শুধু আমারই পর্ব ৬

শুধু_আমারই
পর্ব_৬

সকালে সায়ানের ঘুম ভাঙ্গে প্রচণ্ড মাথা ব্যাথা নিয়ে। গতকাল সে রাব্বির বাসায় ঝামেলা বাঁধিয়েছে সেটা তার মনে পড়ছে কিন্তু এখানে কিভাবে এসেছে কিছুই মনে করতে পারছে না। মাথার রগ দিপ দিপ লাফাচ্ছে।
পিয়া বারান্দা থেকে আসলে সায়ান চোর চোর চোখে তাকায়।
— পিয়া আমার খুব মাথা ধরেছে। আমাকে কফি দেয়া যাবে??
— মাথা তো ধরবেই। রাব্বি ভাইয়ের বাসা তুমি যে পরিমান বমি করে ভাসিয়েছো, আগে প্রচুর পানি খাও! আমি তোমার ওরেঞ্জ জুসের ব্যবস্থা করছি। ওটা খেলে তোমার ফ্রেস লাগবে।

— তুমি কি খুব রেগে আছো??
— রেগে থাকার কাজ কি তুমি করো নি??
— সরি পিয়া, আমি আসলে কেন যে এমন করলাম!আম্মুকে কিছু বলো না প্লিজ।
— আমাকে তোমার পাগল মনে হয়? মাকে আমি বলবো তার একমাত্র ছেলে কাল মাতাল হয়ে ঘরে ফিরেছে!
— সরি! এক্সট্রেমলি সরি পিয়া!
কিছুক্ষণ থেমে সায়ান বলে পিয়া, আমি কাল এখানে কোনো ঝামেলা করেছি?? আসলে আমার কিছু মনে পড়ছে না।
— কি করোনি বল! মোকাবেলা গান করেছো, ডাম ডাম ডিগা ডিগা গেয়েছো, সবশেষে ও পিয়া ও পিয়া গেয়েছো। আর আমি……

—-আর আর.. তুমি.. তুমি কি করেছো..?

আমি মুখ বাঁকিয়ে বলি আমি কি করেছি…… ?? আমি তোমার বেহুশের সুযোগ নিয়ে তোমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছি!!

— উফঃ পিয়া তোমার দুষ্টমী আবার শুরু!! আচ্ছা, তুমি কি সবসময় এমন ছিলে নাকি আমার সামনেই তুমি এমন মিচকা ডাইনী হয়ে যাও?

—-জি না, আমি সবসময় অনেক বেশি ভালো, অনেক বেশি ভদ্র ছিলাম। কিন্তু কেন জানি তোমার সামনে আমার মগজের ঘুমিয়ে থাকা দুষ্ট পোকাগুলো বার বার জেগে উঠে।

—ভালো! আচ্ছা আমাকে কফি দাও না প্লিজ, খুব মাথা ব্যাথা করছে।
— দিচ্ছি। আজ অফিসে খুব জরুরি কাজ না থাকলে বাসায় থাকো। রেস্ট নিয়ে সুস্থ হও কারণ দুপুরে আমার আম্মু আব্বু আসছে। প্রথমবার আসছে সুতরাং ততোক্ষণে সুস্থ হয়ে উঠো দয়া করে।

— ও আঙ্কেল আন্টি আসছে! তোমার ছোট ভাই প্রত্যুষ আসবে না??
—হু আসবে!
— ভালোই হলো। ওর সাথে এক্স বক্সে গেমস খেলবো। জমবে অনেক। আচ্ছা শুনো, আমি কাল তোমাকে কোনো ডিসটার্ব করি নি তো?? দয়া করে এখন হ্যাঁ কিংবা নাতে উত্তর দাও। কোনো দুষ্টুু উত্তর না।

আমার হার্টবিট হঠাৎ বেড়ে যায়। মনে মনে বলি গতরাতের ঘটনা যেন কোনোভাবেই সায়ানের মনে না পড়ে।
চেহারায় গম্ভীর ভাব নিয়ে চোখ ঘুরিয়ে বলি তুমি আমাকে কি ডিসটার্ব করবে ওতোটা পুরুষ কি তুমি হতে পেরেছে!

