মন নিয়ে পর্ব -০২

মন নিয়ে

খাবারের লাইনে বাবা মা’র পিছে দাঁড়িয়ে পারিজাতকে সুড়ুত করে কেটে পড়তে দেখে ফেলল রিক। তাহলে এই মেয়েটার কথাই বলছিল ওরা? গ্র্যাজুয়েশানের পরে অটোয়াতে এক বছর চাকরি করেছিল রিক। তখন বাবা মা’র সাথে থাকত। মাস কয়েক আগে টরোন্টোতে জব পেয়ে মুভ করার পর মা একেবারে ধরে বেঁধে বসল। একা থাকা চলবে না, বিয়ে করতে হবে। দুনিয়ার মেয়ের ফটো, ঠিকুজি কুষ্ঠি ওকে দেখাতে আরম্ভ করে দিল।
এই মেয়ে ভালো। একবার দেখ! ঐ মেয়ে খুব সুন্দর দেখেছ!
রিককে পাগল করে দিতে বাকি রেখেছে। রিক বলেছে
— একটু গুছিয়ে নিয়ে বসতে দাও, মা। আমি তো পালিয়ে যাচ্ছি না।
বাবা অবশ্য কিছু বলে না। নির্বিরোধি মানুষ। নিজের ক্লাস, পড়াশুনা, ছাত্রছাত্রী নিয়েই আছে। কিন্তু মা! উফ।
এ উইকেন্ডে মায়ের কলেজ বান্ধবীর মেয়ের বিয়েতে বাবাসহ টরোন্টোতে এসে পড়ল। আসবার আগেই মা’র গান শুরু হয়ে গেল
— শোনো, একটা মেয়ে আছে।
— মা! মেয়ে একটা না। মিলিয়ন বিলিয়ন আছে।
— আহ! শোনো না। মেয়েটা টরোন্টোতেই থাকে। তোমার মতো ইঞ্জিনিয়ার। শাপলার পরিচিত ফ্যামিলি। বলেছে মেয়েটা খুব ভালো।
— ভালো মেয়ে অনেক আছে, মা। শাপলা আন্টিকে এন্ডর্স করতে হবে না।
— উফ! সিরিয়াস কথা, রিক! এই মেয়ে বিয়েতেও আসবে। তখন দেখে পছন্দ হয়ে গেলে এঙ্গেজমেন্ট করে রাখি, কেমন? মানে মৌখিকভাবে। পরে অনুষ্ঠান করে ফেলবনি। শনিবারে বিয়ে, রবিবারে ওদের বাসায় গিয়ে সামনাসামনি মেয়েটাকে দেখি ভালো করে। মানে বিয়েবাড়িতে তো সবাই মেকাপ টেকাপ করে যায়। আসল চেহারা কিছু বোঝবার উপায় আছে? রবিবারে ভালোমতো দেখা যাবে। আমার ডায়মন্ডের রিঙটাও নিয়ে যাই। ওকে পরিয়ে দিব। তোমার বাবাও এতে রাজি হয়েছে।

সত্যি কথা বলতে কী, রিকের বাবা এর বিন্দুবিসর্গও জানে না। সবই শাপলার বুদ্ধি। নিজের মেয়ের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে, তাই দুনিয়ার সবার ছেলেমেয়েকে বিয়ে করিয়ে দিতে তার তুমুল উতসাহ দেখা যাচ্ছে ইদানিং। সেটা অবশ্য দোলা খোলাসা করে বলল না। রিকের এতকিছু জানবার দরকার নাই!
রিক সব শুনেটুনে বলল
— মা, তোমরা যখন জানো যে মেয়ে ভালো, রবিবারে ভালোমতো দেখেও নেবে, সাথে ডায়মন্ডের রিং নিয়ে রেডি হয়ে যাচ্ছ, তাহলে আমার আর গিয়ে লাভ কী! তুমি আর বাবাই ওকে বিয়ে করে অটোয়া ফিরে যেও। আমি এর মধ্যে নাই।
শুনে মা এত হাউকাউ করেছিল যে তার ক্ষতিপূরণ হিসাবে রিক আজ আসতে বাধ্য হয়েছে। এসে প্রথম দর্শনে পারিজাতকে খারাপ লাগেনি। ভেবেছিল খেতে খেতে কথা বলবে। কিন্তু মেয়ে তো দেখি ওকে বুড়া আঙুল দেখিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। রিক একটু যে ইন্টারেস্টেড হল না, সেটা বলা যাবে না। আজব মেয়ে তো। বয়ফ্রেন্ড আছে নাকি?

