মেঘ-বৃষ্টি পর্ব=২

গল্প : মেঘ-বৃষ্টি পর্ব=২
❤❤
রোদ-রোদেলা

লেখিকা :তানিয়া [আনিতা]

“মেঘ আপনি “?

হুম ইনি হচ্ছে মেঘ আহমেদ শহরের টপ বিজনেস ম্যানদের মধ্যে একজন কিন্তু ওর সাথে বৃষ্টির আরও একটা সম্পর্ক আছে সেটা পরে জানতে পারবেন।

“What nonsense. it’s office and l am ur boss so called me sir, got it.”

“Y..ye..s sir”😥

“Damn it”

মেঘ তখনি একজনকে কল দিয়ে তার কেবিনে আসতে বল্ল।

কিছুক্ষণ পর…..

“মে আই কাম ইন স্যার”?

“ইয়েস”

লোকটির দিকে তাকিয়ে মেঘ বৃষ্টিকে বলল

“মিস বৃষ্টি উনি হচ্ছে শ্রাবণ আজ থেকে আপনি ওনার আন্ডারে কাজ করবেন আর শ্রাবণ ওনাকে ওনার সব কাজ বুঝিয়ে দিবেন”

“ঠিক আছে স্যার”

হঠাৎ কত্থেকে একটা মেয়ে এসে মেঘকে জরিয়ে ধরে বলল,

“হাই, মেঘ হোয়াটস আপ”?

“ইয়েস বেব আ’ম ফাইন”

বৃষ্টি তখনও মেয়েটিকে দেখছিল পরনে মিনি স্কার্ট, চুল গুলো কালার করা ঘাড় পর্যন্ত, মুখে ভারি মেকআপ. হঠাৎ মেয়েটি বৃষ্টিকে দেখিয়ে বলল

“হু ইজ সী”?

মেঘ বলল

“ও.. সী ইজ মিস বৃষ্টি, নতুন জয়েন করেছে ”

তারপর ওদের দিকে তাকিয়ে বলল “আপনারা এখন ও যাননি “?

মেয়েটির নাম টিনা মেঘের পিএ। তাছাড়া টিনার আরেকটি পরিচয় আছে। টিনা আর মেঘ খুব ভালো বন্ধু তাই টিনা মেঘের ওপর একটু বেশি অধিকার দেখায়।

কথাটি শোনার সাথে সাথে ওরা দুজন বের হয়ে এল
বৃষ্টি নিজের কেবিনে বসে রাগে গজগজ করতে লাগলো
আর বলতে লাগলো শেষে কিনা এই লোকটার অফিসে কাজ পেল ভাবতেই মেজাজ আরও গরম হয়ে গেল তখনি শ্রাবন রুমে আসল, দুজন পরিচিত হয়ে বৃষ্টি নিজের কাজ বুঝিয়ে নিল.
.
.
.
.
এভাবে সময়ের কাটা আপন মনে চলতে লাগলো এর মধ্যে বৃষ্টি,শ্রাবন আর তৃনার মাঝে খুব ভালো বন্ধুত্ব গড়ে উঠল আর শ্রাবনের ফানি কথাতে বৃষ্টি হাসতে হাসতে পাগল প্রায় কিন্তু এর মাঝে কেউ একজন বৃষ্টিকে দেখে রাগে ফেটে পড়ছে সেই দিকে বৃষ্টির কোনো হেলদোল নেই, যখনি বৃষ্টি মেঘের রুমে যায় তার মুখের হাসি যেন উদাউ হয়ে যায়।

কিন্তু বৃষ্টির এই হাসি ধরে রাখতে দিলনা মেঘ. সে সবসময় বৃষ্টিকে এতো কাজের প্রেসারে রাখত যে বৃষ্টির সাথে শ্রাবন আর তৃণার এখন খুব একটা দেখা হয় না বললেই চলে। তাও বৃষ্টি কিছু না বলে চুপচাপ নিজের কাজ করে। কিন্তু মেঘ যেন বৃষ্টির এই নিরবতা মেনে নিতে পারছে না তাই সে চেষ্টা করে করে কীভাবে বৃষ্টিকে অপদস্ত করা যায় তাই মেঘ বৃষ্টিকে বিভিন্ন ভাবে টাইট দেওয়ার চিন্তা করে।

একদিন বৃষ্টি খুব রেগে যায় আর রেগে গেলে বৃষ্টির মাথা ঠিক থাকে না তখন মুখে
যা আসে তাই বলে আর মেঘের ক্ষেএেও তাই হলো

“সমস্যা কী আপনার কি ভাবেন নিজেকে চাকরি করি বলি কি মাথা কিনে নিয়েছেন যখন যা ইচ্ছা করবেন আমি আপনার অফিসের একজন কর্মচারি চাকর নই যে আমাকে দিয়ে যা ইচ্ছা করাবেন আপনার সাহস কেমনে হয় আমাকে দিয়ে এমন কাজ করার😡”

“মিস বৃষ্টি ????? ”

“কি বৃষ্টি বৃষ্টি করছেন আগে উওর দিন ”

