My vampire lover comes again part 8+9

#My vampire lover comes again

#এসেছি ফিরে তোমারই ডার্ক প্রিন্স

#লেখিকা_তামান্না
#পার্ট_08

ইরিন অফিসে এসেই সামনে মেনেজারকে আসতে দেখে মনে মনে বলে…

—“আল্লাহ উগান্ডার চামচা আসতেছে। এখন নিশ্চিত বকাবকির বন্যা শুরু করবে। এক তো বস আরেক তো মেনেজার(মুখ বাঁকিয়ে)।

ইরিন মাথা নিচু করে নিজের মুখ ঢেকে রেখে সামনে যেতেই…

—“এক্সকিউজ মি মিস ইরিন (মেনেজার)

—” ইয়েস স্যার । ( উনার দিকে তাকিয়ে হাসার ট্রাই করে)

—“এভাবে লুকিয়ে যাওয়ার দরকার নেই আমি বুঝে গিয়েছি যে আপনিই আসলেন। (মুচকি হেসে কিছুটা রেগে)

—“জী আসলে আমি…….

ইরিনকে আর কিছু বলতে না দিয়ে মেনেজার বলেন —“আপনি এখনই সিরাত স্যার এর কেবিনে যান। উনি আপনার উপর খুব কেঁপে আছেন। সো এভাবে আর দাঁড়িয়ে না থেকে যান। ( আহ্লাদী কণ্ঠে)

মেনেজার সেখান থেকে চলে যান নিজের কাজে। ইরিন দৌড়ে নিজের কেবিনে এসে ব্যাগ টেবিলের উপর রেখে ড্রয়ার থেকে মিটিং এর সব ফাইল বের করে ডেইট অনুযায়ী সব সমান করে হাতে নেই।

—“আজকে দেখাই দেবো আমিও পারি। কোজ আইম ইরিন (মুচকি হেসে)

ইরিন সিরাত এর রুমের বাইরে এসে দাঁড়িয়ে নিজেকে নিজে বলে—“স্যার আসি”…না হয় নি। “স্যার সরি আমি আসতে লেইট করলাম তার জন্যে”….. না না ধুর হয় নি। উফফ এতো নাভার্স কেন লাগতেছে স্যারই তো উল্লুক না? (সাহস জোগানো চেষ্টা করে)

__________________

সিরাত কেবিনের মধ্যে সব ফাইল চেক আউট করে নেয় লেপটপের মধ্যে আর ভেবে নেয়। হয়তো আজ ইরিন আসবে না। এর জন্য তাকেই প্রেজেন্টেশন এর সব কাজ করতে হবে। সে সব ফাইল দেখে নে ভালো করে। সে হাতে ফাইল নিয়ে তা দেখে দেখেই আরেক হাত দিয়ে দরজা খুলে বেরিয়ে যেতেই কারো সাথে ধাক্কা লেগে সব ফাইল পড়ে যায়।

সিরাত কার সাথে ধাক্কা খেলো তাকে না দেখে ফাইল গুলো গুছাতে লাগলো।

—“Sir can i help you? (সিরাতের কাছে কিছুটা ঝুঁকে ইরিন বললো)

— “No, thanks” এখন দেরি না করে তাড়াতাড়ি মিটিং রুমে আসো।

ইরিন চোখ বড় বড় করে সিরাতের দিকে তাকালো। কিন্তু সিরাত তাতে মাথা না ঘামিয়ে ফাইলগুলো নিয়ে ইরিন এর হাত ধরে মিটিং রুমের সামনে এনে সব ফাইল তার হাতে দিয়ে বলে।

—“সব ফাইল এ প্রেজেন্টেশন এর ডিটেলস আছে। আজকের মিটিং তুমি করবা। সো গেট রেডি মিস ইরিন। (কিছু টা রাগী সুরে)

ইরিন একবার ফাইলগুলোর দিকে তাকিয়ে সিরাত এর দিকে তাকায়। সে আমতা আমতা করে বলে।

–স…স্যার আ..আমি তো নতুন। আমি…..

