটা

—আমি কতোবার বলেছি এলিনা আমাকে কল দিবা না বাংলা কথা বুঝতে পারোনা।তোমার এই সব ন্যাকামো সহ্য হয়না আমার

—তুমি বুঝতে চাওনা কেনো আহি আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবোনা আমি আবার সু******ইড এটেম্পট করেছি

—চা*কু নাকি বি*ষ

—বি*ষ

—*****এই টা খেয়ে নেও

—আমি জানতাম তুমি আমাকে ভালোবাসো তাই আমার কষ্ট সহ্য না হয়ে
আমাকে ফর্মুলা বলছো

—ইডিয়াট (মিনমিন করে)এটা খেলে আর বাচার কোন আশংকা থাকবেনা। একেবারে কাহিনী শেষ কেউ বাচাতে পারবেনা

কথাটা বলেই আহিয়ান কল কেটে দিলো অসহ্য মাথা যন্ত্রণা একটা।শুধু মাত্র মিসেস চৌধুরীর বান্ধবীরে মেয়ে বলে আহিয়ান চুপ থেকে মাথা ব্যাথাটা সহ্য করে।

কল কেটে নিজের রুম থেকে যেয়ে পুনরায় হস্পিটালের উদ্দেশ্য বেরিয়ে পড়লো। আজকে নাটন ডিউটি আছে তার।

——–.
সকালের মিষ্টি রোদ মাখিয়ে দিচ্ছে সুখের সম্পূর্ণ শরীর।হাতে কফির মগ নিয়ে একমনে তাকায় আছে ফুলের বাগানে।হঠাৎ নিজেকে কারো বাহু বদ্ধনে আবদ্ধ পেতেই কেপে উঠলো।তার সম্পূর্ণ শরীর অদ্ভুদ ঝংকার তুলে উঠলো।চিনা পরিচিত সুগন্ধে কেপে উঠলো মন মস্তিষ্ক।

—কি করছেন ডাক্তার ছাড়ুন আমাকে

—হুস সুখ পাখি একটা শব্দ না প্রচুর ক্লান্ত আমি।কিছুক্ষন শান্তি চায় আমি

বলে সুখের উমুক্ত ঘাড়ে ঠোঁট ছোয়াতেই সুখ খামচে ধরলো আহিয়ানের হাত।আহিয়ান সুখের হাত থেকে তার এটো কফির মগ নিয়ে নিজের ঠোট ছোয়ালো।

চলবে!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here