অশ্রুসিক্ত নয়নে তুমিই আছো পর্ব ১২+১৩

#অশ্রুসিক্ত_নয়নে_তুমিই_আছো
#সুবহী_ইসলাম_প্রভা
#পর্ব – ১৩

—- তুমি আমাকে কাজি অফিসে নিয়ে এসেছো কেন?বিয়ে ঠিয়ে করবে নাকি।

আবিরের এমন কথায় নিথুর ঠিক কি রিয়েক্সন দিবে বুঝতে পারছে না।

—- আজ্ঞে না,,,,বিয়ে তো হবে আর কার হবে সেটাও দেখতে পারবেন এখন ভিতরে চলুন।

—- আচ্ছা,,,,বাই এনি চান্স তুমি বিয়ে করছো না তো তাও পালিয়ে?

—– উফফফ,,, আপনি না বড্ড বেশি বকবক করেন।চুপচাপ আসুন তো আমার সাথে।

নিথু আর আবির কাজি অফিসের ভিতরে ঢুকে। নিথু ঢুকেই একটা মেয়েকে জড়িয়ে ধরে।

—- তুই এসেছিস? জানিস আমি কত্তো ভয় পেয়েছিলাম।তুই না থাকলে আজ আমার যে কি হতো?

—- রিল্যাক্স বেবি,মে হু না।আর এতো প্যারা নিস না তো।

—- হুম বুঝলাম কিন্তু এই ছেলেটা কে?আমাদের দুলাভাই নাকি?

—- আরে নাহ,,,তোদের বিয়ের সাক্ষী ধরে এনেছি।

আবির দুই বান্ধুবীর কথায় এটা বুঝতে পেরেছে যে নিথু যেই মেয়েকে জড়িয়ে ধরেছে আজ তার বিয়ে আর সাক্ষী হিসেবে যে নিজের অজান্তেই চলে এসেছে।

এরপর নিথু আবিরের সাথে সেই মেয়েটি মানে মিলিকে পরিচয় করিয়ে দেয়।পরিচয় পত্র শেষ হলেই নিথু নিজে দাঁড়িয়ে থেকে মিলি আর তার হবু বরকে বিয়ে দেয়।আর সাক্ষী হিসেবে নিথু আবির সহ আরো কিছু মানুষ ছিলো যারা বরের ফ্রেন্ড। বিয়ের পত্র শেষ হলে নিথু মিলি কে কংগ্রাচুলেট করে।

—- আজ তুই না থাকলে আমরা দুজন কখনোই এক হতাম না। তুই আমাকে মানসিকভাবে দৃঢ় করেছিস।

—- ধুর বোকা বন্ধুর জন্য বন্ধু এই টুকু করবে না তার জন্য এভাবে বলা লাগে আর এভাবে কাদঁছিসই বা কেন তোকে এখন পুরো পেত্নী লাগছে পরে আমার দুলাভাই কিন্তু তোকে দেখে ভয় পাবে।

শেষের কথাটা দুষ্টুমি করে বলে। এইকথা শুনে মিলি নিথুর পিঠে একটা কিল দিয়ে বলে,,,,,

—– বান্দরনী,,,,তুই জীবনেও শুধরাবি না। আবির ভাইয়া আমার এই বান্ধুবীরে একটু সামলাইয়েন তো মাইয়া বহুত দুষ্টু আছে।(আবিরকে উদ্দেশ্য করে বলে)

—- ঠিক আছে আপু,,,,,আপনি যখন বলছেন তখন আমি তো আর না করতে পারি না। (নিথুর দিকে দুষ্টু ভাবে তাকিয়ে)

—- ওইইই,,,,আমি না তোকে বললাম ও আমার বিএফ না তাহলে ওকে কেন বলছিস?

—– তুমি যে কাহিনী বলছো তাতে হতে বেশি দেরি নাই,,, বুঝছো।

—- হইছে থাম,,,এবার আমাদের যেতে হবে।

নিথু আর আবির সবাইকে বিদায় দিয়ে কাজি অফিস থেকে বেরিয়ে আছে।

—- সামনের একটা পার্ক আছে সেখানে চলুন।

—- কেন?

