১৬ বছর বয়স পর্ব শেষ

গল্পর নাম : #১৬_বছর_বয়স
#পর্ব_৪৪ : #অতিথি
লেখিকা : #Lucky

দিন ত ভালই যাচ্ছিল কিন্তু সমস্যা হয়ে গেল একটা ছোট্ট মেসেজের কারণে।
আমি সেদিন সোফায় পা তুলে বসে আচার খাচ্ছিলাম আর টিভি দেখছিলাম।
হঠাৎই শাওন আমার সামনে এসে দাড়ালো।
আমি চোখ মুখ কুচকে ওনার দিকে তাকালাম আর বললাম, “উফ সরুন ত। ওগি শেষ হয়ে যাচ্ছে।”
উনি রেগে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন।
নেও ঠেলা! এখন আবার কি করলাম!
আমি বুঝতে না পেরে বললাম, “কি?”
“তোমার ত লজ্জা থাকা উচিত।” বলল শাওন।
আমি ভ্রুকুচকে তাকিয়ে উঠে দাড়ালাম আর বললাম, “মানে?”
“রেজাল্ট কি তোমার? এক্সাম না ছিল কয়েকদিন আগে?” দাতে দাত চিপে বলল শাওন।
ওনার প্রশ্ন শুনে আমার হাত থেকে আচারের বাটিটা পরে গেল। আমি অপ্রস্তুত হয়ে আচারের বাটির দিকে তাকালাম। তারপর ঢোক গিলে শাওনের দিকে তাকালাম।
এখন ত বাশ আছে কপালে।
আমি একটু হাসার চেষ্টা করে বললাম,”কই কিসের পরীক্ষা?”
উনি আমার সামনে ওনার হাতের ফোনটা ধরলেন।
ফোনের দিকে তাকিয়েই আমার চোখ গোলগোল হয়ে গেল।
শেষ, সব শেষ!
ওনার ফোনে রেজাল্ট মেসেজ করে দিলো কে? বাটপার কলেজ। এখন কি হবে আমার!
“এই অবস্থা কেনো সাবজেক্ট গুলোর নম্বরের?” শাওন রেগে বলল।
আমি এদিক ওদিক তাকাতে লাগলাম।
উনি রেগে এক পা এগুতেই আমি পিছনে পিছিয়ে গেলাম।
“আ…আপনি কিভাবে পেলেন?” আমি তুলুতুলু চোখে তাকিয়ে বললাম।
“তোমার সাথে কথা বলাই উচিত না আমার। কোনো কথাই শোনো না ইদানীং।” রেগে বলল শাওন।
আমি থ মেরে তাকিয়ে রইলাম।
উনি আমার সামনে থেকে চলে গেলেন।
রেগে গেছে অনেক। কি করব!
কেনো যে বলতে গেছিলাম ওনাকে যে আমিও আর্কিটেক্ট হব!
এখন ত হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। জীবনটা ভাজাপোড়া হয়ে গেল প্রায়।
উনি পড়িয়েছিলেন ভাল মত কিন্তু আমিই খেয়ে নিয়েছি।
হায়রে মিলা এখন কি হবে তোর!

উনি সারাদিনে কোনো কথা বললেন না আমার সাথে।
আমি কথা বললেও কোনো উওর দিলেন না।
কত দিনের জন্য মৌন ব্রত করছে কে জানে!
আগে ত এমন করেনি।
রাতে ঘুমানোর সময় আমি ওনাকে সরি বললাম। কিন্তু উনি আমাকে পাত্তা না দিয়ে ড্রয়িং রুমে এসে নিজের অফিসের কাজ করতে লাগলেন।

আশ্চর্য! এত রাগের কি আছে!
অবশ্য আমারই দোষ।
আমি এসে ওনার পাশে বসলাম। আর ওনার দিকে তাকালাম।
উনি ওনার মত ল্যাপটপে গ্রাফিক্স ডিজাইনে ব্যস্ত। আমি যেন অদৃশ্য।
আমি মুখ ফুলিয়ে একটু কেশে নিলাম।
উনি তাও কোনো পাত্তা দিলেন না।

আমি সরু চোখে তাকিয়ে ওনার কলার ধরে টান দিয়ে নিজের দিকে ঘুরালাম।
উনি ভ্রুকুচকে আমার হাতের দিকে তাকিয়ে তারপর আমার আমার দিকে তাকালেন।
“এত কিসের রাগ! সরি ত বললাম।” কাদো কাদো ভান করে বললাম।
উনি আমার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে হাত থেকে কলারটা ছাড়িয়ে নিলেন। তারপর আবার নিজের কাজ করতে লাগলেন।
আমি রেগে উঠে দাড়ালাম আর ওনার ল্যাপটপ টা কেড়ে নিয়ে সরে এলাম।
উনি রেগে আমার দিকে তাকালেন আর উঠে আমার দিকে এগিয়ে আসলেন। আমি সাথে সাথে আরো পিছিয়ে গেলাম আর হেসে বললাম, দেব না।

