সীমাহীন ভালোবাসার নীড় পর্ব -০৭+৮

#সীমাহীন_ভালোবাসার_নীড়
#লেখিকাঃনওশিন_আদ্রিতা
#পার্টঃ৭
,
,
,
,
নির গাড়ির কাছে এসে দেখে যে আদ্রি গাড়ির সিটে হেলান দিয়েই ঘুমায় পড়েছে। নির আদ্রির দিকে খানিকটা ঝুকে চোখের সামনে পরে থাকা চুল গুলো সরিয়ে কানের পিছনে গুজে দিলো।নির এর ঠান্ডা হাতের স্পর্শ পেয়ে খানিকটা কেঁপে উঠে পুনরায় ঘুমিয়ে পরলো সে। নির, আদ্রির বাচ্চামো দেখে মনে মনে খানিকটা হাসলো।

নির ড্রাইভ করচ্ছিলো এমন সময় আদ্রির মাথা নির এর ঘাড়ে পড়তেই কেমন জানি অচেনা অনুভূতি হানা দিলো নির এর মনে। গাড়ি টা এক সাইডে পার্ক করে সিটে মাথা এলিয়ে দিল নির।

নিরঃকি শুরু করলি রে আদর পাখি। আমি যে নিজেকে আটকাতে পারচ্ছিনা তোর নেশায় ডুব দেওয়া থেকে বার বার এই মন যে তোর সান্নিধ্যে চায়। কিন্তু এটা যে অন্যায় রে। আমার জীবনের কোন ভরসা নায়। একবার আমি আমার মম ড্যাড এর প্রতিশোধ নিয়ে নিলে আমার জীবন এর অস্বস্তি শেষ এই নির এর কাহিনীও শেষ যেখানে তুই পবিত্র এক গোলাপ সেখানে আমি অপবিত্র কাটা। যার হাত শুধু মানুষ কে কষ্ট দিতে জানে।কেন ফিরে এলি আমার জীবনে খুব করে ইচ্ছা করে তোকে আগলে রাখতে কিন্তু তা যে সম্ভব না রে।

আলতো করে মাথাটা আদ্রির মাথায় ঠেকিয়ে কিছুক্ষন দম নিলো তারপর পুনরায় গাড়ি ড্রাইভ করায় মন দিলো সে।

_____

নওমি হাওয়াই মিঠাই খাইতে চেয়েছে দেখে আদ্রিয়ান সেদিকে চলে যায়। নওমি একা একা বসে থেকে পানি দেখছিলো হঠাৎ তার চোখ যায় প্রজাপতির দিকে। সেটা দেখে উৎফুল্ল হয়ে প্রজাপতি ধরার উদ্দেশ্য দৌড় দেয়।হুট করে প্রজাপতি টা যেয়ে বসে একটা টাকলা আঙ্কেল এর মাথায়। নওমি কিছু না বুঝে হাত দিয়ে থাবা দেয় প্রজাপতি ধরার উদ্দেশ্য কিন্তু প্রজাপতি টা উড়ে যায় আর থাবা টা লাগে আঙ্কেল এর মাথায়।

নওমি ভয়ে দুই হাত দিয়ে মুখটা ঢেকে নেয়

আঙ্কেলঃএই মেয়ে তোমার সাহস হয় কি করে হ্যা কখন থেকে দেখছি বাচ্চাদের মতো করছো পাগল মেয়ে। এইসব পাগল দের রাস্তায় একা ছাড়ে কে যতসব।

নওমি তো রেগে আগুন, ফার্স্ট কারো কাছে এতো কথা শুনলো রাগে গজগজ করতে করতে আঙ্কেল টার মুছ ধরে দেয় টান বেচারা ভদ্রলোক ব্যাথায় চেচিয়ে উঠে আদ্রিয়ান ও ততোক্ষনে এসে যায় ভীড় ছিলো দেখে তার আসতে সময় লাগে কিন্তু সে বুঝতে পারেনি নওমি এমন কিছু করবে আদ্রিয়ান এক হাতে হাওয়াই মিঠাই গুলো ধরে অন্যহাতে নওমির হাত দিয়ে দেয় দৌড়। আঙ্কেল টাও ওদের পিছনে দৌড় দেয় কিন্তু ওদের ধরতে পারেনা