—“ওয়াট কি বললে নতুন? Are you crazy? তোমার এই অফিসে প্রায় তিন সপ্তাহ ওও না এক মাস পূর্ণ হয়ে গেলো। তুমি হয়তো এসব খেয়াল করো না কিন্তু আমি অফিসের বস এসবের ব্যাপারে খেয়াল রাখতে আমি খুব পাকা। সো বাহানা না খুঁজে সুন্দর করে যাও আর প্রেজেন্টেশন দেখাও।

সিরাত ইরিন কে সেখানে ফেলে মিটিং রুমে ঢুকেন আর মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্ট এর সামনে এসে আনাউন্স করে।

— “Everyone welcome in my Hossain industrie. So today’s project can show my assistant Ms.Irin.”

ইরিন রুমের বাইরে সিরাতকে গালিগালাজ করতে থাকে। সে মনে মনে বলে…..

—“শালা বেদ্দপ কোথাকার উগান্ডায় উস্কানি দিয়ে পাঠাবো। পাইছিস কি আমাকে? হাতের পুতুল লাগি নাকি ? (রাগে নাক লাল করে ঠোঁট উল্টিয়ে )

যখন সে শুনলো রুমের ভেতর থেকে তাকে ডাকা হচ্ছে সে এক দুই বার শুকনো ঢোক গিললো আর মনে মনে বলতে থাকে।

—“ইয়া আল্লাহ প্লিজ এবারের মতোও মানসম্মান রাখিও। আমি সত্যি লন্ডনের যেখানেই ফকির পাবো একশ টাকা দিয়ে দেবো ধুর বাংলাদেশে এনা টাকা এখানের তো ফাউলমার্কা নাম কি যেনো? ওওও হ্যাঁ পাউন্ড স্টালিং। ইয়া আল্লাহ প্লিজ প্লিজ রহম করো তোমার এই বান্দীর উপর।

রুম থেকে সিরাত এবার কঠোর গলায় ডাক দেয়।

ইরিন ভয়ে কেঁপে উঠে। সে দরজা খুলতেই যারা পুরুষ ক্লাইন্ট তারা চোখজোড়া গোল গোল করে তার দিকে তাকায়। যা সিরাত এর নজর এরায় নি। ইরিন পুরুষ ক্লাইন্টদের এভাবে তাকিয়ে তাকতে দেখে কিছুটা আনকম্পোর্ট ফিল করে। তার হাত যেনো মুহুর্তেই কাঁপতে লাগে।

সিরাত ইরিন এর অবস্থা বুঝতে পারছে। সে ক্লাইন্টদের দিকে না তাকিয়ে প্রেজেন্টেশন এর দিকে তাকিয়ে বলে।

—“If anyone doesn’t interest in this meeting, he will leave now. Otherwise i will take steps.”

সিরাত এর কথা শুনে সবাই ভয়ে নিজেদের নজর তার দিকে করে ফেলে। ইরিন কিছুটা খুশি হয় কিন্তু তাও তার ভয়ের সীমা বাড়ছে যতোই সে প্রেজেন্টেশন দেখানো বুঝানো স্টাট করে। কিন্তুু পরক্ষণেই ভয়টা মিটে যায়।

প্রায় এিশ মিনিট মিটিং চললো। ইরিন সব ডিটেলস ঠিকভাবে বুঝিয়ে বলে।

—“Now all of you guys say how was our project show in your mind??”

সিরাত এক হাত গালে রেখে চেয়ারে হেলান দিয়ে সবার দিকে তাকায়। সবাই দাঁড়িয়ে হাত তালি দিয়ে শুভকামনা জানায়। সিরাত ইরিন এর কাজে ইম্প্রেসড হয়ে যায়। মনে মনে বলে।

—“Nice so much nice…(মুচকি হেসে)

মিটিং শেষ হলেই সবাই বেরিয়ে গেলে ইরিনও ফাইলগুলো গুছিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিলো তখনই সিরাত তাকে থামিয়ে দিলো। আর বললো…

—“ওয়েট একজন ক্লাইন্ট আমাদের সাথে কাজ করবে তাকে সব বুঝিয়ে দিতে হবে কাজটা তোমার। (শান্ত কণ্ঠে)

সিরাত উচ্চ গলায় ডাক দেয়। রুমের বাহির থেকে দরজা খুলে ভেতরে আসলো এক শার্ট জিন্স টাই পরা এক স্টাইলিস মেয়ে চোখে সানগ্লাস পড়া। ইরিন সিরাত এর থেকে কিছু জিগ্গেস করতে যাবে তার আগেই….

