বিষাক্ত বাঁধন পর্ব -০৬+৭

#বিষাক্ত_বাঁধন
#পর্ব_৬
#অনামিকা_জাহান_জাফরিন।
গাড়ির মধ্যে সিটের এক কোনে ভয়ে জড়সড় হয়ে বসে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে যাচ্ছে তুসি।অনেক ভয় লাগছে আরিয়ান কে দেখতে। ২০ মিনিট পর অবশেষে আরিয়ান গাড়ি রাস্তায় থামিয়ে চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষণ নিজের মাথার চুল টেনে ধরে রাগ কমানোর প্রয়াস চালালো।৫ মিনিটের মাথায় চোখ খুলে পাশে ভয়ে বসে থাকা কান্নারত মুখটা দেখে বুকের ভেতর কেমন চিন চিন ব্যাথা অনুভব করল ।এই নিষ্পাপ মুখটায় কিছুতে কান্না করা মানাচ্ছে না আর তার চেয়েও বড় কথা আরিয়ান কিছুতেই সহ্য করতে পারছেনা তুসির এই কান্না করাটা ।ওর বুকের ভেতর কোথাও একটা তীব্র ব্যথা অনুভব করছে। আবার আরিয়ান মনে মনে ভাবশ বাপ যেমন নিজেকে ভালো সাজিয়ে মানুষের সম্মান নিয়ে খেলা করে মেয়েও ঠিক তেমন।ভোলাবালা সাজার চেষ্টা করে কিন্তু ঠিকই আমার কথা অবাধ্য হয়ে বাড়ির লোকের কাছে ফোন করে ফেলল। তারাতারি এই জায়গা ছাড়তে হবে । তার আগে রাজ, তাসিন কে সরে যেতে বলতে হবে ওখান থেকে।আরিয়ান রাজ এর ফোনে কল করল ,রিং হওয়ার পর সাথে সাথে কল রিসিভ করল রাজ আরিয়ান বলল,
রাজ তুমি আর তাসিন অফিসে চলে যাও দ্রুত। বলেই ওকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে কল কেটে আবার গাড়ি চালাতে শুরু করল।

🌸🌸🌸

পুলিশ স্টেশনে আশরাফ খান একপ্রকার দৌড়ে আসছে গাড়ি থেকে নেমে।তৌহিদ বসা থেকে দাঁড়িয়ে ওঠে বলল স্যার আপনি বসুন।
আমি বসতে অসিনি আমার মোবাইল তুসি মানে আমার মেয়ের কল এসেছে ও কথা বলেছে আমার সাথে।

কি আপনার সাথে কথা বলেছে দেখি মোবাইল টা দিন।ট্র্যাক করলে বুঝতে পারবো কোন জায়গা থেকে কল করেছে ।

তাহলে তাড়াতাড়ি কর ।

আশরাফ খান আর তৌহিদ নিজের সাথীদের নিয়ে সেই মলের সামনে আসল যেখান থেকে তুসির কল এসেছিল । কিন্তু পুরো মল ঘুরে ও পুলিশরা তুসি পায়নি ।
তৌহিদ চিন্তায় পরে গেলো মলেতো তুসিকে কিছুতেই ২ দিন লুকিয়ে রাখা সম্ভব নয় তাহলে ওই কিডন্যাপার ওকে মলে কেন নিয়ে আসল ?
কি হল তৌহিদ কোনো প্রমাণ খুজে পেলে?
তৌহিদ কিছু বলতে যাবে তখন ওর নজর ওর থেকে কিছু দূর সামনে একটা মোবাইল এ পড়ল তৌহিদ সেখানটায় গিয়ে মোবাইল টা উঠিয়ে দেখছে ।এত দামি ফোন কে ফেলে রেখে গেল বুঝলাম এটা ভাঙ্গা তাই বলে ফেলে যাবে এটাতো ঠিক করানো যেত । আচ্ছা এই ফোনটা সেই কিডনাপারের নয়তো হয়ত প্রমাণ না রাখার জন্য তুসি কল করেছিল যে এটা ভেঙ্গে ফেলেছে।দেখি সিম আছে কি না ।
নাহ নেই । এই লোক অনেক চালাক । ঠিক আছে কোনো ব্যাপার না আমি ও খুজে বের করব এই মোবাইল টা কোন দোকান থেকে কেনা হয়েছে তাহলে নিশ্চয়ই ওই মোবাইল মালিক এর পরিচয় জানতে পারব । আর সেই হবে ওই কিডন্যাপার।