ওই জায়গা থেকে কিছু টা দূরে এসে আদ্রিয়ান নওমির হাত ছাড়ে দিয়ে বসে পড়ে মাটিতে সেটা দেখে নওমিও বসে পড়ে দুইজনেই সমান তালে হাপাচ্ছে বেশ কিছু ক্ষন একে অপরের মুখ চাওয়া চাওয়ি করে দুইজনেই এক সাথে হেসে দেয় উচ্চস্বরে, আশে পাশের কয়জন লোক বাঁকা চোখে তাকাতেই আদ্রিয়ান চুপ হয়ে যায় কিন্তু নওমির কি আর এতো সেতো বুঝার বয়স হয়েছে সে তো সমান তালে হেসে ই চলেছে। আদ্রিয়ান মুগ্ধ নয়নে দেখছে মুক্তর ন্যায় স্বচ্ছ হাসিটা কতোটা না নিস্পাপ হাসি।

_____

আদ্রি বাসায় আসে অবাক হয় মেন দরজায় তালা দেওয়া আর তার পাশেই গার্ড মাথা নিচু করে দাঁড়ায় আছে

আদ্রিঃচাচ্চু দরজা লাগানো কেন
গার্ডঃসরি মামনি। স্যার এর অর্ডার যেনো আপনাকে ভিতরে যেতে না দেওয়া হয়
আদ্রিঃআমি জানতাম এমন কিছু হবে আমার লাগেজ কই চাচ্চু
গার্ডঃআপনি এক মিনিট দাড়ান আমি নিয়ে আসছি
(গার্ড যায়তেই আদ্রি হাটু গেড়ে নিচে বসে পরে
সে জানতো তার বাবার কাছে সবার আগে তার সম্মান তার পজিশন তার টাকা তার কাজ সেখানে
আদ্রির জন্য উনার এতো বড় লোস হলো আর উনি চুপচাপ হাতে হাত রেখে বসে থাকবেন)

গার্ড লাগেজ আনতেই উঠে বসে বাড়িটার দিকে এক নজর চোখ বুলিয়ে হাটা ধরে জানেনা কই যাবে কোথায় থাকবে কিন্তু যেতে তো হবে।

চোখের পানি মুছে নেয় সে ভেঙ্গে পড়লে তো আর হবেনা কোন না কোন জায়গা তো খুজতেই হবে থাকার জন্য

এমন সময় তার সামনে এসে দাঁড়ায় নির এর গাড়ি
হঠাৎ এই ভাবে গাড়ি ব্রেক করায় ভয় পেয়ে যায় আর চোখ বন্ধ করে দুই পা পিছিয়ে যায়।

গাড়ি থেকে নির বের হয়ে আসে। নির এর অফিসের কিছু পেন্ডিং কাজ করে বাসায় ফিরছিলো হঠাৎ সামনে আদ্রি কে দেখে গাড়িটা ব্রেক করে,

নিরঃমিস আদর আপনি এখানে তাও আবার এতো রাতে কোন সমস্যা?
আদ্রিঃনা স্যার আসলে একটু নাইট ওয়াক এর জন্য বের হয়েছিলাম এই যা (হাসার চেষ্টা করে)

নির আদ্রির দিকে তাকিয়ে দেখে এখনো অফিসে পরা ড্রেস টাই তার পড়নে। এক হাতে লাগেজ ধরে আছে। নির এর যা বুঝার বুঝা হয়ে যায়।

নিরঃগেট ইন দা কার
আদ্রিঃমা মানে
নিরঃআই ডোন্ট লাইক টু রিপিট মাই ওয়ার্ড এন্ড ইউ সুড নো এবাউট দিস
আদ্রিঃসরি স্যার বাট আই কান্ট গো উইথ ইউ
নিরঃতুমি নিজ ইচ্ছাই উঠবা নাকি আমি আমার টেকনিক শুরু করবো
আদ্রিঃস্যার আমি উঠবোনা
(সামনের দিকে হাটা দেয়)

নির আদ্রির হাত টেনে ধরে নিজের কাছে নিয়ে আসে তাকে কোলে তুলে নেয় আদ্রি আমার জন্য হাত পা ছুড়াছুড়ি করতে লাগে কিন্তু নির এর সাথে কোন রকম ভাবে পেরে উঠে না। নির আদ্রিকে গাড়ির সিটে বসায়ে ডোর লোক করে দেয় আর লাগেজ পেছনের সিটে তুলে নেয়।

