মন নিয়ে পর্ব -০৩

মন নিয়ে (পর্ব ৩)

রোববার সকালে দেরীতে ঘুম ভেঙে নাস্তা খেতে নিচে এল পারি।
— বাবা কই, মা?
— গাড়ির অয়েল চেঞ্জ করতে গেছে। ফেরার পথে বাজারটাও করতে বলে দিয়েছি।
পারি কথা না বাড়িয়ে নাস্তা খেতে থাকে। মৃণাল আশেপাশে খুটখাট করতে থাকে, একবার ফ্রিজ খুলে কী দেখে, একবার কাউন্টারের ওপরে রাখা জিনিসগুলি নাড়েচাড়ে।
— কিছু বলবে, মা?
— হ্যাঁ। আজ বিকেলে ফ্রি আছ তো?
— হুম, কাল সারাদিন এত খাটুনি গেল, আজকের দিনটা রিলাক্স করব ভেবেছি। তুমি চাইলে আমরা নেটফ্লিক্সে একটা মুভিও দেখতে পারি।
কাচুমুচু মুখ করে ফেলল মৃণাল।
— মুভি দেখার সময় আমার হবে না মনেহয়। প্রিপারেশান নিতে হবে।
অবাক হল পারি
— কীসের প্রিপারেশান?
— আজ রাতে মেহমান আসবে। তুমিও থেকো কিন্তু।
সরলভাবেই উত্তর দিল পারি
— তা নাহয় থাকব কিন্তু কে আসছে?
— ঐ যে গতকাল দেখেছিলে না? দোলা ভাবী আর রানা ভাই। ওরা অটোয়ায় থাকে। আজকের দিনটা থেকে কালকে ফিরে যাবে। আমি ওদের তাই দাওয়াত দিয়েছি। কালকে এত আলাপ করলাম, ভালোমানুষ ওরা।

