মাফিয়া ক্রাশ বর ২ পর্ব -৫+৬

#মাফিয়া_ক্রাশ_বর_২
#পর্বঃ ০৫
#লেখিকাঃ_মার্জিয়া_রহমান_হিমা

অভিদ শান্ত গলায় বললো
” কি কি প্রমাণ চাই আপনাদের? কি কি প্রমাণ দেখলে আপনারা বিশ্বাস করবেন যে, ওই আমার রুহি?”
তাদের মধ্যের একজন বলে উঠে
” আমরা শুধু প্রমাণ চাই সেটা যেকোনো প্রমাণই হোক। আমরা শুধু সত্যি জানতে চাই। রুহির মৃত্যুর খবরটা সত্যি ছিলো নাকি মিথ্যা ছিলো?”
অভিদ আগের ন্যায় স্বাভাবিক ভাবেই বললো
” আপনারা নিজেরাই তো এসব নিউজ তৈরি করেছিলেন তখন তো এসব নাকি মিথ্যা এসব কথা যাছাই করেননি তাহলে এখন এসব সত্যি, মিথ্যার প্রশ্ন আসছে কোথা থেকে? আপনাদের কাছে তো সত্যি মিথ্যা সবই সমান। আপনারাই তো সত্যিকে মিথ্যা আর মিথ্যাকে সত্যি বলে সবার সামনে তুলে ধরেন তাহলে মানুষ আর কাকে বিশ্বাস করবে? আপনারা যে রুহির মৃত্যুর খবর এনাউজমেন্ট করেছিলেন তার আগে কি রুহির লাশ দেখেছিলেন আপনারা? বা আমি কি বলেছিলাম রুহি মারা গিয়েছে?”
এবারও সবার মাঝে পিনপিন নিরবতা পালন করলো। মিডিয়ার প্রত্যেকটা লোক অভিদের অপমানে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
একেক তো জনের মনে হচ্ছে জার্নালিস্ট হওয়ার পদ বেছে নেওয়াই একটা ভুল ছিলো।
রায়হান সোফায় বসে মুখ টিপে হাসছে। অভিদের লা জাবাব অপমানে একজনের মুখ দেখার মতো হয়েছে। রায়হানের ইচ্ছে করছে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেতে কিন্তু বাইরের মানুষ থাকায় নিজেকে আটকে রেখেছে।
অভিদ তাচ্ছিল্য ভরা হাসি দিলো সবাইকে চুপচাপ দেখে। পকেটে হাত গুঁজে উঠে দাঁড়ায় অভিদ। ফুস করে নিশ্বাস ছেড়ে বলে উঠে
” যাই হোক আমাদের কাছে যতোটুকু প্রমাণ রয়েছে সবগুলো পেয়ে যাবেন কিছুক্ষণের মধ্যে। সব প্রমাণ গুলো এখন কালেক্ট করতে হচ্ছে আপনারা এরপর থেকে আমার বাড়িতে আসার আগে আমাকে জানিয়ে আসবেন তাহলে আপনাদের খাবার মানে আপনারা যেই ইনফরমেশন কালেক্ট করতে আসবেন সেগুলো তৈরি করে রাখতে হবে। আর রুহির সাথে যেই এক্সিডেন্ট ঘটেছিলো সেটা ঘটার কথা আমরা আগে থেকে জানতাম না তাই সেটার কোনো প্রমাণ রাখতে পারিনি তাই বাকি এভিডেন্স গুলো একদম পরীক্ষা করে দেখে নেবেন যাতে এবারও কোনো ভুল ইনফরমেশন নিউজে দেখানো না হয়।” কথা শেষ করে অভিদ গম্ভীর দৃষ্টি নিক্ষেপ করে হনহনিয়ে উপরে চলে যায়।
অভিদ যেতেই একজন বলে উঠে
” আমাদের অপমান করার কোনো রাইট নেই অভিদ রায়জাদার। আমরা সত্যিটা জানতে এসেছি তিনি এভাবে অপমান করলে আমরা উপর মহলকে জানাতে বাধ্য হবো।”
রায়হান হা হা করে হেসে দেয়। সবাই এবার রায়হানের দিকে তাকালো। রায়হান হাসতে হাসতে বলে
” তোমরা উপর মহলকে জানাবে বুঝি? আচ্ছা আমি তোমাদের কিছু ইনফরমেশন দেই তাহলে তোমাদের জন্য কাজটা আরো সহজ হবে।”
সবাই রায়হানের দিকে চোখ বড়বড় করে তাকায়। রায়হান দুই হাটুর উপর হাত রেখে ঝুকে বসে বলে
” অভিদ রায়জাদা যেই ক্ষমতা রয়েছে তার সম্পর্কে বোধয় তোমাদের ধারণা নেই। অভিদ রায়জাদা কয়েক মিনিটে তোমাদের প্রত্যেকের জার্নালিস্ট এর লাইসেন্স কেড়ে নিতে পারে। আর আরেকটা কথা কি জানো? তোমাদের এখানে যতো জনের বেড রেকর্ডস রয়েছে সেগুলো কিন্তু আমরা ইতিমধ্যে কালেক্ট করে ফেলেছি। সো, সেগুলোও পাবলিশ করতে বেশি সময় লাগবে না আমাদের।”