—“লামিয়া মিস লামিয়া দ্যা বিজনেস গার্ল ইন লন্ডন।

ইরিন চোখজোড়া বড় করে লামিয়ার কথা শুনে সাথে সাথেই তাকে জড়িয়ে ধরে। সিরাত দুইজনকে এভাবে দেখে মুচকি হেসে বলে—“সো গার্লস কাজে লেগে পড়েন বাকি কথা পড়েও হবে।

সিরাত বের হয়ে নিজের কেবিনে চলে যায়।

________________

—‘ মহাশয় আপনি বলুন ছেলেটার শরীরের রক্ত ঢেলে আপনাকে দেবো নাকি আপনিই তাকে খাবেন?

—“আমিই খাবো আমার শিকারীকে আমি খাবো না এটা কি করে হয়। ফাদে পা রেখেছে এই মানুষ জাতি। তাদের শরীরের সুস্বাদু রক্ত ইয়ামম। সুবাস ও যে কতো ধারুণ।
নিয়ে আয় ছেলেটাকে । (কঠোর তৃষ্ণা কণ্ঠে)

এলেজ তার সম্রাট কেনেল এর কথায় নিজের মাথা নাড়িয়ে ছেলেটা কে কারাগার থেকে ধরে আনলো। ছেলেটার চোখে কাপড় বাঁধা ছিলো। যার কারণে সে কাউকে দেখতে পারছে না। সে চিৎকার দিয়ে হেল্প করতে বলে তাকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করে।

কিন্তু সম্রাট কেনেল তার কথা না শুনে সে তার সহকর্মী এলেজকে ছেলেটার চোখ থেকে কাপড় খুলার আদেশ দেই সাথে এলেজ কে দূরে যেয়ে দাঁড়াতে বলে।

এলেজ কেনেল এর কথা মতো করে কিছুটা দূরে দাঁড়ালো। ছেলেটা সবাইকে দেখে হতভম্ব হয়ে যায় সাথে ভয় পেয়ে মাফ চাই। তখন কেনেল দৃশ্যটা হাস্যকর করার জন্যে উচ্চ গলায় গর্জন দিয়ে উঠে। ছেলেটা ভয়ে নিজের কান চেপে ধরে থামতে বলে। কেনেল থেমে যায়। এলেজ ছেলেটার দিকে আগাতে চাইলে কেনেল হাত দেখিয়ে থামিয়ে দেয়। সে বসা থেকে উঠে ছেলেটার কাছে এসে বলে….

—“what’s your name?(শান্ত কণ্ঠে )

—“My name is Jack.A……And y…you?(ভয়ে কেঁপে কেঁপে)

—“Im Kenel.

ছেলেটা কেনেলের চোখের দিকে তাকাতেই তার চোখে সব অন্ধকার দেখা দিতে লাগে। সে তলিয়ে যেতে লাগে ঘুমের দেশে। কিন্তু কেনেল ছেলেটার সেই ঘুমের দেশে পাড়ি দেওয়াটা সহজ করে দেয়। সে তার বড়োজোরো দুই দাঁত গালের মধ্যে থেকে বের করে সাথে সাথে বসিয়ে দে ছেলেটার গলায়।

এতে ছেলেটার সব রক্ত কেনেল খেয়ে ছেলেটাকে উঠিয়ে আগুনে ফেলে দে। এলেজ এসে একটা তোয়াল তার হাতে দে। কেনেল মুখ মুছে আয়নার সামনে দাঁড়ায়।