মুহূর্তে মাথায় রক্ত উঠে গেল পারির। ভালোমানুষ! ভালোমানুষ তাই দাওয়াত দিয়েছে! ভালোমানুষ মাই ফুট! চোখ সরু করে সরাসরি প্রশ্ন করল
— রিকও আসবে?
— মা বাবা এলে সে তো আসবেই।
— আমি থাকছি না, মা। আমার প্ল্যান আছে।
— এই না বললে কোনো প্ল্যান নাই? তুমি ফ্রি?
— এখন প্ল্যান হয়ে গেছে, মা!
— রিক আসবে বলে প্ল্যান হয়ে গেল? এদিকে আমি বলে ফেলেছি তুমি বাড়ি থাকবে। কী একটা এম্বারাসিং সিচুয়েশান হবে বলো দেখি।
অন্যদিন হলে হয়ত এখানেই হার মেনে যেত পারি কিন্তু গতরাতে মাহা আর জেরিনের ঘটনায় ওর মন মেজাজ খারাপ আছে। গোঁ ধরে বলল
— মা, আমি আর ছোট নাই, আমাকে না জিজ্ঞেস করে এমন হুট করে প্ল্যান করতে গেলে কেন? আর ওরা কেন আসছে, তা বুঝি আমি বুঝতে পারছি না? কেন এসব করতে যাও বলো তো!
মৃণালের ধরা পরে যাওয়া চেহারা দেখে এবারে নরমভাবে বলল
— বুঝছ না কেন? আমি এখন বিয়ে করব না।
— বিয়ে করবে না তো কী করবে? পড়াশোনা শেষ, চাকরি করছ, এখনি তো বিয়ে করার সময়।
— না, এখন বিয়ের সময় না। আমার একটা প্ল্যান আছে।
— কী প্ল্যান শুনি?
— আমি এখন টানা দুই বছর জব করব। কিছু টাকা জমাবো, তারপরে মাস্টার্স করব। এর ফাঁকে নানান দেশে ট্রাভেল করব। সম্ভব হলে ডাউন্টাউনে একটা কন্ডোও কিনব। এই হচ্ছে আমার প্ল্যান। এর মধ্যে বিয়ের কোনো জায়গা আপাতত নাই।
পারির প্ল্যানের কথা শুনে হাহাকার করে উঠল মৃণাল।
— হায় আল্লাহ! এ কী রকম প্ল্যান? এ প্ল্যান দিয়ে আমি কী করব?
— মা, তোমাকে কিছু করতে হবে না। এ আমার প্ল্যান।
— তওবা তওবা। প্ল্যান শুনে মরে যেতে ইচ্ছা করছে আমার। পারি, তুমি নিজের জীবনটা নিজের হাতে নষ্ট করতে চাইছ কেন?
— মা! নষ্ট কই করলাম? আমি নিজের জীবন বিল্ড করছি!
— বিল্ড করছ! নিকুচি করি বিল্ডের!
— হোয়াট ইজ নিকুচি, মা?
মেয়ের কথায় মৃণাল পারে তো কেঁদে ফেলে। শান্তিতে নিকুচি বলাও সম্ভব না ট্যাঁস মেয়ের জ্বালায়।
— বিয়ে না করলে তুমি অসুখী থাকবে! হায় আল্লাহ! আমার মেয়ে অসুখী থাকবে! আমার মতো সুখী হবে না, আমি তো ভাবতেই পারছি না!
এ পর্যায়ে পারিজাতের বাবা ঘরে ঢুকতেই একথা কানে আসতে খুকখুক করে কেশে উঠলেন। মানে তিনি বিবাহিত জীবনে সুখী না অসুখী এখনো পর্যন্ত স্থির করে উঠতে পারেন নি। তবে এনিয়ে বেশি ভাবতে চান না। যা হয়েছে, যথেষ্ট হয়েছে। এ বয়সে নতুন কী আর হবে!
— আমরা তোমার ভালো চাই, পারি। আমি এতদিন ধরে তোমার জন্য শাড়ি গয়না জমাচ্ছি। যে মেয়ে বড়ো হলে ধুমধাম করে বিয়ে দেব। এখন এসব কী প্ল্যান শোনাচ্ছ, পারি!
কথাটা সত্যি। মৃণাল বহুবছর ধরে মেয়ের বিয়ের জন্য শাড়ি গয়না জমা করছে। এমনকি নিজে কোন অনুষ্ঠানে কী পরবে, কাকে কী গিফট দেবে, সেগুলির প্রিপারেশানও করা সারা। পারি শুধু চোখ বন্ধ করে ওয়েডিং ভেন্যুতে উপস্থিত হলেই হল! বাকিসব মৃণালই ভেবে রেখে দিয়েছে!
— মা, তোমাকে তো বল্লামই আমার প্ল্যানের কথা। তুমি এরমধ্যে শাড়ি গয়না জমায়ে বসে আছ কেন?
অপ্রত্যাশিত আক্রমণে মৃণালেরও মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। রাগ করে বলল
— ফাইন। থাকতে হবে না তোমাকে। দোলা ভাবী, রানা ভাইয়ের সামনে বানাও আমাকে মিথ্যাবাদী। আমার কী!
নীরবে নাস্তার পাট চুকিয়ে উঠে পড়ল পারি। একে একে ফোন করল মাহা আর জেরিনকে। খবর নিয়ে জানল মাহা সারারাত কান্নাকাটি করেছে আর বরের সাথে ঝগড়া করেছে আবারও। আর জেরিন কঠিন শপথ নিয়েছে ওকে স্টাইলের সাথে প্রপোজ না করলে ও সাফাতের সাথে আর সম্পর্ক রাখবে না। জীবন একটাই, সামান্য সাধটুকু যদি না পূরণ হয় তবে কীভাবে কী হয়— দুজনের এক কথা।