কয়েকজন ঢোক গিলে ভীতু দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। সবাই বুঝতে পারলো অভিদ রায়জাদাকে নিয়ে বাড়াবাড়ি কিরলেই নিজেদের ভবিষ্যৎ নষ্ট।
কিছুক্ষণ পর কয়েকজন বডিগার্ড আর একজন ডক্টর আসে। মিডিয়াদের অনেক প্রমাণই দেখানো হয়। অভিদ রুহিকে আহত অবস্থায় হসপিটালে নিয়ে আসে। তারপর সেখানের ডক্টরের সাথে কথা বলা, রুহিকে কেবিনে শিফট করা, রিস্টার্স করা এসবের কিছু সিসিটিভি ফুটেজ দেখানো হয়। হসপিটালের কিছু পেপারস দেখানো হয় আবার সেই ডক্টর ও মিডিয়াদের কিছু প্রশ্নের উত্তর দেয়। এসব করতে করতে প্রায় বিকেল ঘনিয়ে আসে। প্রায় অনেক প্রমাণ নিয়ে সব মিডিয়ার লোকরা বেড়িয়ে যায়। সবাই চলে যেতেই রায়হান স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে। ধপ করে সোফায় বসে পড়ে। হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে বসে চেঁচিয়ে বলে
” দরজা বন্ধ করে দাও। আজকে আর কোনো বাইরের লোক যেন বাড়িতে ঢুকতে না পারে। পুরো বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে আমার। উফফ আজকে আর অফিসে যাওয়া হলো না।” রায়হান হাই তুলতে তুলতে উপরে চলে যেতে নিলেও আবার কয়েকটা সিরি পেরিয়ে থেমে যায়। সার্ভেন্টকে উদ্দেশ্য করে বলে
” সবার খাবার আজকে রুমেই পাঠিয়ে দিয়ো। ওদের জন্য সকাল থেকে খাওয়া দাওয়া ও হয়নি।” সার্ভেন্ট মাথা নেড়ে হ্যা বললে রায়হান নিজের রুমে চলে গেলো।
এদিকে অভিদ এতোক্ষণ তার স্টাডি রুমের সিক্রেট রুমে বসে ছিলো। স্টাডি রুম থেকে বেড়িয়ে নিজের রুমে আসলো। রুমে এসেই দেখলো রুহি বসে বসে নিজের চুল টানছে। অভিদ চোখ বড়বড় করে তাকালো রুহির দিকে।দ্রুত পায়ে এগিয়ে এসে রুহির হাত চেপে ধরে ধমক দিয়ে বলে
” এই মেয়ে এসব কি করছো তুমি?” রুহি রেগে অভিদের দিকে তাকালো। ঝাঁঝালো গলায় বলে
” তো আর কি করবো আমি? সকাল থেকে না খেয়ে বসে আছি সেদিকে কারো খেয়াল আছে? আমার কি খুধা পায়না নাকি?” অভিদ অবাক হয়ে বলে
” কি তুমি এখনও খাওনি তুমি? আমাকে বলোনি কেনো? বা কাউকে ডাকতে পারতে।”
রুহি মুখ ফুলিয়ে বলে
” আপনাকে কোথায় পাবো আমি? সিরিতে উঁকি দিয়ে দেখেছিলাম আপনি নেই আর আমি কিছু চিনি নাকি যে কাউকে ডাকবো?”
অভিদ ড্রেসিংটেবিল এর উপর থেকে একটা ব্যান্ড এনে রুহির চুলগুলো কোনো রকমে বেধে দিয়ে বলে
” আমি খাবার আনছি তুমি শান্ত হয়ে বসো আর হ্যা চুলগুলো পাগলের মতো এলোমেলো করবে না।” অভিদ রুম থেকে বেড়িয়ে যেতেই রুহি নিজের চুলে হাত বুলিয়ে বলে
” এমনি তো এলোমেলো হয়ে আছে আর কি এলোমেলো করবো?” রুহির কথার মাঝেই নিচ থেকে অভিদের চিৎকার ভেসে আসে। রুহি ভ্রু কুঁচকে নেয়। অভিদ আবার কার সাথে চিৎকার করছে? রুহি বেড থেকে দ্রুত পায়ে নিচে নেমে যায়।
অভিদ কয়জন সার্ভেন্ট এর সামনে দাঁড়িয়ে রেগে বলছে
” তোমাদের কিসের জন্য কাজে রাখা হয়েছে, হ্যা? সকাল থেকে এখনও রুহি কোনো খাবার পায়নি। তোমাদের কেনো কাজে রাখা হয়েছে? রুহির টেককেয়ার এর জন্য রাখা হয়েছে। ওর খাবারের টাইম লিস্টও করে দিয়েছি আর কি লাগবে? আমি রান্না করে দিলে তোমরা খাবার নিয়ে যাবে নাকি? কথা বলছো না কেনো কেউ? রুহির ঘরের এখনও খাবার যায়নি কেনো?”
