অজানা অনুভূতি পর্ব -৪০+৪১

#অজানা_অনুভূতি
#পর্বঃ ৪০
#লেখিকাঃ আদ্রিতা খান অদ্রি

আদ্রিতা চিল্লাতে নিবে ঠিক সেই সময় লোকটা দৌঁড়ে এসে আদ্রিতার মুখে চাপ ধরলো, ঠেলে আদ্রিতাকে দেয়ালে ঘেঁষে দাড় করালো। এক হাত দিয়ে আদ্রিতার মুখ ধরে রেখেছে। অন্য হাত দিয়ে আদ্রিতার কোমড় জড়িয়ে ধরে রেখেছে। আদ্রিতার চুল হতে টপটপ করে পানি পড়ছে। আদ্রিতাকে খুব আকর্ষণীয় লাগছে। লোকটি আস্তে আস্তে আদ্রিতার দিকে এগোচ্ছে। আদ্রিতার শ্বাস যেনো আটকে আসছে। এতো কাছে আজ পর্যন্ত কেউ আসে নি। তার উপর আদ্রিতা শুধু তাও*য়াল পড়া। লোকটির চেহারা বোঝা যাচ্ছে না। আদ্রিতার কাছে এই স্পর্শটি খুব চেনা লাগছে। আর এই অবস্থা ঠিক একইভাবে দাঁড়ানো একই রকম আদ্রিতার মনে হচ্ছে আদ্রিতার কাছে এ বিষয় গুলো আগে ও ঘটেছে। আদ্রিতা কোনোভাবে মনে করতে পারছে না। আদোও বিষয়গুলো কি তার সাথে হয়েছিলো? কেনো তার পরিচিত লাগছে। হঠাৎ আদ্রিতার প্রচুর মাথা ব্যথা শুরু করলো। আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে পড়ে যেতে নিলে সামনে থাকা লোকটি আঁকড়ে ধরলো। লোকটা হাসলো আদ্রিতাকে কোলে তুলে নিলো। বিছানায় শুয়ে দিলো। আদ্রিতার কপালে তার ঠোঁট স্পর্শ করলো। আদ্রিতার চুল গুলো আলতো করে মুছে দিলো। আদ্রিতার তাও*য়াল এর উপর দিয়েই আদ্রিতার সম্পূর্ণ শরীর একবার মুছিয়ে দিলো। লোকটি খাটে বসলো। টেনে আদ্রিতাকে উঠেয়ে তার কোলে বসিয়ে দিলো। তাও*য়াল এর উপর দিয়ে আদ্রিতার কোমল পে*টে স্পর্শ করলো। আদ্রিতার ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে দিলো। কিছুক্ষণ পর আদ্রিতাকে আবার শুয়ে দিলো। আদ্রিতার গায়ে কম্বল টেনে দিলো। তারপর বারান্দা দিয়ে নিচে নেমে গেলো। এদিকে আদ্রিতা জ্ঞানহীন অবস্থায় বিছানায় পড়ে রইলো।

*****

সাজ্জাদের বাসায় যাওয়ার জন্য সবাই রেডি।

আদ্রিতা কই রে?( আদ্রিতার মা)

আমি দেখছি ( মুন)

হ্যাঁ গিয়ে দেখ মেয়েটা গোসলে এতো সময় নেই আমার মনে হয় এখনো ও গোসলই করছে ( আদ্রিতার মা)

তুমি চিন্তা করো না আমি গিয়ে দেখছি ( মুন)

কথাটি বলে মুন উপরে চলে গেলো।

চিন্তা কি আর সাধে হয়। এইযে সবাই রেডি আর এই মেয়েটা এখন ও রেডি হলো না। ( আদ্রিতার মা)

থাক আজকের দিনে মেয়েটাকে বকাবকি করার কোনো দরকার নেই। ( আদ্রিতার খালামনি)