শুনে পারিরও এক কথা মনে হল। জীবন একটাই। ওর জীবনের ইচ্ছাগুলি পূরণ না করে বিয়ে করলে ও মহা ভুল করবে। বিয়ে মানেই তো পায়ে বেড়ি। বিয়ে হলেই একে একে আসবে বাড়ির ডাউন পেমেন্ট, দুই গাড়ির মান্থলি পেমেন্ট, দুই থেকে পাঁচ বছরের মাথায় বাচ্চা। বাবা রে বাবা, বাচ্চা মানেই খরচ কত। উইকেন্ডে সেই সেম ওল্ড মুখ নিয়ে পার্টি। নিজের জন্য সময় থাকবে না, নিজের শখের জন্য তো আরোই সময় থাকবে না। এমন অকারণ ব্যস্ততা, গতানুগতিক, সাধারণ জীবন ওর চাই না। অন্তত এখন তো না-ই।
মায়ের তোম্বা মুখ উপেক্ষা করে ও বিকেল হতে না হতেই কেটে পড়ল। প্রয়োজনও ছিল। জেরিন এমার্জেন্সি ডিক্লেয়ার করেছে। বলেছে তার বন্ধু লাগবে, যার কাঁধে মাথা রেখে ও কাঁদতে পারবে। বান্ধবীকে চিয়ার আপ করতে ও ডাউন্টাউনের এক রেস্তোরায় দেখা করতে বলল। ডিনার খেতে খেতে দুজনে কথা বলতে পারবে।
খানিক মলে উদ্দেশ্যবিহীনভাবে ঘোরাঘুরি করে আটটার মধ্যে ও নির্ধারিত রেস্তোরায় একটা টেবিল নিয়ে বসে জেরিনের অপেক্ষায় থাকল। আটটা বেজে পার হয়ে পৌনে নয়টা বাজতে বসল, জেরিনের পাত্তা নাই। ফোনও সুইচড অফ। বুঝল সাফাতের ফোন এড়াতেই ও ফোন অফ করে রেখেছে। এখন আর বসে থাকবে নাকি চলে যাবে ভাবতে ভাবতেই মুখ তুলে যাকে দেখতে পেল, তাকে দেখে ভুত দেখার মতো চমকে উঠল।
রিক!
রেস্তোরার দরজা দিয়ে ঢুকেই ওর দিকে চোখ পড়েছে ওর। সাথেসাথে ভ্রু কুঁচকে উঠেছে।
আশ্চর্য হয়ে গেল পারি। এ বান্দার না ওদের বাড়িতে ডিনার করার কথা? তাহলে এখানে কী করছে?
বেশীক্ষণ ভাবতে হল না। রিক এগিয়ে এসে ওর টেবিলে ঠেস দিয়ে দাঁড়াল। তাচ্ছিল্যের স্বরে প্রশ্ন করল
— তোমার মা বলল মাথা ব্যথায় তুমি উঠতে পারছ না, তাই নীচে নেমে আমাদের সাথে দেখা করতে পারলে না। এত তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে গেছে জেনে অবাক হচ্ছি।
পারি পাত্তা দিল না।
— ঐ আর কী! হুট করে আসে, আবার চলেও যায়।
— ভালো, ভেরি কনভেনিয়েন্ট হেডেক! তো এতো তাড়াতাড়ি বাড়ি থেকে ডাউনটাউনে পৌঁছুলে কিভাবে? নাকি ডাইনীদের ঝাড়ু থাকে সাথে?
পারি বুঝল রিক অসম্ভব অপমানিতবোধ করেছে। সেও এভাবে মুখোমুখি পড়ে গিয়ে বিব্রতবোধ করছে। কী বলবে বুঝতে না পেরে ঝট করে উঠে দাঁড়াল।
— সরি, আমাকে যেতে হচ্ছে। বান্ধবীর এমার্জেন্সি!
— তারও মাথা ব্যথা? ভ্রু তুলল রিক
জবাব না দিয়ে দ্রুতপদে রেস্তোরা ছেড়ে বেরিয়ে এসে বাসার পথ ধরল পারি। কী কুক্ষণেই যে এ রেস্তোরা বেছে নিয়েছিল সে! মান সম্মানের আর কিছু রইল না!