পারিজাত, মাহা আর জেরিন কোণের খালি টেবিল দেখে বসে পড়ল। কয়েক চামচ বিরিয়ানি গপাগপ মুখে চালান করে দিল পারিজাত।
— আই ওয়াজ এবসোলুটলি স্টার্ভিং। খাবার দিতে বেশি দেরী হলে ফেইন্ট হয়ে যেতাম মনে হয়।
কেউ কোনো কথা বলল না। নীরবে খেতে লাগল। পারিজাত আবার বলল
— অনেক্ষণ আগে এসেছ তোমরা?
— হু। অন্যমনস্কভাবে জবাব দিল জেরিন।
— এন্ড ইউ, মাহা? কখন এসেছে?
— বেশিক্ষণ না। জানোই তো আমাদের ফ্যামিলি মেম্বার বেশি, সবার তৈরী হতে হতে অলমোস্ট আটটা বেজে গেছিল। ভাগ্যিস কাছে থাকি, আসতে বেশিক্ষণ লাগেনি।
মাহা ছোটখাটো, গোলগাল, মিষ্টি মুখের কোঁকড়ানো চুলের একটা মেয়ে। ওদেরই সমবয়সী, গতবছর গ্র্যাজুয়েশান করে এখন একটা ডে কেয়ার সেন্টারে চাকরি করছে। পাশ করার সাথেসাথে ওর রুক্ষণশীল পরিবারের পছন্দে বিয়ে হয়ে গেছে। ওর বর জামিল ওর থেকে পাঁচ বছরের বড়ো, বাড়ির বড়ো ছেলে। ওরা জামিলের মা বাবা আর দুইটা ছোট বোনের সাথে থাকে। মাহা মেয়ে হিসাবে নরম সরম, সুন্দর মানিয়ে নিয়েছে নতুন জীবনে। কিন্তু আজ ওর মুখটা কেমন মলিন। সবসময়ে ঠোঁটে লেগে থাকা হাসিটা যেন একটু ফিকে।
এক চামচ বিরিয়ানি মুখে চালান দিয়ে মাহাকে ভালোভাবে লক্ষ করল পারিজাত। আশ্চর্য হয়ে প্রশ্ন করল
— আর ইউ ওকে, মাহা?
মাহার চোখটা ছলছল করে উঠল। মাথা ঝাঁকিয়ে জবাব দিল
— আই হ্যাড এ ফাইট উইথ জামিল।
— রিয়েলি? তুমি তো ঝগড়া করার মেয়ে না। কী হয়েছে? এনিথিং সিরিয়াস?
— সিরিয়াসই। কিন্তু ও সেটা মনে করে না। আমার দুঃখ সে বুঝছে না।
আশ্চর্য কথা বলছে মাহা। জামিল ভাইয়ের মতো ভালোমানুষ খুব কম আছে। কিন্তু মাহা যেরকম আপসেট হয়ে আছে, কিছু একটা হয়েছে তো বটেই। কোনো প্রশ্ন করবার আগেই মিলি আন্টি ওদের টেবিলে এসে দাঁড়িয়ে পড়ল।