আদ্রিতার মা ও আর কিছু বললো না।

মুন আদ্রিতার রুমের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। দরজায় অনবরত ধাক্কাচ্ছে

এই আদ্রিতা দরজা খুল ( মুন)

কিছুক্ষণ পর আদ্রিতার জ্ঞান ফিরে আসে। নিজের অবস্থান বুঝতে পেরে দ্রুত আশেপাশে তাকিয়ে দেখলো বিছানায় শুয়ে আছে। আর বাইরে মুন দরজা ধাক্কাচ্ছে। কোনোমতে বলে উঠলো,

আপু মাএ গোসল করে এসেছি একটু দাঁড়াও আসছি আমি ( আদ্রিতা)

আচ্ছা তাড়াতাড়ি কর নিচে সবাই অপেক্ষা করছে ( মুন)

আচ্ছা আপু ( আদ্রিতা)

মুন নিচে নেমে গেলো। আদ্রিতা তখনের বিষয় গুলো মনে করছে শুধু তাও*য়াল পরা অবস্থায় একটি লোক তাকে দেখলো কথাটি ভেবেই লজ্জায় কুঁকড়ে উঠছে আদ্রিতা। বিছানার একটি পাশে তাকিয়ে বিস্মিত হয়ে গেলো। খুব সুন্দর এক সেট ড্রেস রাখা আছে হলুদে পড়ার জন্য। আদ্রিতা ড্রেসটা হাতে নিলো সাথে সাথে একটি চিরকুট নিচে পড়ে গেলো। আদ্রিতা চিরকুটটি তুলে দেখলো সেখানে লেখা রয়েছে,

মায়াপরী, এই ড্রেসে তোমাকে একদম হলদে পাখি লাগবে।

মায়াপরী লেখাটা দেখে আদ্রিতা চমকে উঠলো। মায়াপরী কথাটি বলে ত তাকে মেসেজ দিয়েছিলো৷ আদ্রিতা দ্রুত তার ফোসটি হাতে নিলো। আদ্রিতা ঠিকই ভেবেছিলো। লোকটি আবার মেসেজ করেছে,

মায়াপরী তোমাকে আজকে কি যে লাগছিলো বলে বোঝাতে পারবো না। ইচ্ছে হচ্ছিলো টুপ করে গিলে ফেলি। যেই ড্রেসটি দিয়েছি সেটি তুমি হলুদে পড়বে। আর যদি না পড়েছো তাহলে কিন্তু আমি নিজের হাতে তোমাকে ড্রেস পড়িয়ে দিবো। আর এমনি ও তুমি আজকে যেই অবস্থায় আমার সামনে ছিলে চাইলেই তোমাকে আমি ড্রেস পড়িয়ে দিতে পারতাম। কিন্তু বিয়ের আগে চাচ্ছি না কিছু করতে। তোমাকে এই অবস্থায় দেখে নিজেকে কন্ট্রোল করা যে কতো কঠিন তা তোমাকে কিভাবে যে বোঝাবো। যায় হোক তাড়াতাড়ি ড্রেসটি পড়ে নেও তোমাকে দেখার অপেক্ষায় আছি আমি।

মেসেজটি পড়ে আদ্রিতার মাথা কাজ করছে না। কে এইভাবে ড্রেস দিয়ে গেলো? আর আমি হলুদের অনুষ্ঠানে যাবো সেটাই বা জানলো কি করে,?আদ্রিতা
দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথা গুলো ভাবছিল।একটু আগে কথা মনে করতে লজ্জায় কুঁকড়ে উঠলো। আচ্ছা সাজ্জাদ ছিলো কি? কারণ স্পর্শটি অনেক চেনা লাগছিলো। আদ্রিতার মনে হলো নিশ্চয়ই সাজ্জাদ এসেছিলো। আদ্রিতা সাজ্জাদকে কল দিলো,

আসসালামু আলাইকুম ( আদ্রিতা)