ওদিকে রিক একটা টেবিল দখল করে সাফাতের অপেক্ষা করতে লাগল। সাফাত ওর বন্ধু ছিল যখন দুজনে একসাথে অটোয়াতে পড়েছে। মাঝখানে এক বছর যোগাযোগ ছিল না, সাফাত টরোন্টোতে ফিরে গেছিল আর রিক অটোয়াতেই রয়ে গেছিল। ইদানিং বন্ধুত্বটা আবার ঝালিয়ে নিচ্ছে। কী যেন প্রবলেমে পড়েছে সাফাত, বলেছে হেল্প লাগবে।
নিজেদের এপার্মেন্টে ঢুকতে দেখে জেরিন লিভিং রুমের সোফায় বসে পা ছড়িয়ে কাঁদছে। সামনে টিস্যু বক্স। চারিদিকে অসংখ্য দোমড়ানো টিস্যু দেখে বুঝল এতক্ষণ ধরে এগুলির সদ্ব্যবহার হচ্ছিল। পারিকে দেখে জোরে নাক টানল জেরিন
— তুমি রেস্তোরায় এলে না কেন, জেরিন? আমি এতক্ষণ ধরে অপেক্ষা করলাম।
— রেস্তোরা? কোন রেস্তোরা? আমি এতক্ষণ ধরে তোমার অপেক্ষায় বসে আছি!
— তোমাকে বললাম না, থ্রি আমিগোজ এ আমার জন্য ওয়েট করো। ওখানেই কথা বলতাম। রবিবার রাতে এমনিতেও বেশি ভিড় হয় না।
— কখন বললে? আমি শুনিনি। আমি মনে করেছি তুমি বাসায় আসছ, এজন্য সরাসরি বাসায় চলে এলাম।
তারমানে অকারণে ওকে রিকের মুখামুখি পড়তে হল। কেমন রাগ লাগল রিকের ওপরে। ডাউনটাউনে হাজার হাজার রেস্তোরা, ওকে বেছে বেছে এখানেই আসতে হল? ওর না দাওয়াতে যাবার কথা ছিল?
— যাক গে, যা হয়েছে, হয়ে গেছে। এখন বলো, লেটেস্ট আপডেট কী?
— কিছু না। আমি সাফ সাফ বলে দিয়েছি আমি জীবনে রোমান্স চাই। গত ছয়মাস ধরে ওকে আকারে ইশারায় বলছিলাম, কোনো কাজ হল না। এখন বিয়ে করে পানসা জীবন কাটাতে পারব না। আমাকে ঠিকমতো প্রপোজ করতে হবে, বিয়ের পরে মাঝেমধ্যে সারপ্রাইজ দিতে হবে, রোমান্টিক হতে হবে।
— ইয়ে, জেরিন। ইউ নো দ্যাট দোজ হিন্দি মুভিজ আর নট রিয়েল, রাইট?
— রিয়েল না হলেও মাঝেমধ্যে রিয়েল বানাতে হবে। নাহলে আমি নাই!
পারি কিছু বলবার আগেই ওর ফোনটা বেজে উঠল। মাহা

— গেস হোয়াট! জামিল রাজি হয়েছে! নেক্সট উইকেন্ড লং উইকেন্ড। তিনদিনের ছুটিতে আমরা মেক্সিকো যাচ্ছি।
মাহার গলা খুশি আর উতসাহে ফেটে পড়ছে যেন।
— দ্যাট ইজ রিয়েলি নাইস, মাহা। আই এম সো হ্যাপি ফর ইউ। একটা সুন্দর হানিমুন করে আসো গিয়ে।
— রিয়েলি। আমি এক্সাইটমেন্টে ফেটে যাব মনে হচ্ছে।
জেরিন হাত বাড়িয়ে পারির কাছ থেকে ফোনটা নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ল
— মাহা, মাই লাইফ ইজ রুইন্ড। সাফাত এন্ড আই ব্রোক আপ। হি ইজ টু আনরোমান্টিক।
মাহা অপর দিক থেকে কিছু সান্ত্বনার কথা বলল মনে হয়। জেরিন তাতে ভেউ ভেউ করে কাঁদতে আরম্ভ করল
— আই হেট মাই লাইফ, আই হেট টরোন্টো, আই হেট সাফাত। আই ডোণ্ট ওয়ান্ট টু লিভ। প্লিজ টেক মি উইথ ইউ।
— জেরিন! পারি পুরাই শকড। কিন্তু কে শোনে কার কথা। জেরিনের কান্না আর থামে না। সে মাহার গলা ধরে একেবারে ঝুলে পড়ল। ওকেও ক্যানকুনে সাথে নিয়ে যেতে হবে। একটা ভ্যাকেশানের নাকি ওর খুবি প্রয়োজন। অফিস থেকে ছুটি ম্যানেজ করতে পারবে।
খানিক কাঁদাকাটা করার পর পারির দিকে ফোন বাড়িয়ে দিল জেরিন।