— গার্লস, কী খবর তোমাদের?
মিলি আন্টি শাফাতের মা আর শাফাত জেরিনের বয়ফ্রেন্ড, ফিয়াসে বলা চলে। সবাই জানে জেরিন আর শাফাতের সামনে বিয়ে হবে, ডেটটাই শুধু ফেলা হয়নি এখনো।
সালামপর্ব চুকতেই মিলি আন্টি জেরিনকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন করল
— জেরিন, কখন এসেছ? তোমাকে দেখলাম না তো।
পারি বেশ আশ্চর্যই হল বলতে হবে। জেরিন কোথাও যাবে আর সেখানে মিলা আন্টি আছে জেনেও একবার দেখা দিয়ে যাবেনা, ব্যাপারটা খুব ফিশি। আজ ওর বন্ধুদের হলটা কী? জেরিন কেমন আমতাআমতা করে বলল
— এই এলাম, আন্টি। এসেই দেখি খাবারের এনাউন্সমেন্ট দিয়ে দিল। ভাবছিলাম খেয়ে নিয়ে তোমার সাথে দেখা করতে যাব।
— ওহ, ঠিক আছে। ঠিকমতো খাবার নিয়েছ তো? বাটার চিকেনটা মজা হয়েছে, খেয়ে দেখো।
— শিওর। নিব, আন্টি।
— সাফাত কই? আমি মনে করেছিলাম সে তোমাদের টেবিলে থাকবে।
কেমন সংকুচিত হয়ে গেল জেরিন।
— ও কোন বন্ধুর দেখা পেয়েছে, আন্টি। তার সাথে বসবে মনে হয়।
— ওহ, ওকে।

মিলি আন্টি চলে যেতেই জেরিনের নিভে যাওয়া মুখের দিকে তাকিয়ে আশ্চর্য হয়ে পারি প্রশ্ন করল
— হোয়ের ইজ সাফাত? ও তোমার সাথে বসছে না কেন?
জেরিনের চেহারার আলো নিভে গেল।
— জেরিন, ইজ এভ্রিথিং ওকে?
জেরিনের চেহারায় এবারে রাগরাগ ভাব ফুটে উঠল।
— সাফাত এন্ড আই ব্রোক আপ!
— হোয়াট! কবে? কখন? কেন?
পারি কতদিন দুনিয়া থেকে গায়েব ছিল যে এতসব ঘটনা ঘটে গেছে আর ও জানেই না? কালই তো জেরিন ওদের হুইটবির বাড়িতে চলে গেল উইকেন্ড কাটাতে। ইন ফ্যাক্ট, সাফাত এসেছিল ওকে ড্রাইভ করে নিয়ে যেতে। এক রাতের মধ্যে কী এমন ঘটে গেল? আর মাহা? তারই বা ঘটনা কী? সিমপ্লি আনবিলিভাবল!
জেরিনের চেহারা কাটা কাটা, প্রচলিত অর্থে সুন্দরী সে। ওর বড়বড় চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ল।
— সাফাত ইজ দা মোস্ট আনরোমান্টিক পার্সন অন আর্থ। প্রপোজ করা নিয়ে আমি কতো স্বপ্ন দেখেছিলাম। সাফাত সিমপ্লি সেইড— চলো, বিয়ে করে ফেলি তাড়াতাড়ি। নো রিং, নো ফ্লাওয়ার, নো গেটিং অন হিজ নিজ, নট ইভেন ইন এ রোমান্টিক প্লেস। গতকাল গাড়িতে উঠতেই এ কথা বলেছে। আমি নিজের কানকেও বিশ্বাস করতে পারিনি।
ও গড! জেরিনের চোখে এটা সিরিয়াস ইস্যুই বটে। সে হিন্দি সিনেমার পোকা। বিশ্বাস করে প্রত্যেকের জন্য শুধু একপিস সঙ্গী রয়েছে। সে সঙ্গীর সাথে দেখা হলে গান বেজে উঠবে, সিনেমার মতো সে প্রপোজ করবে, তারপরে হিন্দি ছবির স্টাইলে বিয়ে হবে। সেখানে স্রেফ— চলো বিয়ে করি বলাটা অবশ্যই অমার্জনীয় অপরাধ।
— কিন্তু জেরিন, তুমি সাফাতের সাথে লাস্ট ছয়মাস ধরে ঘুরছ। এতদিনে টের পাওনি যে সে রোমান্টিক না।
— পেয়েছিলাম। তোমাকে তো বলেছিলাম এনিয়ে কিন্তু আশা করেছিলাম যে সময়ের সাথেসাথে সে শিখে নেবে। এট লিস্ট প্রপোজালে তো আরেকটু এফোর্ট দিবে। এটা কেমন প্রপোজাল হল? আমি সাথেসাথে গাড়ি থামাতে বললাম ওকে।
— তারপর?
— তারপর আর কী? বললাম উই আর ব্রোকেন আপ। বাবাকে ফোন করে আমাকে নিয়ে যেতে বললাম।
— সাফাত এসময়ে কিছু বলল না?
রাগে মুখ লাল হয়ে গেল জেরিনের।
— বলেছে! আমাকে বলে কিনা কাম অন, জেরিন। আই ডোন্ট বিলিভ ইন দোজ সিলি স্টাফ। ও বিয়ে করতে চাইছে সেটাই নাকি এনাফ, সেটাই নাকি ওর ভালোবাসার প্রমাণ। আই উইল নট ম্যারি হিম। আই সোয়ার, আই উইল নট!
— কিন্তু জেরিন, সবাই জানে সাফাত আর তোমার কথা। তোমাদের একরকম এনগেজমেন্ট হয়েই আছে।
— তাতে কী! এখন আমরা ব্রোকেন আপ। কোনো এনগেজমেন্ট হবে না। বিয়ে হলে ও আমার জীবন ত্যানাত্যানা করে দিবে। আনরোমান্টিক কাহিকা!