—– আমি বললাম তাই।

—- আচ্ছা।

সামনের পার্কের সামনে গিয়ে আবির আর নিথু পাশাপাশি হাটছে,দুজনের মধ্যেই নিরবতা। নিরবতা ভেঙে নিথুই আবিরকে প্রশ্ন করল,,,,

—- আপনি জানতে চান না,,,,কেন আমি এভাবে ওদের বিয়ে দিলাম।

—– জানতে তো চাই কিন্তু তুমি কি বলবে,,,,এমনিই যে মেয়ে একটা কথা বললে হাজারটা কথা শুনিয়ে দেও।

শেষের কথাটা আস্তেই বলল যাতে নিথু শুনতে না পায়। কিন্তু নিথু শুনতে পেয়েও কোন রিয়েকশন দেয় না।

—– মিলি আমার খুব ভালো বান্ধুবী। আমরা কলেজে একসাথেই পড়তাম কিন্তু কিছু সমস্যার কারণে ও অন্য কলেজে ভর্তি হয়। একদিন রাতে মিলি আমাকে ফোন দিয়ে অনেক কান্নাকাটি করে রিজন জিজ্ঞেস করলে বলে না পরে ওর অবস্থা আমি বুঝতে পেরে ওকে মিট করতে বলি।মিট করে জানতে পারি ওর বাড়ি থেকে নাকি বিয়ে ঠিক করেছে আর ও একজনকে ভালোবাসে সেও ওকে ছাড়া বাঁচতে পারবে না। তারপর আমাদের দুলাভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করি আমি। আমাদের দুলাভাইটা না ভীষণ ভিতু ভয়ে সে তার মা-বাবার কাছে মিলির কথা বলতেই পারছিলো না ওদিকে মিলিকে ছাড়া সে বাঁচতেও পারবে না। বিষয়টা আমার কাছে খুব অদ্ভুত লাগলেও প্রকাশ করি নি। পরে আমরা বুদ্ধি করি মিলি আর দুলাভাইয়ের এভাবে কাজি অফিসে বিয়ে দিবো এতে যা হবে দেখা যাবে।আর এতে দুলাভাইও এক বাক্যে রাজি হয়। তাই মিলি দুলাভাইকে বিয়ে করার জন্য বাসা থেকে পালিয়ে এসেছে ।

আবির এতোক্ষন মনোযোগ দিয়ে নিথুর কথা শুনে।

—– এখন যদি তোমার দুলাভাইয়ের ফ্যামিলি মিলিকে মানতে রাজি না হয় তখন?

নিথু মুচকি হেসে উত্তর দেয়,,,,,

—- এই প্ল্যান করার আগে আমি মিলির কাছ থেকে দুলাভাইয়ের বাসার এড্রেস নিয়ে তাদের বাসায় যাই।তাদের সম্পর্কের কথা তাদের বাবা-মাকে জানাই। কারণ আমি আগেই বলেছিলাম দুলাভাই ভীষণ ভিতু এই জন্য ফ্যামিলিকে বলতে পারছে না যে সে মিলিকে ভালোবাসে আবার মিলিকে ছাড়তেও পারবে না এটা আমার কাছে অদ্ভুত লেগেছে। তাই আমি সোজা তার ফ্যামিলির কাছে তার পরিচয় নেই। সত্যিই দুলাভাইয়ের ফ্যামিলি অনেক ভালো তারা ওদের সম্পর্ক মেনে নিয়েছে পরে আমার মাথায় এই প্ল্যান আসায় আমি তাদের এই বুদ্ধি দিলে তারাও রাজি হয়।এখন মিলি শশুরবাড়ি গিয়ে একটু শকর্ড হবে কারণ তার শশুর-শাশুড়ী ওদের আগে থেকেই মেনে নিবে।হয়তো তারা বিয়েটা তাদের মন মতো করতে পারে নি কিন্তু রিসেপশন অনেক ভালো ভাবেই করবে।

—- বাহ,,,,,তাহলে সব প্ল্যান করেই করেছো।

—- হুম বলা যায়।

এরপর আবার নিরবতা,,,,, যেনো দুজনের মুখেই কস্টিপ দিয়ে আটকানো।

—- নিথু তোমার কেমন ছেলে পছন্দ?

—-হটাৎ আমাকে নিয়ে পড়লেন।কি ব্যাপার হুম?

