তোমায় চেয়েছি পুরোটাই পর্ব -০৯

#তোমায়_চেয়েছি_পুরোটাই
#পার্টঃ৯
#জয়ন্ত_কুমার_জয়

পুরো বাড়িতে লোকজন গিজগিজ করছে।চারিদিকে ডেকোরেশন করার লোকজন হৈচৈ করে সাজাচ্ছে।তাদের তদারকি করছেন মামা।মামার কাছে গিয়ে বললাম

” মামা কেমন আছেন ”

মামা হন্তদন্ত হয়ে বললো ” আমি অত্যাধিক ভালো আছি।মিষ্টি তুমি দেখে বলো তো এই গোলাপ ফুলের তোড়াটা এখানে রাখা কি ঠিক হয়েছে? ”

” সুন্দর’ই তো লাগছে মামা।গোলাপ হলো ভালোবাসার ফুল ”

” ভালোবাসার ফুলে কাঁ’টা থাকলে সেটা ভালোবাসার ফুল হয় কি করে? ভালোবাসার ফুল হতে হবে কা*টাবিহীন,গন্ধহীন ফুল ”

” কা’টাবিহীন বুঝলাম,কিন্তু মামা গন্ধহীন কেন? গন্ধহীন ফুল তো কেউ ভালোবাসে না ”

” এইজন্যই তো আজকাল ভালোবাসা ম*রে গেছে।আমরা ফুলকেও ভালোবাসি যোগ্যতা দেখে।নির্দিষ্ট কোনো কারন নিয়ে ভালোবাসা উচিৎ না বুঝলে মিষ্টি,”

” জি মামা বুঝলাম।আচ্ছা মামা একটা কথা বলি ”

” তারাতারি বলো,অনেক দায়িত্ব আমার ওপর,”

” বাড়িতে আজ কি? এতো সাজানো হচ্ছে কেনো? ”

” কাল আপা,আর দুলাভাই এর বিবাহ বার্ষিকি,শোনা হয়েছে? অনেক কাজ পড়ে আছে মিষ্টি,আমি পরে তোমার সাথে কথা বলবো ”

” আচ্ছা মামা ঠিক আছে ”

মামার যুক্তিতর্ক বরাবর এধরনের। অদ্ভুত অদ্ভুত সব কথা বলে মাথা ঘু*রিয়ে দেন।এখন আমারো মনে হচ্ছে, সত্যিই তো,কাঁ’টাযুক্ত ফুল কেন ভালোবাসার প্রতিক হবে?।তবে মামাকেও একটু কথার প্যাচে ফেললে কেমন হয়?। মামাকে গম্ভীর স্বরে বললাম

” মামা,আপনার ওপর কি অনেক দায়িত্ব? ”

” হ্যা ”

” মামা,কবিরা কিন্তু দায়িত্ব নিতে পারে না,তারা সবকিছুতেই থাকে উদাসীন। তাদের কেনোকিছুতেই যায় আসে না,তারা চলে নিজের মতো,দুনিয়ায় অন্যদের বিষয়ে কি হচ্ছে তা নিয়ে তাদের কোনো মাথা ব্যাথা থাকে না।তাদের মাথা ব্যাথা থাকে প্রকৃতির বিষয়গুলি নিয়ে ”

বলেই সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠলাম।মামাকে খুব গম্ভীর মনে হলো।মামা কি করে সেটা দেখতে ওপর থেকে মামার দিকে চেয়ে রইলাম।মামা কি যেন ভাবলেন,তারপর হাতে থাকা ফুলের ঝুড়িটা নিচে রাখলেন।দুইহাত পেছনে রেখে গাম্ভীর্য নিয়ে নিজের ঘরে চলে গেলেন।আমার জানা মতে মামা আজকে কোনো কাজ করবেন না,তাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হ’য়েছে সেগুলোর কোনোকিছুই তিনি করবেন না।সারাদিন জানালা দিয়ে তাকিয়ে থাকবেন গাছের দিকে।আর কাজের ছেলেটার কাছে বারবার চা চাইবেন।