বলতে না বলতেই অপরাধী সাফাতের দেখা মিলল। কোনোরকম ভূমিকা না করে সে জেরিনকে বলল
— জেরিন, মা তোমাকে ডাকছে। কার সাথে নাকি পরিচয় করিয়ে দিবে।
আগুনে ঘি পড়ল যেন। হিসহিস করে জেরিন জবাব দিল
— আমি আসতে পারব না। আন্টিকে বলে দাও উই আর ব্রোকেন আপ!
— জেরিন! বি রিজনেবল! আমি কী এমন বলেছি যে আমার সাথে ব্রেক আপ করতে চাইছ?
— কী এমন বলেছ না, কী বলো নি সেটা কন্সিডার করেই আমি এমন ডিসিশান নিয়েছি। এখন মিলি আন্টির ওখানে গিয়ে আমি লক্ষী ফিয়াসের ভড়ং ধরতে পারব না। গো এওয়ে, যাও, গিয়ে আন্টিকে বলে দাও আসল কথা।
— জেরিন, দিস ইজ নট দা রাইট টাইম অর দা রাইট প্লেস। উই ক্যান ডিসকাস এবাউট ইট লেটার।
— দেয়ার ইজ নাথিং টু ডিসকাস। ইউ আর নট মাই সোলমেট এন্ড দ্যাট ইজ ফাইনাল।
জেরিনের দুনিয়ায় সোলমেটের গুরুত্ব অপরিসীম। পারি সেটা জানে কিন্তু এ মুহূর্তে অন্যের বিয়ে খেতে এসে একটা সিন ক্রিয়েট করাও কোনো কাজের কথা না। সান্ত্বনা দেবার ভঙ্গীতে বলল
— জেরিন, আন্টি তো আর জানে না। তুমি না গেলে জিজ্ঞেস করবে কেন আসছ না। সত্যি কথা বললে তখন একটা সিন ক্রিয়েট হবে। অন্যের বিয়েতে এমনটা করা কি ঠিক হবে, ভেবে দেখ তো?
জেরিন খানিক বিদ্রোহীর ভঙ্গীতে গোঁজ হয়ে বসে রইল। তারপর কোলের ন্যাপকিন ছুড়ে ফেলে উঠে দাঁড়াল।
— অল রাইট, আই এম কামিং। বাট উই আর স্টিল ব্রোকেন আপ। কথাটা মনে রাখবে।
অসহায়ভাবে পারির দিকে তাকিয়ে কাঁধ ঝাঁকাল সাফাত।
— হোয়াটএভার ইউ সে!

