স্বামীর অত্যাচার পর্ব ৪

#স্বামীর_অত্যাচার
Part 4

সবকিছু গোজগাজ করে রুমে যেতেই যেন একটা শকড খেল…..

নিলয়কে এক জগ পানি সোপার চারপাশে ঘুরে ঘুরে ঢালতে দেখে ….
চোখ দুটো বড় বড় হয়ে গেল…এই ঠান্ডার মধ্যেই কি এখন এই সোপায় ঘুমাতেই বলবে….নাকি অন্য কোনো কারণ……কিছুই বুঝতেই পারছে না….
মনের মধ্যে এক অজানা ভয় ও কাজ করছে…নিলয় কি অবার ওর সাথে..?না না..ভাবতেই যেন সারা গাঁ শিউরে উঠল……..তাহিন এক পা এক পা করে পিছুতে লাগল…..একটু যেতেই ওর সাথে ধাক্কা লেগে পিছনে থাকা ফ্লাওয়ার ভাসটা পড়ে খুব জোরে শব্দ হয়ে উঠল….সেই শব্দে তাহিন যেন থমকে গেল….যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই রাত হয়ে গেল….. নিলয় ধীরগতিে ছুটে এসে ভ্রু কুচকে তাকাতেই……ভয়ে যেন হাত পা কাঁপছে….তার মধ্য নিলয় যে রাগি লুক ধারন করে রেখেছে…হাত পা তো এমনিতেই কাঁপবেই……নিলয় এক পা এক পা করে এগিয়ে আসতেই…তাহিন পিছুতে লাগল….ভয়ে বুকটা ধুরু ধুরু করছে…..যেতে যেতে একেবারে শেষ প্রান্তে চলে গেল..বাধা হয়ে দাঁড়াল ইন্ডিয়া পাকিস্তানের বর্ডারটা…..রক্ষটা যেন আর হল না…ভয়ে চোখ মুখ বন্ধ করতেই চোখ দিয়ে কয়েকফোঁটা জল বেয়ে পরল……..নিলয় ওকে দেওয়ালের সাথে চেপে ধরে…..
এই ন্যাকা কান্না অফ কর…..অসহ্য লাগে জাস্ট অসহ্য……
খুব বেড়ে গেছ, না….এখন কেন এত ভয় পাচ্ছ….? ওদের সামনে খুব তো অপমান করতে চেয়েছিলে…..
তাহিনের মুখ দিয়ে কোনো কথায় বের হচ্ছে না… তারমধ্যে নিলয় ওর হাতটা পিছনে মুড়ে আরো জোরে চেপে ধরে… ব্যাথায় কুকরে উঠে….
;;;আমার লাগছে ছাড়ুন বলছি….. কেন ওদের সামনে আপনাকে অপমান করতে চাইব বলেন……?
;;;লাগার জন্যই তো ধরেছি….. কেন সেটা তো তুমিই ভাল জান……
তাহিন আর সহ্য করতে না পেরে নিলয়কে ধাক্কা দিয়ে সরানোর চেষ্টা করতেছে…কিন্তু কিছুতেই পেরে উঠছে না……..
;;;যেই মানুষটা অপমান আর প্রং….
এতটুকু বলতেই নিলয় তাহিনের মুখ চেপে ধরে…..
;;;চুপ একদম চুপ তোমার মুখ থেকে আরেকটা কথা ও শুনতে চাই না……
বলে ওকে ছিটকে দিয়ে ফেলে …..হনহন করে চলে যাওয়ার সময় বলল যেন রুমে গিয়েই শুই.

