“ফেমাস_বর🙈(বিবাহ পর্ব) পার্ট_২১

#ফেমাস_বর🙈(বিবাহ পর্ব)
#পার্ট_২১
#লেখিকা_রামিসা_মালিয়াত_তমা

কাজ হইয়া গেসে!আফনের মাল রেডি,আইয়া শুদু নিয়ে যাইন।

কেউ একজন কথাটা বলল।

ওকে!ঠিকমত ধরে রাখ।যেন পালাতে না পারে।আমি ২০ মিনিটের ভিতরে আসছি।

ওপাশ থেকে আবার কেউ বলল!

এই বলে ওপাশ থেকে কেউ ফোন কেটে দিলো।

এখন আপনাদেরকে বলি কালকে তমা কেন অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল!

পূর্বে,
তমা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় হঠাৎ-ই অজ্ঞান হয়ে যায়।কারণ,তমার পাশ দিয়ে কেউ একজন যাওয়ার সময় একটা স্মেল পুষ করে যেটার গন্ধে তমা কেমন যেন নিস্তেজ হয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়।আর ঠিক তখনই কেউ তাকে নিয়ে চলে আসে।আই মিন কিডনাপ করে।

বর্তমানে,
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে কিন্তু এখনো তমা বাসায় ফিরল না দেখে মানিতা কাবির খুব চিন্তিত হয়ে পরলেন।

মানিতা কাবির-কী ব্যাপার!মেয়েটা সেই কোন বিকালে বের হলো,কিন্তু এখনো আসার নাম নেই।এদিকে আমাকে তো বলে গিয়েছিল যে সন্ধ্যার আগে আগে চলে আসবে।কী হলো!(চিন্তিত হয়ে বলল)

মানিতা কাবিরকে এতো টেনশন করতে দেখে তুরিন বলল,

তুরিন-মা,ওতো টেনশন করোনা তো।তমা বোধহয় কোথাও জ্যামে আটকে গেছে।যেই ট্রাফিক-সিগ্নাল!হয়তো তার জন্যই লেইট হচ্ছে।ওতো টেনশন করোনা।কেমন?

মানিতা কাবির তুরিনের কথা শুনে ভাবলেন হয়ত ও ঠিকই বলছে।তাই তিনি আরকিছু ভাবলেন না।

অন্যদিকে
তমাকে কিডনাপ করার পর থেকেই তমার কোনো হুস-জ্ঞান নেই।

হঠা্ৎ তমার হাল্কা জ্ঞান ফিরল।তমা আস্তে আস্তে চোখ খুলল।চোখ খুলে তমা সবকিছুই আবছা-আবছা দেখতে লাগলো।তবে কিছুক্ষনের মধ্যেই তমার পুরোপুরি জ্ঞান ফিরল।তমা নিজেকে একটা আলোয় পরিপূর্ন ঘরে আবিষ্কার করলো।যেমন তেমন ঘর নয়।ঘরটাতে এসি রয়েছে,যা ইতিমধ্যেই চলছে।

তমা পুরো ঘরটা দেখা শেষ করে নিজের দিকে মন দিলো।তমাকে একটা চেয়ারের সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে।তমা কিছুই বুঝতে পারছেনা যে কী থেকে কী হয়ে গেলো।

তমা কাউকে ডাক দিতে চাইল।কিন্তু সেটাও সম্ভব হলোনা।কেননা,তমার মুখে কাপড় বেঁধে রাখা হয়েছে।
তমা ভেবে পেলোনা যে কে তাকে এভাবে কিডনাপ করে আনতে পারে!

তমা-আরেহ আজব,কে আমাকে এভাবে এখানে নিয়ে এসেছে।আমার তো কোনো শত্রু নেই।আর কোনোই বা এনেছে।আমি কী করেছিটা কী?আমার তো কোনোদিন কারোর সাথে কোনো প্রকার শত্রুতামি ছিলোনা।তাহলে?(মনে মনে ভাবল)

এরই মধ্যে তমা দেখলো যে ঘরের দরজা আস্তে আস্তে খুলছে।তাই দেখে তমার মনে একটু আশার আলো জাগলো যে হয়তো সে এখন এখান থেকে মুক্তি পাবে।কিন্তু সে আসাও বেশিক্ষন স্থায়ী হলোনা!

হাহাহাহাহাহাহাহাহা!