মামার কর্মকান্ডে আমার হাসি পেয়ে গেলো।হাসতে হাসতে নীলুর ঘরে গেলাম।নীলু বিছানায় শু*য়ে আছে,দরজা খোলা।আমায় দেখে একটু অবাক হয়ে বললো

” কিরে মিষ্টি তুই? এখন? তুই না বললি পড়াতে পারবি না,তোর নিজের পড়ার খুব চাপ? ”

” হ্যা,ভাবলাম বিষন্নেরও তো সামনে পরিক্ষা, এখন মিস দিলে যদি রেজাল্ট খারাপ করে ”

” তোর কথা, কাজ কিছুই বুঝিনা আমি ”

” বুঝতে হবে না,আমি নিজেও বুঝি না কখন কি করি,কেন করি। আচ্ছা আঙ্কেল আন্টির বিবাহ বার্ষিকি আমায় আগে বলিস নি কেন? ”

” আমি তো নিজেও জানতাম না,ভার্সিটি থেকে এসে দেখি মামা হুলুস্থুল কান্ড বেঁধে ফেলেছে।সেসব দেখে মা এসে আমায় বললো

” নীলু,তোর মামাকে একটু বোঝা,আমার এতো আয়োজন করে এসব বার্ষিকি টার্ষিকি পালন করতে ভালোলাগেনা।ল*জ্জায় ম*রে যাই আমি ”

” কিসের ল*জ্জা মা?এইদিন টা তো তোমার জন্য আনন্দের দিন, ল*জ্জার কি আছে? ”

” ঘরে এতো বড় বড় বা*চ্চাকা*চ্চা থাকলে ল*জ্জা করাই স্বাভাবিক, আর তোর মামা এবার কি করেছে জানিস? ব্যান্ড পার্টি নিয়ে এসেছে।আজ সারারাত নাকি ছাঁদে গান বাজনা হবে।এসবের কোনো মানে হয় বলতো? ”

” মামা চান যেন তোমাদের মন আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে থাকুন এই দিনে,তাই এসব করেছে”

” তোর কাছে বলাটাই উচিৎ হয়নি আমার ”

” তাহলে বলো না,এখন কথা বলতে ভালোলাগছে না মা,”

” তা তো লাগবেই না,সারাক্ষণ কি বই পড়িস ওইটা, ”

” এগুলা রোমান্টিক গল্প মা,পড়বে? ”

নীলু ছোট্ট নিশ্বাস ফেললো।নীলুর কথা শুনে আমার যেমন মজা লাগছে তেমনি মনের মধ্যে তীব্র কষ্ট হচ্ছে।আন্টির মতো একটা মা পাওয়া সত্যিই ভাগ্যর বেপার।আমার মা থাকলে তিনিও হয়তো আমার কাছে এসে এভাবে অভিযোগ করতো।নীলু বললো

” কিরে মন খারাপ করলি নাকি? মুখ মলিন করে আছিস যে! ”

” না কিছু না।আমি যাই,”

” আচ্ছা, আর আজ কিন্তু তোর যাওয়া নেই,আজকে তুই থাকবি,রাতে গান বাজনা হবে হৈ হুল্লুড় হবে।তোকে থাকতেই হবে, না করতে পারবি না ”

” তোদের পরিবারের বিষয় এইটা, আমি কেন শুধু শুধু ”

” একথা তে পারলি তুই? ভাগ্যিস মা শুনতে পায় নি,পেলে খুব কষ্ট পেতো। মা তোকে মেয়ের মতো স্নেহ করে,ছোট থেকে তুই এই বাড়িতেই বড় হলি,আর এখন এসব বলছিস? আমিও খুব কষ্ট পাইছি! ”

” আচ্ছা সরি,আমি থাকবো,এখন যাই,”

নীলু কিছু বললো না।বই পড়তে লাগলো।এতো মনোযোগ দিয়ে নীলুকে কখনে বই পড়তে দেখিনি।কি পড়ছে এতো মনোযোগ দিয়ে? ওকে জিগ্যেস করলাম

” এতো মনোযোগ দিয়ে কি বই পড়ছিস ? ”

” রোমান্টিক গল্প,বঙ্কিমচন্দ্রের লেখা ”

