হৃদয়সিন্ধুর_পাড়ে পর্ব ১৬

#হৃদয়সিন্ধুর_পাড়ে💕
পর্ব ১৬ [থ্রিলার+রোম্যান্টিক]
#কায়ানাত_আফরিন
.
২৪.
–”দিন দিন আপনি আরও বেশি সুন্দর হয়ে যাচ্ছেন নিভ্র ভাই!”

বাইরে প্রবল বেগে বৃষ্টি হওয়াতে আশেপাশে ছেয়ে যাচ্ছে শীতলতা। মৌনিদের এই বাড়িটাতে বৃষ্টির সৌন্দর্য নিভ্রর কাছে আরও দ্বিগুন চমৎকার লাগছিলো। তাই দুপুরে খাওয়ার পর নিভ্রকে মৌনির বোন নিধা এক কাপ চা এগিয়ে দেয়। আর বারান্দায় বসে নিভ্র সেই চায়ের সাথে বৃষ্টি অনুভব করতেই করতেই হঠাৎ পেছন থেকে ভেসে এলো মৌনির মায়াবী কন্ঠটি।

নিভ্র পেছনে ফিরে দেখে মৌনি দাঁড়িয়ে আছে একগাল মিষ্টি হাসি নিয়ে। আগের তুলনায় এখন বেশ স্বাভাবিক দেখাচ্ছে তাকে। তবে নিভ্র ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে আছে মৌনির কথা শুনে। নিভ্র কিছু বলার আগেই মৌনি এগিয়ে এসে নিভ্রর কাছে দাঁড়ালো। নিভ্রর চোখের সামনে চুটকি বাজিয়ে বললো,

–” কি হলো আপনার? এমন ভ্যাবাচ্যাকা হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন কেন?”

–” তোমার কথা শুনে। একদিন আমি বোধহয় হার্ট আ্যটার্ক করে মরেই যাবো।”

–” আপনার কাজকর্ম দেখে আমি গণণাহীনভাবে হার্ট আ্যটার্ক করেছি আর আমার কথা শুনেই আপনি হার্ট আ্যটার্ক করে মরে যাবেন? তাছাড়া আমি তো সত্যই বলছি যে আপনি দিন দিন আরও বেশি সুন্দর হয়ে যাচ্ছেন। ভয়ঙ্কর সুন্দর থেকেও মহা ভয়ঙ্কর সুন্দর”

নিভ্র এবার হেসে দেয়। মেয়েটা আসলেই অনেক চাঞ্চল্যতায় পরিপূর্ণ কিন্ত সময়ের চাপে তা কিছুদিন চাপা পড়েছিলো। চায়ের কাপে আরও একটা চুমুক নিয়ে সে বললো,

–”তোমার কাছেই সুন্দর যে ভয়ঙ্কর সুন্দর হয় তা শুনেছিলাম। এখন আবার ভয়ঙ্কর সুন্দর থেকে মহা ভয়ঙ্কর সুন্দর হয়ে গেলাম?”

–” হুমম। ”

মৌনি আচমকা নিভ্রর হাতের থেকে চায়ের কাপ নিয়ে নেয়। নিভ্র ঠিক যে স্থানে ঠোঁট বসিয়ে চায়ে চুমুক দিয়েছিলো মৌনি ঠিক সেই স্থানে নিজের ঠোঁট বসিয়ে চায়ে চুমুক দিলো। নিভ্র হাত ভাজ করে মৌনির সে দৃশ্য দেখে ঠোঁটে দুষ্টু হাসি ঝুলিয়ে রেখেছে। মেয়েটা মাঝে মাঝে এমন কিছু কাজ করে যে নিভ্রর মন চায় একেবারে বুকের সাথে মিশিয়ে রাখতে। মৌনি এবার চায়ের কাপ ফিরিয়ে দিয়ে বললো,

—এভাবে কি দেখছেন?