উনি গম্ভীর মুখে তাকিয়ে আমার দিকে এগিয়ে আসতেই আমি রান্নাঘরে এসে ঢুকলাম।
কিন্তু রান্নাঘরে এসেই ত আটকে গেলাম। এখন কোথায় যাব!
উনি আমার দিকে এগিয়ে আসতেই আমি ল্যাপটপটা সরিয়ে এক সাইডে ধরলাম আর বললাম, “বললাম না দেব না!”
উনি আমার সাথে কোনো তর্কে গেলেন না। সোজা হাত থেকে ল্যাপটপটা টান দিলেন।
আমি ছাড়লাম না শক্ত করে ধরে রইলাম।
“ছাড়ো এটা।” রেগে বলল শাওন।
আমি মুচকি হেসে বললাম, শেষ পর্যন্ত বললেন ত কথা!
“shut up.” বলল শাওন। তারপর ল্যাপটপ ধরে টান দিতেই আমি ওনার কাছে এসে পরলাম।
আমি একটু হকচকিয়ে গেলাম। উনি ভ্রুকুচকে আমার দিকে তাকিয়ে তারপর ল্যাপটপের দিকে তাকালেন। সাথে সাথে উনি চোখমুখ শক্ত করে ফেললেন।
আমি ওনার দিকে তাকিয়ে কিছু বুঝতে না পেরে ল্যাপটপের দিকে তাকালাম।
আমি হা হয়ে গেলাম।
উনি যে ডিজাইন এত সময় ধরে করেছিলেন সেটা টানাটানিতে ছিড়ে গেছে। মানে ডিলিট হয়ে গেছে।

উনি আমার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে তারপর ল্যাপটপ নিয়ে চলে গেলেন।
আমিও ওনার পিছু পিছু গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে এলাম।
উনি আবার কাজ করতে বসে গেলেন।
আমি কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে ওনার কোনো উন্নতি দেখলাম না। তাই আমি রেগে আবার ল্যাপটপ টা টেনে নিলাম।
“মিলা রাগিও না আমাকে।” আমার দিকে রাগমিশ্রিত চোখে তাকিয়ে বলল শাওন।
আমি মুখ ভেংচি দিলাম।
উনি উঠে দাড়ানোর সাথে সাথে আমি পালিয়ে এলাম। কিন্তু একটা বড় ফুলদানির সাথে ধাক্কা খেয়ে পরলাম। হাত অল্প কেটে ত গেল কিন্তু ল্যাপটপটা এমন ভাবে পরল যে পুরো দুইভাগে ভাগ হয়ে গেল।
আমি হা হয়ে ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে রইলাম।
এখন ত উনি আরো রেগে যাবেন। প্রথমে পুরো ডিজাইন আমার জন্য ডিলিট হয়ে গেল। এখন ত পুরো ল্যাপটপই ভেঙে গেল।
“Are you stupid?” ভ্রুকুচকে বলতে বলতে শাওন আমার দিকে এগিয়ে এলো।
আমি ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে বললাম,”আমি বুঝিনি যে এটা…”
উনি হাটু ভাজ করে বসে আমার হাত ধরে দেখতে লাগলেন।
আমি হা হয়ে গেলাম আর ওনার দিকে তাকিয়ে রইলাম।
“আর কোথায় লেগেছে!” ব্যস্ত হয়ে বলল শাওন।
আমি হাত ছাড়িয়ে নিয়ে মুখ কালো করে বললাম, “ঠিক আছি আমি৷ ল্যাপটপ ত নষ্ট হয়ে গেল।”
উনি আমাকে কোলে তুলে নিলেন।
“আমার পা ত ঠিকই আছে।” বললাম আমি।
উনি আমাকে রুমে নিয়ে এসে খাটে বসিয়ে দিলেন। তারপর আবার সেই ফাস্ট এইড বক্স থেকে ব্যান্ডেজ, মলম, তুলা ইত্যাদি নিয়ে হাত বেধে দিলেন।