” কার লেখা সেটা বুঝতেই পারছি,ঈশা দিয়েছে এটা তাই না? ”

নীলু লজ্জার ভঙ্গিতে হাসলো।তার মানে ঈশাই এই বইটা দিয়েছে।ঈশার দেওয়া বইয়ে কেমন রোমান্টিকতা থাকে সেটা বলার উপেক্ষা রাখে না।

বিষন্ন সামনে ম্যাথের খাতা খুলে দই খাচ্ছে।হাত দিয়ে চু*কচু*ক শব্দ করে খাচ্ছে। ওকে দেখতে একদম বাচ্চা বাচ্চা লাগছে।দই নিয়ে এসেছেন আন্টি।হাতে করে দই এনে তাড়াহুড়ো ভঙ্গিতে বললো

” মিষ্টি মা,দুই মিনিট সময় দে আমায়,পড়তে বসার আগে দই খেতে হয়,তাহলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে,বিলু দইটা খেয়ে নিক তারপর পড়া ”

আমি নির্বিকার ভঙ্গিতে বললাম ” আচ্ছা ”

বিষন্নর বারবার না, না করেও লাভ হলো না।আন্টি যা বলে তাই করে।দই খাওয়া শেষে তিনি বাটিটা নিয়ে যেতে যেতে বললেন, মিষ্টি তুই দই খাবি? বগুড়ার দই,খুব মিষ্টি,এনে দিবো? ”

মিষ্টি জাতীয় খাবার আমার একদম ভালোলাগে না,গা গু*লায়।আন্টির কথা শুনেই কেমন গা গু*লাচ্ছে।আন্টিকে বললাম, না আন্টি আমি খাবো না,আমার হয়ে তুমি খেয়ে নাও,”

আন্টি রেগে রেগে বললেন, তা খাবি কেন,এই বয়সে তো পে*ট খারাপ করে ফেলছিস,ভালো জিনিস হজম করতে পারিস না,। বলেই চলে গেলেন।বিষন্ন আমার দিকে একবার তাকালো।তারপর আমরা দু’জনই হাসছি।

” বিষন্ন,এক ঘন্টা হয়ে গেছে,এই একটা ম্যাথ নিয়ে পড়ে আছিস, ব্যাপার কি? ”

” ব্যাপার কিছু না,ওসব ম্যাথ আমার ভালোলাগে না।পড়ালেখাই আমার ভালো লাগে না ”

” এটা কেমন কথা,পড়াশোনা ভালো না লাগলে কি ভালো লাগে? ”

” তোমায়,আর জানো? তোমায় আজকে অন্যরকম লাগছে,বউ বউ লাগছে,কেন লাগছে সেটা বোঝার চেষ্টা করছি”

” কারন আসার সময় সাওয়ার নিয়ে এসছি,চুলগুলা এখনো ভেজা ”

” হ্যা ঠিক বলেছো,তাই তো বলি আমার বউটাকে আজ সত্যি সত্যিই বউ বউ লাগে কেন, আমি বিষয়টা ধরতেই পারছিলাম না এতোক্ষণ ”

“ফা*জ*লা*মে অনেক হয়েছে।ম্যাথটা কর,এই নিয়ে বারো বার বুঝিয়েছি,যতবার বুঝাই তুই ম্যাথ না দেখে আমার দিকে হ্যা*ব*লার মতে তাকায় থাকিস,এবার ম্যাথ করতে না পারলে আঙ্কেলকে গিয়ে বলবো ”

” তুমি বলতে পারবে না ”

” কেন পারবো না? ”

” বাবাকে বললে বাবা আমায় বকবে তাই বলবে না।,আমায় কেউ বকবে এমন কাজ তুমি কখনোই করো না,ঠিক বলেছি? ”

” এতো কথা না বলে ম্যাথ কর,আচ্ছা ম্যাথ বাদ দে,ইংরেজি বেড় কর,লাস্ট দিনের ভোকাবুলারিগুলা একবার দেখে নে ”

” পড়ার কথা বলছো কেন,এতে রোমান্টিক মুহুর্তে কেউ পড়ালেখার বিষয় টেনে আনে? ”