তাহিনের কপালের স্লাইডে থেকে একটু একটু করে রক্ত বের হচ্ছে…নিলয় ধাক্কা দিতেই দেওয়ালের সাথে কপালটা লেগে একটু ছিলে গেছে…..রোজকার মত এই ব্যাথাটা ও যেন কিছু না….শুধু দুচোখ বেয়ে পানি পরছে…….
এভাবেই বাইরে অনেকক্ষণ কাটিয়ে দিল দুচোখের অশ্রু বেয়ে………..রুমটাতে যেন পা রাখতে ইচ্ছে করছে না…সেখানে হয়ত এর থেকে ও বড় একটা সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে…..তাইতে যাওয়ার আগে বলে গেল রুমে যেতে…….না গেলে ও আবার……
গুটিগুটি পায়ে রুমে যেতেই সত্যিই বড় একটা সারপ্রাইজ পেল……..সারা ফ্লোর পানিতে চপচপ হয়ে আছে….আর নিলয় পুরা বেড দখল করে কম্বল মোড়ে শুয়ে আছে…….সোপায় পানি ঢেলে ও যেন ক্লান্ত হয়নি…….যার জন্য ফ্লোরে ও ঢালতে হয়েছে………শুধুমাত্র তখন একটু আটকে রেখেছিলে বলে তার জন্য এত বড় শাস্তি…..নিচে একটা বালিশ ছাড়া আর কিছুই রাখেনি…. কম্বলটা বোধয় আলমারিতে রেখে তালা দিয়ে দিয়েছে….কিন্তু এই ফ্লোরে ঘুমালে যে নির্ঘাত ঠান্ডায় মরে যাবে……..কি আর করার একটা বালিশটা নিয়ে বারান্দায় চলে গেল…শাড়ীটা ভালভাবে গায়ের মধ্যে জড়িয়ে নিল…ঠান্ডায় ঘুম ও আসছে না…তারপরে ও এপাশ ওপাশ করতে করতে কিছুটা যেন রাত পার হল…..ভোর হওয়ার আগে একটু চোখ লেগে আসতেই…হঠাৎ করে যেন ধম বন্ধ হয়ে গেল….মনে হচ্ছে কেউ ওর ঝাপিয়ে পড়েছে ….কিছুতেই নড়াচড়া করতে পারছেনা… নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে….কিন্তু কিছুতেই পেরে উঠছে……এক পর্যায়ে সর্বশক্তি দিয়ে ধাক্কা দিতেই……..চমকে উঠল নিলয়কে দেখে… ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে গেল….ধাক্ক দেওয়াতে দেওয়ালের সাথে বারি খেয়ে নিলয়ের মাথার এক স্লাইডে দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে….আর চোখ দিয়ে রক্তের অশ্রু ঝরছে… নিলয় হনহন করে ওর দিকে তেড়ে এসে আবার ও ওকে দেওয়ালের সাথে ধাক্কা দিতেই……..
তাহিন চিৎকার দিয়ে উঠে বসে… বড় বড় নিংশ্বাস নিতে লাগল………..চারিদিকে এক বার তাকিয়ে দেখল কিন্তু নিলয়কে দেখছে….তারমানে স্বপ্ন ছিল….এমনিতে টর্চার করে যেন শান্তি হয় না এখন স্বপ্নের মধ্যে ও চর্চার করতে চলে আসল……গলাটা যেন শুকিয়ে গেল….পানি খাওয়ার জন্য রুমের ভিতরে যেতেই চোখ পড়ল ঘুমন্ত নিলয়ের দিকে….ঘুমের একেবারে বিভোর হয়ে আছে….আর তাহিন আনমনে ওর দিকে চেয়ে আছে….কি নিষ্পাম লাগছে… এই মানুষটা যে এত টর্চার করতে পারে ভাবতেই পারছেনা….ঘুমন্ত নিলয় আর ওই নিলয়ের মধ্যে যেন কত পার্থক্য……ঘুমের রেশটা কেটেই গেল যেন যে অন্য রুপ ধারণ করে…..
একটা নিশ্বাস নিয়ে রুম থেকে বের হয়ে গেল….ভোর হতে আর বেশি সময় নেই…আরেকটু পর অাযানের ধ্বনি শুনা যাবে চারিদিকে….আর না ঘুমিয়ে ওজু করে নামাজ আদায় করতে চলে গেল…..
সবেমাত্র সূর্য চারিদিকে তার কিরণ দিতে শুরু করল….আর সেই সাথে পাখিদের কিচিমিছির শব্দ….চারিদিকে যেন ভাললাগা ছেয়ে আছে……সকালের পরিবেশটায় সত্যিই মধুর….ছাদে দাঁড়িয়ে বেশ কিছুক্ষণ সেই দৃশ্য উপভোগ করল….চোখ বন্ধ করে মিষ্টি বাতাসে স্বস্তির নিশ্বাস নিয়ে নিচে নামল…..
অনেক বেলা হয়ে গেল খেয়ালিই নেই….সুন্দর মূহর্ত গুলো যেন খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়…….আর এমনিতে সারাদিনটায় যেন কাটে না তাহিনের…….চটপট করে নাস্তা রেড়ি করে নিল…….কিন্তু নিলয় না খেয়েই চলে গেল…..যার জন্য এত কষ্ট করে নাস্তাটা বানাল সেই যদি না খেয়ে চলে যায়…..তখন যেন নিজের ও খেতে ইচ্ছে করে না……