একজন কাপঁতে কাপঁতে বলে
” স্যার আর কোনোদিন এমন হবে না। ক্ষমা চাইছি আমরা। এখনই খাবার নিয়ে যাচ্ছি আমি।”
অভিদ চেঁচিয়ে বলে
” এতোক্ষণ কি করছিলে তোমরা? সিনেমা দেখছিলে নাকি?”
সবাই মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে।
রুহি অভিদকে অগ্নিরূপে দেখে আর সামনে এগোনোর সাহস পেলো না। এক কোণে চুপটি মেরে দাঁড়িয়ে রইলো। অভিদ ধমক দিয়ে বলে
” যাও কাজে যাও। আর কোনোদিন এমন হলে সবার এমন অবস্থা করবো!” সবাই এক প্রকার দৌড়ে কিচেনে ছুটে গেলো। অভিদ হনহনিয়ে চলে যাওয়ার সময় রুহিকে দেখতে পেলো। রুহি ভীতু দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে অভিদের দিকে। অভিদ জোড়ে শ্বাস নিয়ে নিজেকে শান্ত করে রুহির কাছে এগিয়ে যায়। রুহি অভিদকে এগিয়ে আসতে দেখে ঢোক গিলে বলে
” আ-আমি ক-কিছু ক-রিনি তো।” অভিদ চোখে হাসলো রুহিকে ভয় পেতে দেখে। শান্ত ভাবে বলে
” উপরে চলো।” রুহি মাথা নেড়ে গুটি গুটি পায়ে উপরে যেতে থাকে। অভিদও ঠোঁট চেপে হাসতে হাসতে উপরে চলে যায়। রুহি রুমে গিয়ে চুপচাপ বসে থাকে। খাবার আসতেই অভিদ খাবার নিয়ে রুহির সামনে বসে। রুহি মিনমিন গলায় বলে
” আমি হাত দিয়ে খেতে পারবো।”
অভিদ রাশভারী গলায় বললো
” একটা কথা আজকে থেকে মনে রাখবে।তোমাকে প্রতিদিন আমি খাইয়ে দেবো। আমার কাজে একদম ডিস্টার্ব করবে না। I don’t like this, ok?”
রুহি ঢোক গিলে অভিদের কথায় সম্মতি দিলো। অভিদ রুহিকে খাইয়ে দিতে থাকে।
দরজার আড়াল থেকে এই দৃশ্য দেখে রায়হান মুচকি হাসি দিলো।

রুহি খাবার, মেডিসিন খেয়ে কিছুক্ষণ পর ঘুমিয়ে গিয়েছে। দেড়ি করে ঘুমানোর কারণে সন্ধ্যা হয়ে আসছে রুহি এখনও ঘুম থেকে উঠেনি। অভিদ রুহির পাশে বসে ল্যাপটপে কাজ করছিলো। হঠাৎ দরজায় নক করতেই অভিদ বলে
” কাম ইন।”
অভিদ দরজার দিকে তাকিয়ে দেখে রায়হান এসেছে। রায়হান দরজা বন্ধ করে অভিদের কাছে এসে একবার রুহির দিকে তাকিয়ে অভিদকে বললো
” আমাদের যেতে হবে একটু পর।”
অভিদ কোলের ল্যাপটপটা করে ভ্রু কুঁচকে বলে
” কোথায় যেতে হবে?”
রায়হান ফিসফিস গলায় বলে
” জানতে পেরেছি মেয়ে পাচার করা হবে আজকে ডুবাইয়ের ফ্লাইটে। so, আমাদের তো যেতেই হবে।”
অভিদ দাঁতেদাঁত চেপে বলে
” কাদের কাজ এটা?”