কেনেল চোখবন্ধ করে হুট করে চোখ খুলে জোরে গর্জন দে। এতে তার শরীরের শক্তি একএে এসে তার হাতের বাহুডোরা ফুলে উঠে। তার লোমগুলো বড় হয়ে যায়, চোখের মণিগুলো হলুদে পরিণত হয়, গালের দুইদিক দিয়ে দুইটা বড় দাঁত বেরিয়ে আসে। সে তড়িঘড়ি জানালার সামনে এসে চাঁদের দিকে তাকিয়ে আউউউউউউউউউ চিৎকার দেয়।

তার চিৎকার শুনে পুরো সম্রাট কেনেল এর বাংলো তে সকল রক্তশোষক পিশাচ তাদের রুপে পরিণত হয়ে একসাথে গর্জন দে।

সম্রাট কেনেল ধীরে ধীরে নিজের শক্তি কাবুতে এনে ধপাস করে বেডের উপর শুয়ে পড়ে। আর মনে মনে বলে…..

—-“অপেক্ষা অপেক্ষার প্রহর খুবই ফুরিয়ে আসছে। সাত বছর ধরে চলা ভালোবাসা নামক বিষাক্ত আগুনে পুড়ে যাচ্ছি। কবে কবে? বেডের বালিশ শক্ত করে চেপে অর্ধেক ছিড়ে টুকরা টুকরা করে দেয়।

—“না কবে আসবি তোরাএএএএ। তুই আর তোর এই প্রিয়সী। (সামনে থাকা দুইজনের ছবির দিকে তাকিয়ে) তোদের রক্ত সাধআঞ্জলা আগুনের মধ্যে ঢেলে আমি অর্জন করবোই মহাবিশ্ব নিয়ন্ত্রণকারী সাত আসমানের তৈরি মুনস্টোন। তোদের তো আসতেই হবে না হলে আমি নিজেই খুঁজে বের করবো হাহাহাহাহা!
#My vampire lover comes again

#এসেছি ফিরে তোমারই ডার্ক প্রিন্স

#লেখিকা_তামান্না
#বোনাস_পার্ট

–“আহা আমি সুবাস পাচ্ছি সেই শরীরের যার সুবাসের জন্যে আমি সাত সাত বছর ধরে অপেক্ষা করেছি। জোরে দেওয়ালে ঘুষি মেরে নিজের রক্ত ঝড়াতে লাগে।

এলেজ চোখজোড়া সরু করে সম্রাট কেনেল এর দিকে তাকিয়ে আছে।

কেনেল তার বেডের পাশে এসে দেওয়ালে ঠাঙ্গানো নিজের ছবির ফ্রেমে স্পর্শ করে। হুঠাৎ করেই দেওয়াল ফাঁকা হয়ে গেলো। সে সেখানে ডুকে সামনে যেতে থাকে। এলেজ ও তার পিছু নে।

কেনেল আর এলেজ এসেই সামনে দেখতে পাই ফুটন্ত গরম লাভা এক বড় ধাবানল এর মতো প্রবাহিত হচ্ছে একগোল আগুনের চক্রে। এলেজ চোখজোড়া বড় বড় করে কেনেল এর দিকে তাকিয়ে বললো।

–“মহাশয় এ….এই আগুনের গোলা তো সে..সেই আগুনের গোলচক্র…..এলেজকে কিছু বলতে না দিয়ে কেনেল নিজেই বলতে শুরু করে.

–“হ্যাঁ এইটা সেইই আগুনের গোলা যেখানে যেখানেএএএএএ। জোরে সেই আগুনের গোলার পাশে এসে রেলিং চেপে ধরলো। যেখানে আমার অরনি ধেবে গিয়েছিলো শুধু ঐ পিশাচ খোর বিষাক্ত হত্যাকারী পিশাচরাজ এর কারণে । আমার অরনি কে কেড়ে নিলো আমার থেকে। ন্যাকা কান্না করে বলতে লাগলো।

এলেজ শুনে নিজের মাথা নাড়িয়ে –“জ্বী মহাশয় সেদিন যদি পিশাচরাজ শ্রেয় আপনার আর অরিন সাহেবার মাঝে না আসতো তবে আজ সাহেবা আপনার কাছে থাকতো। কিন্তু রাজশ্রেয় কিভাবে…..