দুপুরে ও নিলয় ফিরে নি…. খাবারের টেবিলে ওর জন্য অপেক্ষা করতে করতে ঘুমিয়ে পরল মাথাটা টেবিলে উপর রেখে……..ঘুম ভাঙল ৪টা নাগাদ….কিন্তু অপেক্ষার প্রহর কাটল না…

আসরের নামাজ আদায় করে একটা গল্পের বই নিয়ে বসল…..এই বাড়িতে যে এত সুন্দর একটা লাইব্রেরি মত ঘর আছে জানাই ছিল না……..যদি না রিদিতাকে ঘুরে ঘুরে সব দেখাত তাহলে বোধয় জানতেই পারত না….যাক সময় পার করার মত কিছু একটা পেল……নিলয়ের ও বোধয় বই পড়ার অনেক শখ….কিন্তু তাহিন তো একবার ও দেখেনি নিলয়কে কোনো একটা বই খুলে দেখতে…..হঠাৎ করে ওর গায়ে উপর কিছু একটা পড়তেই যেন ভাবনার ছেদ ঘটল……
হঠাৎ করে ওর গায়ের উপর কিছু একটা পড়তেই যেন ভাবনার ছেদ ঘটল…..

মনে হল একটু দূর থেকে কেউ যেন গায়ের উপর একটা ঢিল ছুড়ে মারল…..অবশ্য ঢিল না হলে অাঘাতটা ঢিলের মতই লাগল…..সাদা কাগজের ভারী মোটা একটা প্যাকেট….ভিতেরে কি আছে সেটা দেখার কিঞ্চিৎ পরিমাণ ইচ্ছে জাগল না… বরং ঘুরে তাকাল ঢিল ছুড়ে মারা সেই ব্যক্তিটির দিকে….ব্যক্তিটি তার অচেনা নয় তারপরে তাকে দেখার স্বাদ জাগল…সাহেবের মত
প্যন্টের পকেটে এক হাত রেখে ভ্রু কুচকে দাড়িয়ে আছে…. ঠোঁঠটা নড়ছে….মনে হচ্ছে কিছু একটা বলতে চাচ্ছে কিন্তু কেউ যেন সেই কথাটা গলায় আটকে দিচ্ছে….তাহিন আর বিলম্ব না করে নিজেই আগবেরে জিজ্ঞেস করল….
;;;কিছু লাগবে….?
নিলয়ের ইচ্ছে করছে দুইটা থাপ্পর দিয়ে কথাটা শুধরে দিতে…চটপট করে বলল..
;;;তাড়াতাড়ি রেড়ি হয়ে নাও….
তাহিন কিছু একটা ভেবে বলল…
;;;কেন?
;;;এত প্রশ্ন না করে যা করতে বলেছি তাই করতে পারো না…
;;বারে আপনাকে যদি আচমকা কেউ এসে একটা প্যাকেট ছুড়ে দিয়ে রেড়ি হতে বললে তাহলে আপনি কি তাকে জিজ্ঞেস করতেন না কেন…..?
মেজাজটা এমনিতে বিঘরে আছে…..তার ওপর এমন কথায় মাথাটা যেন ধরেছে নিলয়ের ….দাঁতে দাঁতে চেপে……
;;;তেমাকে নিয়ে ডেটে যাওয়ার জন্য……খুশি তো এবার যাও…….
তাহিন একটা তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে…
;;;;খুশি হওয়ার মত যদি কিছু বলতেন সত্যিই খুশি হতাম…..নিজেরিই আফসোস হচ্ছে কেন খুশি হতে পারছিনা….
নিলয় রাগি চোখে তাহিনের দিকে তাকাতেই….তাহিন বইটা যথাস্থানে রেখে প্যাকেটটা হাতে নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেল…..পার্পেল কলারের একটা গাউন.. হেবি এম্বডারী কাজ করা…পিছনের গলাটা একটু বেশিই বড়…আর সাইজ তো….চোখ বন্ধ করে কিনে নিয়েছে বোধয়…আর ড্রেসটা ও নিজের সাথে মানানসই বলে মনে হচ্ছে না….ততক্ষনাৎ ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে….
;;;বলছি কি এই ড্রেসটা পরতে পারব না……
কথাটা শুনে নিলয় দাঁতে দাঁত চেপে বলল…..
;;;তা আমাকে কেন বলতে আসছ…. ইচ্ছে হলে পর,না হলে পরবে না…..কেউ তো আর জোর করছে না…..
;;;;আমার ইচ্ছার দামটা কবে থেকে দিতে শুরু করেছেন……আপনি যখন এনেছেন তাই আপনার থেকে জিজ্ঞেস করা উচিত বলে মনে করলাম…..
নিলয় রেগে গিয়ে…..
;;;বললাম তো নিজের ইচ্ছামত কিছু একটা পরে নাও…..
নিলয়ের ইচ্ছে করতেছে ওর বন্ধুদের মেরে পিটের চাল উঠিয়ে নিতে …যাদের জন্য এই ড্রেসটা নিতে হল….যদি না ওরা জোরাজোরি করত তাহলে ড্রেস তো দূরের কথা একটা সুতি ও নিতে না মনে হয়…..তাইতো চোখের সামনে যাই পরল জাস্ট উঠিয়ে নিয়ে আসল…..
একটা শাড়ী নিয়ে আসলে যে রকমিই হোক না কেন পরে নিত….আপসোস এমন কিছুই হল না..