— উফঃ পিয়া, আবার…

সায়ানের দিকে না ফিরেই আমি রুম থেকে দ্রুত পালিয়ে আসি।

দুপুরে আব্বু আম্মু এলে বাসার পরিবেশ বেশ জমে উঠে। আব্বুকে তো অফিস সুবাদে আগে থেকেই সায়ান চিনতো কিন্তু আম্মুর সাথেও সায়ান সুন্দরভাবে মিশে যায়। প্রসঙ্গ একটাই আমি সারাক্ষণ ওকে বকাঝকা করি।
আমিও উত্তরে বলি বকা দিবো না আশ্চর্য! সকালে উঠতে চায় না, কাপড় জায়গা মতো রাখে না, ভেজা তোয়ালে বিছানায় রাখে, অফিস যাওয়ার কোনো ইচ্ছাই নেই আর…
আব্বু বলে থাক থাক আর বলতে হবে না। আর সায়ানের দোষ ধরতে হবে না। আমি সায়ানের অবস্থা বুঝছি। সায়ান বাবা, পিয়া বাসাতেও এমন করে। আমাদেরও সারাক্ষণ বকার উপর রাখে।
আম্মু একটু গম্ভীর হয়ে বলে কিরে পিয়া তুই সত্যিই সায়ানকে এভাবে বকিস??
আমি উত্তর দেয়ার আগেই মা জবাব দিলেন খুব ভালো করে সায়ানকে বকে। এতো অগোছালো ছেলে বকা তো খাবেই। আমি তো এরজন্যই পিয়াকে সায়ানের বউ করেছি। পিয়া যেমন মমতাময়ী তেমনি অনেক বেশি বাস্তববাদী! ওর এই ব্যাপারটা আমাকে সবচেয়ে বেশি টেনেছে। সায়ান হচ্ছে অস্থির একটা ছেলে আর পিয়া পুরো ধীরস্থির চিন্তাশীল মেয়ে! সায়ান যে আলোথালো ওকে সামলানোর জন্য আমি পিয়ার মতোই মেয়ে খুঁজছিলাম। সায়ানকে যেমন ভালোবেসে আগলে রাখবে সেরকম দরকারে এই গাধাটার ব্যাপারে কঠোরও হবে। দেখেন আমার বোকাটা এখনও কেমন শশুর-শাশুড়ীকে আঙ্কেল- আন্টি ডাকছে!

সায়ান অল্পক্ষণেই আম্মুকে মামনী সম্মোধন করে আবার গল্প জুড়ে দিলো। আম্মুর তো খুশিতে চোখে পানি চলে এলো।
আমি হাসি মুখে সবকিছু দেখলেও আমার বুকে চিন চিন ব্যাথা শুরু হলো। এই প্রথম আমার মনে হলো এ আমি কি করতে যাচ্ছি সবার সাথে!

খাবার টেবিলে বসে মা আমার খুটিনাটি কত কি যে পছন্দ করেন তা বললেন। সায়ানও সাথে যোগ দিলো। আমার হাতের কফি ছাড়া ওর নাকি সকালের ঘুমের নেশা কাটে না।
সায়ান অতি সোজা সরলভাবে অবলীলায় আমার প্রশংসা করে যাচ্ছে। মা সায়ানের এমন বউ পাগলগিরি দেখে হাসছেন উল্টো আমার আম্মুকে চোখ টিপ দিয়ে সায়ানের মুগ্ধতা দেখাচ্ছেন।

খাওয়া শেষে প্রত্যুষ আর সায়ান গেম খেলতে বসে। আব্বু বেচারা উপায় না পেয়ে তাদের সাথেই যোগ দেয়।
মায়ের খাওয়া শেষে একটু ভাতঘুম দেয়ার অভ্যাস। এ ফাঁকে আম্মু আমার হাত ধরে রুমে নিয়ে বসেন।