সাজ্জাদ সালামের জবাব নিলো। তারপর বললো,

কি আমাকে মিস করছিলে বুঝি? ( সাজ্জাদ)

একদমই না আপনি আমার কেউ হন না যে আপনাকে আমি মিস করবো। ( আদ্রিতা)

তাহলে কল কেনো করেছো? ( সাজ্জাদ)

আপনি একটু আগে আমার রুমে এসেছিলেন? ( আদ্রিতা)

আমি কেনো তোমার রুমে আসবো? তুমি আমার বউ নাকি যে তোমার রুমে আসবো? আর একটু পর আমার গায়ে হলুদ আমার কি এখন কোনো কাজ নেই যে আমি তোমার রুমে আসবো? (সাজ্জাদ)

তার মানে আপনি আসেন নি? ( আদ্রিতা)

না আসি নি। কিন্তু কেনো? কেউ কি তোমার রুমে এসেছিলো? ( সাজ্জাদ)

হুম না মানে কিছু না ( আদ্রিতা)

আদ্রিতা কথাটি বলে ফোন কেটে দিলো। তার মানে সাজ্জাদ না তাকে কি অন্য কেউ এই অবস্থায় দেখেছিলো? অন্যদিকে আদ্রিতা ফোন রেখে দিলে সাজ্জাদ হেঁসে উঠলো। আদ্রিতা কিছুই বুঝতে পারছে না আদ্রিতার সাথে কি হচ্ছে। তবু ও স্বস্তির শ্বাস ফেললো। আদ্রিতাকে এই অবস্থায় দেখে ও লোকটি উল্টাপাল্টা কিছু করে নি। আদ্রিতা আর দেড়ি না করে ড্রেসটি পড়ে নিলো। আসলে ও লোকটির চয়েস আছে বলতে হবে। একবার ভেবেছিলো ড্রেসটি পড়বে না। কিন্তু আদ্রিতা জানে এই ড্রেসটি না পড়লো হয়তো লোকটি আবার যদি বাসায় এসে পড়ে তাই ড্রেসটি পড়ে নিলো। হালকা একটু মেকআপ করলো। তারপর নিচে নেমে আসলো

হ্যাঁ রে এতোক্ষণ লাগে তোর? ( আদ্রিতার মা)

সরি সরি একটু লেইট হয়ে গেছে ( আদ্রিতা)

একটু লেইট? জানিস কতক্ষণ ধরে সবাই তোর জন্য অপেক্ষা করছিলো ( আদ্রিতার মা)

আচ্ছা আচ্ছা আর লেইট হবে না ( আদ্রিতা)

বোনের গায়ে হলুদেই এতো লেইট না জানি নিজের বিয়ের সময় কতো লেইট করে ( মুন)

কথাটি শুনে সবাই হেঁসে উঠলো। আদ্রিতার মা আদ্রিতাকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে বললো,

আদ্রিতা এই ড্রেসটি কবে কিনলি?( আদ্রিতার মা)

আদ্রিতার মার কথা শুনে আদ্রিতা চমকে উঠলো। আমতা আমতা করে বললো,

কিছুদিন আগেই কিনেছি। কিন্তু তোমাকে বলতে ভুলে গিয়েছিলাম। (আদ্রিতা)

ও আচ্ছা। ( আদ্রিতার মা)

আদ্রিতার খালু এসে বললো,

আর কতো দেড়ি বের হও সবাই।( আদ্রিতার খালু)

সবাই আস্তে আস্তে বেরিয়ে পড়লো। আদ্রিতা আর মুন বসে বসে গল্প করছে বাকিরা ও নিজের মতো গল্প করে যাচ্ছে। দু’টি গাড়ি বেরিয়েছে সাজ্জাদের বাসায় যাওয়ার জন্য।

**** ৩০ মিনিট পর ****

একে একে সবাই সাজ্জাদের বাসায় ডুকলো। আদ্রিতার বড় চাচা সাজ্জাদের বাবার সাথে কথা বলছে। বাকিরা প্রবেশ করার পর আদ্রিতা প্রবেশ করলো,