রাগি স্বরে বললাম ” বিষন্ন! ”

” দেখো না,বাড়িতে সবাই ব্যাস্ত,আর তুমি একা আমার রুমে।আমরা এতোটাই কাছাকাছি যে আমি চাইলেই তোমায় টা*র্চ করতে পারি,”

বিষন্ন এসব কি ভয়ঙ্কর কথাবার্তা বলছে? সেদিনের মতো কিছু করে বসবে নাকি? যদি তাই হয় তাহলে আজকেই ওর সাথে আমার শেষ দেখা হবে।আজকে আর পড়ানের ইচ্ছে করছে না।উঠে যেতেই বিষন্ন একেবারে প্রাসঙ্গ পাল্টে বললো

” কালকে বাবা,মায়ের বিবাহবার্ষিকী, জানো তো? ”

আমি যেতে ধরেও দারিয়ে বললাম ” হ্যা ”

” রাতে নাচ,গান হবে,হৈ হুল্লোড় হবে।তুমি থেকে যাও ”

” আমি থাকতে পারবো না ”

বিষন্ন আমার সামনে এসে দারালো।যতোটা সামনে দারালে একটা মেয়ের মনে অন্যরকম শিহরন জাগে ঠিক ততটা।চোখে চোখ রেখে বললো

” প্লিজ থেকে যাও না,যদি চলে যাও তাহলে খুব কষ্ট পাবো, ”

কথাটা বলেই বিষন্ন রুম থেকে চলে গেলো।আমি হতভম্ব হয়ে দারিয়ে রইলাম।এতো মায়াবী স্বরে কেউ যদি থেকে যেতে বলে তাহলে হয়তো মৃ*ত্যু*কে*ও পরোয়া করে বেঁচে থাকা যাবে।আর যদি সেই বলার মানুষটা বিষন্নের মতো একটা অদ্ভুত ছেলে বলে!

রাত বাজে আটটা।বিষন্নদের বাড়িতে লোকে থৈথৈ করছে।বাচ্চা মেয়েরা ছোটাছুটি করছে,কয়েকটা বয়স্ক মহিলা একসাথে বসে পান চিবোতে চিবোতে গল্প করছে,আন্টিকে পার্লারে সাজাতে নিয়ে গেছে নীলু।বাড়িতে অনেক আত্মীয়স্বজন।আমার রীতিমতো অস্বস্তি হতে লাগলো।কাউকেউ ঠিক মতো চিনিনা।মামাকেও দেখতে পাচ্ছি না, মামা থাকলে তাও গল্প করে সময় পার করা যেতো।রাতে ছাঁদে যেতেও ভয় করছে।লক্ষ্য করছি বয়ষ্ক মহিলারা আমার দিকে তাকিয়ে হাত নাড়িয়ে নাড়িয়ে কি যেন বলছে।আমার দারুন অস্বস্তি হলো।বাধ্য হয়ে ছাঁদে গেলাম।

ছাঁদের এক কোনে একটা ছায়া দারিয়ে আছে।চাঁদের আলো তাকে স্পষ্ট করতে পারছে না।আবছা আলোয় বোঝা যাচ্ছে না।আমি একটু এগিয়ে গেলাম,।এগুতেই দেখলাম ছায়াটা আরো যেনো গভীর হচ্ছে।আমার বুকেট ভেতরটা ছ্যাত করে উঠলো।তারপর হঠাৎ আ*গুনের একটা ফুলকি দেখা গেলো।আ*গুনের আলোয় বিষন্নের মুখ স্পষ্ট বেঝা যাচ্ছে।রাতে বিষন্ন ছাঁদের কোনে একা একা কি করছে? একটু অপেক্ষা করতেই দেখলাম সেখান থেকে ধোঁয়া উড়ছে।বুঝতে বাকি রইলো না বিষন্ন সিগারেট খাচ্ছে।

ভিষন রাগ লাগছে।বিষন্ন কেনো সিগারেট খাবে? ওমন সুন্দর পাতলা পাতলা লাল ঠোঁ*ট পুড়িয়ে কালো করে ফেলবে কেন?।কাছে গিয়ে বিষন্নর মুখ থেকে সিগারেটটা কেড়ে নিলাম।বিষন্ন ভূত দেখার মতো চমকে উঠলো।কাঁপা কাঁপা স্বরে বললো