আমি ওনার দিকে তাকিয়ে রইলাম।
উনি একবারো আমার দিকে তাকালেন না। এখনো রেগে আছে কুমড়োপটাশটা।
আমি ভান করে এক হাত দিয়ে চোখ ঢেকে বললাম, “উফ~~জ্বলছে অনেক।”
উনি আমার হাতের দিকে ব্যস্ত হয়ে তাকিয়ে বললেন, “আমি ত অত জোরে বাধি নি!”
“অনেক জ্বলছে কারণ আপনি আমার সাথে কথা বলছেন না।” ঠোঁট উলটে বললাম আমি।
উনি ভ্রুকুচকে আমার দিকে তাকালেন। আমি এগিয়ে গিয়ে ওনার গলা জড়িয়ে ধরলাম।
“আর কত সময় এমন করবেন!” করুন গলায় বললাম আমি।
উনি আমাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতেই আমি ওনাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে নিলাম।
কিন্তু উনি ছাড়ানোর চেষ্টায় ব্যস্ত হয়ে গেলেন আর আমি ধরে রাখতে।
এমন করতে করতে একসময় উনি ব্যালেন্স হারিয়ে বিছানায় শুয়ে পরলেন। আমি তাও ওনাকে জড়িয়ে ধরে রইলাম।
“কি শুরু করেছ?” শাওন গম্ভীর গলায় বলল।
“বললাম ত আর হবে না। ভাল মত পড়াশোনা করব। প্রমিস।”
উনি কিছুই বললেন না।
আমি কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষা করে মুখ তুলে তাকালাম। উনি গম্ভীর মুখে তাকালেন আমার দিকে।
আমি চোখ পাকিয়ে বললাম, হাসতে পারেন না! কি পেঁচার মত মুখ করে রেখেছেন?!”
বলেই আমি ওনাকে সুড়সুড়ি দিয়ে লাগলাম।
কিন্তু কিছুই হলো না।
উনি আগের মতই মুখ করে আছেন। অসহ্য।
আচমকা উনি আমাকে ঠেলে ওনার পাশে শুইয়ে দিয়ে আমার কাছে চলে এলেন।
আমি চোখ বড়সড় করে তাকালাম।
উনি মুচকি হেসে আমাকে সুড়সুড়ি দিতে লাগলেন।
আমি হাসতে লাগলাম।
“আরে থামেন। কি করছেন!” আমি বললাম।
“কেনো?” শাওন সরু চোখে তাকিয়ে বলল।
আমি ওনাকে ঠেলে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে বললাম, “উফ, আর হাসতে পারছি না।”
উনি থেমে আমাকে গম্ভীর মুখে বললেন, “পড়তে বসো। এর পরের বার আমি তোমাকে ছেড়ে দিব না।”
“হ্যা, হ্যা জানি।” আমি হতাশ হবার ভান করে বললাম।

এরপর আবার ওনার পড়ানো শুরু। আগের চেয়ে বেশি পড়ান এখন। কিজন্য যে বাজে রেজাল্ট টা করতে গেলাম টেস্ট এক্সামে!

এজন্যই ত এখন সকাল সকাল ভুগতে হচ্ছে।
কিন্তু একটা কথা বলতেই হয়, উনি সব কিছু সিরিয়াসলি করেন আর আমাকেও করতে উৎসাহিত করেন।
এটাই আমার ভাল লাগে।
আমি সারাজীবন ওনার সাথে থাকতে চাই।
আপাতত জলদি পড়াশুনা শেষ করে ওনার কোম্পানিতেই নিজ যোগ্যতায় চাকরি নিতে চাই। চিন্তা করেই মুখে হাসি চলে এলো।

“হাসছ কেনো? পড়তে দিয়েছি তোমাকে।” উনি গম্ভীর চোখে তাকিয়ে বললেন।
আমি হতাশ চোখে তাকিয়ে বললাম, “হ্যা হ্যা, পড়ছি। না পড়ে উপায় আছে?”
“বেশি কথা বলো তুমি।” শাওন ভ্রুকুচকে বলল। তারপর নিজের ফাইলে মনোযোগ দিল।

আমি মুখ ভেংচি দিয়ে বইয়ের দিকে তাকালাম।
কিন্তু এখন আর মন বসছে না। ভোরের ঘুমটা মাটি করে দিতে বই পড়াচ্ছে। অনেক ত পড়লাম। একদিনে পুরো বই গিলব নাকি!