কেমন আছিছ মা?,( সাজ্জাদের মা)
আলহামদুলিল্লাহ ভালো, আপনি কেমন আছেন?(আদ্রিতা)

এমন সময় আদ্র বাইরে গেটে আসলো। আদ্রিতাকে দেখে এক মুহূর্তের জন্য থমকে গেলো। আদ্র মনে মনে চিন্তা করতে লাগলো হলুদ ড্রেসে ও কি মানুষকে এতো সুন্দর লাগে? আদ্রর তাকানোতে আদ্রিতা কেমন জানি লাগছিলো। আদ্রিতা বলে উঠলো,

আন্টি আমি ভিতরে যাচ্ছি ( আদ্রিতা)

আরে মিস বকবক দাঁড়ান আপনার সাথে ত কথাই হলো না। ( আদ্র)

আদ্রিতা বিরক্ত হলো কিন্তু সেসময় দেখলো সাজ্জাদ এদিকে ফোনে কথা বলতে বলতে আসছে। তা দেখে আদ্রিতা মনে মনে বললো এইবার দেখবেন মিঃ সাজ্জাদ আদ্রিতার খেলা আমার সাথে নাটক করে আমার বোনকে বিয়ে করা। এখন দেখেন আপনার সামনে আমি কিভাবে অন্য ছেলেদের সাথে ঘুরি কথাটি বলে আদ্রিতা মুচকি হাসলো

আরে মিস বকবক কিছু বলছেন না যে? ( আদ্র)

হ্যাঁ বলুন কি বলবো ( আদ্রিতা)

আপনাকে কিন্তু আজ ভিশন সুন্দর লাগছে যে কোনো ছেলে দোখলে ক্রাশ খাবে ( আদ্র)

সাজ্জাদ ফোনে কথা বলতে বলতে আদ্রিতাকে ক্রস করে যাচ্ছিলো কিন্তু আদ্রর কথাটি শুনে সাজ্জাদ থমকে দাঁড়ালো। আদ্রিতার চোখের দিকে তাকালো। আদ্রিতা ও সাজ্জাদের দিকে তাকালো…….
#অজানা_অনুভূতি
#পর্বঃ ৪১
#লেখিকাঃ আদ্রিতা খান অদ্রি

আদ্রিতা সাজ্জাদকে থেকে চোখ ফিরিয়ে নিলো। হেঁসে আদ্রর উদ্দেশ্য বললো,

তাই বুঝি আমাকে দেখলে কি যে কেউ ক্রাশ খাবে?( আদ্রিতা)

হুম আজকে আপনাকে যে সুন্দর লাগছে বলার বাইরে।( আদ্র)

তা আপনি ও বুঝি আমার উপর ক্রাশ খেয়েছেন?( আদ্রিতা)

হুম একটু তো খেয়েছি। কথাটি শুনে আদ্রিতা হেসে উঠলো। পাশে দাঁড়িয়ে সাজ্জাদ সব কথা শুনছে নাগে হাতের রগ গুলো যেনো বেরিয়ে আসছে। আদ্রিতা আবার আদ্রর উদ্দেশ্য বলে মনে,

আচ্ছা আমি ভিতরে যাচ্ছি কথাটি বলে আদ্রিতা চলে গেলো। সাজ্জাদ তখন ও সেখানে দাঁড়িয়ে আছে। আদ্র সাজ্জাদের উদ্দেশ্য বলে উঠলো,

ব্রো তোর শালিকা কিন্তু সেই খুব সুন্দর আমার পছন্দ হয়েছে ( আদ্র)

সাজ্জাদ চমকে উঠলো। আদ্রকে নিয়ে এই ভয়টি পাচ্ছিলো। সাজ্জাদ জিজ্ঞেস করলো,

পছন্দ হয়েছে মানে? ( সাজ্জাদ)