🌸🌸🌸

আরিয়ান গাড়ি ওর বাড়ির সামনে দাঁড় করিয়ে তুসিকে টানতে টানতে ভেতরে নিয়ে যাচ্ছে। সমস্ত স্টাফরা ভয়ে একে কিছু বলতে পারছেনা।

ছাড়ুন প্লিজ আর কখনো করবনা এমন ।
তুসির কথার জবাবে আরিয়ান হুংকার দিয়ে বলে উঠল ,আর কখনো কিছু করার সুযোগ দিলে তবেতো করবে । এই আরিয়ান চৌধুরি দ্বিতীয় বার কাওকে সুযোগ দেয়না । এই বলে ওকে টানতে টানতে তুসি যেই রুমে থাকত ওইখানে এনে বিছানায় ফেলে দিল । তুসি ওঠার চেষ্টা করতে চাইলে ওর গলা চেপে ধরে আবার শুইয়ে দিয়ে ওকে জিজ্ঞেস করল ,
বল, কার কাছে কল দিয়েছিলে আর কি কি বলেছ?
কি বলেছি শুনতে পাওনি জবাব দাও ? কার কাছে কল করেছিলে ?
আব..আব্বুর কাছে ।
কি?,,কি বলেছ? বল কি কি বলেছ?
আম,,আমার গলা ছাড়েন ব্যথা পাচ্ছি । বলতেছি।
ওকে ছেড়ে দিলাম বল
আমি কান্নার কারনে কিছু বলতে পারিনি আর আপনার বাড়িতো চিনিনা কি করে বলব আমি কোথায় ছিলাম?
সত্যি বলছোত নাকি আবার নিজেকে খুব ভোলাবালা বাচ্ছা প্রমাণ করার চেষ্টা করছ? যদি তাই হয় তাহলে কান খুলে শুনে রাখ আমি তোমাদের এইসব অভিনয় খুব ভালো করে জানি । প্রথমে নিজেদের ভালো সহজ সরল দেখাবে মানুষের কাছে পরে তাঁদেরই পিঠ পিছে ছুরি মারবে ।
ক,,কী বলছেন আপনি? আ,,,আমি বুঝতে পারছি না ।
বুঝতে হবেওনা শুধু একটা কথা মনে রেখ দ্বিতীয় বার পালানোর বা নিজের পরিবারের কাছে মোবাইল করার চেষ্টা করলে এর পরিণাম খুব ভয়াবহ হবে যা তুমি ভাবতেও পারবে না ।কথাগুলো বলে আরিয়ান রুম থেকে বের হওয়ার সময় থেমে তুসিকে শুনিয়ে সার্ভেন্টদেরকে বলছে, আজকে ওর খাওয়া বন্ধ আমার অনুমতি ছাড়া কেউ যেন এই ঘরে কোনো খাবার বা পানি না আনে ,বলেই দরজা বাইরে দিয়ে আটকে নিজের ঘরে চলে গেলো।
তুসির চোখের পানি অনবরত ঝরছে । এমনেতেও সকালে নাস্তা করেনি ও এখন তো পুরো দিন খাবার দেবে না বলছে ।ভেবেই আরো জোরে কান্না পাচ্ছে তুসির না খেয়ে থাকার অভ্যেস নেই ওর ।মনে ভনে এক কঠিন সিদ্ধান্ত নিল , যে করেই হোক ও এইখান থেকে পালাবে এই খারাপ লোকটার এখানে কিছুতেই থাকবেনা।কিন্তু লোকটা ত বলেছে দ্বিতীয় বার এমন কিছু করলে খুব খারাপ হবে। আরে দূর দ্বিতীয় বার আমাকে পেলেতো পরিণাম করবে ।আমি পালিয়ে গেলে শাস্তি দেবে কি করে হি,হি,হি।

ওয়াশরুম এ শাওয়ার এর নিচে দাঁড়িয়ে আরিয়ান নিজেকে শান্ত করার প্রয়াস চালাচ্ছে। আর নিজে নিজে বলছে,
নাহ আমাকে আরো সতর্ক হতে হবে এই মেয়েটা নিজেকে যতটা বোকা দেখাচ্ছে ততটা ও না । বেইমান এর মেয়ে তো রক্তে বেইমানি মিশে আছে।আর আমি কি না ভাবছি এই মেয়েটা বোকা ,সহজ, সরল ।এটা কি করে ভুলে গেলাম আমি যে কার মেয়ে ও।