রায়হান শান্ত গলায় বলে
” কার কাজ বুঝতে পারছিস না? অবশ্যই S.R. group ছাড়া আর কারো কাজ হবে না এটা।”
অভিদ নিশ্বাস ফেলে বলে
” ওকে আমি এখনই আসছি। সবাইকে তৈরি থাকতে বল।” রায়হান মাথা নেড়ে ঠিকাছে বলে বেড়িয়ে গেলো। অভিদ কিছুক্ষণ পর ব্ল্যাক হুডি, মাস্ক, সু পড়ে গান নিয়ে তৈরি হয়ে গেলো।
রুম থেকে বের হওয়ার আগে রুহির কপালে ঠোঁট ছুঁয়ে ফিসফিস করে বলে
” ভালোবাসি।”
অভিদ রায়হানের সাথে বেড়িয়ে গেলো এক প্রকার চুপচাপ ভাবে আর যাওয়ার আগে রুহির রুম লক করে যায়।
#মাফিয়া_ক্রাশ_বর_২
#পর্বঃ ০৬
#লেখিকাঃ_মার্জিয়া_রহমান_হিমা

অভিদ রায়হানের সাথে বেড়িয়ে গেলো এক প্রকার চুপচাপ ভাবে আর যাওয়ার আগে রুহির রুম লক করে যায়।
একটা বড় জায়গায় কনেকগুলো মেয়েদের ভেতরে আটকে রাখা হয়েছে। পুরো জায়গাটা খালিই রয়েছে শুধু কয়েকটা বড়বড় ট্রাক ছাড়া আর কিছুই নেই। কিছু নেই বললেও ভুল হবে কারণ এখানে প্রচুর লোক রয়েছে যারা মেয়েদের উপর খেয়াল রাখছে। প্রত্যেকটা মেয়ের অবস্থা শোচনীয়। কারো মাথা দিয়ে রক্ত পড়ছে, কারো হাত কেটে গিয়েছে, কেউ অজ্ঞান হয়ে আছে, কেউ কেঁদে আকুতি, মিনতি করছে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়ে আসার জন্য। কিন্তু ওদের কথা শোনার মতো এখানে কেউই নেই সবাই যার যার কাজে ব্যস্ত। হঠাৎ সবাই কয়েকটা গাড়ি আসার শব্দ শুনতে পেলো। একজন লোক দরজার দিকে তাকিয়ে বলে
” বস কে এসেছ ?” তাদের বস রেগে বলে
” হারামজাদা আমি কি করে জানবো ? আমি কি ওদের নেমন্তন্ন করেছি নাকি? দেখ বাইরে গিয়ে কে এসেছে। আর চুপিচুপি গিয়ে ফিরে তাড়াতাড়ি আসবি। পুলিশ হলে ওদের সবাইকে লুকিয়ে ফেলতে হবে।” লোকটা মাথা নেড়ে পা টিপেটিপে যেতে থাকে। পেছম থেকে তাদের বস নামক লোকটা হালকা গলায় হুংকার ছেড়ে বলে
” কু**চ্চা এভাবে গেলে তো আমরা কিছু করার আগেই ওরা আমাদের সাত আসমান ওপরে পাঠিয়ে দেবে।” লোকটা পিছন ফিরে কিছু বলার আগেই পেছনে থেকে কেউ এসে তার পিঠে লাথি মেরে বসে। লোকটা উপড়ে পড়ে থুতনিতে আর মুখে ব্যাথা পায়। পেছন থেকে অনেক মানুষ বেড়িয়ে আসে । তাদের মধ্যে দুইজন মুখে মাস্ক টাস্ক দিয়ে একদম কভার হয়ে আছে।
লোকটা চেঁচিয়ে বলে
” কে আপনারা এখানে কি চাই ? ” মাস্ক পড়ে থাকা দুজনের থেকে একজন গাম্ভীর্যপূর্ণ কন্ঠে বলে উঠলো
” তোদের আর তোদের মালিকের জম O.R.R mafiya king.” বলেই লোকটার মুখে লাথি মেরে বসে। লোকটা মুখ থুবড়ে পরে ব্যাথাতুর গলায় বললো
” এখানেও চলে এলো!”
O.R.R. mafiya king এর কিছু মেয়েরা এসে বন্ধি মেয়েগুলোর হাত পা খুলে দিতে থাকে। আর তার বডিগার্ডরা সবাই বাকি লোকদের এলোপাথাড়ি ভাবে মারতে থাকে। আর পাচারকারী লোকদের সাথে থাকা তাদের বসের মাথায় গান ঠেকিয়ে তাকে তাদের গাড়িতে নিয়ে পেছনে বেধে বসিয়ে রাখা হলো। গাড়ির ভেতরে থেকে লোকটা ছটফট করতে থাকে ছাড়া পাওয়ার জন্য কিন্তু কোনো কাজই হলো না। মিনিট দুই এক পর গাড়ি খুলে দুজন মাস্ক পড়া ব্যাক্তি ভেতরে বসে। লোকটা উম উম করে ইশারা করে তার হাত মুমহ ছাড়িয়ে দেওয়ার জন্য। লোকটা একপাশে লোক তার মুখ খুলে দিলো শুধু। মুখ খোলা পেয়ে লোকটা শান্ত হয়ে চেঁচিয়ে বললো
” আমাকে বাইধা রাখছেন কেন ? আমি তো কিছু করিনি সব ওই S.R group এর মালিক করছে। আমাকে ছেড়ে দিন এখনই। আর কোনোদিন এসবের কাছে আসবো না। দয়া করে আমারে মারবেন না।”
লোকটার কথা বলার মাঝে দুজন তাদের মাস্ক খুলে ফেলে। লোকটা দুজনকে দেখে হতবাক হয়ে যায়। অবাক স্বরে তার মুখ থেকে বেড়িয়ে আসে
” অভিদ রায়জাদা ! রায়হান রহমান ! আপনারা ?