ওরা চলে যেতে মাহার দিকে মনোযোগ দিল পারি। পুরা সময়টাতে মাহা একটা কথাও বলেনি, শুধু মাথা নীচু করে খাবার নাড়াচাড়া করেছে।
— মাহা, কেন তুমি জামিল ভাইয়ের ওপরে আপসেট?
কথা বলতে গিয়ে মাহার ঠোঁট কেঁপে উঠল। সামলে নিয়ে বলল
— দেখো পারি। আমার বিয়ে হয়েছে এক বছর হয়ে গেল কিন্তু জামিল এখনো আমাকে নিয়ে হানিমুনে গেল না। আমারও তো একটা শখ আহ্লাদ আছে, নাকি?
— সেকী! তোমরা না হানিমুনে গেলে ক্যানকুনে? বিয়ের পরপরই তো গেছিলে মনে আছে আমার!
পারির কথায় পটকা মাছের মতো ফুলেফুলে উঠতে থাকে মাহা
— হানিমুন, মাই ফুট! ওটা হানিমুন ছিল না, ছিল একটা ফ্যামিলি ভ্যাকেশান। জামিলের মা বাবা বোনেরা কখনো ক্যানকুনে যায় নি, সমুদ্র দেখেনি, তাই ওরাও এ সুযোগে আমাদের সঙ্গ ধরল। হানিমুন কথাটার মানেই জানে না ওরা।
— ওহ গড! তাই তো, মনে পড়েছে এবার। তারপর কী হয়েছিল?
— কী আবার? আমরা একটা ভিলা ভাড়া করে থাকলাম। সারাদিন ধরে তুমুল রান্নাবান্না করেছি, বিকেলে দলবেঁধে সমুদ্রের পারে হাঁটাহাঁটি করেছি। এই হচ্ছে আমার হানিমুন। শেষের দিকে আমি কান্নাকাটি আরম্ভ করলে জামিল বলেছিল আমাকে নিয়ে আবার আসবে। এখন সেকথা মনে করিয়ে দিতেই পিছলে বেরিয়ে যেতে চেষ্টা করছে। ওর মা এর মধ্যে বাচ্চা নিয়ে একটু আধটু কথা তুলছে। বাচ্চা হয়ে গেলে আমি যেতে পারব? এনিয়ে গতরাত সারারাত ঝগড়া চলেছে আমাদের।
— অহ! দ্যাটস নট গুড!
— গুড তো না-ই। আই হেট মাই লাইফ। যেখানেই যাও, সবাই মিলে যেতে হবে, কোনো প্রাইভেসি নাই আমাদের। আমরা প্র্যাকটিকালি নিউলি ওয়েড। সেটা ওর বাবা মা বুঝতেই চায় না। হয় নিজেরা সাথে যাবে, নিতান্ত যেতে না পারলে জামিলের ছোট দুই বোনকে আমাদের সাথে ভিড়িয়ে দেবে। ওদের আমিও কম ভালোবাসি না, তাই বলে সবসময় আমাদের সঙ্গ ধরতে হবে?
মাহার চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ল।
হতাশ হয়ে বসে রইল পারি। বিয়ে এত প্যাঁচালো জিনিস! বাপ রে বাপ। ও এসবের মধ্যেই নাই।
(চলবে)

বি দ্র— পাঠকের ভালোবাসা জমিয়ে রাখতে ভালোবাসি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here