রাত সাড়ে দশটায় এক স্টাফ আরিয়ান এর ঘরে আসল । আরিয়ান কে প্রশ্ন করল ভেতরে আসব বাবা?
আরে রহিমা খালা(আরিয়ান দের অনেক পুরনো আর বিশ্বস্ত কাজের লোক) আসুন ।আমার ঘরে আসতে আপনার কোনো অনুমতি লাগবেনা ।
বাবা এইসব তুমি কি করছ ? মানছি ওর বাবা আমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু তাই বলে মেয়েটাকে কেন কষ্ট দিচ্ছ?

আপনি জানেন খালা তাও প্রশ্ন করছেন ?আর তা ছাড়া আমি ওই মেয়েটাকে কোনো কষ্ট দিচ্ছিনা শুধু ওকে ব্যবহার করে ওর বাবার অহংকার এর সম্রাজ্য ধ্বংস করতে চাই।

মেয়েটা সকালে ও নাস্তা করেনি আজ সারা দিন কিছু খায়নি। এখন কি রাতে ও কিছু খেতে দিবেনা ?

না । খালা প্লিজ আপনি আমাকে এই ব্যাপারে কোনো অনুরোধ করবেন না ।

ঠিক আছে আমি কোনো কিছুই বলবনা তবে এইটা মনে রেখো ওই মেয়েটা নির্দোষ। যা কিছু হয়েছিল অতীতে আমাদের তাতে ওর কোনো দোষ নেই। এই বলে রহিমা খালা চলে গেল।

আরিয়ান অনেক ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিল যে তুসিকে রাতে খেতে দেবে।কিন্তু এতক্ষণে তো সব লোক ঘুমিয়ে যায় ।কাকে বলব?তার চেয়ে বরং আমিই নিয়ে যাই।
খাবার নিয়ে আরিয়ান তুসির রুমের সামনে গেল দরজা খুলে দেখলো…..

চলবে?

ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন।#বিষাক্ত_বাঁধন
#পর্ব_৭
#অনামিকা_জাহান_জাফরিন।

খাবার নিয়ে আরিয়ান তুসির রমের দরজা খুলে দেখল ও বিছানার সাথে হেলান দিয়ে নিচে বসে।
ঘরে প্রবেশ করে খাবার টেবিলে রেখে তুসির কাছে গেলো ভাবল মেয়েটা যে এইখানে শুয়ে আছে ঠান্ডা লাগবে খাটের উপর তুলে দিলে ভালো হবে ।
এক মিনিট, এই মেয়েটাকে আমি কেন তুলব ও যেখানে ঘুমাক ঠান্ডা লাগুক যা খুশি তাই হোক তাতে আমার কী?কেন এত চিন্তা করি আমি ।না ,,না আমি ইচ্ছে করে করতে চাই না ওর নিষ্পাপ মায়াভরা মুখটা দেখলে এমনিতেই চিন্তা চলে আসে ।কিন্তু মানুষ তখন অন্য করোর জন্য চিন্তা করে যখন সে তার আপন হয়। ও তো আমার কেউ না।
তাহলে ?? ওর মুখের দিকে তাকিয়ে দেখলো কান্না করেছে যে সেই সেই পানিগুলো শুকিয়ে দাগ বসে আছে। কেন যেন আরিয়ান এর খুব মায়া লাগছে । হাত বাড়িয়ে সেই শুকিয়ে যাওয়া চোখের জলের দাগ গুলো মুছে দিল।খাবার খাওয়া দরকার সকালে ও নাকি নাস্তা করেনি আগে বিছানায় শুয়ে দি। আরিয়ান তুসিকে কোলে তুলে নিল বিছানায় শুইয়ে দিল এমন টাইমে কেউ একজন দরজার সামনে দাঁড়িয়ে বলে উঠল,,,,

আসতাগফিরুল্লাহ,,আসতাগফিরুল্লাহ এইসব আমি কি দেখছি রিয়ান ?(ওকে আদর করে আরিয়ান এর আ বাদ দিয়ে রিয়ান ডাকে)।এই মেয়েটা কে? আমি কদিন বাইরে গিয়েছি আর তুমি তার মধ্যে কি সব করে ফেলেছ?