আদ্রিঃস্যার আপনি আমাকে এই ভাবে জোড় করে তুলে নিয়ে যেতে পারেন না ইটস নোট রাইট

নিরঃ—–

আদ্রিঃস্যার আমি আপনাকে কিছু বলছি প্লিজ আমাকে নামিয়ে দেন
(চিৎকার করে)
নিরঃওকে ফাইন নেমে যাও কিন্তু একটা কথা মাথায় রেখো এটা ঢাকা শহর, এখানে রাতের বেলা হাজারো পশু ঘুড়ে বেরায় একটা বার ভাবেছো যদি কিছু হয়ে যায় কি করবা তখন বলো(স্টেয়ারিং এর উপর বাড়ি দিয়ে)

আদ্রি এবার চুপ হয়ে যায়।আসলেই তো এখনকার যে সমাজ একা একটা মেয়ে মানেই মানুষ রুপি পশুদের খাওয়ার হওয়া ভাবতেই গা হাত পা শিউরে ওঠে ওর

নিরঃকি সব কথা শেষ এবার চুপচাপ বসে থাকো

আদ্রি গাড়ির গ্লাস নিচে নামায় দেয় নির আড়চোখে একবার দেখে কিন্তু কিছু বলেনা

আদ্রিঃলোকটাকে যতোটা খারাপ রাগী ভাব ওয়ালা ভেবেছিলাম ওতোটাও না অনেক কেয়ারিং নাহলে একটা সামন্য এমপ্লোয়ের জন্য এতো কিছু কোন স্যার ই বা করে। এই জন্যই হয়তো বড়রা বলে কাউকে না জেনে তাকে জাজ করা উচিৎ না।
(মনে মনে কথা গুলো বলে নিশ্বাস ছাড়ে)

নিরঃনামো এসে গেছি আমরা

আদ্রি গাড়ি থেকে বের হয়ে দেখে বিশাল এক বিল্ডিং এর সামনে এসে দাড় করায়েছে গাড়িটা। আদ্রি বিল্ডিং টা চেনে। ঢাকার সবচেয়ে নামীদামী বিল্ডিং এর মধ্যে এটা একটা বেশ নামকরা ব্যক্তিরা এখানে থাকে বলে জানা তার।

আদ্রিঃআমরা এখানে কেনো
নিরঃআসো আমার সাথে
আদ্রির আর কি করার নির এর পিছনে হাটা ধরে নির তাকে নিয়ে একটা রুমের সামনে আসে। রুম টা ৮ তলায় লিফট আছে দেখে যাতায়াতে তেমন কোন সমস্যা হয়না
আদ্রিঃস্যার এটা কি আপনার
নিরঃএই পুরো বিল্ডিং টাই আমার
আদ্রিঃহোয়াট(চিল্লায়ে)

নির আদ্রির এমন রিয়েকশানে বিরক্ত হয়।
নিরঃহুস চুপ গনো ধোলাই খাওয়ানোর শখ আছে
আদ্রিঃসরি

মিনিট ৫ এক পরে একটা মেয়ে এসে দরজা খুলে দেয়।আদ্রি মটেও কোন মেয়েকে আশা করেনি।

মেহেরঃভাইয়া তুই এখানে এতো রাতে
নিরঃহুম তোর সাথে আজকে থেকে এই থাকবে রাতের মধ্যে পরিচয় হয়ে নিস এই নেও তোমার লাগেজ কালকে টাইমলি চলে আসবে আর তুই ও অনেক ছুটি কাটিয়েছিস

মেহেরঃজ্বি ভাইয়া
আদ্রিঃহুম

নির চলে যায় মেহের ও আদ্রিকে নিয়ে রুমে ঢুকে ওকে একটা রুম দেখিয়ে দেয় থাকার জন্য রাত যেহেতু অনেক হয়েছে তাই আলাপ এর পর্বটা কালকের জন্য রেখে দিলো,,,,,,
#সীমাহীন_ভালোবাসার_নীড়
#লেখিকাঃনওশিন আদ্রিতা
#পার্টঃ৮
,
,
,
,
,
সকাল হতেই আদ্রিয়ান আদ্রির রুমে যায় এটা ওর পুরোনো অভ্যাস আজকেই ব্যাতিক্রম হয়নি কিন্তু রুমের সামনে আসে আদ্রিয়ান অবাক হয়ে যায় কারন রুমে তালা মারা। আদ্রিয়ান অবাক হয় কারন আর যায় হোক আদ্রি তার রুমে তালা কোন সময় মারে না।