—- আরে কিছু না,,,,বলো না প্লিজ খুব জানতে ইচ্ছে করল।

—- অনেক দেরি হয়ে গেছে,,, চলুন বাড়ি যাওয়া যাক।

—- এড়িয়ে গেলে?

—- হয়তো।

আবির একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বাইকে উঠে বসে নিথুও পিছনে বসতে বসতে বলে,,,,,

—- আপনি আর এভাবে আমাকে কলেজে দিয়ে আসবেন না।

আবির বাইক চালাতে চালাতে বলে,,,,,,,

—- কেন?

—- আপনি কি আমার ড্রাইভার নাকি যে প্রায় দিনই আমাকে আপনার কলেজে দিয়ে আসতে হবে।

—- রোজ কই সপ্তাহে একদিন।

—- নাহ ওই একদিনও আসা লাগবে না।

আবির করুন গলায় বলল,,,,

—- তাড়িয়ে দিচ্ছো।

নিথু আর কথা বাড়ালো না। আবির নিথুকে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌছিয়ে চলে গেল।

~~~~~~~~~~~

—- রাত হয়ে গেছে উনি এখনো আসছেন না কেন?আমি কি সকালে বেশি রাগ করে ফেললাম।ইসসস কেন যে মিথ্যে মিথ্যে অভিনয় করতে গেলাম।এই জন্য বলে,,,, খাল কেটে কুমির আনা।

ইসরা মনে মনে এসব ভাবছে আর পাইচারি করছে। রাত ১১টা বেজে গেছে সায়েদের আসার কোন নামই নেই। সায়েদ তো এতো লেট করে না আর করলেও ইসরাকে ফোন দিয়ে বলে দেয়।কিন্তু আজ সায়েদ ইসরাকে কোন ফোনও দেয় নি সাথে মেসেজও না। ইসরার খুব দুশ্চিন্তা হচ্ছে। মিসেস.পারভীন আর মিস্টার সাফোয়াত আরফানকে ইসরা ডিনার করিয়ে রুমে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

ইসরা এখনো সায়েদের জন্য না খেয়ে বসে আছে। টেবিলে বসে থাকতে থাকতে ইসরা চোখ লেগে আসে।একটার সময় সায়েদ আসে।সায়েদের কাছে বাড়ির ডুপ্লিকেট চাবি থাকায় সেটা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতেই দেখে ইসরা টেবিলে ঘুমিয়ে আছে।মেয়েটাকে দেখে তার খুব মায়া হলো,,,আরও ইসরা না খেয়ে ঘুমানোর ফলে মুখটা ফ্যাকাসে দেখাচ্ছিল।ইসরাকে এভাবে দেখে সায়েদ ইসরাকে ডাকবে কি ডাকবে না ভাবছে। তখনই সায়েদ একটা অভাবনীয় কাজ করে ফেলল।#অশ্রুসিক্ত_নয়নে_তুমিই_আছো
#সুবহী_ইসলাম_প্রভা
#পর্ব – ১৪

ইসরা ঘুমের মধ্যে উপলদ্ধি করল যে সে হাওয়ায় ভাসছে। ইসরার ঘুম খুব পাতলা,এটা উপলদ্ধি করার সাথে সাথে ইসরা চোখ খুলে দেখে সত্যিই সে হাওয়ায় ভাসছে।

সায়েদ দেখেছিল ইসরা ঘুমিয়ে আছে আর ইসরার এমন মায়াবী ফ্যাকাসে মুখ দেখে সায়েদের কেমন জানি মায়া হলো তাই সে ইসরাকে কোলে তুলে রুমে গিয়ে সোয়াতে গেলো।কিন্তু মাঝ রাস্তায় ইসরার ঘুম ভেঙে যায় আর ইসরা ড্যাব ড্যাব চোখে সায়েদকে দেখতে থাকে। এটা সায়েদ বুঝতে পেরে ইসরার দিকে তাকালে দুজনেরই চোখাচোখি হয়ে যায়। সায়েদ ভীষণ অসস্তিতে পড়ে গেলো। কারণ এই প্রথম সে নিজ ইচ্ছায় ইসরাকে টার্চ করেছে তাও আবার এভাবে ইসরাকে কোলে তুলে নিয়েছে।

—– এভাবে ড্যাব ড্যাব করে কি দেখছো?

—– আপনাকে(আনমনে বলে ফেলে)

—– কি?

—– না মানে হটাৎ আমাকে কোলে তুলে নিলেন তাই ভাবছি এটা স্বপ্ন নাকি সত্যি।যদি স্বপ্ন হয় তাহলে যেন না ভাঙ্গে।

—- আর যদি সত্যি হয় তাহলে?

—– তাহলে আপনাকে ভুতে ধরেছে।

—- কিইইই?

—- কিছু না,,,,,এটা স্বপ্ন আমি জানি।