অভিদ বাকা হাসি দিয়ে বলে
” আমি ছাড়া তোদের S.R group এর মালিকের কি আর কোনো বড় শত্রু কেউ থাকতে পারে ? আমিই তোদের জম। এবার কথা না বাড়িয়ে তোদের বসের সাথে কন্টাক্ট কর, কুইক !” অভিদ ধমক দিয়ে বললো লোকটাকে। লোকটা ভয় পেয়ে তাড়াতাড়ি তার ফোন বের করে তাদের বসের নাম্বারে কল করে স্পিকারে দিয়ে রাখে। কিছুক্ষণ রিং হয়ে কল কেটে যায়। অভিদ দাঁতেদাঁত চেপে বলে
” আবার কর আর আমি যা বলবো তাই বলবি।” অভিদ লোকটাকে কিছু কথা বলে দিলো। লোকটা আবারও কল করলে রিসিভ হতেই অপর পাশ থেকে কেউ বলে উঠে
” কাজ কতো দূড় এগিয়েছে ?” লোকটা কাঁপা কাঁপা গলায় বলে
” ব…স O.R.R মাফিয়া কিং এসে সব বরবাদ করে দিয়েছে। সব গুলো মেয়েকে বাঁচিয়ে নিয়েছে। আর বলেছে এভাবেই আস্তে আস্তে আপনাকে মাটিতে মিশিয়ে দেবে। আপনি তার সাথে যতো অন্যায় করেছেন তার থেকে যা কিছু কেড়ে নিয়েছেন সব কিছুর প্রতিশোধ নেবে। আপনাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেবে। আপনার সব পাওয়ারও কেড়ে নেবে একে একে।”
ফোনের পাশ থেকে রাগে রি রি করতে করতে বলে উঠে
” আমাকে ধ্বংস করার ক্ষমতা কারো নেই। আমার থেকে সব কিছু কেড়ে নেওয়ার আগে আমি ওই O.R.R. এর থেকে সব কছু কেড়ে নেবো। দুইবছর ধরে আমার কম ক্ষতি করেনি। এই O.R.R. কে এখনও পর্যন্ত খুঁজে বের করতে পারিনি কিন্তু পেলে তার কাছে সব কিছু কেড়ে নেবো আমি। আমি কারো কাছ থেকে কিছু কেড়ে নেইনি। এই মাফিয়া শুধু শুধু আমার পেছনে পড়ে রয়েছে। এইবারও আমার কোটি কোটি কাটা লস হয়ে গেলো ” অভিদের ইশারায় লোকটা সাথে সাথে ফোন কেটে দিলো। রায়হান এবার লোকটার কলার ধরে টেনে বের করে আনে। গান বের করে লোকটার বুক বরাবর শুট করে আবার কপালেও শুট করে রাস্তায় ছেড়ে দেয়।
অভিদের লোকেরা S.R. group এর লোকদের আহত অবস্থায় ফ্যাক্টরিতে বন্ধি করে মেয়েদের নিয়ে আলাদা ভাবে সেফ করে বেড়িয়ে যায়। অভিদ চারদিকে চোখ বুলিয়ে বড় একটা নিশ্বাস ফেলে। রায়হান অভিদের কাধে হাত রাখলে অভিদ কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলে উঠে
” অনেক কিছু কেড়ে নিয়েছে আমার কাছ থেকে আমি সহজে ওকে ছাড়বো না। আমার প্রত্যেকটা দুঃখের কারণ ওই লোকটা। আমার রুহির এই অবস্থাও শুধু মাত্র ওর জন্য।” রায়হান তাছিল্য হেসে বলে
” লোকটা তো তোকে এতো বছর নিজের স্বার্থে তোকে ব্যবহার করেছে এবার নাহয় সব হিসেবে নিকাশ চুকাতে থাক।”
অভিদ মাথা উঠিয়ে আকাশের পানে মুখ করে বলে
” হুম সেটাই তো এখন আমার আসল লক্ষ। রুহি আর আমার সন্তানকে এতোদিন যতো কষ্ট দিয়েছে সবকিছুর হিসাবও নেবো আমি।… যাই হোক চল দেড়ি হয়ে যাচ্ছে আমাদের। রুহিকে একা রেখে এসেছি।” রায়হান ঠিকাছে বলে গাড়িতে উঠে বসে। গাড়ি তাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে ঘুরিয়ে নেয়।

অভিদ, রায়হান বাড়িতে ঢুকেই কিছুর আওয়াজ পেলো। অভিদ রায়হানের দিকে তাকিয়ে বলে
” কিসের শব্দ এটা ?” রায়হান দ্রুত পা চালিয়ে বলে
