পরানের দুলাভাই পর্ব -১৩

#পরানের দুলাভাই
#সেলিনা আক্তার শাহারা”
# পর্ব-১৩
———————

এদিকে মুগ্ধর বাড়িতে প্রায় বিয়ের অনুষ্ঠান এর মতোই অবস্থা, নিতুকে কোলে করে নিয়েই মুগ্ধ কিছুক্ষন আগে বাসায় এসেছিলো, সবাই শুধু হা হয়ে হাসাহাসিই করছিলো, সেই থেকে কনিকা নিতুকে জ্বালিয়ে মারছে,,

অনেক মানুষ দাওয়াত করেছে বাড়ির পিছনের বাগান টায় খাওয়া ব্যাবস্থা করা হয়েছে, আত্তিয়স্বজন হাতে গুনা কয়জন, আর সব এতিম বাচ্চা দাওয়াত করেছে,
এমিতদের দোয়া নাকি আল্লাহতালার কাছে আগে পৌছোয়,
কনিকার স্বামিতো খুশিতে নাচ্ছে,
আর কনিকাকে বলছে চলো না আমরাও বেবি নেই প্লিজ( করুন সুরে)

না আগে অনিকা আপুর বেবি হবে তার পর এর আগে জদি বাচ্চা বাচ্চা করো তাহলে তুমার খাবার এএ এমন ঔষধ মিশাবো যে কোন দিন বাবা হতে পারবেনা( রেগে কনিকা)

কনিকার স্বামি এবার মুখটা বাংলার পাঁচ করে বসে রইলো, সবাই বেস খুশি শুধু অনিকার স্বামি ছারা, সে উদাস হয়ে বসে আছে তার রুম এএ, অনিকার মন টাও ভালো না, বিয়ের ৫ বছর হয়ে গেলো তবু সে তার স্বামিকে বাবা হওয়া সুখটা দিতে পারলো না, তার জন্য কনিকাও বেবি নিচ্ছে না অনেক বুঝিয়েও অনিকা পারলো না।
মুগ্ধ বাচ্চা হবে এতে অনিকা রাগ নয় বরং খুশি আছে, কিন্তু মুখেতা ফুটে উঠাতে পারছে না, কারন তার স্বামীতো আজ অনেক মন রাখাপ করে বসে রয়েছে ঘরে,

নিতুর বাবা মা মিতুও এসেছে, জাইন ও এসেছে তবে তার চোখ মুখ লাল হয়ে আছে, দেখে বুজাযাচ্ছে কান্না করেছে হয়তো।
খাওয়া দাওয়া শেষ করে সবাই চলে গেলো, কিন্তু নিতুর পরিবারকে যেতে দেয়নি মুগ্ধর বাবা,
মুগ্ধর বাবা বলছে আজ এক পাও নরবেন না, তাহলে তালা বদ্ধ করে রাখবো!!

তাই অনেক জুরাজুরিতে থেকে গেলো,
মিতু খুশি সে আজ এখান থেকে জেতে চাইছিলো না,

নিতুকে নিতুর শাশুরি আলমারির সব গহনা বের করে দিয়েছে,
দেখ মা এগুলা সব আমার বিয়ের সব তোর তুই পরবি সব,

না আম্মু এত গহনা দিয়ে আমি কি করবো, তুমি রেখে দাও( নিতু)

তুই যে খুশি দিয়েছিস তার সামনে মনে হয় দুনিয়ার সব ধনদৌলত এনে দিলেও তার সমতূল্য হবে না। ( মুগ্ধর মা কান্না জরিত গলায়)

নিতু তার শাশুরিকে জরিয়ে বলে তোমরাও তো আমায় অনেক কিছু দিয়েছো তার সামনে আমার দেয়া এই টা উপহার রইলো হেসে দিয়ে।

মুগ্ধ কখন থেকে তার রুমে অপেক্ষা করছে নিতুর জন্য, আর একটু রাগ ও মিতু কে কেন রাখলো এখানে, মুগ্ধ মিতুর ছায়াও পরতে দিতে চায় না নিতু ওতার বাচ্চার উপর।

কনিকা আর কনিকার স্বামি কখন থেকে দূস্টু মিস্টি ঝগরা করেই যাচ্ছে বেডরুম এএ।

কিন্তু অনিকার রুম এএ কি হচ্ছে!!!!!তা কি কেউ জানে?