মাহার গলা পাওয়া গেল
— পারি, কী করি বলো তো? এদিকে জেরিনকে বোঝাতে পারছি না।
মাহা ওদের মধ্যে সবচাইতে নরম মনের। জেরিনকে একটা ধমকও দিতে পারছে না বেচারা। সরে এসে চাপা গলায় বলল পারি
— জানোই তো, জেরিন ইজ এ বিট ফিলমি। শি উইল বি ফাইন। ইউ গাইজ গো এন্ড এঞ্জয় ইয়োরসেল্ভস।
— বাট, আই উইল ফিল গিলটি, পারি।
অন্য কেউ হলে কথাটা বিশ্বাস করত না পারি কিন্তু মাহার মুখে একথা সাজে। নাহলে জামিল ভাইয়ের পুরা ফ্যামিলির সাথে হানিমুনে যেতে রাজি হয় কোনো নতুন বৌ?
— আরে নাহ! পাগল নাকি! তোমার হানিমুনে তুমি ওকে নিয়ে যাবে?
— লিসেন, আমার মাথায় একটা বুদ্ধি এসেছে। হোয়াই ডোন্ট ইউ কাম অলসো। তাহলে তুমি আর জেরিন একসাথে থাকতে পারবে। জেরিনের ওপরে চোখও রাখতে পারবে। আমরা একসাথে গিয়েও মোটামুটি আলাদাভাবেই টাইম স্পেন্ড করব। তুমিও তো ক্যানকুনে যেতে চেয়েছিলে সবসময়, তাই না?
পারি প্রথমে হতবাক হয়ে গেল। বলা নাই, কওয়া নাই, এভাবে কেউ ভেকেশানে যেতে পারে? কিন্তু মাহা বারবার ইনসিস্ট করতে লাগল। কয়েকবার শুনে হুট করে ওরও মনে হল, হোয়াই নট? ওর প্রেজেন্টেশান ফ্রাইডে তে। তারপরেই লং উইকেন্ড পড়বে। তিনদিন ধরে মায়ের সামনে থাকার চাইতে ক্যানকুনে যাওয়াই ভালো। জেরিন আর জামিল ভাইয়ের সাথে গেলে মা-ও আপত্তি করতে পারবে না। বরং এই ভালো হবে।

সামনের লং উইকেন্ড মা নিশ্চয় ওকে ক্রমাগত ধাতানি দেবে মেহমানদের সামনে উপস্থিত না থাকার কারণে। এসময়টাতে মার আশেপাশে না থাকা মানে যেকোনো সময় ম্যা টাইম বোমা ফুটাবে। ।
— মেবি উই ক্যান ডু ইট। জামিল ভাইকে বলো তাহলে আমাদের জন্য কাছের কোনো হোটেলে ব্যবস্থা করতে। আমরা একসাথে যাব শুধু। তারপরে তুমি আর জামিল ভাই আলাদা হয়ে যাবে। আমি আর জেরিন নিজেদের মতো ঘুরে বেড়াব। তারপরে একসাথে ফিরে আসব। কাউকে কিছু বলার দরকার নাই সেটা।
— ওকে, লেট মি টক টু জামিল। ইন দা মিন টাইম, টেল জেরিন টু ড্রাই হার টিয়ার্স। দেয়ার আর প্লেন্টি অফ ফিশেস ইন দা সি। মেবি ও ক্যানকুনেই কারো দেখা পেয়ে যাবে।
— হাহাহা। আই ডোন্ট থিঙ্ক দ্যাট ইজ দা কেস, মাহা। ও সাফাতকেই চায়, কিন্তু একটু রোমান্টিক সাফাত।
— ওয়েল, ওকে এক্সপেক্টেশান একটু কমাতে হবে তাহলে। জীবনটা হিন্দি সিনেমা না। ওকে ভালোমতো বোঝাও। মেবি ট্রিপ থেক্কে ফিরে এলে ওর মাথাটা ঠান্ডা হবে। আচ্ছা, রাখি। বাই।
— বাই, মাহা।

ফোন কেটে জেরিনের দিকে তাকালো পারি
— উই আর গোইং টু ক্যানকুন, জেরিন। ড্রাই ইয়োর টিয়ার্স।
জেরিনের চোখ প্রথমে বড়োবড়ো হয়ে গেল, তারপরেই কান্নায় ফেটে পড়ল
— বাট আই ওয়ান্টেড টু গো টু ক্যানকুন উইথ সাফাত। হোয়াই ইজ হি সো আনরোমান্টিক? হোয়াই? হোয়াই?
(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here