তাহিন হালকা আকাশী রঙের একটা শাড়ী পরে… হিজাবটা বেধে নিল…..সাজ গোজ তেমন একটা পছন্দ না তবু ও একটু সেজেছে…ঠোঁঠে হালকা লিপস্টিক আর চোখে গাড়ো কাজল…..একটুকুতে যেন অসম্ভব মায়াবী লাগছে…….
নিলয় রেড়ি হয়ে সেই কবে থেকে বসে আছে…. তাহিনের এখনো হলো না দেখে এবার বেশ বিরক্তি নিয়ে হনহন করে ছুটে গেল উপরের দিকে…. তাহিনের চোখ যেন আটকে গেল ওর পানে….হোয়াইট শার্ট ডার্ক ব্লো কালারের স্যুট আর পেন্ট….চুলগুলো স্পাইক করা হাতে ব্ল্যাক লেদারের ঘড়ি….বেসরম এর মত ঢ্যাবঢ্যাবে করে ওর দিকে চেয়ে আছে…আর নিলয় একরাশ বিরক্তি নিয়ে দাঁতে দাঁতে চেপে বলল..
;;;আমাকে কি কখনো দেখে নাই…..
কথাটা তাহিনের কানে বাজতেই ধ্যান ভাঙে,,,না মানে….
;;;চুপ তাড়াতাড়ি আসো…..
তাহিন মাথা নাড়িয়ে নিলয়ের পিছু পিছু গেল……
নিলয় ড্রাইভ করছে…….তাহিন ওর পাশে বসে আছে…..তাহিন জানে নিলয় ওকে সামনের সিটে বসতে বলবে না….তাই নিলয় কিছু বলার আগে ধপ করে সামনে সিটে বসে পরল….তাহিন কিছু করার চেষ্টা করতেছে কিন্তু নিলয় চুপ মেরে বসে আছে….তারপর গাড়ি গিয়ে থামল নিদিষ্ট গন্তব্যে…..চারদিকে খুব সুন্দর করে সাজানো…আলো ঝিকমিক করছে…তাহিন বুঝত পেরেছে ওকে কোনো পার্টিতে নিয়ে এসেছে হয়ত….আর বাধ্যে হয়ে যেন ওকে ও সাথে নিয়ে আসতে হল….
ভিতরে ঢুকতে একে একে সবাই নিলয়ের সাথে এসে কথা বলতে লাগল……তাহিন নিলয়ের থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়ে আছে…..নিলয় ওকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করল না….তাহিনের এতে কোনো অাক্ষেপ নেই….কিন্তু আশেপাশে লোকজন একা একটা মেয়েকে দেখে কেমন ভাবে যেন তাকাচ্ছে…তাহিনের এসব মোটেও ভাল লাগছে না….এ জন্য এসব পার্টি ওর একদম ভাল লাগে না….