—তোমাকে।
নিভ্র সাবলীলভাবে বললো। নিভ্রকে এখন চমৎকার লাগছে । বৃষ্টির মৌসুমে নিভ্রর মুখে অন্যতম এক শুভ্রতা ছড়িয়ে পড়েছে। কালচে বাদামী চোখদুটোকে প্রকাশ পাচ্ছে রাজ্যের ভালোবাসা। মৌনি হুট করে এবার বললো,

–”আপনি ক্লিন শেভ করবেন না প্লিজ। এমন ট্রিম করা দাঁড়িতেই আপনাকে সুন্দর লাগে। আর ক্লিন শেভ করলে দেখতে পুরোই সিদ্ধ ডিম লাগবে।”

মৌনির কথাগুলোর জন্য নিভ্রর মাথার ফিউজ মাঝে মাঝে যেন উড়ে গেলো। গতরাতে নিভ্রকে মালাইয়ের কৌটো বলেছিলো। আর আজ সিদ্ধ ডিম। লাইক সিরিয়াসলি !

মৌনি যদিও নিজেকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে কিন্ত নিভ্র কেন যেন মনে হলো যে ও আসলে স্বাভাবিক নেই। কোনো একটা কারনে অস্থিরতা বোধহয় মৌনির বুক দুমড়ে-মুচড়ে দিচ্ছে। নিভ্রর চোখে-মুখে চিন্তার ভাঁজ পড়ে যায়। মৌনিকে কি এখানে রাখাটি ঠিক হবে ?

—”কি ভাবছেন এতো?”

মৌনির কথায় নিভ্র মৌনির দিকে দৃষ্টিপাত করে। সরাসরি নিভ্র বললো,
–তুমি ঠিক আছো তো ?
নিভ্রর চোখে-মুখে বেশ কঠোরতা। মৌনি মাঝে মাঝে ভেবে পায় না পলকের মধ্যে একজন মানুষ কিভাবে তার ভাবভঙ্গি পরিবর্তন করে ফেলে?আমতা আমতা করে মৌনি বলার চেষ্টা করলো,

–”আ-আমার আবার কি হবে?”

মৌনির দৃষ্টি অন্যদিকে। নিভ্র গভীর মনোযোগ দিকে ওর চোখ-মুখ পড়ার চেষ্টা করছে। মৌনি বারবার চোখের পলক ফেলছে, অনবরত শুকনো ঢোক গিলেছে আর জামার একপ্রান্তটি হাতের মুঠোয় চেপে ধরে রেখেছে। এসব লক্ষণ দেখলে স্পষ্ট বোঝা যায় কিছু একটা লুকোনোর চেষ্টা করছে মৌনি। নিভ্র শান্তস্বরে বললো,

–”উহু! তুমি ঠিক নেই। কিছু একটা লুকোনোর চেষ্টা করছো। (একটা লম্বা শ্বাস ফেলে) দেখো মৌনি ! আমি তোমায় শুরুতেই বলেছি যে আমার থেকে কোনো রকম কোনো কথা লুকাবে না। এতে তোমারই ক্ষতি হবে। তুমি সত্য না বললে আমি যেমন তোমার proper treatment করতে পারবো না ঠিক তেমনি তোমার নিজেরও কষ্ট হবে। তাই বলো কি হয়েছে?”

নিভ্রর কথায় মৌনি নিশ্চুপ। হ্যাঁ কথা লুকিয়েছে ও নিভ্রর কাছ থেকে কিন্ত বেশিক্ষণ লুকিয়ে রাখতে পারলোনা। একজন সাইক্রেটিস্ট এর কাছে অন্য একজনের মাইন্ড রিড করা খুব কঠিন কিছু না। মানুষ স্বভাবতই তার সব আবেগ-অনুভূতি অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে প্রকাশ করে। তাই মৌনি মিথ্যে বললেও ওর লক্ষণ পর্যবেক্ষণ করে নিভ্র স্পষ্ট বলে দেয় যে মৌনি কথা লুকাচ্ছে।
একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো মৌনি। কিছুক্ষণ পিনপিন নীরবতা কাটার পর মৌনি বললো,
–”আমি উ-উল্টা পাল্টা স্বপ্ন দেখি নিভ্র ভাই!”
.
কপাল ভাঁজ করে ফেলে নিভ্র। মৌনির কথাটি সে স্পষ্ট বুঝতে পারলো না। তাই নম্রস্বরে বললো,
–” ক্লিয়ারলি আমায় খুলে বলো।”