” আয় দেখতে হবে তো।” অভিদও দ্রুত পা চালিয়ে শব্দের উৎসের দিকে ছুটে যায়। উপরে যেতেই শব্দ গাঢ় হয়ে আসে। অভিদ গিয়ে দেখলো তার রুমের সামনে সব সার্ভেন্টরা এক জোট হয়ে আছে। অভিদ ভ্রু কুঁচকে সেদিকে এগিয়ে যায়। গম্ভীর গলায় বলে
” কি হচ্ছে এখানে ? কিসের শব্দ হচ্ছে ?” সার্ভেন্টদের মাঝে থেকে একজন কিছু বলতে নিলেই রুমের ভেতর থেকে কাচ ভাঙার শব্দ হয়। অভিদ চমকে দরজার দিকে তাকায়। একজন বললো
” স্যার ম্যাম অনেক্ষণ ধরে ভেতর থেকে ভাংচুর করছে আর কাঁদছে। ম্যামের নাকি ভেতরে একা ভয় লাগছে। দরজা খোলার জন্য এসব করছে আমরাও দরজা খুলতে পারছি না। দরজা কিভাবে যেনো লক হয়ে গিয়েছে।” রায়হান সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলে
” ঠিকাছে তোমরা যাও আমরা দেখছি।” সবাই মাথা নেড়ে চলে গেলো। অভিদ তাড়াতাড়ি দরজার লক খুলতে থাকে। রায়হান দেখলো একজন কিছুটা দূড়ে কেমন করে তাকিয়ে আছে। রায়হান ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে ধমকের স্বরে বলে
” এখানে দাঁড়িয়ে আছো কেনো ? আমি কি বলেছি শোনোনি ?”
সার্ভেন্টটা হচকচিয়ে দ্রুত নিচে নেমে গেলো। অভিফ তাড়াতাড়ি দরজা খুলে রুহিকে দএখে আর পুরো রুমের অবস্থা দেখে স্তব্ধ হয়ে গেলো। রুহি তখন কাঁদতে কাঁদতে আবারও একটা সোপিছ ছুড়ে মাড়ছিল দরজার দিকে ভাগ্যবসত সেটা অভিদের পাশ কাটিয়ে বাইরে গিয়ে পরে। অভিদ দ্রুত পায়ে রুহির কাছে গিয়ে রুহির চেপে ধরে বলে
” রুহি ! কি হয়েছে তোমার ? এমন করছো কেনো ?” রুহি অভিদকে দেখে হঠাৎ শব্দ করে ঢুকরে কেঁদে উঠলো। অভিদ অবাক হয়ে যায় রুহির কাজে। রুহি কাঁদতে কাঁদতে অভিদের বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে। রায়হান দুজনকে এমন অবস্থায় দেখে আলতো স্বরে বললো
“অভিদ আমি রুমে যাচ্ছি। আমি নিলয় কে ফোন করে আসতে বলছি আর কিছু লাগলে আমাকে ডাকবি, আমি আসছি।” রায়হান রুমের দরজা বন্ধ করে বেড়িয়ে গেলো। অভিদ রুহিকে বুকে আগলে বলে
” কি হয়েছে রুহি পাখি এভাবে ভাংচুর করছো কেনো ? নিজের কি অবস্থা করেছো তুমি ?” রুহি কাঁদতে কাঁদতে বলে
” আমাকে ছেড়ে কোথায় গিয়েছিলেন আপনি ? আমি কতো ভয় পেয়েছিলাম জানেন আপনি? আপনি অনেক খারাপ। আমি কতো দেকেছি আপনাকে দরজা খুলেন নি আপনি।” রুহি আবারও শব্দ করে কাঁদতে থাকে। অভিদ রুহিকে ভালো করে দেখতে থাকে। রুহির হাত, কপাল, পা কেটে অবস্থা খারাপ। কাটা স্থান থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে কিন্তু রুহির সেদিকে খেয়াল নেই রুহি এক নাগাড়ে কেঁদে যাচ্ছে। পুরো রুমে কাচের ভাঙা টুকরো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। অভিদ রুহিযে সোজা করে বসিয়ে দিয়ে চোখ মুছিয়ে দিয়ে অস্থির গলায় বলে
” এভাবে বাচ্চাদের মতো কেউ কাঁদে ? তুমি এতোবড় মেয়ে হয়ে ভয় পাচ্ছিলে কেনো ? দেখো তো এসব করে নিজের কি অবস্থা করেছো !” রুহি হিচকি তুলে কাঁদতে কাঁদতে বলে