–“হা…হাহ কিভাবে আর পিশাচরাজ সে। আমি তো কিছুই না। তবে আমিই তাকে পরাজয় করিয়ে ছিলাম। এই তলোয়ার দিয়েই তার পেটে আঘাত করে ছিলাম।

কেনেল সেখানে রাখা বিভিন্ন অস্ত্র এর মাঝ থেকে কাঁচের তৈরি এক বক্সে বিরাট আকারে ধারালো একটা বড় তলোয়ার রাখা ছিলো। কেনেল সেটা হাত নিয়ে বললো।

–“পিশাচরাজ তুই এবার আমার অরনি কে কেড়ে নিতে পারবি না। তোকে আমাদের মাঝে আসতেই দেবো না। নেভারররররর। গর্জন দিয়ে তলোয়ারটা দিয়ে পাশে থাকা কঙ্কালের হাড্ডিগুলোর উপরে আঘাত করে। হাড্ডিগুলো টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙ্গে আগুনের গোলার উপর পড়তে লাগে।

কেনেল সেখান থেকে সরে আসতেই আগুনের গোলার লাভা ডুক করে উঠলো। বিকট শব্দে কেনেল থেমে পিছে ঘুরে তাকায়। সে ধীর পায়ে হেঁটে আগুনের গোলার কাছে এসে দেখতে পাই।

আগুনের গোলার মাঝে লাভাগুলো ফাঁকা হয়ে গর্তের মতো হয়ে আছে। মাঝখানে তার হাতের রক্তের বিন্দুগুলো। সে এই দৃশ্য দেখে শয়তানি হাসি দিতে লাগলো। খুশিতে সে এলেজ এর দিকে তাকিয়ে বলে…

–“এখনই আমার রক্তের বোতলটা আনো কুইক! চোখজোড়া বড় বড় করে সে লাভাগুলোর দিকে তাকিয়ে আছে। সে এই দৃশ্যটা দেখে ভাবতে লাগে।

–“কতো কাট পুড়িয়েছি এই পাচঁবছর ধরে। অরিন এর পুর্নজন্ম হবে হবে জেনেও যেনো অজানা ছিলো। সবকিছু আমার চোখের সামনে থেকেও যেনো আমি অন্ধ ছিলাম। এই আগুনের গোলার মধ্যে কতো মানুষের রক্ত ফালাচ্ছি। মনে মনে হংকার দিয়ে।

কিন্তু সফলতা না পেয়ে ব্যর্থ হয়েছি। অরিন কোথায় জানার একমাএ উপায় এই আগুনের গোলা। এবার তুমি আমার হবে অরিন আমার। ব্যস একবার আমাদের পথের কাটাগুলোকে সরিয়ে দেয় তারপর আমি হবো এই মহাবিশ্বের একমাএ পিশাচরাজ হাহাহা।”

________

সিরাত কপি ক্যাফের মধ্যে এসে এক ক্লাইন্টের সাথে মিটিং এটেন্ট করেছে। সে তাদের কে অফিসের প্রডাক্টগুলো সচল হওয়ার ব্যাপারে বিশেষভাবে বক্তব্যে দিচ্ছে। সবার মাঝেই হুট করে এক মেয়ে দাঁড়িয়ে বলতে লাগলো।

–“সবগুলো তো ঠিকভাবেই বুঝেছি তবে ভালোবাসাটা কবে বুঝাবে তুমি। সে নিজের চোখজোড়া সিরাত এর দিকে স্থির রেখে ঠোঁটে এক বিকট হাসির রেখা টেনে গম্ভীর দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে।

সিরাত মেয়েটার কথায় তার দিকে তাকিয়ে আবারো চোখ ঘুরিয়ে নেয়। সে নিজের চোখজোড়া ফাইলের দিকে রেখেই গম্ভীর ভাবে বলে উঠে…

–“এটা আমার অফিসের ক্যাফ ডিসকাশন প্লেস। কোনো থার্ড পার্সন এতে নাক ডুকালে আমি তা একদমই পছন্দ করবো না। So you may leave!