” তু..তুমি ”

” লুকিয়ে লুকিয়ে সি’গারেট খাচ্ছিলি তাই না? দারা আঙ্কেলকে বলে দিচ্ছি ”

বিষন্ন আমার হাত ধরে বললো ” এই না না,প্লিজ এসব করো না, জানতে পারলে আমি শেষ,আস্তো রাখবে না ”

” তা এসব বদ অভ্যাস কবে থেকে ধরলি তুই? কার সাথে মিশছিস আজকাল বুঝাই যাচ্ছে ”

” আসলে আমি খাচ্ছিলাম না,ধোঁয়া মুখে নিয়ে ছাড়তে খুব ভালোলাগে তাই ”

” এমন ভালো-লাগার দরকার নাই।সিগারেট খাওয়া ছেলে আমার পছন্দ না। লাল ঠোঁ*ট গুলার বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছিস ”

কথাটা বলে নিজেই নিজের কাছে লজ্জা পেলাম।ইসসস! এই কথা কেন বললাম? এখন যদি বিষন্ন অন্য কিছু মনে করে।বিষন্ন আরেকটু কাছে আসলো,আমার কো*ম*ড়ে হাত রেখে বললো

” এই লাল ঠোঁ*ট গুলার ভালো থাকার দায়িত্ব নাহয় তুমিই নাও,নিবা? ”

বিষন্নকে সরিয়ে দিয়ে নিচে নামলাম।বু*ক কেমন ধুকপুক করছে।মনে হচ্ছে এখনি ফে*টে যাবে।নিচে নামতেই দেখলাম নীলু আন্টিকে সাজিয়ে নিয়ে এসছে।নীলুর সাথে তিশা আর ঈশাও দারিয়ে।ওরা কখন এলো?।আন্টি ল’জ্জায় নিজের রুমে চলে গেলেন।নীলু,তিশা আর ঈশা হাসতে হাসতে আমার কাছে এসে দারালো।ঈশা গম্ভীর স্বরে বললো

” সবাই শোন,একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলবো ”

তিশা,নীলু কাছে দারালো।ঈশার কোনো কথা শুনার কোনো ইচ্ছে আমার নেই।তবুও ভদ্রতার খাতিরে আমিও তাকালাম।ঈশা বললো

” আজকে তো আমরা এক ঘরেই থাকবো তাই না? ”

নীলু বললো ” অবশ্যই,চার বান্ধবী একসাথে থাকবো।অনেক মজা হবে ”

ঈশা ওর ব্যাগ থেকে একটা পেনড্রাইভ বেড় করলো।ধূর্ত হাসি দিয়ে বললো

” আজকে আমরা মুভি দেখবো ”

তিশা বললো ” এটায় আর গুরুত্বপূর্ণ কি এমন ?”

ঈশা ঊমক দিয়ে বললো ” তুই সবসময় বেশি কথা বলিস তিশা,আগে কথা শোন ”

নীলু উৎসুক হয়ে বললো ” তিশা তুই চুপ থাক।ঈশা বল ”

ঈশা বললো ” এইখানের মুভি হলো অন্যরকম মুভি ”

নীলু বললো ” কেমন? ভূতের? আমি ম*রে গেলেও ভূ*তের মুভি দেখবো না ”

ঈয়া বললো ” আরে ভূতের না, অন্য ধরনের ”

বলেই ঈশা, নীলু আর তিশার দিকে তাকালো।মুহুর্তেই তারা অট্টাহাসিতে মেতে উঠলো।তাদের হাসি দেখে মনে হলো তারা বুঝতে পেরেছে ঈশা ঠিক কিরকম মুভির কথা বলছে।এটাও বোঝা যাচ্ছে যে ওরাও সেই মুভি দেখতে খুব আগ্রহী।

চলবে?

আজকে একটু আগেই দিয়ে দিলাম,।পাঠক,পাঠিকা মহলের গল্পটা কেমন লাগছে ঠিক বুঝতে পারছি না!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here