” আপনি আমাকে একা রেখে গিয়েছেন কেনো ? আমি একা ভয় পাই আপনি জানেন না ? রুমে কাউকে না দেখে আমি কতো ভয় পেয়েছিলাম আবার হুট করে কারেন্ট চলে গিয়েছিলো। অন্ধকারে আমি অনেক ভয় পাই। আজকে আমার চোখের সামনে ঝাপসা ঝাপসা কতো কিছু ভাসছিলো। আমার অনেক মাথা ব্যাথা করছিলো। দরজা খোলার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু দরজা খুলতে পারিনি। কারেন্ট আসলেও কেউ খুকে দিতে পারেনি।” কথা শেষ হতেই রুহির আবার কাঁদতে থাকে অভিদ রুহির দুই গালে আদুরে ভাবে হাত রেখে মাথা উঠিয়ে অবাক স্বরে বলে
” কারেন্ট চলে গিয়েছিলো মানে ? বাড়িতে কারেন্ট গেলেও আইপিএস রয়েছে তাই কারেন্ট যাওয়ার মতো কোনো কিছু ঘটার কথা নেই।”
রুহি ভাঙা গলায় বলে
” আমি কি তাহলে মিথ্যা বলছি ? আমাকে বিশ্বাস না করলে আপনি সবাইকে জিজ্ঞেস করে নিয়েন।”
অভিদ মাথা নেড়ে বলে
” আমি তোমাকে কখনো অবিশ্বাস করি না। আচ্ছা আমি এখন তোমার কাছেই আছি এবার তুমি কান্না বন্ধ করো ! তোমার কতো জায়গা কেটে গিয়েছে একটু ওয়েট করো আমি ফার্স্টএইড বক্স নিয়ে আসছি।” রুহি ঘনঘন মাথা নেড়ে অভিদের শার্টের কোণা আকড়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলে
” আপনি কোথাও যাবেন না প্লিজ! আমার ভয় করছে।” অভিদ এক হাতে রুহিকে জড়িয়ে ধরে রুহির কপালে আলতো ভাবে ঠোঁট ছুঁয়ে দিয়ে বলে
” না গেলে কিভাবে আমি তোমার ব্যাথা কমাবো ? এভাবে থাকলে তো ইনফেকশন হয়ে যাবে। কাচের কারণে অনেক জায়গা কেটে গিয়েছে। বাবুর প্রবলেম হলে !” রুহি তবুও নারাজ হয়ে মাথা নাড়িয়ে না করলো। অভিদ রুহিকে শান্ত করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়লো। রুহি এক নাগাড়ে কেঁদেই যাচ্ছে কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না।
” রুহি বনু কেমন আছিস ?” রুহি নিলয়ের গলা শুনেই চমকে দরজার দিকে তাকালো। ভাইকে দেখে রুহি আরো আবেগে আপ্লুত হয়ে গেলো। বেড থেকে নেমে আবারও কাচ পাড়িয়ে দৌড়ে নিলয়কে জড়িয়ে ধরে আরো জোড়ে কেঁদে দেয়। অভিদ রুহিকে উদ্দেশ্য করে ধমকের স্বরে বললো
” এই মেয়ে দেখতে কাচ পাচ্ছো না তুমি? এমনি পা কেটে ফেলেছো আবার কাটা পা নিয়ে দৌড়াচ্ছ কেনো ? এখানে এসে বসো !” রুহি কাঁদতে কাঁদতে অভিদের দিকে তাকায়। নিলয় রুহিকে দেখে চিন্তিত হয়ে বলে
” তোর এই অবস্থা কিভাবে হয়েছে ?” রুহি কিছু বললো না। নিলয় রুহিকে বেডে বসিয়ে দেয়। রায়হানের কাছে এসে ধীর গলায় বলে
” তুই বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ টা চেক করিস তো ! রুহি বললো কারেন্ট চিলে গিয়েছিলো। কেউ কি ইচ্ছে করে মেইন সুইচ অফ করলো করেছে নাকি সত্যি কারেন্ট গিয়েছে।”
রায়হান অবাক হয়ে বলে
” হুট করে মেইন সুইচ কে অফ করবে ?” অভিদ ভ্রু কুঁচকে বলে
” তোর কি মনে হয় এই বাড়িতে কি তেমন মানুষের অভাব রয়েছে ?” রায়হান মাথা নেড়ে বলে
” হ্যা, সেটা তো নেই। ঠিকাছে আমি দেখবো। আমি সার্ভেন্টদের বলছি রুমটা পরিষ্কার করে নিতে।”
অভিদ মাথা নাড়ালো। রায়হান রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো। অভিদ নিলয়ের কাছে গিয়ে দেখে নিলয় রুহির হাতে, পায়ে, কপালে ব্যান্ডেজ করে দিয়েছে। রুহি চোখ নিভুনিভু করছে। অভিদ রুহির দিকে ঝুকে রুহির গালে হাত রেখে ব্যাথাতুর গলায় বলে
” ব্যাথা করছে কোথাও ?” রুহি আধো আধো বুলিতে বলে