ভাবিমা ত,,তু,,তুমি।( আরিয়ান এর বড় ভাই এর স্ত্রী রিমা। ওর বড় ভাই ব্যাবসার কাজে প্রায় বাইরে থাকে মাঝে মধ্যে দেশে বেড়াতে আসে।রিমাকে আরিয়ান প্ল্যান করে পাঠিয়েছিল ওর ভাইয়ের কাছে বেড়ানোর জন্য। তিন মাস থাকার কথা ছিল । আরিয়ান ভেবেছিল এই সময়ে ও ওর এই কাজ টা ভাবি আসার আগেই সেরে ফেলবে।কিন্তু পঁচিশ দিনের মাথায় যে ওর ভাবি চলে আসবে এইটা ওর ভাবনার বাইরে ছিল।)

না আমি তোমার কেউ না ।কি করে পারলে এমন একটা কাজ করতে?
ক,,কি করেছি?

কি করেছি মানে ? কে এই মেয়ে আমাদের বাড়িতে কি করছে।একমিনিট ও তোমার গার্লফ্রেন্ড নয়তো? আমাকে জানাওনি কিছু আমাকে জানালে কি আমি অমত করতাম বিয়েতে।আগে এটা বল বিয়ে করেছ?

না ,,,না।

মানে বিয়ে করা ছাড়াই একসাথে থাকছো দুজন।।হায় আল্লাহ্ এই দিনটাও দেখতে হলো আমার ! এইসব পাপ তুমি করলে কেমন করে?
এই শিক্ষা দিয়েছি আমি তোমাকে? বল জবাব দাও।

ভাবিমা তুমি ভুল বুঝছো ।আম,,আমাকে বলার সুযোগ দাও।

কি বলবে তুমি ?হ্যাঁ কি বলবে? কখনো কোনো মেয়ের সাথে সম্পর্ক আছে কিনা কাউকে পছন্দ করো কিনা জিজ্ঞাস করতে করতে আমার মুখে ফেনা তুলে ফেলেছি। বহুবার বিয়ে করাতে চেয়েছি কিন্তু তুমি কিছুতেই রাজি হওনি।যদি বলতে আমার একটা মেয়েকে পছন্দ অমি কি বিয়ে করিয়ে দিতাম না। তা না করে তুমি আমার অগোচরে ওকে বাড়িতে নিয়ে এসেছো একসাথে থাকছো? হায় আল্লাহ্! কতবড় পাপ করতেছ তুমি বুঝতে পারছো?

ভাবিমা ,,

চুপ করো কোনো কথা শুনতে চায় না আমি ।

আমার পুরো কথাতো শুনবে।

না তোমার কোনো কথাই শুনবোনা আমি।যা করার আমিই করবো খবরদার মুখ থেকে একটা শব্দ ও বের করবেনা ।এই বলে রিমা কাকে যেন কল করল ।
ফোন রেখে আরিয়ান কে বলল , যাও নিজের ঘরে যাও ।
ভাবিমা আমার কথা তো শুনো ।আর তুমি আসবে আমাকে বললে তো তোমাকে এগিয়ে আনার জন্য যেতাম।

সারপ্রাইজ দেবো ভেবেছিলাম এসে যে নিজেই সারপ্রাইজ হয়ে যাবো সেটাতো জানতাম না।কোনো কথা না যাও নিজের রুমে ।আমি এই মেয়ের সাথে কথা বলতে চাই।

আরিয়ান আর কিছু বলল না ভাবির মাথা গরম বুঝতে পেরে কেটে পড়ল ভালোই ভালোই বলা তো যায় না কখন আবার কান মলে দেয়।