পিয়া, আমার খুব ভালো লাগছে তুই এতো সুখে আছিস দেখে। আলহামদুলিল্লাহ!! তোর শাশুড়ি কত ভালো দেখেছিস! এমন শাশুড়ী মানুষ পূণ্য করলে পায়।
আর সায়ান! কি মিষ্টি একটা ছেলে। এতো বড় পরিবারের একমাত্র ছেলে অথচ কোন অহংকার নেই। শুন, সব হচ্ছে শিক্ষা! বেয়াইন সাহেবের মাঝেও কোনো অহংকার নেই। তার একমাত্র ছেলে যেভাবে তোর সুনাম করলো অন্য কোনো শাশুড়ী থাকলে বউকে হিংসা করতো অথচ উনি উল্টো আমার সাথে সায়ানের পাগলামি নিয়ে হাসাহাসি করলেন। উনি খুব খুশি তোদের দুজনের ভালোবাসা দেখে। আমি তো তোর বকাঝকার ধরন দেখে লজ্জাই পেয়ে গিয়েছিলাম কিন্তু বেয়াইন বলল তুই যেমন বকিস তেমন নাকি সায়ানকে ভালোও বাসিস! আর সায়ান নাকি তোকে একমুহূর্তও দূর হতে দেয় না!

আম্মুর কথাগুলো শুনে, আমার সংসার নিয়ে উনার তৃপ্তি দেখে আমার বার বার কান্না দলা পাকিয়ে আসছিল। অনেক কষ্টে কান্না আটকে আমি মাথা নিচু করে লাজুক হাসির অভিনয় করি।

আম্মু বলতে থাকেন তোর শাশুড়ি তোকে অনেক ভালোবাসে রে! উনি বার বার বলছিলেন সায়ানের জন্য তুই একদম পারফেক্ট। তোর কত সুনাম করলো!
পিয়া, তোর এতো সুনাম মানে বুঝিস?? তোর সুনাম মানে আমাদের সুনাম! তুই আমাদের মুখ উজ্জ্বল করে দিয়েছিস! তুই কোনোদিন তোর শাশুড়ি, সায়ান এমন কি এ বাসার কাজের মানুষকেও অসম্মান করবি না, বুঝলি! আর সায়ানকে এতো বকাঝকা করিস না তো! কি লক্ষী একটা ছেলে! সারাক্ষণ মুখে হাসি আর কত আন্তরিক! এমন একটা ছেলেকে তুই কেন বকিস বল তো! বেয়াইন সাহেবের জায়গায় আমি থাকলে উল্টো তোকে বকে দিতাম।

আম্মুর কথায় আমি হেসে দেই।

বিকালে আমাদের বিয়ের অনুষ্ঠানের নানা রকম প্ল্যান হলো। অথচ এ নিয়ে সায়ানের মাঝে আমি কোনো ভাবান্তর দেখলাম না। যেন সবকিছু খুব স্বাভাবিক। সে প্রত্যুষের সাথে গেম খেলাতেই ব্যস্ত।

আমাকে নিয়ে কোনো অনুষ্ঠান হবে না, আমি এ পরিবারের চিরস্থায়ী সদস্য নই–এসব কিছুই যেন সায়ানের মাথায় নেই। সায়ানের উপর আমার চরম বিরক্তি আসে, প্রচণ্ড অভিমান জমে। আমি এদিকে সবার সাথে মিথ্যে সুখী অভিনয় করে করে বিরক্ত হচ্ছি, আমার কান্না পাচ্ছে অথচ সায়ানের কোনো মাথা ব্যথাই নেই।

আম্মু আব্বু আর প্রত্যুষ হাসি মুখে মনের মাঝে মেয়ের সুখের সংসারের ছবি একে বিদায় নিলো। উনাদের বিদায় দিয়ে আমি নিজের রুমে চলে আসি।

সায়ান মায়ের সাথে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে উপরে এসে দেখে আমি বিছানার কোনায় জুবুথুবু হয়ে বসে আছে। পিছন ঘুরে বসে আছি বলে সায়ান হয়তো আমার মনের অবস্থা ধরতে পারে নি। আমার কাঁধে হাত রাখতেই আমি চোখ তুলে তাকাই। আমার ছলছল অভিমানী চোখ দেখে সায়ান হঠাৎ ধাক্কা খায়। সে সাথে সাথে আমার পাশে বসে আমার হাত ধরার চেষ্টা করে। আমি ছিটকে দূরে সরে যাই।

— কি চাও তুমি আমার কাছে সায়ান? কেন এমন করছো??