আমার গার্লফ্রেন্ড বানাবো ( আদ্র)

তোর না কত কত গার্লফ্রেন্ড আছে? ( সাজ্জাদ)

হুম আছে কিন্তু আদ্রিতার মতো নেই কথাটি বলে আদ্র চলে গেলো। সাজ্জাদের ইচ্ছে হচ্ছে আদ্রিতাকে খু*ন করে ফেলতে এই জন্যই সাজ্জাদ চাইতো না যেনো আদ্রিতা আদ্রর সাথে মিশুক।

বাইরে দাঁড়িয়ে কি ভাবছিছ? ( স্বাধীন)

কিছু না ( সাজ্জাদ)

ভিতরে চল একটু পর অনুষ্ঠান শুরু হবে ( স্বাধীন)

হুম চল ( সাজ্জাদ)

সাজ্জাদ আর স্বাধীন ভিতরে চলে গেলো। সাজ্জাদ গিয়ে স্টেজে বসলো। স্বাধীন ও সাজ্জাদের পাশে বসলো। হলুদের অনুষ্ঠান শুরু হলো। একে একে সবাই সাজ্জাদকে হলুদ দিতে থাকলো। পাশে স্বাধীন বসে থাকায় মাঝে মধ্যে দুষ্টামি করে স্বাধীনকে ও হলুদ দিয়ে দিচ্ছে। আদ্রিতা নিরবে সব দেখে যাচ্ছে। সামনা সামনি যতই শক্ত থাকুক ভিতরে ভিতরে ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে। আদো ও কি ভালোবাসার মানুষটির সাথে অন্য কাউকে সহ্য করা যায় আদ্রিতা আনমনে বলে উঠলো,
আপনি আমার না হওয়া এক সুখ!🖤 তখন সাজ্জাদের মা আসলো,

কিরে তুই এখানে দাঁড়িয়ে আছিছ কেনো? সবাই দেখ ওখানে কতো মজা করছে তুই ও যা। ( সাজ্জাদের মা)

হ্যাঁ আন্টি যাচ্ছি। ( আদ্রিতা)

কথাটি বলে যেখানে সাজ্জাদকে হলুদ দেওয়া হচ্ছিল সেখানে গিয়ে দাঁড়ালো। আদ্রিতার চোখ দুটি ভিজে উঠেছে। সাজ্জাদের চোখজোড়া ও এতোক্ষণ আদ্রিতাকেই খুঁজে চলেছিলো। এতক্ষণ পর আদ্রিতাকে দেখে স্বস্তির নিশ্বাস ফেললো।

আরে মিস বকবক একা দাঁড়িয়ে যে? ( আদ্র)

না এমনিই দাঁড়িয়ে আছি ( আদ্রিতা)

কেনো জানি মনে হচ্ছে মন খারাপ? ( আদ্র)

আদ্রিতা হাসলো।

আচ্ছা মিস বকবক আপনি কাউকে ভালোবাসেন?( আদ্র)

না কিন্তু কেনো? ( আদ্রিতা)

না এমনই ( আদ্র)

এরকম আর ও অনেক টুকটাক কথা আদ্রিতা আর আদ্র বলে যাচ্ছে। আদ্র বরাবরই একজন রসিক মানুষ। তাই আদ্রর কথায় বারবার আদ্রিতা হেঁসে উঠছে। সাজ্জাদ বিষয়টি লক্ষ্য করছে আর রাগে শেষ হয়ে যাচ্ছে। স্বাধীন ও বিষয়টি খেয়াল করেছে। স্বাধীন একটু দুষ্টুমি করে সাজ্জাদের উদ্দেশ্য বললো,

আদ্রিতা আর আদ্রকে কিন্তু এক সাথে ভালোই মানাবে। আবার দেখ নামে ও কতো মিল। আদ্রিতার মধ্যেই যেন আদ্র বিরাজ করছে। তোর শালিকা হিসেবে তোর দায়িত্ব ভালো ছেলে দেখে আদ্রিতাকে বিয়ে দিয়ে দেওয়া। ( স্বাধীন)