মুগ্ধ বাবা এসে নিতুকে কিছু কাগজ পএ দিয়ে বললো এখানে সই করতো মা, আর সই করার আগে পরে দেখতে পারিস।

না বাবা আপনি জদি আমায় আমার মরন পরয়ানায় সই করতে বলেন আমি তাই করব, কারন আমি জানি উটাই আমার জন্য ভালো হবে( নিতু মিষ্টি হাসি দিয়ে)

মুগ্ধর বাবা নিতুর কথায় অনেক সনতুষ্ট হন, চোখ ছলছল ওও করছে।
নিতু চট করে সব গুলোতে সই করে দিলো।

★★ এই সই নিতুর জন্য কাল হবে না তো??★

একটু পর নিতু তার রুম এ গেলো, নিতুকে দেখে মুগ্ধ মুখ ফিরিয়ে অন্য পাশ ফিরে রইলো, নিতু জানে মুগ্ধর রাগ কিভাবে ভাংতে হয়,আর মুগ্ধ নিতু বুকে মাথা না রেখে ঘুমাতেও পারবেনা।
তাই কোন কথা মা বলেই চুপ করে মুগ্ধর পাশে শুয়ে পরে,

একটু পর মুগ্ধ নিতুর দিকে ফিরে বলে কেমন বৌ তুমি এত দেরিতে রুম এএ এলে স্বামী রাগ ভাংগাবে তা নয়, পরে পরে ঘুমোচ্ছো!! হালকা রেগে..

কারন আমি জানি আমার মুগ্ধ কখনও আমার সাথে রাগ করতে পারবেনা, তাই রাগ ভাংগানোর পশ্নই নেই( নিতু মুগ্ধর গালে হাত দিয়ে)

সত্যি বলেছো বৌ তোমার উপর আমি কখনই রাগতে পারবনা,
আর এখন তো তুমি একা নও আমার মা ও তো আছে তুমার সাথে!( মুগ্ধ পেটের হাত বুলাতে বুলাতে)

নিতু চোখ বন্ধ করে মুগ্ধর স্পর্শ অনুভব করছে,
আর বলছে মা মানে তোমায় কে বললো মা হবে বাবাও তো হতে পারে,

না নিতু আমি জানি আমার একটা মা হবে, তার নাম ও ঠিক করে ফেলেছি,( মুগ্ধ)

বাহবা কত আদুর শুধু মেয়ের জন্য, আর আমি বুঝি এখানে থেকেও নেই, ( অভিমান করা গলায় নিতু)

মুগ্ধ হাসি দিয়ে নিতুর উপর উঠে বললো তোমার আদর একটু আলাদা,বলেই নিতুর ঠোট এএ দখল করতে থাকে, ধিরে ধিরে নিতুকে তার ভালোবাসার পরশ দিতে থাকে।

এদিকে অনিকার স্বামি ঠান্ডা মাথায় ঝগরা করছে।
অনিকা আজ জে খুশি তারা উপভুগ করছে বিয়ের আরাই মাস ও হয় নি,
আর আমরা৫ বছর এএও পারলাম না,

অনিকা খাটের এক কোনায় বসে বললো তুমি কত দিন আমায় আপন করে নাও না চেষ্টা তো আমিও করেছি সাগর!!!
আর তুমি আমার থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছো একবার কি আমায় আপন করে নেয়া জায় না,আল্লাহ চাইলে মুখতুলে তাকাতেও পারেন,

এত দিনে দিতে পারোনি আমায় সন্তান সুখ, তাই আর আশা ছেরে দিয়েছি, ( সাগর অনিকার স্বামি)

আমি কি এই সাগরকেই ভালোবেসেছিলাম যে কিনা একটা বাচ্চার জন্য নিজের ভালোবাসা ভুলে জেতে পারে??
( অনিকা কান্না গলায়)

আমিও তোমায় কম ভালোবাসিনি তোমার ইচ্ছা বাড়ি ছেরে এখানে এসেছি নিজেদের ব্যাবসা ও তোমার বাবার ব্যাবসা সব দেখা শুনা করছি,
আমাও তো বংশের বাতি চাই, বলেই সাগর রুম ত্যাগ করলো,

আরাল থেকে সব শুনছিলো মিতু,
মিতু তার রুম এএ এসে সয়তানি হাসি দিয়ে বললো পেয়ে গেছি আমার এক্কার চাল,
এবার কাটা দিয়েই কাটা তুলা সহজ হবে,
জদি আমার কাজ অনিকা করে দেয় তাহলে আমার হাত ময়লা করে লাভ কি??

বলেই হো হো করে হাসছে।

সাগর সারা রাত বাড়ি ফিরেনি, অনিকা সারাত দরজায় দারিয়ে রয়েছিলো সাগর এর জন্য,
ক্লান্ত হয়ে এখানেই ঘুমিয়ে পরেছিলো,

সকালে সাগর বাড়ি ফিরে দেখে অনিকা এভাবেই শুয়ে আছে,
সে কিছু না বলেই তার রুম এ চলে গেলো।
মিতু সব দেখছে আর তার প্যান সাক্সেস করার জন্য হাতিয়ারও পেয়ে গেছে।

★★ কি হতে চলেছে নিতুর জিবন, মিতু আর সাগর এই বাচ্চাটা কে মানতে পারছেনা, কোন দূর্ঘটনার আভাস নয় তো, পারবে তো নিতু সন্তান কে দুনিয়ার আলো দেখাতে নাকি এর আগেই দুজন কে বিদায় নিতে হবে!!!!!!*★★

চলবে”’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here