–”আ-আমি স্বপ্নে দেখি যে অন্ধকার পথ দিয়ে আমি দৌঁড়িয়ে যাচ্ছি আর কেউ আমার ঠিক পিছে আছে। এমনও কয়েকবার দেখেছি যে কেউ আমার পেটে ছুঁড়ি ঢুকিয়ে দিচ্ছে। ইভেন রাতে স্বপ্ন ভাঙ্গার পর মাথাটা আমার প্রচুর ব্যাথা করে ওঠে যে মনে হয় আমি বোধহয় এবার মরেই যাবো।”

–”তো এই কথাটা লুকালে কেনো?”

–”আ-আসলে এখানে আ-আরও ঘটনা আছে। (একটা লম্বা নিঃশ্বাস নিয়ে) আমি ! আমি আসলে স্বপ্নে দেখি যে আমি কারও সাথে physically involved আছি। কিন্ত আমি কাউকেই দেখতে পারিনা। স্বপ্ন ভাঙ্গার পরেও আমার সেই চাহিদাটা যেন থেকেই যায়। আমি ! আমি যে ঠিক কেমন ফীল করি আমি বলে বোঝাতে পারবো না।”

নিভ্র এতক্ষণ গভীর মনোযোগ দিয়ে মৌনির প্রতিটা কথা শুনছিলো। মূলত ওর physically involve এর কথাটা বলতে লজ্জা করছিলো বলে নিভ্রকে কিছুই বলতে চায়নি। এগুলো সবকিছুই ওর Disorder এর লক্ষণ। রাতে অদ্ভুদ সব স্বপ্ন দেখা , স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার পর মাথায় তীব্র ব্যাথা , মারাত্নক যৌন চাহিদা এসব কিছুই স্বাভাবিক লক্ষণ। নিভ্র এবার বললো,

–”মন আর মস্তিষ্ক ; দুটোই মানুষের জীবনে ভয়ঙ্কর দুটি বিষয়। মন আর মস্তিষ্ক দুটো সবসময় দুই কথা বলে। মানুষের যখন কোনো ভয়ঙ্কর রোগ হয় ; সে স্বাভাবিক থাকলে কেউ বিন্দুমাত্র বুঝতে পারবে না যে সেই মানুষটার মধ্যে ভয়ঙ্কর অসুস্থতা রাজত্ব করছে। তোমার ক্ষেত্রেও হয়েছে ঠিক তেমনি। আমার সাথে হাসি-খুশি কথা বলো , একজন স্বাভাবিক মানুষের মতো সব ব্যাপারে আগ্রহ দেখাও। আর গতকাল রাতে তোমায় এ বিষয় নিয়ে কিছু কথা বলেছিলাম দেখে তুমি আরও সতেজ হয়ে গিয়েছো। কিন্ত এসবের মানে কি জানো?

–”না।”

মৌনির চোখে উদ্বিগ্নতা। নিভ্র একটা তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিয়ে নিজের মুখ মৌনির কাছে নামিয়ে দিলো। মিহি কন্ঠে বললো,
–” এসবের মানে হলো যে তুমি মারাত্নক ডিপ্রেশনে ভুগছো। তোমার ইচ্ছে করছে চিরতরে এই পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে। কিন্তু তুমি পারছো না তা শুধুমাত্র আমায় ভালোবাসো বলে।”

মৌনি নীরব।

–”Mind is related with heart & soul মৌনি ! একথাটা আমি আগেও বলেছিলাম এখনও বলবো। তুমি দ্বিধায় আছো আমায় নিয়ে যে তোমার ভালোবাসাটাও কি কোনো মানসিক রোগ নাকি অন্যকিছু । তোমার অবস্থান থেকেই কথাটা আমি বলছি।”

–”আমি দ্বিধায় থাকলে থাকতে পারি। কিন্ত তবুও আমার আপনাকে চাই নিভ্র ভাই।”