সাজ্জাদ কড়া চোখে তাকালো স্বাধীনের দিকে। স্বাধীন চুপ হয়ে গেলো। আদ্রিতা বেশি বাড় বেড়েছে হারে হারে টের পাবে। সাজ্জাদ মনে মনে কথাটি বললো। আদ্রিতা আর আদ্র কথা বলছিলো তখন সেখানে আদ্রিতার মা আসলো। আদ্রিতার উদ্দেশ্য বললো,

মা তুই ও যা সাজ্জাদকে হলুদ দিয়ে আয় (সাজ্জাদের মা)

হ্যাঁ মিস বকবক চলো যাই ( আদ্র)

তারপর আদ্রিতা আর আদ্র একসাথে সাজ্জাদের সামনে আসলো সাজ্জাদেকে হলুদ দিতে। সাজ্জাদ আদ্রর উদ্দেশ্য বলে উঠলো,

বাইরে গিয়ে দেখ তো সব গেস্টরা খেতে বসেছে নাকি। সব ঠিক মতো কি হচ্ছে? নাকি কারোর সমস্যা হচ্ছে একটু যেয়ে দেখ ( সাজ্জাদ)

ওকে ব্রো যাচ্ছি। মিস বকবক গেলাম ( আদ্র)

আদ্রিতা হেঁসে আদ্রকে বিদায় জানালো।

আরে তুমি এতোক্ষণ কোথায় ছিলে? ( স্বাধীন)

ভাইয়া আদ্র ভাইয়ার সাথে ছিলাম ( আদ্রিতা)

ও আচ্ছা সাজ্জাদকে হলুদ লাগিয়ে দেও ( স্বাধীন)

ভাইয়া আপনার ও না কয়দিন পর বিয়ে? আপনাকে হলুদ দিয়ে দিচ্ছি কথাটি বলে আদ্রিতা স্বাধীনের গায়ে হলুদ দিয়ে দিলো।

আরে আরে আমার বিয়ের দেড়ি আছে সাজ্জাদের কালকে বিয়ে সাজ্জাদকে আগে হলুদ দিয়ে দেও।( স্বাধীন)

আদ্রিতা সাজ্জাদের দিকে তাকালো। সাজ্জাদ আগে থেকেই আদ্রিতার দিকে তাকিয়ে আছে। কোনোমতে আদ্রিতার পক্ষে সম্ভব না। সাজ্জাদকে হলুদ দিয়ে দেওয়া।

ভাইয়া আপনি সাজ্জাদ ভাইয়াকে হলুদ দিয়ে দিয়েন আমি পারবো না। ( আদ্রিতা)

কথাটি বলে আদ্রিতা দৌঁড়ে ছাদ থেকে নিচে নেমে গেলো।

মেয়েটা শুধু শুধু কষ্ট পাচ্ছে। ( স্বাধীন)

আর এক দিন বাকি। ( সাজ্জাদ)

একটা কাজ কর তুই ওকে একটু হলুদ দিয়ে দে। না হলে তোর দেওয়ার আগে আদ্র ওকে হলুদ দিয়ে দিবে। সেটা মনে হয় তোর ভালো লাগবে না? ( স্বাধীন)

কিন্তু এখন কিভাবে যাবো? ( সাজ্জাদ)

আরে তুই যা আমি এখানে সামলে নিবো। ( স্বাধীন)

আচ্ছা আমি নিচে যাচ্ছি। ( সাজ্জাদ)

*****

আদ্রিতাদের বাড়িতে এখন মানুষ জন কম। বেশিরভাগ মানুষ সাজ্জাদের বাসায়। সামিরা নিরবে তার রুমে বসে আছে আর চোখের জল বিসর্জন করছে। সামিরার আর একটি অভ্যাস হচ্ছে ডায়েরি লেখা। সামিরা ভাবছে ডায়েরিটি কি পুড়ে ফেলবে নাকি? কারণ এখানে সামিরার সব মনে কথা লেখা আছে। আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবছে। কেনো এক অজানা অনুভূতিতে আটকা পড়লো?