তালি দিয়ে হাসতে হাসতে কেউ একজন ঘরে প্রবেশ করলো।

তমার কাছে হাসিটা খুব পরিচিত মনে হলো।মনে হলো যে এই হাসি হয়তো সে আরো অনেকবার শুনেছে।

সো,মিস তমা কাবির?

তমা মাথা উপরে তুলল।আর তমা সাথে সাথে যা দেখলো তা দেখে তমা একদম হতবাক হয়ে গেল।এটা যে তারই খালাতো বোন দিনা।

তমা কিছু বলতে নিল,কিন্তু পারলোনা।কেননা,তমার মুখে যে কাপড় বাঁধা।কী করে বলবে সে?

দিনা তমার কথা বলতে যাওয়া দেখে অট্টহাসি দিয়ে বলল,

দিনা-আহারে!!চু,চু,চু!কথা বলতে পারছিস না!তাইনা রে?কী করে পারবি বল?তোর মুখ যে বাঁধা!

এই বলে আবার দিনা হাসিতে ফেটে পরল।

আর তমা দিনাকে অবাক চোখে দেখতে লাগল।তমা ভেবে পেলোনা যে দিনা কেনো তার সাথে এমন করছে?দিনার কী পাকা ধানে মইটা দিয়েছে সে?

তমার দিনার হাসি দেখে চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পরতে লাগল।

দিনা কাউকে ইশারা করলো তমার মুখ খুলে দেওয়ার জন্য।

তমার মুখ খুলে দেওয়া হলো।

তমার মুখ খুলে দেওয়ার সাথে সাথে তমা বলতে লাগল,

তমা-এসব কী দিনা আপু?কেন করছ এমন?কেন আমাকে এখানে বেঁধে রেখেছ?(রীতিমতো চিৎকার করেই বলল)

দিনা-এই গলা নামিয়ে কথা বল।আর এতো তাড়া কীসের রে তোর?এতো তাড়া কীসের?

তমা-দিনা আপু?কেন করছে এমন?আমি তোমার কী পাকা ধানে মইটা দিয়েছি?

দিনা এবার তমার কাছে গিয়ে ওর দুই গাল চেপে ধরে বলল,

দিনা-তুই আমার পাকার পাকা ধানে মই দিয়েছিস,বুঝেছিস?জান্টুসকে তো নিজের রূপ দেখিয়ে খুব ভালোমতনই পটিয়েছিস!তাই এখন নাকি তোদের বিয়ে হবে হ্যাঁ?বিয়ে ইন মাই ফুট।তোর মতো থার্ড ক্লাস,ব্যাকডেটেড মেয়ে জান্টুসের যোগ্য না।বুঝেছিস?

এই বলে দিনা তমার দুই’গাল ছেড়ে দিলো।

তমা এবার বুঝল যে কেন দিনা এমন একটা কাজ করেছে!

তমা-ছি:দিনা আপু।ছি:!তোমার লজ্জ্বা করেনা?লজ্জ্বা করেনা তোমার?সামান্য এমন একটা কারণে নিজের খালাতো বোনের সাথে

তমাকে কথা শেষ করতে না দিয়ে দিনা বলল,

দিনা-আরেহ?তুই আমার খালাতো বোন দেখেই তো তোকে কিডনাপ করে এসি রুমের মধ্যে রাখলাম।যদি অন্য কেউ হতিশ না তাহলে তোকে আস্তাকুড়ে ফালিয়ে রাখতাম।

তমা বুঝতে পারছেনা ওহ কী করবে!এখান থেকে চিল্লালেও তো কেও শুনতে পারবেনা।তাহলে?
এদিকে তমার ব্যাগ,মোবাইল ফোন সবই দিনার কাছে।

কিছুক্ষন পর দিনার কাছে একটা ফোন এলো।দিনা ফোনে কথা বলতে লাগল।

কথা বলা শেষ করে দিনা তমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলল,

দিনা-তোর জন্য তোর নায়ক আসছে রে।জাস্ট ওয়েট এন্ড ওয়াচ।

কিছুক্ষন পর তমা দেখলো যে কেউ একজন ফরমাল সুট-প্যান্ট পরে ঘরে ঢুকলো।ঘরে ঢুকে দিনার সাথে হ্যান্ডসেক করল।কিন্তু তমা বুঝতে পারলনা যে কে এই “কেউ একজন”!

আপনারা কী বলতে পারেন যে কে এই “কেউ-একজন”?

চলবে,,,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here