রিমা তুসির পাশে বসে ওকে উঠানোর চেষ্টা করতে লাগল।
এই মেয়ে উঠো।কেমন রকমের মেয়ে একটা ছেলের সাথে ওর বাড়িতে চলে এলো । আর বাবা মা ই বা কেমন কিছু বলল না ।নাকি জানেই না ওরা না না শুধু শুধু বাবা মায়ের দোষ দিয়ে লাভ নেই এখন কার ছেলে মেয়েরা বাবা মাকে মিথ্যে বলে কত কিছু করে ফেলে ।আরে এই মেয়েটা তো উঠছেইনা।
এই মেয়ে ওঠো লজ্জা করে না অবিবাহিত অবস্থায় একটা ছেলের সাথে ওর বাড়িতে থাকতে? ওঠো ।এইবার রিমা তুসির গায়ে হাত দিয়ে ওকে জাগানোর চেষ্টা করছে। তুসি পিটপিট কর চোখ খোলার পর সামনে একটা অপরিচিত মেয়ে কে বসে থাকতে দেখলো।
রিমা বলে উঠলো যাক অবশেষে মহারানির ঘুম ভাঙ্গল । এই মেয়ে লজ্জা করে না তোমার এমন কাজ করতে ?
তুসি ভাবলো হয়তো আব্বুর কাছে কল করেছিলাম যে সেই কথাই বলছে । ও কাদোঁকাদোঁ মুখ করে বলল সরি অর এমন করবনা প্লিজ মাপ করে দিন ।
সেটা করার আগে মাথায় রাখা উচিত ছিল। আমার সাদাসিধে দেবর টাকে নিজের জালে ফাসিয়ে এখন মাপ চাওয়া হচ্ছে।
এই সাড়িটা পরে রেডি হয়ে নাও। অপরাধ যেহেতু করেছ শাস্তি তো পেতে হবে।
শাস্তির কথা শুনে তুসির আবার মন খারাপ হয়ে গেলো। ভাবছে একবারের শাস্তিতে তো ভাত দেয়নি এবার না জানি কি করে আল্লাহ রক্ষা করো।

না জানি ওই মেয়েটা ভাবিমাকে সব বলে দেয় কিনা । ভাবিমা জানলে কষ্ট পাবেন।আর তা ছাড়া ভাবি এসব মানতে পারবেনা মেয়েটা কিছু না বললেই হয়। আরিয়ান নিজের ঘরে পাইচারি করতে করতে বির বির করছে।

🌸🌸🌸

রিমা ডার্লিং কোথায় তুমি আমি চলে এসেছি।

তাসিন এর গলার আওয়াজ পেয়ে রিমা নিচে নামতে নামতে বলল হ্যাঁ ভালো করেছ । যা বলেছি এনেছো?
হ্যাঁ,,হ্যাঁ তুমি কিছু মুখ ফুটে বলবে আর আমি আনবোনা তা হয় নাকি? এনেছি। তবে ভাবি তোমার তো তিন মাস থাকার কথা ছিল তাহলে?
ঝগড়া করেছ নাকী আরিফ ভাইয়ার সাথে হুম?

তুমি দয়া করে চুপ করো ।

কত দিন পর দেখছি তোমায় আর তুমি শুধু রাগই দেখাচ্ছো ।

জরুরী কিছু কাজ আছে সেটা শেষ করি তারপর বলছি।

যো হুকুম মহারানি।
তাসিন এর কথায়া আর না হেসে পারল না রিমা।ছেলে টা এমনি যে কোনো পরিস্থিতিতে নিজের কথা দিয়ে সবাইকে হাসিয়ে ছাড়ে।

🌸🌸🌸

ম্যাডাম আর কত না খাইয়া থাকবেন? কিছু খাইয়া লন আপনের প্রেশার বেডে যাবে ঔষধ খাইতে হইবো।

ছকিনা যাও তুমি এইখান থেকে যতক্ষণ না আমার মেয়ের কোনো খবর পাচ্ছি ততক্ষণ আমার গলা দিয়ে খাবার নামবে না।

আল্লাহ্ মামনিরে যেইখানে রাখছে বালা রাখছে । উনি আইয়া যদি জানতে পারে যে আপনে ঔষধ না খাইয়া পেশার বারাইয়া পালাইছেন তাহলে রাগ করব খুব । মনে কইরবো যে আমি আপনারে দিতে ভুইলা গেছি।

কেনো পানি দিয়ে খেতে পারবনা?
কি কন ম্যাডাম খালি পেটে ঔষধ খাওনত বালা না।

আচ্ছা তোমার স্যার আসেনি ?
না ।
যাও তুমি উনি অসুক আগে ।

ক,,কিন্তু

যাও প্লিজ।

রিমা তুসি অর আরিয়ান কে নিচে ডেকে পাঠালো ।
দুজনে নিচে এসে যতটা না অবাক হলো তার চেয়েও বেশি অবাক হলো রিমার কথা শুনে

রিমা বলল…..

চলবে,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here