আদ্রিয়ান নিচে নেমে আসে আর মিসেস খান কে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে

আদ্রিয়ানঃবোনুর রুমে তালা কেনো বনু রাতে আসেনি
মিসেস খান কিছু বলতে যাবে তার আগেই নাহিদ খান বলে উঠে
ঃওই অসভ্য মেয়েকে আমি আমার বাড়িতে মটেও থাকতে দিবোনা তাই বের করে দিয়েছি বাসা থেকে
(খবরের কাগজ পড়তে পড়তে)
আদ্রিয়ানঃহোয়াট আর ইউ মেড কি সব আজে বাজে বকছো তোমার মাথা ঠিক আছে কোথায় আমার বোন(চিৎকার করে)
নাহিদঃখবরদার আমার সাথে উঁচু গলায় কথা বলবেনা ভুলে যেওনা আমি তোমার বাবা। আর যে মেয়ে নিজের বাবার সম্মান করেনা তার কোন জায়গা নাই আমার বাসায়।আজকে ওর জন্য আমার কতোবড় লোকসান হয়েছে।
আদ্রিয়ানঃআসলেই কি সে তোমার মেয়ে সত্যি করে বলত বাবা।
নাহিদঃকি বলছিস এইসব (রাগী স্বরে)
আদ্রিয়ানঃঅবশ্য একদিক দিয়ে ঠিকি করেছো ওকে বের করে দিয়ে আর যায় হোক যেখানেই থাকুক তোমাদের মতো করে তো আর অপমান অপদস্ত করবে না তাকে কেউ।

মিসেস খানঃআদি বেশি বলে ফেলছিস বাবা হয় তোর কথাটা ভুলে যাস না ওই অসভ্য মেয়েটার মতো তুই ও দিন দিন অসভ্য হচ্ছিস এসে খেয়ে নে
(মিস্টার খান কে চা এগিয়ে দিয়ে আদ্রিয়ান এর উদ্দেশ্য বলে উঠলো)
আদ্রিয়ানঃতোমাদের খাবার তোমরাই খাও

কথাটা বলেই হন হন করে বেরিয়ে গেলো বাসা থেকে না জানি তার বোন কোথায় আছে। কালকে সারাদিন নওমির সাথে কাটায়ে হস্পিটালে গেছিলো সেখান থেকে ফিরতে ফিরতে অনেক দেরি হয়ে গেছিলো আর এতো কাজ করায় ক্লান্ত ও ছিলো প্রচুর তাইতো কালকে আর দেখা হয়নি আদ্রি বাসায় আছে কি না আর এই জন্যই এতোসব

মিসেস খানঃহ্যা গো ওতো রাতে যে মেয়েটাকে বের করে দিলা যদি খারাপ কিছু হয়ে যায় যতোই হোক একটা মেয়ে তো। আমার না হোক কারো তো মেয়ে যতই কথা শুনাই না কেন
(খাবার সার্ভ করতে করতে)

মিস্টার খানঃওতো আলগা পিড়িত দেখাতে হবে না নিজের মেয়ের দিকে খেয়াল রাখো আজ ৩ দিন হয়ে গেলো সে বাসায় আসেনা কোথায় আছে কি করছে কিছু জানা নাই।সে যে হস্পিটাল থেকে রিলিজ হয়ে ফ্রেন্ড দের সাথে ঘুরতে যাবো মুড ফ্রেশ করার জন্য বলে বের হলো এখনো কোন খোজ নাই তার
(না খেয়ে উঠে যায়)

মিসেস খানঃসে তো এমনই কোথাও গেলে তার আর দিন দুনিয়ার কোন খোজ থাকে না ওর চিন্তা আমি করি ওই ম্যানেজ করে নিবে(মিস্টার খান কে কোট পড়ায় দিলেন)