“আপনি ভুলে যাবেন না আপনার কাজের জন্য আপনাকে সেলারি দেওয়া হয় তাই আপনি আমার কাজ করতে বাধ্য ”

“ভুলে আপনি গিয়েছেন আমি কোন কাজ করি. আমি আমার মেধা আর শ্রম দিয়ে কাজ করি আর বিনিময়ে সেলারি পাই তার মানে এই নয় যে আপনি আমাকে যেমন ইচ্ছে তেমন কাজ দিবেন আপনি অফিসিয়াল কাজ দিলে আমি না করতাম না তাই বলে এমন কাজ দেওয়ার সাহস কই পান ”

“আমি আর আপনার অফিসে কাজ করব না😡”

এই বলে বৃষ্টি হনহন করে বের হওয়ার জন্য দরজার দিকে যেতেই পেছন থেকে মেঘ বলে উঠে

“চইলেই কি এখান থেকে যাওয়া সম্ভব আপনি হইতো ভুলে গেছেন এগ্রিমেন্টের কথা, যদি জব ছেড়ে চলে যান তবে কথাটা বলেই মুচকি হাসি দেয় 😊আর বৃষ্টি তখন মনে পড়ে যায় প্রথম দিনের কথা তাই আর কিছু না বলে বেরিয়ে আসে।

ঠিক তখনি মেঘ মনে মনে বল্ল এতো সহজে তোমাকে যেতে দিচ্ছি না মিস বৃষ্টি .

আসলে মেঘ বৃষ্টিকে তার কেবিনে ঢাকে আর কেবিনে যাওয়ার পর মেঘ বৃষ্টিকে বলে তার কেবিনে একপাশ নোংরা হয়েছে তা যেন পরিষ্কার করে দেয় বেস তাতেই রেগে আগুন হয়ে যায় বৃষ্টি আর পরের গুলো তো দেখলেন।

————————–+——————–

কাজ শেষ করে বাসায় চলে যায় বৃষ্টি যেই না দরজা নক দিল দরজা খুলার মানুষটিকে দেখে বৃষ্টির মুখে হাসি ফুটে উঠেল আর বলে উঠল

“রোদ তুই “?

রোদ হেসে বলল

“হুম আমি 😊কেমন আছিস “?

” হুম ভালো তুই ”

“মনে হচ্ছে রেগে আছিস আমি কি ভুল করে ফেললাম এসে ”

“আরে কি বলিস তোকে দেখে খুব ভালো লাগছে কতদিন পর এলি তো বাসার সবাই কেমন আছে “?

“হুম ভালো তুই কিন্তু এখনো বললি না কেন রেগে আছিস “?

“বাদ দে তেমন কিছু না (আসলে বৃষ্টি রোদকে মেঘের কথা বলতে চাইছিল না)”

পরক্ষণেই বৃষ্টি বলল “আজ ডিনার আমাদের সাথে করবি আর রোদ তাতে না করল না ”

এদিকে রুমে বসে একমনে ল্যাপটপের স্ক্রিনে তাকিয়ে আছে মেঘ স্ক্রিনে ভেসে ওঠা ছবিটার দিকে তাকিয়ে আর হাতে থাকা পেপারস গুলো নিয়ে বলল “তুমি জানো না প্রিয়সী তুমি কত বড় ভুল করেছ এখন তুমি আমার কাঁচায় বন্দী এবার আর চাইলেই পালাতে পারবে না”

তখনি মেঘ এর দরজার কড়া নড়ে উঠে

“ভাইয়া খেতে এসো মা অপেক্ষা করছে ”

“তুই যা আমি আসছি ”

রোদেলা মেঘের একমাত্র বোন অনার্সে পড়ে আর মেঘের মা সহ তিন জন মিলে মেঘের পরিবার বাবা গত হয়েছে প্রায় বছর খানেক আগে এরপর বাবার বিজনেস মেঘ দেখা শুনা করে এবং শহরের একজন নামকরা বিজনেস ম্যান হয় মেঘ সব গুছিয়ে খাবার টেবিলে গেলে তার মা বলে

“কীরে অনেক তো হলো এবার বিয়ের কথা তো ভাব” আমার কি ইচ্ছে হয় না একমাত্র ছেলের বউকে দেখতে”

“মা অপেক্ষা কর সময় হলে আমি নিজেই তাকে তোমার কাছে নিয়ে আসব”😊

“😌কখন আমবি আমি মরে গেলে ”

“মা তুমি যদি আরেকবার মরার কথা বলো তবে…. ”

“আচ্ছ যা আর বলব না”

ওদিকে খাওয়া দাওয়া করে কিছুক্ষন আড্ডা দিয়ে রোদ চলে গেল আর বৃষ্টি সব গুছিয়ে রুমে ফিরে বিছানায় শুয়ে পরল ক্লান্ত থাকায় চোখে ঘুম চলে আসল।

পরের দিন সকালে………

চলবে…..

১.https://www.facebook.com/groups/2401232686772136/permalink/2773300342898700/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here