উনি ফাইলে কি যেন আর্ট করছেন। আমি সন্দেহের চোখে তাকিয়ে ওনার হাত থেকে টান দিয়ে ফাইলটা নিয়ে নিলাম। উনি অবাক হয়ে পরক্ষণেই ভ্রুকুচকে তাকিয়ে বললেন, এদিকে দেও।
বলেই হাত বাড়িয়ে ফাইলটা ধরতে এলেন। কিন্তু আমি সরিয়ে নিয়ে ফাইলের দিকে তাকালাম। আমার ছবি আঁকছিলেন উনি।
আমার গোমড়া মুখ করে থাকা ছবি।
আমি সরু চোখে তাকিয়ে বললাম, “এই কাজ করছিলেন আপনি?”
আমি পৃষ্ঠা উল্টানোর আগেই উনি আমার হাত থেকে টান দিয়ে ফাইলটা নিয়ে গেলেন আর ভ্রুকুচকে তাকিয়ে বললেন, “নিজের পড়া করো।”
আমি সাথে সাথে আবার হাত থেকে ফাইলটা নিয়ে গেলাম। আর বিছানা ছেড়ে উঠে গেলাম।
উনিও আমার হাত থেকে ফাইল নেওয়ার জন্য উঠে দাড়ালেন আর রেগে বললেন, “এদিকে দেও।”
আমি পৃষ্ঠা উল্টিয়ে দেখলাম সব আমার ছবি।
সবগুলো দেখার আগেই শাওন আবার ফাইলটা নিয়ে গেল।
“উফ, অসহ্য। দেখলে কি হবে!” বিরক্ত হয়ে বললাম আমি।
নিজের বইয়ের দিকে দেখো।” বলেই উনি খাটে গিয়ে বসলেন আর ড্রয়ারে ফাইলটা ঢুকিয়ে রাখলেন।
আমি মুখ ভেংচি দিলাম।
উনি নিজের ফোন নিয়ে নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে গেলেন।
হঠাৎই আমার চোখ গিয়ে একটা প্রজাপতির উপর পরল। আমাদের রুমে উড়ে বেড়াচ্ছে। অনেক সুন্দর।
“দেখুন কি সুন্দর। ছবি তুলব আমি এটার।” শাওনকে উদ্দেশ্য করে বলেই আমি নিজের ফোনটা নিয়ে দেয়ালে বসে থাকা প্রজাপতির ছবি তুলতে গেলাম। কিন্তু পারলাম না। এই প্রজাপতিটা স্থির হয়ে বসেই না।
শাওন ব্যঙ্গ করে বলল, “তোমার মতই। জায়গায় স্থির থাকে না।”
আমি ভ্রুকুচকে তাকিয়ে বললাম, “হুহ। আমি যথেষ্ট স্থির থাকি।”
শাওন নিজের ফোনের দিকে তাকালো।
“জানেন প্রজাপতি ঘরে আসা মানে কি? প্রজাপতি ঘরে এলে, ঘরে নতুন অতিথি আসে।” ছবি তোলার জন্য চেষ্টা করতে করতে বললাম আমি।
“ওহ রিয়েলি?” শাওন বলল।
“হ্যা।” আমি প্রজাপতির দিকে মনোযোগ দিয়ে বললাম।

আর বলতে না বলতেই প্রজাপতিটা চুপচাপ বসল।
আমি শাওনকে ভাব দেখিয়ে বললাম, “দেখেছেন? চুপ করে বসেছে।”
আমি ছবিটা তুলে নিলাম।
সাথে সাথে শাওন আমাকে কোলে তুলে নিলো।
আচমকা কোলে নেওয়াতে আমি চমকে গেলাম।
“কোলে তুলেছেন কেনো?” আমি অবাক হয়ে প্রশ্ন করলাম।
“তোমার প্রজাপতি আমাদের একটা দায়িত্ব দিয়ে গেছে না?” শাওন মুচকি হেসে বলল।
আমি চোখ বড়সড় করে তাকালাম আর বললাম, “আ…আমি ত..।”
আমি ত অন্য অতিথির কথা বলেছিলাম। উনি ত উল্টো বুঝে বসে আছে।
উনি আমাকে বিছানায় নিয়ে এলেন।
“আ…আপনার অফিসে দেরি হচ্ছে।” বললাম আমি।
“সেটা নিয়ে তোমার ভাবতে হবেনা।” বলেই শাওন আমার কাছে চলে আসলো। আর সাথে সাথে ওনার ফোন বেজে উঠল।
উনি বিরক্ত হয়ে গেলেন।
আমি অনেক কষ্টে নিজের হাসি আটকে রেখে ওনার ফোনের দিকে তাকিয়ে বললাম, “ফোন বাজছে আপনার।”
উনি উঠে ফোনটা হাতে নিলেন।
আমি উঠে বিছানা থেকে নামতে গেলাম। কিন্তু সাথে সাথে উনি আমার হাত ধরে নিলেন।
আমি ভ্রুকুচকে ওনার দিকে তাকালাম। তাকিয়েই হা হয়ে গেলাম। কারণ উনি ফোন পুরো সুইচ অফ করে দিয়েছেন। আমার টা সহ ওনার টাও।
“I Won’t allow disturbance now.” মুচকি হেসে বলেই শাওন আমাকে টেনে ওর কাছে নিয়ে এল।

(সমাপ্ত)

1 COMMENT

  1. Golpota ses hoyeo holo na…… Purota golpo ak rokomi roye gelo……. Ses part poreo bujhte parini ses hoye gache……. Just osadharon…… Khub khub khub khub khub khub khub khub khub sundor…… Mone holo ar aktu boro hole valo lagto…… Thanks for sweet story.

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here