মিস্টার খানঃতোমার মেয়ে যেমন ম্যানেজ করে নিবে আমার মেয়েও তেমনই ম্যানেজ করে নিবে
(বের হতে হতে কথাটা বলে উঠলো)

মিসেস খানঃমানে

মিসেস খান এর কথা টা নাহিদ খান এর কান অব্দিই পৌছালো না

নাহিদ খান গাড়িতে উঠে কাউকে ফোন দিলেন
ঃহ্যালো
নাহিদ খানঃওই দিক কার কি খবর
ঃস্যার আপনার মেয়ে বর্তমানে রয়েল কিংডোম সোসাইটিতে আছে নির চৌধুরী বিল্ডিং এ
নাহিদ খানঃওর কোন অসুবিধা হয়নি তো
ঃনাহ স্যার নির চৌধুরী ম্যাম এর সাথেই ছিলো
নাহিদ খানঃঠিক আছে কিন্তু ভুলেও আদ্রি কে চোখের আড়ালে করবে না মনে থাকে যেনো
ঃজ্বি স্যার।

ফোন পকেটে ঢুকিয়ে সিটে শরীর এলিয়ে দেয় মিস্টার খান।
চোখ যেনো কিছুতেই তার খোলা থাকতে চাচ্ছেনা। সারা শরীর কেমন অবশ হয়ে এসেছে।
,
,
,
,
আদ্রিতা আর মেহের রেডি হয়ে নিচে নেমে আসে।
আদ্রিঃতুমি কতোদিন হলো ওইখানে জব করো
মেহেরঃএইতো ২ মাস হলো(স্কুটি বের করতে করতে)
আর তুমি?
আদ্রিঃএইতো ১ দিন হলো
মেহেরঃকোন পোস্টে
আদ্রিঃনির স্যার এর পিএ হিসেবে
মেহেরঃহোয়াট(চিল্লিয়ে)
আদ্রিঃকি হলো এইভাবে রিয়েক্ট করছো কেনো
মেহেরঃতুমি জানো নির ভাইয়া কোন দিন কোন মেয়েকে তার সেক্রেটারি হিসেবে এলাউ করেনা আজ পর্যন্ত যতোজন মেয়ে আসেছে সবাইকে রিজেক্ট করা হয়েছে (অবাক হয়ে)
আদ্রিঃতাহলে আমাকে নিলো যে (ভ্যাবাচেকা খেয়ে)
মেহেরঃসেটাই তো ভাবার বিষয় বাই এনি চান্স নির ভাইয়া প্রেমে ট্রেমে পড়েনি তো আবার(ঠাট্টার সুরে)
আদ্রিঃকুছভি
এবার চলো লেট হয়ে যাচ্ছে
আচ্ছা স্যার তোমার ভাইয়া হয়
মেহেরঃআরে নাহ আসলে আমার আব্বু নির ভাই আর আব্বুর এর ম্যানেজার ছিলো কিন্তু একটা রোড এক্সিডেন্ট ভাইয়ার পুরো ফ্যামিলির সাথে আমার আব্বু আম্মু ও মারা যায় আসলে নির ভাইয়ার আব্বু আর আব্বু ফ্রেন্ডস ছিলো এই জন্য দুই ফ্যামিলি এক সাথেই গেছিলো আমি তখন হোস্টেল এ ছিলাম।

আদ্রিঃনির স্যার এর আব্বু আম্মু নাই হয়তো এই জন্যই স্যার এরকুম এঘুয়ে আর রাগী হয়ে গেছেন (মনে মনে কথা গুলো আওরাতেই ওর ও মন টা খারাপ হয়ে যায়)

মেহেরঃএন্ড দেন আমার সব দায়িত্ব আমার চাচ্চু নেয় কিন্তু ১ বছর আগে উনিও মারা যান দেন নির ভাইয়া আমার পড়াশুনার খরচ দেন আর ২ মাস হলো জব টাও দিয়েছে ভাইয়া অনেক ভালো রাগী আছে বাট মন থেকে অনেক সোফট(ড্রাইভ করতে করতে)

আদ্রির কেন জেনো সহ্য হলোনা মেহের এর মুখে নির এর তারিফ। কিন্তু কেনো সেটা সে ঠাওর করতে পারলোনা।একজন মানুষের কাজ পছন্দ হলে যে কেউ স্বাভাবিক তার প্রশংসা করবে এখানে রাগ উঠার কি আছে কিছু তেই মাথায় আসলো না আদ্রির।মেহের স্কুটি চালাচ্ছে আর বকবক করছে কিন্তু আদ্রির কানে কোন কথাই ঢুকছেনা।