বৃষ্টির পরিমাণ কমে এখন বাইরের পরিবেশ শান্ত। কদমফুলের ভ্যাপসা গন্ধ নিভ্রর নাকে ভেসে আসছে। নিভ্র চায়ের কাপটা টি টেবিলে রেখে মৌনির দিকে ভ্রুক্ষেপ করে । ছলছল করছে মৌনির চোখজোড়া। নিভ্র এবার একহাত টেনে মৌনিকে নিজের কাছে নিয়ে আসলো। মেয়েটাকে রীতিমতো ভয় পেতে দেখে ওর হাতের পিঠে গভীরভাবে একটা চুমু খায়। এদিকে মৌনি ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকলো নিভ্রর দিকে। নিভ্রর হুটহাট এমন কাছে আসাটা মৌনির অবচেতন মনকে যেন ব্যতিব্যস্ত করে তুলে। মাঝে মাঝে ভয়ঙ্কর সব কল্পনা জেগে ওঠে নিভ্রকে কাছে পাওয়ার জন্য।
নিভ্র আদুরে গলায় বলে ওঠলো,

–”এতো ভয় পাও কেনো মৌ ! আমি আছি না ! তুমি সবসময় চিন্তাহীনভাবে থাকার চেষ্টা করবে। পরিবারকে সময় দিবে। আর তোমার পড়াশোনা তো এখন যেহেতু টোটালি অফ তাই এসব নিয়ে মাথা ঘাটিও না। আর পেনড্রাইভের পুরো ব্যবস্থা আমি করেছি। তাই এসব নিয়ে মাথা ঘামাবে না। ভালোবাসি ”

নিভ্রর প্রতিটা কথাই ছিলো মন ছোঁয়ার মতো। ছেলেটা আসলেই অন্যদের থেকে যেমন আলাদা ; তার ভালোবাসার প্রকাশও তেমন ভিন্ন। মৌনির সবকিছুর খেয়াল রাখে। প্রচুর পরিমাণে কেয়ার করে। সকল পরিস্থিতিতেই একজন বিচক্ষণ মানুষের মতো এগিয়ে আসে ; যা সত্যিই ভালোলাগার মতো। মৌনির নিজেকে ভাগ্যবতী মনে হচ্ছে।

–ভাইয়া ! আপনার টিকেট।
হুট করে মৌনির বোন নিধা আসতেই নিভ্র আস্তে করে মৌনির হাত ছেড়ে দেয়। এদিকে মৌনি আর নিভ্রকে এমন অপ্রস্তুত অবস্থায় দেখে নিধা একটা দুষ্টু হাসি হাসে।

–”আহারে ! এত প্রেম আল্লাহ আমারে দেয় না কেনো?”
মৌনি লজজায় লাল-নীল-কমলা হয়ে যাচ্ছে । নিধা এমনিতেও অনেক বেফাঁস কথাবার্তা বলে আবার এখন তো কিছুতেই এই সুযোগ হাতছাড়া করবে না যা মৌনি ভালোমতই বুঝতে পেরেছে। নিভ্র একটা বিদ্রুপ হাসি দিয়ে বললো,

–” বাব্বাহ ! শালিকা তো দেখছি প্রেমের ওপর পি.এইচ.ডি করে ফেলেছে।”

–” তা আর করতে পারলাম কই?” (মুখ বাকিয়ে নিধা বলে)

–”সমস্যা নেই। তোমার এই বোনটা প্রেম নিয়ে একটা অভিধান লিখতে পেরেছে। মাঝে মাঝে যেসব কথা বলে আমাকে ! আল্লাহ ! আমি মুখে আনতে পারবো না।”

নিধার মুখে একটা শয়তানি হাসি ফুটে উঠলো। এদিকে মৌনির তো নিভ্রকে কিল-ঘুষি মারতে ইচ্ছে করছে। এসব কথা নিধাকে না বললে কি হতো?