******

বস কালকে মেডামের বোনের বিয়ে সাজ্জাদের সাথে। ( মিন্টু)

গ্রেট। এটাই চেয়েছিলাম আদ্রিতার রাইফ থেকে যেনো সাজ্জাদ চলে যায়। (S.R)

বস আপনি কখন আসবেন? ( মিন্টু)

কালকে আসতে আসতে রাত হবে। (S.R)

ওকে বস আমরা অপেক্ষায় থাকবো। ( মিন্টু)

দেশে ফিরেই আদ্রিতাকে তুলে নিয়ে আসবো। আদ্রিতা শুধু আমার। ওর উপর আর কারোর অধিকার নেই। তুই আমাদের লোকদের রেডি থাকতে বলিছ। (S.R)

ওকে বস ( মিন্টু)

একদিকে সাজ্জাদ নিজের বউয়ের সাথে থাকবে। অন্যদিকে আদ্রিতাকে আমি আমার করে নিবো। ( S.R)

ওকে বস। আমরা সব কাজ কমপ্লিট করে রাখবো। আপনি চিন্তা করবেন না। ( মিন্টু)

ওকে (S.R)

কথাটি বলে S.R ফোন রেখে দিলো। মিন্টু হচ্ছে S.R এর লোক।

******

সাজ্জাদ নিচে নেমে আসলো দেখতে৷ পারলো আদ্রিতা বারান্দায় হেঁটে যাচ্ছে শুধু শুধু একবার এপার থেকে ওপার আবার ওপার থেকে এপার। সাজ্জাদ আস্তে করে সাজ্জাদের রুমে ডুকলো। আদ্রিতা হেঁটে যাওয়ার সময় টান মেরে আদ্রিতাকে নিজের রুমের ভিতর নিয়ে নিলো।

কি করছেন ছাড়ুননন ( আদ্রিতা)

ছাড়ার জন্য ধরেছি নাকি? ( সাজ্জাদ)

সাজ্জাদ রুমের দরজা আঁটকে দিলো।

কোন সাহসে আপনি দরজা আটকালেন? বাড়ি ভর্তি মানুষ কেউ দেখে ফেললে উল্টা পাল্টা ভাববে। দয়া করে দরজা খুলুন ( আদ্রিতা)

দেখুক সমস্যা কি? ( সাজ্জাদ)

লজ্জা করে না আপনার? আমার বোনের সাথে বিয়ে হবে তা শর্তে ও আমার সাথে অ*সভ্যতামী করেন দরজা খুলুন বলছি। ( আদ্রিতা)

কথাটি বলে আদ্রিতা দরজা খুলতে গেলে। সাজ্জাদ আদ্রিতাকে দেয়ালের সাথে চেঁপে ধরে।

না লজ্জা করে না। আর কি বললে অসভ্যতামী করেছি? এখন দেখবে অসভ্যতামী কাকে বলে। ( সাজ্জাদ)

কথাটি বলে সাজ্জাদ লেহেঙ্গার উপর দিয়ে আদ্রিতার উন্মুক্ত পেটে হাত দেয়। আদ্রিতার গলায় নিজের ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়। আদ্রিতা কেঁপে উঠে স্পর্শে……….

#চলবে

[ একটু রোমান্টিক করবো ভাবছি 🫣 ]
#চলবে

[ আদ্রর সাথে মিলে সাজ্জাদকে একটু জ্বালাবো ভাবছি 🤭 আচ্ছা সাজ্জাদ যদি আদ্রিতাকে হলুদ লাগিয়ে দেয় ব্যাপারটা তাহলে কেমন হবে? 🫣 ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here