” হুম। ঘুম পাচ্ছে আমার।”
অভিদ নিলয়ের দিকে তাকিয়ে চিন্তিত গলায় বলে
” কি হয়েছে ওর ?” নিলয় উঠে দাঁড়িয়ে হালকা হাসি দিয়ে বলে
” চিন্তা করবেন না কিছু হয়নি। ঘুমের ইনজেকশন দিয়েছি তাই ঘুমাচ্ছে। শীত কাল তাই কাটা স্থান গুলোতে ব্যাথা পাবে। সময় মতো মেডিসিন দিয়ে দেবেন।”
অভিদ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে বলে
” ধন্যবাদ তোমাকে। খবর পাওয়ার সাথে সাথে এতো তাড়াতাড়ি এসে পড়লে।” নিলয় শব্দ করে হেসে বলে
” দ্যা গ্রেট অভিদ রায়জাদা আমাকে সরণ করেছে না আসলে তো আমার গর্দান হতেও বেশি সময় লাগবে না।” অভিদও হেসে দিলো।
নিলয় এবার সিরিয়াস হয়ে বলে
” আপনাকে একটা কথা বিলার ছিলো।” অভিদ কিঞ্চিত ভ্রু কুচকে তাকায়। নিলয় গলা ঝেড়ে বলে
” আপনি তো সারাদিন অফিসে থাকেন। আপনার আরো কতো কাজ রয়েছে আপনি তো জানোই। আবার আপনি একজন মাফিয়া। এখন রুহিকে বেশি বেশি সনয় দিতে চাইলেও অফিসের কারণে হয়তো দেওয়া না হতেও পারে। রুহিও একা থাকতে ভয় পায়। তাই আমি বলছিলাম যে রুহির সাথে থাকার জন্য মিশুকে এখানে শিফট করে দেবো। এটাই আমার বলার ছিলো। বাকিটা আপনার ডিসিশন।” অভিদ আলতো হেসে বলে
” আমি ভেবে দেখবো। তবে আজকে আমার বাড়িতে ডিনার করে যেতে হবে তোমাকে।”
নিলয় তাড়া দিয়ে বলে
” সরি ভাইয়া। কিছুক্ষণ পরই আমার একটা অনেক বড় অপারেশন রয়েছে। আজকে হবে না।” নিলয়ের কথায় অভিদ জোড় করার মতো কথা পেলো না। তাই বললো
” ঠিকাছে তাহলে তুমি ফ্রি থাকো কবে সেটা আমাকে জানাবে। তোমার সাথে ডিনার করার জন্য আমি অপেক্ষায় থাকবো।” নিলয় মুচকি হাসি দিলো।
নিলয় চলে যাওয়ার পর রায়হান অভিদকে এসে বলে ডিনার করার জন্য নিচে আসতে কিন্তু অভিদ না করে দিলো। অভিদের মন খারাপ বুঝতে পেরে রায়হান আর জোড় করলো না। হাজার জোড় করলেও অভিদ আর খাবে না তাই নিজেও চলে যেতে নিলে অভিদ কড়া ভাবে বলে দিলো রায়হানকে ডিনার করে নিতে। রায়হান আবার না খেয়ে থাকতে পারে না তাই অভিদের কথা মতো ডিনার করে নিলো।
আজকে অভিদ রুহিকে নিজের সাথে জড়িয়ে ধরে ঘুমের দেশে পারি দেয়।

সকালের কড়া রোদ চোখে মুখে আছড়ে পড়তেই রুহির চোখ মুখ কুচকে আসে। রুহির মুখে উপর হাত রাখলেও কোনো কাজ হলো না। কড়া রোদের রশ্মিজালে রুহি বিরক্ত হয়ে তার ঘুমের রেশ কাটানোর চেষ্টা করলো।ঘুম থেকে উঠে বসতে নিলে মাথা ভার ভার মনে হয়। রুহি মাথায় হাত রেখে আবারও ঘুমিয়ে পড়ে। বিরবির করে বলে
” মাথা ব্যাথা করছে কেনো ?” রুহি ঘাড় ঘুরিয়ে পাশে তাকাতেই দেখলো অভিদ তার দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে। হুট করে এমন চাহনিতে রুহি ভয় পেয়ে চিৎকার দিয়ে পেছতে নিলেই খাটের নিচে পড়ে যায়।

চলবে~ইনশাল্লাহ……..

[ভেবেছিলাম দুই পর্ব দেবো তবে দিতে পারলাম না তবে আজকের পর্বটা অনেক বড় করে দিয়েছি তাই কেউ বকা দিয়েন না আর আমাকে। আর দেড়ি করার জন্য দুঃখিত। আগামীকাল থেকে আরো তাড়াতাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করবো। ]
চলবে~ইনশাল্লাহ……..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here