তাহিন নিলয়ের গা ঘেষে দাঁড়াল….একটা হাত দিয়ে নিলয়ের হাত চেপে ধরল….নিলয় মুখে হাসি হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করতেছে….তাহিন আরো শক্ত করে চেপে ধরে আছে… নিলয় সবার সামনে কিছু বলতে পারছেনা…..তাহিন এখানের কিছুই চিনে না যদি হারিয়ে যায়…হারিয়ে গেলে নিলয় তো আর ওকে খু্ঁজে ও নিবে না…….

আচমকা একটা মেয়ে এসে নিলয়কে জড়িয়ে ধরতেই তাহিন চমকে উঠল……..নিলয় ও আরিশা বলে মেয়েটালে জড়িয়ে ধরল……দৃশ্যটা তাহিনের মোটেও ভাল লাগল না……
আরিশা এক গাল হেসে…..
;;;ইউ আর লুুকিং সো হ্যান্ডাসাম….
;;;ইয়াহ আই নো……
বাই দ্যা ওয়ে ইউ আর লুকিং সো প্রির্টি…
আরিশা লজ্জায় রাঙা হয়ে….
…থ্রেংক্স….
মেয়েটা নিলয়ের সাথে হেসে কথা বলা তাহিনের মোটেও ভাল লাগছে না……পাশে তাহিন নামে কেউ আছে সেটা ভুলেই গেছেই….মেয়েটা ও কেমন এভাবে পরপুরুষকে জড়িয়ে ধরতেছে…হুম…..
এতক্ষণে মেয়েটার সুবুদ্ধি হল চোখ পড়ল তাহিনের উপর…..ভ্রু কুচকে নিলয়কে জিজ্ঞেস করল কে?নিলয় আমতা করে কিছু একটা বলতে যাবে তখনি ওকে একজন ঢেকে নিয়ে যায়….নিলয় তাহিন ইশারা করে বসে থাকতে বলল….নিলয়ের পিছন পিছন আরিশা ও গেল……

এভাবে বসে থাকতে থাকতে তাহিনের বিরক্ত বোধ লাগছে…..উঠে পুল সাইডের দিকে একটু ফাঁকা স্থানে চলে গেল….আর তখনি চোখ পড়ল নিলয়ের আর আরিশার দিকে……ডিক্স হাতে দুজনে হেসে কথা বলছে…..ওর থেকে একটু দূরে…..কিছুক্ষণ পর পর আরিশা আবার ওর দিকে একটা ডিক্স এর গ্লাস এগিয়ে ও দিচ্ছে…….তাহিনের বেশ রাগ লাগছে……ওর সাথে ঠিক করে কথা পর্যন্ত বলে না আর মেয়েটার সাথে কি হেসে হেসে কথায় না বলছে…..আর তাকতে না পেরে সামনে এগুতেই কেউ একজন পথ আটকে দাঁড়াল…….

চলবে…….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here