মেয়েটা রাগে ফসতে ফসতে সেখানে থেকে বেরিয়ে যেতে গিয়েই হঠাৎ পিছে ঘুরে সিরাতের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলে…

–“যাচ্ছি না আমি কোথাও তোমার থেকে সব সুদ নেবো। সময় আসতে দাও শুধু। We will take our revenge.

মেয়েটা শয়তানি হেসে বের হয়ে রোদের সামনে আসতেই কে যেনো তার হাত ধরে টান দিয়ে গাড়ির মধ্যে বসিয়ে নে। মেয়েটা জট করে নিজের আসল রুপে চলে আসতেই সে পাশ ঘুরে দেখে তার পাশে এলেজ বসা।

–“তুই এখানে কি? মানুষজাতির দুনিয়ায় আসা তোদের জন্যে বারণ। আর তোরা এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেছিস? গম্ভীর কণ্ঠে রাগে বললো।

–“আমি যদি অমান্য করি তুইও সমান ভাগীদার। তুইও এই দুনিয়ায় এসে পিশাচ বংশের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেছিস। শয়তানি হাসি দিয়ে সে নিজের শার্টের কলার ঠিক করতে লাগলো।

–“আমি এখানে শুধু আমার পিশাচরাজ কে খুঁজতে এসেছিস নাথিং এলস। পিশাচরাজ কে খুঁজতে হলে আমার এই নবাবজাদা কে যেকোনো মূল্যে চাই এই চাই। এই নবাবজাদা সিরাতই আমাকে আমার পিশাচরাজ এর কাছে নিয়ে যেতে পারবে। ঠোঁটে শয়তানি হাসি হেসে এলেজ এর দিকে তাকিয়ে গাড়িতে হেলান দিলো।

তারা চলে যেতেই হঠাৎ গাড়িটার পাশ দিয়ে ইরিন নিজের স্কুটি নিয়ে পাশ কেটে নিজের বাসার দিকে যেতে লাগে।

ইরিন অফিসে লামিয়ার সাথে সামনের সপ্তাহে হোসেন ইনড্রাসট্রি এর বর্ষবাষিকি উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করার বিষয়ে দুইজন মিলে খুব বিবেচনা করে অনেক ধরনের লিস্ট তৈরি করলো। সেই লিস্টে শহরের বড় বড় বিজনেসম্যানদের নাম লেখে সেট করে অফিসের মেনেজারকে দিলো।

লামিয়া কোমরে হাত রেখে ঠোঁট বাকিঁয়ে ইরিনের দিকে তাকিয়ে বললো..

–“I think function will be arranged very gratefully. Right?

–“ইয়াপ আমিও ভাবি ফাংশনটা যাতে ধামাকা হোক। সেই লেভেলের প্রডাক্ট আমাদের কোম্পানি দিবে। সিরাত স্যারের তো আমাকে মেডেল দেওয়া উচিত। উনার মতো খাম্বা খটাশ সাদা খরগোশের জন্যে এতো বড় স্পেশাল সারপ্রাইজ রেডি করতেছি।
ঠোঁট বাকিঁয়ে ভাব মেরে ইরিন নিজের গলার স্কার্ফ ঠিক করে বললো।

লামিয়া এতোক্ষণ চুপ করে ইরিন এর কথা শুনছিল তবে কিছু বলছিলো না। কারণ তাদের কাজ করা শেষ হলেই সিরাত রুমে আসে। যা ইরিন খেয়াল করেনি। লামিয়া কে অন্যসময় হলে বকবক করা থেকে কেউ স্টপ করাতে পারে না। কিন্তু এখন বেডিটা এতো চুপ কেন? ইরিন ভেবে ভেবে লামিয়ার কাছে এসে কোমরে হাত রেখে বলে..

–“কি রে স্টাচু কেন এভাবে স্টাচু হয়ে আছিস যেনো আমার পিছে অফিসের বাঘ দাড়াঁনো।

লামিয়া শুনে টেডি স্মাইল দিয়ে নিজের মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বলে।

ইরিন এক শুকনো ঢোক গিলে কাঁপাকাঁপা কণ্ঠে বলে–” এ……ভাবে কেন রিয়েক্ট করছিস যে….যেনো আমার পিছে বাঘ…..