—- এটা স্বপ্ন নয়।স্বপ্ন হলে আমি আবার তোমার সাথে কথা বলতে পারি নাকি।

—- আলবাত পারেন,,,,,এটা স্বপ্নই যদি বাস্তব হয় তাহলে ভাঙান আমার স্বপ্ন।

—-আরে বাবা এটা তো বাস্তবই তাহলে ভাঙবোটাই বাহ কি?

—- উহু এটা স্বপ্ন,,,, প্রমাণ করুন যে এটা স্বপ্ন না।

—- চ্যালেঞ্জ করছো?

—- হুম করলাম।

—- লসটা কিন্তু তোমারই পরে আমাকে কিছু বলতে এসো না।

—- আমি বললেই মনে হয় উনি মানবেন।এটা স্বপ্নই স্বপ্ন স্বপ্ন স্বপ্ন।

বলেই ইসরা চিল্লাতে লাগল আর সায়েদ দুম করে ইসরাকে ফেলে দিলো।ইসরা ভয়ে চোখ বন্ধ করেই বলতে লাগল,,,

—- ও আম্মু গো,,,, তোমার ছেলে আমার কোমরটার বারোটা বাজায় দিলো।এই হুনুমান রাক্ষস (চোখ খুলে)আপনার একবারও আমার উপর দয়া হলো না,,,, এভাবে আমায় ফেলে দিতে, পারলেন।ও আম্মু,,,,

ইসরা ন্যাকা কান্না শুরু করল। এদিকে সায়েদ ইসরার এমন অবস্থা দেখে ঠিক কি রিয়েক্ট করবে বুঝছে না।

—- এই যে মিস.ড্রামা কুইন,,,,আমি আপনাকে খাটে ফেলেছি ভালো করে দেখে কথা বলুন।

আসলে ইসরা ভয়ে ওসব প্রলাপ বকছিলো সে টেরই পায় নি যে তার আসলে কোন ব্যাথাই লাগে নি।

ইসরা মেকি হাসি দিয়ে বলে,,,,,,,

—– হি হি হি,,,,আমি তো দেখছিলাম যে আমি কোন ব্যাথা পেলে আপনি কি রিয়েক্ট করেন,,হি হি হি।

—- দেখাটা একটু বেশিই হয়ে গেলো না।

ইসরা প্রসঙ্গ ঘুরাতে বলে,,,,

—-এতো দেরি করে আসলেন যে,,,যান আপনি ফ্রেশ হয়ে আসুন আমি আপনার খাবার বাড়ছি।

—- না তার দরকার নেই।আমি বাহির থেকে খেয়ে এসেছি। আর কাজ ছিলো তাই দেরি হয়ে গেছে তোমাকে বলবো তার আগেই ফোনের চার্জ শেষ হয়ে গেছিলো তাই বলতে পারি নি।

এবার ইসরার একটু মন খারাপ হলো।লোকটার জন্য এতো রাত পর্যন্ত না খেয়ে বসেছিল অথচ তার কোন কেয়ারই নেই সায়েদের কাছে,,,, থাকবেই বাহ কেন? সায়েদ তো তাকে আপনই মনে করে না। এটা ভাবতেই চোখ জোড়া আবার অশ্রুতে ভরে গেল।

—- ঠিক আছে,,, আপনি ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পড়ুন।

—- তুমি খেয়েছো?

এই কথা শুনে ইসরার মুখে হাসি ফুটে উঠল।যেন মনে হচ্ছে কালো মেঘের মধ্যে এক টুকরো সূর্যের আলো পড়েছে।

—- না।

—- এতো রাত পর্যন্ত না খেয়ে আছো কেন?

—- এমনি হয়তো কারোর অপেক্ষায়।

কথাটা শুনে সায়েদের সকালের রাগটা চড়ে বসল।হটাৎ করে সায়েদ ইসরার মুখ চেপে ধরে বলে,,,,

—- ওই কারোর অপেক্ষা যেন এর পর থেকে এই বাড়িতে না হয়।তুই খাবার না খেয়ে মরে যাবি তাও কারোর অপেক্ষা করে যেন না খেতে দেখি।তোর সাহস কি করে হয় পর পুরুষের জন্য মন খারাপ করে না খাওয়ার।

সায়েদের এমন বিহেভ আর এমন কথা শুনে তো ইসরা শকর্ড।

—- আরে আমাকে ছাড়ুন আমার লাগছে। আমি কারোর বলতে আপনার কথা বুঝিয়েছি ছাড়ুন আমায়।

ইসরার কথায় সায়েদ ছেড়ে দিয়ে বলে,,,,,

—- নেক্সট টাইম থেকে আমার জন্যও অপেক্ষা করার কোন দরকার নেই।

বলেই সায়েদ ওয়াসরুমে ঢুকে যায়। আর ইসরার আকাশের দিকে তাকিয়ে বলতে থাকে,,,,,

—- জীবনটা বড্ড অদ্ভুত। যাকে যা বুঝাতে চাই সে তা বুঝে না বরং ভুল টাই বুঝে।