সায়ান বোকার মতো তাকিয়ে বলে আমি কি করলাম??

আমি কাঁদতে কাঁদতে বলি কোন দুনিয়াতে তুমি বাস করো?? তুমি জানো, আমাদের বিয়ের অনুষ্ঠানের প্ল্যান করছে সবাই!!

আমার কফি ছাড়া তোমার নেশা কাটে না, আমার আম্মুকে মামনী সম্মোধন করছো, —– কেন??? তোমার কাছে সব এতো সোজা কেন?? কদিন পর যখন সবাই জানবে তুমি আমার সাথে না সানজানার সাথে থাকতে চাও তখন তোমার আম্মু আমার আম্মু সবার কি হবে ভেবেছো?? তুমি খুব সোজাসরল তাই না!! খুব সোজাসরল…… আসলেই কি তুমি সোজাসরল??? নাকি সবার অনুভূতি নিয়ে মজা করার কুটিল বুদ্ধি তোমার?? তুমি কি??… বলো?

আমি কাঁদতেই থাকি। সায়ান আবার আমার হাত ধরতে চাইলে আমি সায়ানকে ধাক্কা দিয়ে সায়ানের দিকে ক্রুদ্ধ চোখে তাকাই। তারপর দুহাত দিয়ে মুখ ঢেঁকে কাঁদতে থাকি।
সায়ান আমাকে একহাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে। সরি পিয়া, আই এম রিয়েলী সরি।
সায়ানের বাহু থেকে মুক্ত হতে আমি হাতের কনুই দিয়ে ধাক্কা ধাক্কি করি কিন্তু সায়ান আরও শক্ত করে ধরে বলে, পিয়া আমি তোমার পাশেই থাকবো আমাকে তুমি যতই দূরে সরাতে চাও।

— সায়ান তুমিই সব নষ্টের মূল, তুমি বুঝো? সব ঝামেলা তোমার কারণে। ছাড়ো আমাকে, তুমি যাও এখান থেকে, প্লিজ! আমাকে একা থাকতে দাও!

— আমি জানি আমিই তোমার সব কষ্টের কারণ। কিন্তু এ মুহূর্তে আমি তোমাকে এভাবে রেখে কোথাও যাবো না।

আমি নিজেকে ছাড়ানোর ব্যর্থ চেষ্টা করে এক সময় শান্ত হই, সায়ানের কাঁধে মাথা রেখে নিঃশব্দে কাঁদতে থাকি। অসহায় কণ্ঠে বলি, যে আমার কষ্টের কারণ সে-ই আমাকে সান্ত্বনা দিচ্ছে। কি অদ্ভুত!

সায়ান চুপ হয়ে থাকে। জানি আমার কথায় ওর হৃদয় ক্ষরণ হচ্ছে কিন্তু কিছু বলছে না।

দুজনই চুপচাপ হয়ে থাকি কিছুক্ষণ ।

আমি দুরুদুরু বুকে বলি সায়ান, মাকে বলার সময় হয়ে গেছে।

সায়ান যেন রীতিমতো ধাক্কা খায়। ভয়ার্ত চোখে বলে কি বলছো পিয়া, না কখনোই না!
—কখনোই না মানে? বলতে তো হবেই!

—কেন? এখনই কেন! আমি এখন প্রস্তুত নই।
— কিসের প্রস্তুতি?? তোমার ভয় কিসের! আমি মাকে বুঝিয়ে বলবো।
— না পিয়া, তুমি বুঝছো না। আমি…. আমি সিদ্ধান্তে আসতে পারছি না।
— কিসের সিদ্ধান্ত??