হঠাৎ করে ব্রেক কষায় আদ্রি অপ্রস্তুত ভাবে সামনে ঝুকে পড়
আদ্রিঃমেহের এই সব কি
এই ভাবে হঠাৎ করে ব্রেক কষে কে
মেহেরঃআরে বইনা সামনে তাকায়ে দেখ কতো হ্যান্ডসাম একটা ছেলে অফিসের বাহিরে দাড়িয়ে আছে
আদ্রি বিরক্তি নিয়ে সামনে তাকায়ে দেখে আদ্রিয়ান অফিসের গেট এ দাঁড়িয়ে গার্ড এর সাথে কি নিয়ে ঝামেলা করচ্ছে

আদ্রিতা তাড়াতাড়ি বাইক থেকে নেমে আদ্রিয়ান এর কাছে গেলো আদ্রিকে দেখে জেনো আদ্রিয়ান এর জানে পানি এলো। কতো কষ্টে আদ্রির অফিসের ঠিকানা জোগাড় করে এখানে এসেছে কিন্তু গার্ড বিনা এপোয়মেন্টে ওকে ভিতরেই যেতে দিছিলোনা

আদ্রিয়ান দ্রুত বোনকে বুকে জরায় ধরে। যেনো ওর বোনকে কেউ তার কাছ থেকে কেড়ে বহু দূরে নিয়ে যাবে।
আদ্রিয়ানঃবনু তুই ঠিক আছিস তো আমাকে একটা বার ফোন দিতে পারলি না কেন রাতের বেলা বেরিয়ে গেলি বলতো।যদি তোর কিছু হয়ে যেতো কি করতাম আমি বল।

আদ্রিঃকুল ডাউন মিস্টার খান আমি ঠিক আছি আই এম ওলরাইট অযথা প্যানিক করছেন আপনি
আর যার কেউ থাকেনা তার আল্লাহ থাকে ভুলে যেয়েন না কথাটা। আর বড় কথা ভালোই হয়েছে সিনিয়র খান আমাকে বের করে দিয়েছেন আজায়রা রোজ রোজ কার ঝামেলার থেকে মুক্তি পেয়েছি
(আদ্রিয়ানকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে)

আদ্রিয়ান কিছু বলতে যাবে তার আগেই নির সেখানে এসে দাঁড়ায়।নির এর চোখ মুখে স্পষ্ট রাগ এর আভাস পাচ্ছে আদ্রিয়ান। কিন্তু ঠোঁটের কোণে লেগে আছে হাসি আদ্রিয়ান কাছে ব্যপারটি হজম হলো না।

নিরঃমিস.আদর আপনি হয়তো অফিস টাইম ভুলে গেছেন। ফার্স্ট আমার কেবিনে আসেন(অফিসের ভিতরের দিকে হাটা ধরলো)
আদ্রিঃজি স্যার।(বলে আদ্রিও দেয় দৌড়)

আদ্রিয়ান ও চলে যায় বোন সেফ আছে ভালো আছে আর কি লাগে তার।

নির এর রাগে মাথা ফেটে যাছে। মনে হচ্ছে আদ্রিয়ান কে জীবন্ত মাটিতে পুতে ফেলতে। টেবিলের উপরে থাকা সব কিছু ফ্লোরে ফেলে দেয়

আদ্রি বাহিরে তাকায়ে অবাক হয়ে যায় হঠাৎ এরকুম আক্রমণের জন্য মটেও প্রস্তুত ছিলোনা সে

আদ্রিঃস্যার আর ইউ ওকে
(কাপা কাপা গলায়)

ব্যাস আর কি লাগে আগুনে ঘী ঢালে দিয়েছে।নির হাওয়ার গতিতে আদ্রির কাছে যায়ে আদ্রির গলা চেপে তাকে দরজার সাথে আটকে ধরে।আদ্রীর চোখ লাল হয়ে গেছে কিন্তু নির এর ছাড়াছাড়ির নাম নাই।

চলবে!!!
চলবে!!!!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here