~~~~~~~~~~

আজ দু’সপ্তাহ হয়ে গেছে আবির আর নিথুকে ড্রপ করতে আসে না। বিষয়টা নিথুর কাছে খারাপ লাগলেও সে নিজের মনকে বুঝাতে থাকে যে হয়তো আবির তার বাবার কোম্পানিতে ব্যস্ত হয়ে গেছে তাই তাকে সময় দিতে পারছে না। আর এছাড়াও সে এমন কে যে আবিরকে তাকে সময় দিতে হবে। এসব ভাবে আর আপসেট হয়। তার এক বান্ধুবী তো তাকে প্রশ্নই করে ফেলে,,,,

—- দোস্ত,,, তোকে না একটা ছেলে দিয়ে যাইতো কে রে ও?ওকে তো আর দেখি না। তোর বিএফ নাকি?

উত্তরে নিথু কিছুই বলে না। এভাবেই হাফ ক্লাস শেষ করে তারা সব বান্ধুবী মিলে ক্যান্টিনে আড্ডা দিচ্ছিল। তবে নিথুর মন এদিকে নেই সে তো আবিরকে নিয়ে ভাবতে ব্যস্ত।হটাৎ ই নিথুর ফোনে একটা মেসেজ আছে।

—– সেদিন যেই পার্কটায় এসেছিলাম ৩০ মিনিটের মধ্যে সেখানে চলে আসো,,, আর্জেন্ট।আবির।

মেসেজটা পেয়ে নিথুর তো আকাশে চাঁদ পাওয়ার মতো আনন্দ লাগল।নিথু এক মুহুর্ত দেরি না করে আড্ডা থেকে উঠে দৌড় লাগলো।

প্রায় ৩০ মিনিটের মধ্যেই নিথু সেই পার্কটায় উপস্থিত হলো।কিন্তু আজ পার্কটা পুরো ফাঁকা,, কোথাও কোন মানুষজন দেখা যাচ্ছে না।আবার নিথুর ফোনে মেসেজ এলো।

—– সামনের বেঞ্চে একটা পার্সেল আছে সেটা খুলে দেখো।

নিথুও আবিরের কথা মতো কাজ করল।দেখলো পার্সেলের ভিতরে একটা সুন্দর রেড গাউন।নিথু তো গাউনটা দেখে খুব খুশি,,,এমনিতেই নিথুর রেড কালার ফেভারিট। নিথু গাউনটা হাতে নিয়ে তখনই আবার মেসেজ।

—– সামনের একটা ওয়াসরুম আছে ওখান থেকে এই ড্রেসটা পড়ে আছো।

নিথু টেক্সট করল,,,,

—- এটা কার?আর আমি কেন পড়ব?আপনি কোথায়? সামনে আসুন।

—–যেহেতু ড্রেসটা তোমার হাতেই তো তোমারই হবে। আর সময় হলে সামনে আসব।এখন যেটা বললাম করো।

নিথু আবিরের কথা মতো সামনে একটা ওয়াসরুম থেকে ড্রেসটা পড়ে বের হয়।বের হয়েই দেখে,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here