সায়ান কি করে পিয়াকে বুঝাবে ওর মন কি চায়! খুব ইচ্ছে করে যদি কোনো গভীর অরন্যে পিয়াকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়া যেত তবে খুব ভালো হতো। কোনো প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হতো না কোনো অনুশোচনা পিছু নিতো না।
নিজের মনের টানাপোড়েন চেপে রেখে সায়ান বলে তুমি খালি চলে যেতে চাও কেন আমাকে রেখে বলতো??

— কারণ আমি নিজে থেকে না গেলে তুমি ঠিকই একসময় আমাকে তাড়িয়ে দেবে।

— না পিয়া, তুমি কিভাবে এমন কথা বলছো! আমি পারলে তোমাকে কখনই যেতে দিবো না।

— পারলে??? সেটাই!! তুমি তো তা পারবে না। তাই তো চলে যেতে চাইছি।

সায়ান আমার হাত ধরে গম্ভীর সুরে বলে তুমি কি চাও পিয়া??

এমন প্রশ্ন শুনে আমার চোখ দিয়ে আবার পানি গড়িয়ে পড়ে। খুব ইচ্ছা করে সায়ানকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে বলি আমি তোমাকে চাই, শুধু আমার করে চাই!! এ বাসা, এ পরিবার, মা, স্বপ্নাবু সব আমার আপন, অতি আপন! শুধু তুমি আমার হলে না! আমার সব কিছু থেকেও আমি শুন্য হাতে আছি সায়ান!

কিন্তু এর কিছুই আমি সায়ানকে বলতে পারি না। কি করে বলবো! সে তো আমাকেই জিজ্ঞেস করছে আমি কি চাই! তারমানে সায়ান কিছু চায় না। সে আমাকে চায় না। ওর জীবনে সানজানাই সব, আমার পাত্রে কেবলই সান্ত্বনা!

আমি চোখ মুছে সহজ ভঙ্গিতে বলি আমি কিছু চাই না, সায়ান! চাইলে প্রথম দিন থেকেই চাইতাম।
আজ আব্বু আম্মুকে দেখে জাস্ট একটু ইমোশোনাল হয়ে পড়েছিলাম। সরি! বাদ দাও এসব। খামখা তোমার সাথে চেঁচামেচি করলাম।
যাই! মা-য়ের খাবারের সময় হয়ে গেছে… বলে আমি উঠোতে গেলে সায়ান ওভাবেই আমাকে ধরে রাখে, ছাড়ে না।
— পিয়া কিছুসময় থাকো না আমার পাশে প্লিজ!!

আমি অভিমানী গলায় বলি, আমি সবসময়ই তোমার সাথে আছি সায়ান! আমাকে এবার যেতে দাও।
—- উ. হু! এভাবেই বসে থাকো।

আমি চুপ হয়ে সায়ানের পাশে বসে থাকি। সায়ান কি ভাবছে জানি না কিন্তু আমি মনে মনে বলি সায়ান তুমি কোনোদিন বুঝতে পারবে না এই মেয়েটা তোমাকে কি পাগলের মতো ভালোবেসেছিলো! তুমি ওর চোখে কখনো তাকাও নি, তাকালে দেখতে কি প্রচন্ড ভালোবাসা নিয়ে সে তোমার প্রতীক্ষায় ছিল।

চলবে।
লেখকঃ ঝিনুক চৌধুরী

এ পর্বটা একটু ছোট হয়েছে তাই আজই দিয়ে দিলাম। পরবর্তী পর্বে আশা করি তা পুষিয়ে দেব। তাছাড়া সানজানার দেশে আসার সময়ও হয়ে গেছে।

পরবর্তী পর্ব ভালোবাসা দিবসে দিবো। এর আগে দেয়ার অনুরোধ করবেন না দয়া করে। আপনাদের অস্থিরতা আমাকেও অস্থির করে তুলে। মনে হয় আহারে একবারেই দিয়ে দেই। কিন্তু আসলে তা সম্ভব নয়।
সবাই অনেক আগ্রহ ও ভালোবাসা নিয়ে আমার গল্প পড়ছেন তাই ধন্যবাদ সবাইকে।

লিখাঃ /

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here