–”বলো কি ভাইয়া? আপু তলে তলে ভ্যানগাড়ি নিয়ে এতদূর এগিয়ে গিয়েছে আমি তো জানতেই পারলাম না। তবে আপনার যেই ক্যারেক্টার ! যে কেউ আপনার ওপর ফিদা হয়ে যাবে। পুরাই মিসির আলী-মিসির আলীর মতো থ্রিলার টাইপ।”

–”হুমায়ূন স্যারের বড় ভক্ত তুমি ! বোঝাই যাচ্ছে।”

–”সাধেই কি আপনাকে আর চমৎকার বললাম। আমি দেখেছিলাম দুপুরে খাওয়ার আগে গভীর মনোযোগ দিয়ে আমার বুকশেলফে বইগুলো দেখছিলেন। তখনকার সন্দেহটাই এখনকার কথা দিয়ে ক্লিয়ার করলেন।”

–”বড় হয়ে একজন ভালো ডিটেকটিভ হতে পারবে।”

–”হয়তো ! কিন্ত আমার সবসময়ই সাইক্রেটিস্ট হওয়ার ইচ্ছে ছিলো। আপনার মতন।”

মৌনির ওদের কথার মাঝে খেয়াল নেই। ও তাকিয়ে আছে নিধার হাতে থাকা টিকেটটার দিকে। মৌনি এবার বললো,
–”কিসের টিকেট এটা নিধা?”

–”ভাইয়ার ঢাকায় যাওয়ার বাস টিকেট। ”

–”ঢাকায় যাওয়ার টিকেট মানে? নিভ্র ভাই আপনি ঢাকায় যাচ্ছেন কেন?আপনি এখানে থাকবেন। কোথাও যাবেন না।”
কথার এক পর্যায়ে মৌনি একপ্রকার অস্থির হয়ে উঠলো। নিধা অবাক হয়ে গিয়েছে মৌনির আচমকা এমন পরিবর্তনে। নিভ্র ইশারায় নিধিকে চলে যেতে বললেই নিধি চলে যায় আর তখনই মৌনিকে বুকে জরিয়ে নিলো নিভ্র। এবার মৌনি ডুকরে কেঁদে উঠেছে। ওইযে বললো না , যতই ও মানসিক রোগে আক্রান্ত থাকুক না কেন ; নিভ্র নামকে প্রেমরোগ থেকে মৌনি কখনই সরে আসতে পারবে না।

–”আরে বোকা কান্না করছো কেন?”

–আপনি যাবেন না প্লিজ ! আমার ভালো লাগবে না।”

–”কে বলেছে? তোমার বাবা-মা-বোন সবাই তো আছে।”

–”তবুও আমার আপনাকে প্রয়োজন !”
নিভ্র আলতো হাসে। মৌনির মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বললো,

–”আমার এখানে থাকাটা তোমাদের বাড়ির কেউ ভালো চোখে দেখবে না মৌনি। প্রমিস ! কিছুদিন পরপর আমি তোমার সাথে দেখা করে যাবো। তবে তোমার এখন ফ্যামিলির সাথে সময় কাটানো দরকার। আমার এই কথাটা কি রাখবে না?”

–”রাখবো”
নিভ্র আর কিছু বললো না। মৌনিকে প্রচন্ড রকমের ভালোবেসে ফেলেছে সে। যার মর্ম হয়তো কখনও মুখে বলতে পারবে না। মৌনিকে আরও গভীরভাবে নিজের সাথে মিশিয়ে বললো,
–” যদি সত্যি জানতে চাও –তোমাকে চাই; তোমাকে চাই
যদি মিথ্যে মানতে চাও–তোমাকেই চাই !”
.
.
.
.
~চলবে
গল্পটা আগ্রহ নিয়ে পড়বেন ইনশাল্লাহ। গল্পটা শুরু করেছি ভিন্ন আঙ্গিকে আর শেষও হবে ভিন্ন আঙ্গিকে। রোম্যান্টিক ক্যাটাগরির সাথে কিছুটা থ্রিলারের আদলেই গল্পটা লেখা যা ধৈর্য ধরে পড়লে বুঝতে পারবেন। কেমন লাগলো পর্বটি জানাতে ভুলবেন না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here