ইরিন জট করে পিছে তাকতেই চোখজোড়া বড় করে ফেলে। সে দেখলো সিরাত তার দিকে চোখজোড়া আগুনের মতো লাল করে তাকিয়ে আছে।

–“ইরে আজ পাক্কা মরণ দিন হবে যদি এই সিরাইত্তা কিছু শুনে ফেললে। ইয়া আল্লাহ সব মুসিবত কি আমার উপরই ফেলো।

সিরাত দরজার এখানে দাঁড়িয়েই নিজের সানগ্লাস পড়ে উল্টো দিকে ঘুরে চলে যেতে লাগে আর ভাবতে লাগলো–“আজ ক্যাফে মিটিং আছে বলে তুমি বেঁচে গেলা কিন্তু পরের বার ছাড় নেই। আমি বাঘ তো। এই বাঘটা কি জিনিস পরে বুঝবা!

–“এখন চুপ তারমানে পরে ডেম সিউর বাশঁ দেবে।

ইরিন আর লামিয়া সব প্রজেক্টগুলোর ফাইল ক্লিয়ারলি ঠিকঠাক করে সেভলি ইরিনের কেবিনে এনে রাখে। লামিয়া ইরিন থেকে বিদায় নিয়ে বাসার জন্যে রওনা দে।

ইরিন সব ফাইলগুলো নিজের ড্রয়ারে রেখে তালাবদ্ধ করে কেবিনে তালা দিয়ে বেরিয়ে যায়।

এলেজ সামনে তাকিয়ে থেকেই নিজের নাকে একধরনের অদ্ভূত সুবাস পাই। সে গাড়ির গ্লাস নিচে নামিয়ে এপাশ ওপাশ তাকিয়ে দেখে। কিন্তু কাউকে না পেয়ে সে গ্লাস উঠিয়ে ভাবতে লাগে। এখনই মনে হয়ে ছিলো আমি সাহেবার সুবাস পেয়েছিলাম। তবে কি কেনেল এর বলা কথাগুলো সত্যি? সাহেবার কি পুর্নজন্ম হয়েছে? না তা কিভাবে হবে! নিজ চোখে না দেখে যা তা বিচার করতে পারবো না।

ইরিন বাসায় এসেই বেডে শুতে যাবে তখনই দরজায় বেল বেজে উঠে। সে আওয়াজ শুনে…..এখন কে আসলো? এই সময় তো কেউ আসার কথা না? সে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে সন্ধ্যা হতে চলেছে।

দরজার কাছে এসে সে দরজায় আটকানো গ্লাস দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখে তার ঘরের দরজার বাইরে এক ছোট বক্স রাখা। সে এই দেখে ভাবে এই অসময়ে কেই বা বক্স রেখে গেলো? দরজা খুলবো কি! না বাবা না। এমনেই যতোই অলৌকিক ঘটনা ঘটতেছে আমার সাথে। না জানি বক্সটা যদি কোনো পশু বা মানুষ হয়ে যায়। তখন তো আমার টাই টাই ফিশ হয়ে যাবে। এখনো কতো স্বপ্ন বাকি। ও মাই আল্লাহ প্লিজ সেভ মি।

নিজের বুকের মধ্যে থুথু দিয়ে সে কাঁপাকাঁপা হাতে দরজাটা খুললো। সে অাস্তে আস্তে বাইরে এসে এদিক ওদিক তাকিয়ে বক্সটা হাতে নিলো।

বক্সটা নিয়ে ভেতরে এসে টেবিলের উপর রেখে তা খুলতে যাবে ওমনেই…..

…………..চলবে………….
…………….চলবে…………..

[বিঃদ্র—“সম্রাট কেনেল এসে পড়ছে অপেক্ষা করছে প্রিয়সীর কিন্তু আসল পিশাচ রাজ কি করবে তার কাহিনির মুড়ে ঢুকতে চলেছে। সবাই জানতে পড়তে থাকুন। হেপ্পি রিডিং]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here